লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ-এর জিকির
এই দোয়া পাঠ করলে সত্তরটি বালা মুসিবত থেকে নাজাত পাওয়া যায়। হজরত আনাস ইবনে মালেক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, রসুলে আকরম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক দশবার এই দোয়া পাঠ করবে সে গোনাহ্ থেকে এমন পাকপবিত্র হবে, মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সন্তান যেমন পবিত্র থাকে। তাছাড়া দুনিয়ার সত্তর প্রকার বালা মুসিবত, যেমন উন্মাদ হওয়া, কুষ্ঠরোগ হওয়া, শ্বেতীরোগ হওয়া ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাবে। তিরমিযী হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন, রসুল করীম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বেশী বেশী পাঠ করো। এই দোয়া জান্নাতের খাযানা। হজরত মাকহুল (رحمة الله) বলেন-
ﻻَ َﺣﻮْﻟَﺎ وَﻟَﺎ ﻗُﻮﱠةَ اِﻟﱠﺎ ﺑِﺎﻟﻠّﮫِ ﻻَ ﻣَْﻠﺠَﺎ وَﻻَ ْﻣَﻨﺠَﺎ ﻣِﻦَ اﷲِ اِﻻﱠ اِﻟَﯿْﮫِ -
এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ্তায়ালা ক্ষতির সাতটি দরজার অন্যতম দরজা দরিদ্রতা বন্ধ করে দিবেন। অর্থাৎ দারিদ্র্য দূর করে দিবেন। তিবরানী হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন- রসুলেপাক (ﷺ) এরশাদ করেছেন, নিরানব্বইটি রোগের ঔষধ হচ্ছে লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। তন্মধ্যে সর্বনিুরোগ দুশ্চিন্তা ও যন্ত্রণা। অন্য এক হাদীছে আছে, হজরত আবু মুসা আশআরী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক একশ’ বার এই দোয়া পাঠ করবে, দারিদ্র্য কখনও তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। আরেক বর্ণনায় আছে, কেউ অভাব অনটন দূর করতে চাইলে সে যেনো লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিলা হ বেশী পড়ে। সাইয়্যেদুনা ইমাম জাফর সাদেক (رحمة الله) হজরত আলী মুর্তযা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন নবী করীম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি দিনরাত এই দোয়া পাঠ করবে, দারিদ্র এবং কবরের আযাব তাকে স্পর্শ করবে না। তার জন্য উন্নতির দরজা খুলে যাবে। সাথে সাথে জান্নাতের দরজাও খুলে যাবে। আবদুল হক (رحمة الله) আত্তিব্বুন্নববী কিতাবে একথা উল্লেখ করেছেন।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]
© | সেনানী এপ্স |