ইসালে সওয়াবের প্রমাণ
উপরোক্ত আয়াতে কারীমার দ্বারা প্রমাণিত হয়, সন্তান- সন্তুতিকে পিতামাতার মীযানের পাল্লায় তোলা হবে। অর্থাৎ তাদের কৃত ছওয়াব রেছানী, এসতেগফার, সদকা ইত্যাদি পিতামাতার মীযানের পাল্লা ভারী করবে। এ সমস্ত আমলে পিতামাতা রূহানী জগতে থেকে আনন্দিত হন। আল্লাহ্তায়ালা পিতামাতার শাফায়াত সন্তান-সন্তুতির জন্য এবং সন্তান-সন্তুতির শাফায়াত পিতামাতার জন্য কবুল করে থাকেন। এর দলীল আল্লাহ্তায়ালার এই বাণী, ‘তোমাদের পিতামাতা এবং সন্তান-সন্তুষ্টি উপকার করার দিক দিয়ে কারা যে তোমাদের অধিকতর নিকটবর্তী, এ ব্যাপারে তোমরা জানো না।’ ইমাম কুরতুবী (رحمة الله) বলেন, বহু সংখ্যক হাদীছ- এ কথাটি প্রমাণ করে যে, মৃত মুমিন ব্যক্তির কাছে অন্যের আমলে সালেহার ছওয়াব পেঁছে থাকে। সহীহ্ নামক কিতাবে আছে, কোনো ব্যক্তির জিম্মায় যদি রোজা থেকে থাকে, তাহলে তার ওলী তার পক্ষ থেকে উক্ত রোজার কাযা আদায় করে দেবে। নবী করীম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি অপরের পক্ষ থেকে বদলী হজ করার ইচ্ছা করে, তাহলে সে প্রথমে তার নিজের হজ আদায় করে নিবে। তারপর অন্যের বদলী হজ আদায় করবে।
সাইয়্যেদা হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি আপন ভাই আবদুর রহমান (رضي الله عنه) এর তরফ থেকে এতেকাফ করেছিলেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে গোলাম আযাদ করেছিলেন। হজরত সাআদ ইবনে উবাদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত হয়েছে, একদা তিনি নবী করীম (ﷺ) এর কাছে নিবেদন করলেন, ইয়া রসুলাল্লাহ! আমার মা তো ইন্তেকাল করেছেন। আমি কি তাঁর তরফ থেকে সদকা দিতে পারি? নবী করীম (ﷺ) বললেন, পারো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোন সদকা সবচেয়ে উত্তম, নবী করীম (ﷺ), এরশাদ করলেন, মানুষকে পানি দেয়া। এ কথা শুনে হজরত সাআদ ইবনে উবাদা (رضي الله عنه) একটি কূপ খনন করে দিয়ে বলেছিলেন, এটা সাআদের মায়ের কূপ। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে বকর (رضي الله عنه) এর দাদী মান্নত করেছিলেন যে, তিনি খালি পায়ে মসজিদে কোবায় যাবেন। এরপর তাঁর ইনতেকাল হলো। মান্নত পুরো করতে পারলেন না। এতে হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) ফতওয়া দিয়েছিলেন, তাঁর পুত্র তাঁর পবিবর্তে মসজিদে কোবা পর্যন্ত খালি পায়ে যাবেন।
কোনো কোনো মুফাসসির বলেন, ‘লাইসা লিল ইনসানি ইল্লা মাসাআ’ এই আয়াতের মধ্যে আল ইনসান দ্বারা আবু জাহেলকে বুঝানো হয়েছে। কেউ বলেন, উকবা ইবনে আবী মুঈত এবং ওলীদ ইবনে মুগীরাকে বুঝানো হয়েছে। আবার কেউ বলেন, এখানে আল ইনসান দ্বারা জীবিতদেরকে বুঝানো হয়েছে, মৃতদেরকে নয়। এ সম্পর্কে কারও কারও অভিমত এরকম- আমাদের শরীয়ত প্রমাণ করে যে, ইনসানের জন্য তার নিজের আমল এবং অপরের আমল দু’টোই উপকারী হতে পারে।
তাফসীরে কাশশাফ প্রণেতা যমখশরী মুতাযেলী বলেছেন, কোনো ব্যক্তির বেলায় অপরের আমল কোনো উপকার করতে পারে না। তবে হাঁ, তা যদি নিজের আমলের উপর ভিত্তি করে হয় এবং সে যদি নিজে মুমিন হয়, তাহলে অপরের আমল উপকারী হতে পারে, অন্যথায় নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে অপরের বিশেষ আমল নিজের আমলের তাবে বা অনুগামী হয়ে সেটা নিজের আমলের স্থলাভিষিক্ত হতে পারে।
আরেকটি কথা, অপরের আমল উপকারী হবে না যদি সে আমল তার নিজের জন্য করে। আর তা না করে সে আমল করার সময় যদি অন্যের নিয়তে করে, তাহলে সে আমল শরীয়তের বিধানানুসারে অন্যের আমলের প্রতিনিধি এবং ওকীল হবে। কোরআন তেলাওয়াতের ছওয়াব মৃত ব্যক্তির রূহে পৌঁছে কিনা এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। শাফেয়ী মাযহাবের কতিপয় মশহুর আলেম, মালেকী ও হানাফী মাযহাবের আলেমগণের একটি ক্ষুদ্র দল এই মত পোষণ করেন যে, তা মৃতদের নিকট পৌঁছে না। তবে শাফেয়ী ও হানাফী মাযহাবের অধিকাংশ আলেমের মত এই যে, কোরআন তেলাওয়াতের ছওয়াব মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছে। ইমাম আহমদ (رحمة الله)ও এই মতের পক্ষপাতী। ইমাম আহমদ (رحمة الله) তো এরকমও বলেছেন, মৃত ব্যক্তির নিকট সর্বপ্রকার আমলই পৌঁছে থাকে। সদকা, নামাজ, এতেকাফ, তেলাওয়াত, জিকির। তবে উলামা কেরাম বলে থাকেন, কবরের উপর কোরআন পাঠ করা বেদাআত।
শায়েখ শামসুদ্দীন কুসতুলানী (رحمة الله) বলেছেন, কোরআন করীমের ছওয়াব পৌঁছানো- শুদ্ধ। চাই তা নিকটাত্মীয়ের তরফ থেকে হোক বা অপরের তরফ থেকে, ওয়ারিশদের পক্ষ থেকে হোক বা ওয়ারিশ ছাড়া অন্য কারও পক্ষ থেকে। সদকা, দোয়া ও এস্তেগফার মৃত ব্যক্তির উপকার করতে পারে বলে এজমা রয়েছে, এই ক্ষেত্রেও সেরকমই। ইমাম আবদুল্লাহ ইয়াফয়ী (رحمة الله) রউযুর রাইয়্যাহীন কিতাবে উল্লেখ করেছেন, লোকেরা শায়েখ আযীযুদ্দীন ইবনে আবদুস সালাম (رحمة الله) কে স্বপ্নে দেখলো। তিনি বলছেন, আমি তো দুনিয়াতে থাকতে মানুষকে বলতাম, মাইয়্যেতের কাছে কোরআন পাঠের ছওয়াব পৌঁছে না। এখন জানতে পারলাম পৌঁছে। তোমরা কোরআন তেলাওয়াত করো এবং তার ছওয়াব রেছানী করো। কাযী হুসাইন ফতওয়া দিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য কোরআন তেলাওয়াত করে তার পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ। যেমন আযান দিয়ে এবং কোরআন শিক্ষা দিয়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ। কোরআন পাঠের পর সব সময়ই মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা উচিত। কেনোনা তেলাওয়াতের পর যে দোয়াটা করা হয়, তা তেলাওয়াতের সঙ্গে মিলিত হয়ে যায়। কোরআন পাঠ করার পর দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী এবং ওই দোয়া অধিক বরকতের কারণ হয়।
শায়েখ আবদুল করীম সালুমী (رحمة الله) বলেন, কোরআন পাঠক পাঠ করার সময় যদি নিয়ত করে এর ছওয়াব মৃত ব্যক্তির রূহে রেছানী করবে, তাহলে তা মৃতের কাছে পৌঁছবে না। কেনোনা, কোরআন পাঠ শারীরিক ইবাদত, তাই অন্যের তরফ থেকে তা আদায় হবে না। কিন্তু প্রথমেই যদি মৃতব্যক্তির উপর ছওয়াব রেছানীর উদ্দেশ্যে করে এবং এরপর তেলাওয়াত করে এবং এর মাধ্যমে যা কিছু হাসিল হয় তা যদি মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে বখশিশ করে, তাহলে তার দোয়া এবং ছওয়াব রেছানী হবে। এ ধরনের ইবাদতের ছওয়াব মৃত ব্যক্তির উপকারে আসে। উলামা কেরাম বলেন, কোরআন রাখার স্থান বরকতময় এবং সেখানে আল্লাহ্তায়ালার রহমত নাযিল হয়। মৃত ব্যক্তি ছওয়াব প্রাপ্তির দিক দিয়ে জীবিতের মতো। সুতরাং কোরআন পাঠক যখন মৃত ব্যক্তির রূহে ছওয়াব পৌঁছানোর নিয়ত করবে, তখন আল্লাহ্তায়ালার রহমত এবং বরকত নাযিলের আশা রাখবে।
গুদা নামক কিতাবের লেখক বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি পানির কূপ খনন করে, খাল কেটে দেয়, গাছ লাগায়, নিজের জীবদ্দশায় কোরআন মজীদ ওয়াকফ বা দান করে যায়, অথবা কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর অন্য কেউ সে ব্যক্তির রূহে ছওয়াব রেছানীর উদ্দেশ্যে উপরোক্ত সদকায়ে জারিয়াগুলো সম্পৃক্ত করে তাহলে এরদ্বারা মৃত ব্যক্তির কাছে ছওয়াব পৌঁছে যায়। হাদীছ শরীফে এরকম বলা হয়েছে। দান বা ওয়াকফ শুধু কোরআন মজীদের বেলায় নির্দিষ্ট নয়। বরং সব ধরনের ওয়াকফই এর সাথে শামিল হবে। মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানী করা জায়েয হওয়াটা এখান থেকেই অনুমান করা যায়। মৃত ব্যক্তির নামে কোরবানী করাও এক প্রকারের সদকা। তবে তাহযীব কিতাবে বলা হয়েছে, যেহেতু অপর ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তার নামে কোরবানী করা জায়েয নেই, সেহেতু মৃত ব্যক্তির বেলায়ও তা প্রযোজ্য হবে। তবে হ্যাঁ, মৃত ব্যক্তি যদি মৃত্যুর পূর্বে ওসিয়ত করে গিয়ে থাকে, তাহলে জায়েয হবে। (মৃত ব্যক্তির রূহের উপর ছওয়াব রেছানীর উদ্দেশ্যে তার নামে কোরবানী করা জায়েয, এর উপরই ফতওয়া হয়েছে। আমীরুল মুমিনীন সাইয়্যেদুনা হজরত আলী (رضي الله عنه) নবী করীম (ﷺ) এর ওফাতের পর তাঁর পক্ষ থেকে কোরবানী করতেন। সিরাজ নামক কিতাবে আবুল আব্বাস মোহাম্মদ ইবনে ইসহাক থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আলী (رضي الله عنه) বলেছেন, আমি নবী করীম (ﷺ) এর পক্ষ থেকে সত্তরটি প্রাণী কোরবানী করেছি। রসুলে খোদা (ﷺ) এর প্রতি হাদিয়া বখশিশ করা যাবে না বলে হাদীছের কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না।
ছোট্ট একটি দল এ ব্যাপারে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে। তবে সাহাবা কেরাম এরূপ আমল করেননি বলেও তারা কোনো বক্তব্য পেশ করেননি। অথচ উল্লিখিত হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয়, সাহাবা কেরাম এরূপ আমল করেছেন। মুতাআখখেরীন ফুকাহা এ আমলকে মোস্তাহাব সাব্যস্ত করেছেন। কিছু সংখ্যক লোক আবার এটাকে বেদাত বলে থাকেন। তাঁরা বলেন, নবী করীম (ﷺ) তো উম্মতের ছওয়াবের মুখাপেক্ষী নন। তিনি (ﷺ) এরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তি কোনো সৎকর্ম জারী করলে তা দেখে অন্যেরা যদি আমল করে, তবে আমলকারীর ছওয়াবে কম না করে জারীকারীর আমলনামায় সমপরিমাণে ছওয়াব লেখা হবে। (সুতরাং উম্মতের আমলের সমপরিমাণ ছওয়াব তো রসুলেপাক (ﷺ) এমনিতেই পেয়ে যাবেন। তাঁর উদ্দেশ্যে পুনরায় আমল করার কোনো প্রয়োজন নেই।)।
ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) বলেন, উম্মতের সকল আমলের ভিত্তি রসুলেপাক (ﷺ)। মুসলমানদের সমস্ত নেক আমল একত্রিত করলে যা হবে, রসুলেপাক (ﷺ) এর আমলনামায় থাকবে তার চেয়ে বেশী ছওয়াব। আর সেই আধিক্যের পরিমাণ আল্লাহ্পাক ছাড়া আর কেউ জানে না।
হেদায়েতপ্রাপ্তদের আমলতো কিয়ামত পর্যন্ত বাড়তেই থাকবে। আর তাঁদের কৃত আমলের ছওয়াবের সমপরিমাণ ছওয়াব তাদের শিক্ষাদাতা শায়েখ পেতে থাকবেন। ওস্তাদের ওস্তাদ দ্বিগুণ পাবেন, তাঁর ওস্তাদ চার গুণ পাবেন, আর তাঁর ওস্তাদ আটগুণ পাবেন। এভাবেই তাঁদের আমলনামায় ছওয়াব বেড়েই যাবে। এভাবে নবী করীম (ﷺ) পর্যস্ত এর সিলসিলা পৌঁছবে। রসুলেপাক (ﷺ) কে এক হাজার চব্বিশগুণ ছওয়াব প্রদান করা হবে। এরপর যখন দশ ব্যক্তি থেকে একাদশ ব্যক্তি হেদায়েত পাবেন, তখন রসুলেপাক (ﷺ) এর আমলনামায় দুহাজার আটচল্লিশ গুণ ছওয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে। এভাবে যতই নীচের দিকে আমলকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, ততগুণ ছওয়াব বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর এই সিলসিলা সর্বদাই জারী থাকবে।
একজন কোরআন পাঠক তার তেলাওয়াতের কারণে যে ছওয়াব পাবেন, তার সমপরিমাণ ছওয়াব পাবেন তাঁর ওস্তাদ। আবার এতদুভয়ের সমপরিমাণ ছওয়াব পাবেন তাঁর ওস্তাদ। এভাবে রসুলেপাক (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। সকল তেলাওয়াতকারীর সমপরিমাণ ছওয়াব তাঁর আমলনামায় দেয়া হবে। যুমরাহ কিতাবে ‘হে আল্লাহ্ তুমি এই কাবা ঘরের সম্মান ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করে দাও’ এই দোয়ার বৈধতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পবিত্র কাবা ঘরের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধির ব্যাপারটিও বর্ণিত দৃষ্টিকোণ থেকে করতে হবে। এ কথাগুলো মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। রসুলেপাক (ﷺ) এরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের প্রচলন করলে আমলকারীদের সমপরিমাণ ছওয়াব তাকে দেয়া হয়। এই হাদীছ দ্বারা নবী করীম (ﷺ) এর সুন্নতের উপর আমল করার ব্যাপারে উম্মতকে উৎসাহিত করা হয়েছে। তার সাথে সাথে রসুলেপাক (ﷺ) এর জন্য সীমাহীন ছওয়াব প্রাপ্তির ব্যবস্থা সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
এই উম্মতের আরেকটি বিশেষত্ব এই যে, তারা অন্যান্য উম্মতের পূর্বে বেহেশতে প্রবেশ করবে। ইমাম তিবরানী আউসাত নামক কিতাবে সাইয়্যেদুনা হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه) এর মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন, রসুলেপাক (ﷺ) এরশাদ করেছেন, আমার বেহেশতে প্রবেশের আগে অন্য নবীগণের বেহেশতে প্রবেশ হারাম করা হয়েছে আর আমার উম্মতের বেহেশতে প্রবেশের পূর্বে অন্য উম্মতদের জন্যও বেহেশত হারাম হয়েছে। এই উম্মতের আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য এই যে, উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক বিনাহিসাবে বেহেশতে প্রবেশ করবে। এই হাদীছখানা ইমাম বোখারী এবং মুসলিম বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ও তিবরানী বলেছেন, রসুলেপাক (ﷺ) এরশাদ করেছেন, আল্লাহ্তায়ালা আমার সঙ্গে এইমর্মে অঙ্গীকার করেছেন যে, আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোককে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি এর চেয়ে বেশী চেয়েছিলাম। আল্লাহ্তায়ালা তাও কবুল করেছেন। মোটকথা আল্লাহ্তায়ালা এই উম্মতের জন্য এমন কিছু দান করেছেন, যা অন্য কোনো উম্মতকে দেননি। নবী করীম (ﷺ) যখনই আনুগত্যের জন্য আল্লাহ্তায়ালার কাছে দোয়া করেছেন, তখনই আল্লাহ্তায়ালা তাঁকে সকল নবীর উপর এবং তাঁর উম্মতকে সকল উম্মতের উপর সম্মানিত করে দিয়েছেন।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]
© | সেনানী এপ্স |