কবর জিয়ারত সুন্নত
قال النؤوى وأجمعوا عَلَى أنَّ زيارتها سنة لهم-
অর্থাৎ- ইমাম নববী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেছেন- উম্মতের ইজমা হয়েছে যে, কবর জিয়ারত করা সুন্নাত।
[মিরকাত শরহ মিশকাত: ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ১২৫৫]
হাদীসে পাকে উল্লেখ রয়েছে-
عن ابن مسعود ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال كُنتُ نهبيتكُمْ عن زيارة القبور فزوروها فانها تزهدُ فى الدنيا وتذكر الاخرة- (رواه ابن ماجه)
অর্থাৎ- প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইতিপূর্বে আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত (বিভিন্ন কারণে) নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে তোমরা কবর জিয়ারত কর। কেননা এটা দুনিয়ার প্রতি বিমুখ করে ও আখেরাতের কথা স্মরণ করে দেয়।
[সুনানে ইবনে মাজাহ: হাদীস নম্বর ১৫৭১, সুনানে দারে কতুনী: হাদীস নম্বর- ৪৬৭৯, মুস্তাদরাকে হাকেম: হাদীস নম্বর – ৭১৯৭, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ্: হাদীস নম্বর- ১১, ৮০৯]
কবর জিয়ারতের সময় কুরআন পাঠ ও দোয়া করা নিম্নের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়ঃ
عن ابى هريرة رضى الله عنه انّ رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج الى المقابر فقال السلام عليكم دار قوم مؤمنين وانّا أن شاء الله بكم لاحقون- (مسند احمد)
অর্থাৎ- প্রখ্যাত সাহাবী ও সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারী হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত ‘নিশ্চয় (একদা) আল্লাহর নবী রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম কবরস্থানের উদ্দেশ্যে বের হলেন এবং কবরবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, হে মু’মীন সম্প্রদায়! আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। অতি শীঘ্রই আমরাও আপনাদের সাথে মিলিত হব।
[মুসনাদে আহমদ: হাদীস নম্বর ৮৮৭৮]