নবী করীম (ﷺ) এর উম্মত হওয়ার জন্যে হযরত মুসা (عليه السلام) এর বাসনা


কোন কোন বর্ণনায় এসেছে, হযরত মুসা, (عليه السلام) যখন তৌরিত কিতাব ফলকে আখেরী যমনার উম্মতের প্রায় সত্তরটি গুণাবলী দেখতে পেলেন। তখন তিনি আল্লাহতায়ালার দরবারে আরয করলেন, আয় আল্লাহ! এই উম্মতকে আমার উম্মত বানিয়ে দিন। তখন আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে ঘােষণা এলাে, হে মুসা! অই উম্মতকে আমি তােমার উম্মত কেমন করে বানাবো? তারা তা হবে আখেরী জামানার নবী মোহাম্মদ মোস্তফা আহমদ মুজতবা (ﷺ) এর উম্মত। তখন হযরত মুসা (عليه السلام) আর্য করলেন, হে আমার রব! তাহলে তুমি আমাকেই উম্মতে মােহাম্মদী (ﷺ) বানিয়ে দাও। এই পরিপ্রেক্ষিতে তখন আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা (عليه السلام) কে দুটি সৌন্দর্য দান করলেন। এরশাদ হলাে, হে মুসা! তােমাকে আমি মানুষের উপর মনোনীত করেছি আমার রেজাল্ট ও আমার কালামের মাধ্যমে। কাজেই আমি যা তােমাকে দিয়েছি তা গ্রহণ করাে। আর তুমি কৃতজ্ঞচিত্তদের অন্তর্ভুত হও। তখন হজরত মুসা (عليه السلام) আরয করলেন। হে আল্লাহ! আমি এতে রাযী আছি।


আবু নাঈম হজরত সালেম ইবন আব্দুল্লাহ ইবন ওমর ইবন খাত্তাব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, কা'ব আহবারকে জনৈক ব্যক্তি বললাে, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে হিসাব কিতাবের জন্য মানুষ একত্রিত হয়েছে। সমস্ত নবীগণকে সেখানে ডাকা হয়েছে। সমস্ত নবীগণ আপন আপন উম্মতদেরকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। স্বপ্নে আরও দেখলাম যে, প্রত্যেক নবীগণের দু'টি করে নূর আর উম্মতদের একটি করে নূর তাদের সঙ্গে সঙ্গে চলছে। এরপর হুজুর আকরম (ﷺ) কে আহ্বান করা হলাে। তাকে দেখলাম যে, শরীরের সমস্ত পশম মুবারকে একেকটি করে নূর রয়েছে। আর তাঁর উম্মতের প্রত্যেকের কাছে রয়েছে দু'টি করে নূর। কা'ব আহবার তখন লােকটিকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি যে স্বপ্নের বৃত্তান্ত বর্ণনা করলে এরকম কি কোথাও তুমি পাঠ করেছে? লোকটি বললো, আল্লাহর কসম। স্বপ্নে দেখা ছাড়া এরকম আমি আর কোথাও পড়িনি। তখন কা'ব বললেন, কসম ঐ মহান সত্তার যাঁর কুদরতের হাতে কা'বের প্রাণ, এই বৈশিষ্ট্য মোহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ) এবং তাঁর উম্মতের। আর পূর্বে বর্ণিত অবস্থায় হচ্ছে অন্যান্য নবী ও উম্মতগণের। কিতাবে ইলাহীর মধ্যে এরকম বর্ণনা বিদ্যমান আছে। মনে হয় তুমি যেনাে তৌরিত কিতাবে তা পাঠ করেছো।


➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)] 



© | সেনানী এপ্স |

Top