বিশেষ ফযীলত ও মোজেজা


উপরে যে সমস্ত ফযীলত ও মোজেজার কথা আলোচনা করা হলো, তা ছিলো এমন ফযীলত ও মোজেজা যা রসুলেপাক (ﷺ) ও অন্যান্য আম্বিয়া কেরামকে সাধারণভাবে প্রদান করা হয়েছিলো। এছাড়া এমন অনেক মোজেজা ও ফযীলত রয়েছে, যা কেবল রসুলেপাক (ﷺ) কেই দেয়া হয়েছে। এগুলোও সংখ্যা ও গণনার বহির্ভূত। এর মধ্যে যে পরিমাণ প্রকাশিত হয়েছে এবং উলামায়ে কেরামের এলেমের আয়ত্তে আছে, তা দু’ প্রকার। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে এজাতীয় যা শরীয়তের আহকামের পর্যায়ভুক্ত। আর অপরটি হচ্ছে সিফাত আহওয়াল ও মোজেজার পর্যায়ভুক্ত। কোনো কোনো আহলে এলেম এরকম বলে থাকেন যে, প্রথমোক্তটি সম্পর্কে আলোচনা করা ফায়দাহীন। এগুলো হচ্ছে এমন আহকাম, যা সুপ্রতিষ্ঠিত। তবে এসম্পর্কে বিশুদ্ধ মত এই যে, ওই বিষয়গুলো থেকেও দৃষ্টি সরানো সম্ভব নয়। এর আলোচনার মধ্যে তো প্রথম ফায়দা হচ্ছে, এদ্বারা রসুলেপাক (ﷺ) এর পবিত্র হাল সম্পর্কে জানা যায়। নিঃসন্দেহে এবিষয়ে পর্যালোচনা করা এমন এক সৌভাগ্যশীলতা যা সর্বপ্রকারের পূর্ণতায় পরিপূর্ণ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও মহান। তাঁর অনুসরণ ও আনুগত্যের জন্য তো তাঁকে জানা এক অপরিহার্য কাজ। উপরোক্ত প্রথম প্রকারটিকে আবার চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। 


প্রথম প্রকার ওই সমস্ত বৈশিষ্ট্য, যা ছিলো ওয়াজিবের ভিত্তিতে। এর হেকমত হচ্ছে, নৈকট্য ও মর্যাদার মধ্যে যেনো প্রাচুর্য পরিলক্ষিত হয়। ফরজের মাধ্যমে যে নৈকট্য লাভ হয়, তা নফলের নৈকট্যের চেয়ে অধিকতর পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। হাদীছ শরীফে তার প্রমাণ রয়েছে। যেহেতু আরোপিত কাজের ভার বহন করা শক্ত কাজ। তাই তার পুরস্কারও বড়। এ প্রসেঙ্গ প্রত্যেক প্রকারের সাথে সাথে কিছু কিছু উদাহরণ পেশ করেছি। এ প্রকারটির উদাহরণ ভালোভাবে বোধগম্য হওয়ার জন্য উলামায়ে কেরামের বিভিন্ন কিতাবের উদ্ধৃতির অবতারণা করেছি। এমর্মে মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া থেকে একটি উদ্ধৃতি পেশ করা হচ্ছে। যেমন ধরা যাক, দোহার নামাজের প্রসঙ্গ। এটি রসুলে আকরম (ﷺ) এর উপর ওয়াজিব ছিলো। কিন্তু সঠিক মাসআলা এর বিপরীত। যদিও এক হাদীছে এসেছে, রসুলেপাক (ﷺ) বলেন, আমাকে দোহার দু’ রাকাত নামাজ পড়ার আদেশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আসল ব্যাপার হচ্ছে, দোহার নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদা। এখানে আদেশটি ওয়াজিবের জন্য নয়। আর দোহার নামাজ বলতে এখানে ওই নামাজকে বুঝানো হয়েছে, যা সূর্য উদয় হওয়ার কিছুক্ষণ পর পড়া হয়ে থাকে। লোকেরা যাকে এশরাকের নামাজ বলে। আবার সালাতুদ্দোহা বলতে চাশতের নামাজকেও বুঝায়। উম্মতজননী হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (رضي الله عنه) এর দ্বারা চাশতের নামাজকেই বুঝিয়েছেন। যেমন বেতেরের নামাজ ও ফজরের দু’রাকাত সুন্নত নামাজের ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে। ইমাম হাকেম স্বীয় গ্রন্থ মুস্তাদরেকে এরূপই বর্ণনা করেছেন। 


ইমাম আহমদ ও ইমাম তিরবানীর হাদীছে এসেছে, রসুলেপাক (ﷺ) এরশাদ করেছেন, তিনটি জিনিস আমার উপর ফরজ, আর সে তিনটি তোমাদের জন্য নফল। এগুলো হচ্ছে বেতের, ফজরের দু’রাকাত এবং দোহার দু’রাকাত। বেতেরকে নির্ধারণ করার কথাটি ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) এর মত। ইমাম আযম আবু হানিফা (رحمة الله) এর মতে বেতের সকলের উপরই ওয়াজিব। যেমন তাহাজ্জুদের নামাজ রসুলে আকরম (ﷺ) এর উপর ফরজ ছিলো। কেউ কেউ বলেন, তাহাজ্জুদের নামাজ উম্মতের উপরও ফরজ ছিলো। পরে তার ফরজিয়াতের বিধান উম্মতের উপর থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। কোনো কোনো শাফেয়ী মতাবলম্বী আলেম বলে থাকেন, রসুলে আকরম (رحمة الله) এর উপর থেকেও ফরজিয়াতের বিধান উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। 


মেসওয়াকের বিধানও এরকমই। হাদীছ শরীফে এসেছে, রসুলে আকরম (ﷺ) প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াকের সাথে অজু করার ব্যাপারে আদিষ্ট ছিলেন। কিন্তু পরে যখন এ আমল কষ্টসাধ্য প্রতীয়মান হলো, তখন নামাজের পূর্বে শুধু মেসওয়াক করার আদেশ করা হলো। অর্থাৎ অজু অবস্থায় পুনরায় অজু করতে হতো না। কিন্তু মেসওয়াক অবশ্যই করতে হতো। এছাড়া অন্য হাদীছেও মেসওয়াক সম্পর্কে হুকুম করা হয়েছে। এসকল হাদীছ অকাট্য ওয়াজিবকে প্রমাণ করে না। 


দ্বিতীয় প্রকার বৈশিষ্ট্য ছিলো হারাম সম্পর্কিত। অর্থাৎ ওই সকল আহকাম যা রসুলে আকরম (ﷺ) এর উপর হারাম- তবে অন্য কারও উপর হারাম নয়। যেমন যাকাতের মাল গ্রহণ করা, রসুলেপাক (ﷺ) এর উপর হারাম। সদকা হারাম। এটা বিশুদ্ধ ও বিখ্যাত উক্তি। যেমন রসুলেপাক (ﷺ) এরশাদ করেছেন, আমরা সদকার মাল খাই না। হাদীছখানা ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন। এখানে প্রকাশ্য কথা এই যে, এগুলো খাওয়ার নিষিদ্ধতা শরীয়ত কর্তৃক হারাম হওয়ার ভিত্তিতেই হয়েছে। অবশ্য এ সম্পর্কে কেউ কেউ আবার এরকমও বলেন, এগুলো রসুলেপাক (ﷺ) এর জন্য খাওয়া নিষেধ হলেও হারামকে অপরিহার্য করে না। সম্ভবতঃ এসব ক্ষেত্রে মাকরুহে তানযিহী হিসাবে নিষেধ করা হয়েছে, হারাম হিসাবে নয়। যাই হোক সদকার মাল বর্জন করা রসুলেপাক (ﷺ) এর বিশেষত্বের পর্যায়ভুক্ত, চাই তা তাহরিমী হিসাবে হোক, বা তানযিহী হিসাবে। শুধু তাই নয়, রসুলেপাক (ﷺ) এর বংশধর এবং গোলামগণের জন্য তদ্রুপ যাকাত গ্রহণ করা হারাম। ফেকাহ্র কিতাবে এরকমই নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) এর জামানায় এর বৈধতা সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যায়। এভাবে ওই সকল জিনিস খাওয়াও হারাম, যা থেকে দুর্গন্ধ আসে, যেমন রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি। এ সম্পর্কে হাদীছ 

শরীফে বর্ণনা এসেছে। লেখা ও কবিতা রচনা করা— এসবও তাঁর জন্য হারাম। এই হারামের ব্যাপারটি এ পরিপ্রেক্ষিতে যে, কবিতা জানা বা রচনা করাটা তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ ছিলো। সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, দু’টি জিনিস রসুলেপাক (ﷺ) এর স্বভাববিরুদ্ধ ছিলো। তার বিস্তারিত উল্লেখ হোদাইবিয়ার সন্ধির বর্ণনায় আসবে ইনশাআল্লাহ্। আরেকটি জিনিস তাঁর জন্য হারাম ছিলো। তা হচ্ছে, যুদ্ধের সময় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার পর যুদ্ধ সংঘটিত না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র পরিহার করা। এটাও ছিলো তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ। আরেকটি বস্তু ছিলো তাঁর জন্য হারাম। তা হচ্ছে অমুসলিম কিতাবিয়া কোনো রমণীকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা। কারণ, রসুলেপাক (ﷺ) এর স্ত্রীগণ সকলেই মুসলমানদের মা। আর তাঁরা জান্নাতেও তাঁর স্ত্রী হিসেবেই বসবাস করবেন। কাজেই তাঁর পবিত্র লুৎফা কোনো কাফের রমণীর রেহেমে রাখা যেতে পারে না। তদ্রুপ মুসলমান বাঁদীকে বিবাহ করাও তাঁর জন্য হারাম ছিলো। তবে হাঁ বাঁদীকে নিয়ে নিশিযাপন বৈধ ছিলো।


তৃতীয় প্রকারের বৈশিষ্ট্য ওই সকল মোবাহ যা রসুলে আকরম (ﷺ) এর জন্যই নির্ধারিত ছিলো। যেমন নিদ্রায় অজুভঙ্গ না হওয়া। কেউ কেউ অবশ্য বলে থাকেন, নিদ্রাতে অজু ভঙ্গ না হওয়া সকল নবীর বেলায়ই প্রযোজ্য। এরকম আরও আছে। যেমন আসরের নামাজের পর নফল নামাজের বৈধতা। বেতের নামাজ ওয়াজেব সত্ত্বেও সওয়ারীর উপর বসে আদায় করার বৈধতা। গায়েব ব্যক্তির উপর জানাযার নামাজ পড়া। সওমে বেসাল (বিরতিহীন রোজা রাখা)। এর বিস্তারিত উল্লেখ রোজার বর্ণনায় আসবে ইনশাআল্লাহ্ রমণীদের প্রতি দৃষ্টিপাত দেয়া এবং তাদের সাথে নির্জনাবস্থায় অবস্থান করা। চারজনের অধিক বিবাহ করার বৈধতা অন্যান্য আম্বিয়া কেরামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমাদের নবী (ﷺ) এর জন্য নয়জনের অধিক বিবাহ করার বৈধতা ছিলো। তাঁর (ﷺ) জন্য আরেকটি জিনিস বৈধ ছিলো। তা হচ্ছে, কোনো নারী তার অভিভাবক বা সাক্ষী ছাড়াই নিজেকে নবী করীম (ﷺ) এর নিকট সম্প্রদান করলে বিবাহ বৈধ হয়ে যেতো এবং মহরবিহীন অবস্থাতেই বৈধ হতো। আরেকটি ব্যাপারও বৈধ ছিলো। তিনি কোনো রমণীকে কোনো পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দিতেপারতেন তার মতামত বা তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই।


তিনি কোনো স্বামীবিহীন নারীকে বিবাহ করার আগ্রহ প্রকাশ করলে সে নারীর জন্য জরুরী হয়ে যেতো তাঁকে কবুল করা। এধরনের নারী অন্যের জন্য হারাম। আর সেই নারী সধবা হলে স্বামীর উপর অবশ্য ফরজ হবে না তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়া। অবশ্য এস্থলে তার ইমানের পরীক্ষা রয়েছে। যেমন রসুল করীম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, ওই পর্যন্ত তোমরা ইমানদার হবে না, যতক্ষণ না আমি তোমাদের কাছে তোমাদের জীবন, পরিবার, সন্তান ও অন্য মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় হবো। কাজেই কোনো ব্যক্তি যদি এমন হয় যে, তার খাদ্যপানীয়য়ের ব্যবস্থা আছে, অথচ এগুলো তার নিজেরই প্রয়োজন, এমতাবস্থায় যদি রসুলেপাক (ﷺ) এর প্রয়োজন পড়ে তবে ওগুলো তাঁকেই দিয়ে দিতে হবে এবং নিজেকেও তাঁর জন্য কোরবান করতে হবে। 


আল্লাহ্তায়ালা এরশাদ করেছেন, ‘নবী মুসলমানদের নিকট তাদের জানের চেয়েও অধিকতর হকদার।’ হজরত যায়েদ (رضي الله عنه) ও হজরত যয়নব (رضي الله عنه) এর ঘটনার তাৎপর্য এটাই। উক্ত ঘটনার সার কথা এই যে, আল্লাহ্তায়ালা হজরত যয়নব (رضي الله عنه) এর বিয়ের আকদ নবী করীম (ﷺ) এর সাথে করিয়ে দিলেন এবং হজরত যয়নব (رضي الله عنه) এর প্রতি হজরত যায়েদ (رضي الله عنه) এর মনে অনীহা সৃষ্টি করে দিলেন। এই ঘটনায় দুর্বল বিশ্বাসীরা গোমরাহীতে পতিত হবে বলে রসুলেপাক (ﷺ) আশংকা করেছিলেন। তখন আল্লাহ্তায়ালা ওহী নাযিল করলেন, হে আমার বন্ধু! আপনি আমাকেই ভয় করুন। আল্লাহর বিধানের খেলাফ করবেন না। মানুষকে ভয় করার প্রয়োজন কী? তখন রসুলেপাক (ﷺ) নির্দ্বিধায় হজরত যয়নবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। কোনো কোনো মুফাস্সির এবং ইতিহাসবিদ এ প্রসঙ্গে অবশ্য বলেছেন, একাজ নবুওয়াতের শানের উপযোগী নয়। মুহাককেকগণ এ ধরনের তাফসীরকারদেরকে ভ্রান্ত বলে চিহ্নিত করেছেন। এরকম ঘটনা ঘটেছে হজরত ইউসুফ (عليه السلام) এবং জুলায়খার বেলায়। 


হজরত দাউদ (عليه السلام) ও আদরিয়ার বেলায়ও এরকম ঘটেছে। আম্বিয়া (عليه السلام) গণের মাকাম সাধারণের মাকামের ঊর্ধ্বে। এতক বা গোলাম মুক্ত করাকে মহরের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। যেমন হজরত সুফিয়া (رضي الله عنه) এর বেলায় হয়েছে। সহধর্মিণীগণের জন্য খোরপোষ প্রদান করা রসুলেপাক (ﷺ) এর উপর ওয়াজিব কিনা এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। আল্লামা নববী (رحمة الله) বলেন, বিশুদ্ধ মত হচ্ছে, খোরপোষ প্রদান করা ওয়াজিব। এর সাথে তিনি একথাটিও বলেছেন, বিবিগণের মধ্যে পালা রক্ষা করা রসুলেপাক (ﷺ) এর উপর ওয়াজিব নয়। অধিকাংশ হানাফী মতাবলম্বী আলেম এই মতের পক্ষে। পালা রক্ষা করার ব্যাপারে রসুলেপাক (ﷺ) স্ত্রীগণের প্রতি যা করেছেন, তা ছিলো তাঁর অনুগ্রহ। এটা তাঁর উপর ওয়াজিব ছিলো না।


উলামায়ে কেরাম বর্ণনা করেন, এ সকল বৈশিষ্ট্য তাঁর মধ্যে সন্নিবেশিত করার কারণ এই যে, রসুলে আকরম (ﷺ) এর ক্ষেত্রে বিবাহ নেহায়েত নিশিযাপনের বিধান রাখে। সকল নারী ও পুরুষ তাঁর জন্য গোলাম ও বাঁদী তুল্য। গনিমতের মাল থেকে বাঁদী, তলোয়ার ইত্যাদি যথেচ্ছ গ্রহণ করা রসুলে আকরম (ﷺ) এর জন্য মোবাহ ছিলো। মক্কায় যুদ্ধ করা, এহরাম ব্যতীত প্রবেশ করা তাঁর জন্য মোবাহ ছিলো। এর বিস্তারিত আলোচনা ফতহে মক্কা অধ্যায়ে আসবে ইনশাআল্লাহ্। 


তাঁর বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে চতুর্থ বৈশিষ্ট্য এই ছিলো যে, তিনি তাঁর এলেম সম্পর্কে নিজের জন্য এবং নিজের বংশধরদের জন্য হুকুম করতেন। তাছাড়া তাঁর সাক্ষ্য তাঁর নিজের জন্য এবং নিজের বংশধরদের জন্য প্রয়োগ করতেন। তিনি কাউকে মন্দ বললে অথবা লানত করলে তা তার জন্য কুরবত ও রহমত হয়ে যেতো এবং এটা ছিলো তাঁর জন্য মোবাহ। আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিলো, তিনি কোনো ভূখণ্ড বিজিত হওয়ার পূর্বেই বণ্টন করতেন। কেননা মালিকুল মুলক আল্লাহ্তায়ালা তাঁকে সমস্ত ভূখণ্ড ও রাজত্বের মালিক বানিয়েছিলেন। ইমাম গাযযালী (رحمة الله) বলেছেন, রসুলেপাক (ﷺ) যখন জান্নাতের যমীনকে বণ্টন করবেন, তখন দুনিয়ার যমীন বণ্টন করাতে বিস্ময়ের অবকাশ কোথায়। 


➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)] 




© | সেনানী এপ্স |

Top