ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】
৩৭ কাব্যিক ছন্দে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা
📌পরিচ্ছদঃ
নবী (ﷺ) ইবনে রাওয়াহার কবিতা আবৃত্তি করতেন
১৮০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شَرِيكٌ ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : قِيلَ لَهَا : هَلْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَتَمَثَّلُ بِشَيْءٍ مِنَ الشِّعْرِ ؟ قَالَتْ : كَانَ يَتَمَثَّلُ بِشِعْرِ ابْنِ رَوَاحَةَ ، وَيَتَمَثَّلُ بِقَوْلِهِ : " يَأْتِيكَ بِالأَخْبَارِ مَنْ لَمْ تُزَوَّدِ " .
আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (ﷺ) কাব্যের ছন্দে কথাবার্তা বলেন কিনা সে ব্যাপারে তাকে একবার জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেন, নবী (ﷺ) ইবনে রাওয়াহার কবিতা আবৃত্তি করতেন। আবার কখনো বলতেন- يَأْتِيكَ بِالأَخْبَارِ مَنْ لَمْ تُزَوَّدِ
অর্থাৎ তোমার কাছে এমন ব্যক্তি সুসংবাদ নিয়ে আসেন, যাকে তুমি মজুরী দাও না।[১]
[১] সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০৭৬৯; আদাবুল মুফরাদ, হা/৮৬৭; বায়হাকী, হা/২০৯০৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
📌পরিচ্ছদঃ
একবার আঙ্গুল রক্তাক্ত হয়ে গেলে এ কবিতা পাঠ করেছিলেন
১৮১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ سُفْيَانَ الْبَجَلِيِّ ، قَالَ : أَصَابَ حَجَرٌ أُصْبُعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَمِيَتْ ، فَقَالَ : " هَلْ أَنْتِ إِلا أُصْبُعٌ دَمِيتِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا لَقِيتِ " .
জুনদুব ইবনে সুফিয়ান আল বাজালী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদা) প্রস্তারাঘাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর একটি আঙ্গুল রক্তাক্ত হয়ে যায়। তখন তিনি বলেন, هَلْ أَنْتِ إِلا أُصْبُعٌ دَمِيتِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا لَقِيتِ
অর্থাৎ তুমি একটি আঙ্গুল যার রক্ত প্রবাহিত হয়েছে, তাও আল্লাহর রাস্তায়, যার প্রতিদান পাবে।[১]
[১] সহীহ বুখারী, হ/৬১৪৬; সহীহ মুসলিম, হা/৪৭৫০; মুসনাদে আহমদ, হ১৮৮১৯ জমেউস সগীর, হা/১২৯৭৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
📌পরিচ্ছদঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাওয়াযিন গোত্রের সাথে যুদ্ধের সময় কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন
১৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَاقَ ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ ، قَالَ : قَالَ لَهُ رَجُلٌ : أَفَرَرْتُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَبَا عُمَارَةَ ؟ فَقَالَ : لا وَاللَّهِ مَا وَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَلَكِنْ وَلَّى سَرَعَانُ النَّاسِ , تَلَقَّتْهُمْ هَوَازِنُ بِالنَّبْلِ , وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَلَى بَغْلَتِهِ ، وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ آخِذٌ بِلِجَامِهَا ، وَرَسُولُ اللَّهِ يَقُولُ : " أَنَا النَّبِيُّ لا كَذِبْ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ "
বারা ইবনে আযিব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করল, আপনারা কি নবী (ﷺ) কে রণক্ষেত্রে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন? উত্তরে তিনি বললেন, না- নবী (ﷺ) কখনো পালিয়ে যাননি। বরং দলের কিছুসংখ্যক তাড়াহুড়াপ্রবণ লোক হাওয়াযিনের তীরের আঘাতে টিকতে না পেরে পিছু হটে এসেছিল। (বেশিরভাগ ছিল বনু সুলায়ম-এর লোক এবং মক্কার নও মুসলিম) তখন নবী (ﷺ) স্বীয় খচ্চরের উপর আরোহী ছিলেন। আর লাগাম ছিল আবু সুফইয়ানের হাতে। তখন নবী (ﷺ) আবৃত্তি করছিলেন-
أَنَا النَّبِيُّ لا كَذِبْ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ
অর্থাৎ আমি মিথ্যা নবী নই, আমি আবদুল মুত্ত্বালিবের (বীর) সন্তান।[১]
[১] সহীহ বুখারী, হা/২৮৭৪; সহীহ মুসলিম, হা/৪৭১৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৪৭৭০; জামেউস সগীর, হা/২৩৩১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
📌পরিচ্ছদঃ
ইবনে রাওয়াহা (رضي الله عنه) নবী (ﷺ) এর সামনে কবিতা আবৃত্তি করতেন
১৮৩
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ثَابِتٌ ، عَنْ أَنَسٍ : أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ ، وَابْنُ رَوَاحَةَ يَمْشِي بَيْنَ يَدَيْهِ ، وَهُوَ يَقُولُ : خَلُّوا بَنِي الْكُفَّارِ عَنْ سَبِيلِهِ الْيَوْمَ نَضْرِبُكُمْ عَلَى تَنْزِيلِهِ ضَرْبًا يُزِيلُ الْهَامَ عَنْ مَقِيلِهِ وَيُذْهِلُ الْخَلِيلَ عَنْ خَلِيلِهِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ : يَا ابْنَ رَوَاحَةَ ، بَيْنَ يَدِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَفِي حَرَمِ اللَّهِ تَقُولُ الشِّعْرَ ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " خَلِّ عَنْهُ يَا عُمَرُ ، فَلَهِيَ أَسْرَعُ فِيهِمْ , مِنْ نَضْحِ النَّبْلِ " .
আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (ﷺ) যখন উমরাতুল কাযা পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় প্রবেশ করেন তখন ইবনে রাওয়াহা (رضي الله عنه) তাঁর সামনে চলছেন এবং বলছেনঃ
خَلُّوا بَنِي الْكُفَّارِ عَنْ سَبِيلِهِ الْيَوْمَ نَضْرِبُكُمْ عَلَى تَنْزِيلِهِ
ضَرْبًا يُزِيلُ الْهَامَ عَنْ مَقِيلِهِ وَيُذْهِلُ الْخَلِيلَ عَنْ خَلِيلِهِ
অর্থাৎ হে কাফির সন্তানরা! তাঁর চলার পথ ছেড়ে দাও। আজ তাঁকে বাধা দিলে তোমাদেরকে এমন শায়েস্তা করব যে, কাঁধ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং বন্ধুর কথা ভুলে যাবে।
উমার (رضي الله عنه) তাকে বললেন, ইবনে রওয়াহা! আল্লাহর হারামে এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সম্মুখে কবিতা আবৃত্তি করছ? নবী (ﷺ) বললেন, উমার! তাকে বলতে দাও। কারণ, তার কবিতা ওদের জন্য তীরের আঘাতের চেয়েও অধিক কার্যকর।[১]
[১] সুনানে নাসাঈ, হা/২৮৭৩; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৪০৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
১৮৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شَرِيكٌ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ، قَالَ : " جَالَسْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَكْثَرَ مِنْ مِائَةِ مَرَّةٍ , وَكَانَ أَصْحَابُهُ يَتَنَاشَدُونَ الشِّعْرَ , وَيَتَذَاكَرُونَ أَشْيَاءَ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ , وَهُوَ سَاكِتٌ وَرُبَّمَا تَبَسَّمَ مَعَهُمْ " .
জাবির ইবনে সামুরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মজলিসে শতাধিক বার বসেছি। আর তাতে তাঁর সাহাবীগণ কবিতা আবৃত্তি করতেন এবং জাহেলি যুগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতেন। আর তিনি কখনো চুপ থাকতেন। আবার কখনো তাদের সাথে মুচকি হাসতেন।[১]
[১] ইবনে হিব্বান, হা/৫৭৮১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
📌পরিচ্ছদঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে শ্রেষ্ঠতম উদ্ধৃতি
১৮৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شَرِيكٌ ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " أَشْعَرُ كَلِمَةٍ تَكَلَّمَتْ بِهَا الْعَرَبُ كَلِمَةُ لَبِيدٍ : " أَلا كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلا اللَّهَ بَاطِلٌ " .
আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আরব কবিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বাণী হচ্ছে লাবীদের এই চরণঃ أَلا كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلا اللَّهَ بَاطِلٌ অর্থাৎ সাবধান আল্লাহ ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল।[১]
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
📌পরিচ্ছদঃ
নবী (ﷺ) অমুসলিম কবির কবিতাও শ্রবণ করতেন
১৮৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطَّائِفِيِّ ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : كُنْتُ رِدْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَنْشَدْتُهُ مِائَةَ قَافِيَةٍ مِنْ قَوْلِ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ الثَّقَفِيِّ ، كُلَّمَا أَنْشَدْتُهُ بَيْتًا ، قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " هِيهْ " حَتَّى أَنْشَدْتُهُ مِائَةً يَعْنِي بَيْتًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنْ كَادَ لَيُسْلِمُ " .
আমর ইবনে শারদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আমি বাহনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পেছনে বসা ছিলাম। তারপর আমি তাঁকে উমাইয়্যা ইবনে আবূ-সালত বিরচিত একশ’ চরণ বিশিষ্ট একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনালাম। কবিতা শেষ হলে তিনি আমাকে বললেন, আরো শোনাও। এরপর তিনি বললেন, সে ইসলাম গ্রহণের কাছাকাছি এসে গেছে।[১]
[১] সুনানে কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২১৫৬০; সহীহ মুসলিম, হা/৬০২২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
📌পরিচ্ছদঃ
নবী (ﷺ) কবিতা আবৃত্তি করার উদ্দেশ্যে হাসসান (رضي الله عنه)[১] এর জন্য মসজিদে একটি মিম্বার তৈরি করেছিলেন
১৮৭
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ ، وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ ، قَالا : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضَعُ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ مِنْبَرًا فِي الْمَسْجِدِ يَقُومُ عَلَيْهِ قَائِمًا يُفَاخِرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ قَالَ : يُنَافِحُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَقُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ اللَّهَ يُؤَيِّدُ حَسَّانَ بِرُوحِ الْقُدُسِ , مَا يُنَافِحُ أَوْ يُفَاخِرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " .
আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাসসান ইবেন সাবিত (رضي الله عنه) এর জন্য মসজিদে একটি মিম্বার স্থাপন করেছিলেন যেন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রশংসার কবিতা পাঠ করেন অথবা তিনি বলেছেন, যেন তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ হতে কাফিরদের নিন্দাবাদের উত্তর দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ! রূহুল কুদস [জিবরীল (عليه السلام)] দ্বারা হাসসানকে সাহায্য করেন যতক্ষণ সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রশংসা করবে কিংবা কাফিরদের নিন্দার উত্তর দেবে।[2]
[১] হাসসান ইবনে সাবিত (رضي الله عنه) ছিলেন বিখ্যাত একজিন সাহাবী কবি। তাঁর উপাধি ছিল شاعر النبي তথা নবী (ﷺ) এর কবি।
[2] আবু দাউদ, হা/৫০১৭; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৬০৫৮; মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৩৫০১; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৪০৮; সিলসিলাহ সহীহাহ, হা/১৬৫৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস