পবিত্র মুখের লালা
রসূলে আকরম (ﷺ) এর মুখের লালা রোগীদের জন্য পূর্ণ শেফা ছিলে। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে খয়বরের যুদ্ধের দিন হজরত আলী মুর্তা (رضي الله عنه) এর চোখে যন্ত্রণা হচ্ছিল, তখন হুজুর পাক (ﷺ) স্বীয় মুখের লালা মুবারক তার চোখে লাগিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে হজরত আলী (কঃ) সুস্থ হয়ে গেলেন। অন্য এক ঘটনাএকদা হুজুর (ﷺ) এর কাছে একটি পানির মশক আনা হলো। তিনি সেখান থেকে এক আঁজলা পানি নিয়ে কুলি করে উক্ত মশকের মধ্যে ফেলে দিলেন। এর পর উক্ত মশকের পানি যখন কূপে ফেলা হলো, তখন পানি থেকে কস্তুরীর ঘ্রাণ ছড়াতে লাগলো। একদা হযরত আনাস (رضي الله عنه) এর কূপের পানিতে হুজুর (ﷺ) স্বীয় পবিত্র মুখের লালা মুবারক ফেলে দিলেন। এর পর দেখা গেলাে যে মদীনা শরীফের সমস্ত কূপের পানির চেয়ে উক্ত কূপের পানিই অধিক সুস্বাদু। একবার হুজুর (ﷺ) এর কাছে কতিপয় দুগ্ধপোষ্য শিশুকে আনা হলো। তিনি স্বীয় মুখের লালা মুবারক তাদের মুখে দিলেন। অতঃপর শিশুগুলি এতেই পরিতৃপ্ত হলো যে, সারাদিন তারা আর দুধ পান করে না। ইমাম হাসান (رضي الله عنه) একদা অত্যন্ত পিপাসার্ত হয়ে পড়লেন। হুজুর পাক (ﷺ) স্বীয় জিহবা মুবারক তার মুখের ভিতর পুরে দিলেন। প্রিয় দৌহিত্র নানাজানের জিহবা মুবারক চুষতে লাগলেন। সমস্ত দিন তিনি আর ক্ষুৎপিপাসা অনুভব করলেন না। এ ধরনের অসংখ্য মােজেযা রয়েছে।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী]
© | সেনানী এপ্স |