তাফসিলী এলেমের মাসআলা


আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ইতিপূর্বে আপনি কিতাব সম্পর্কে জানেন না এবং শরীয়তের আহকামের বিস্তারিত জ্ঞান ও ছিলে না। কেউ কেউ বলেন, এ আয়াতের ভাবার্থ হচ্ছে ইমানের আহকাম, ইমানের সিফাতের তাফসীলাতের হুকুম। কি রকম কুরআন মজিদে উল্লেখিত হয়েছে। কেননা উক্ত তাফসীলাতের অস্তিত্বতাে সাধিত হয়েছে কুরআন নাযিল হওয়ার পর এবং দ্বীন ও শরীয়তের পূর্ণতাপ্রাপ্তির পর।


একসাথে সন্দেহাতীতভাবে সাব্যস্ত হয়েছে যে, হুজুর আকরাম (ﷺ) নবুওয়াতের পূর্বে আল্লাহ তায়ালার তাওহীদে বিশ্বাসী ছিলেন, মূর্তি ও মূর্তিপূজারীদেরকে তিনি শত্রু মনে করতেন। হজ ও ওমরা পালন করেন। তিনি কখনও শরাব স্পর্শ করেনি। অথচ আল্লাহ তায়ালা স্বীয় বান্দাদের জন্য তার মাধ্যমে যে শরীয়ত নির্ধারণ করেছেন, তখনও তা অবতীর্ণ হয়নি। এই আয়াতের উদ্দেশ্য এটাই। ইমান থেকে উদ্দেশ্য হচ্ছে তাসদীক ও একার ও সাক্ষ্য প্রদান। কেউ কেউ বলেন, ঈমানের অর্থ এখানে ঈমান ও আহকামের দাওয়াত। কেউ কেউ আবার এরকম বলেছেন যে, ঈমান শব্দের পূর্বে একটি মুযাফ (সম্বন্ধ পদ)। উহ্য আছে অর্থাৎ ইমানদার কারা আপনি জানতেন না। আপনার প্রিয়জন, আত্মীয়, নিকটতম ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষের ভিতর থেকে কে ঈমান আনতাে তা আপনি অবহিত ছিলেন না। তবে এরকম অর্থ কালামের পূর্বাপর ভাবধারার পরিপন্থী। ওয়াল্লাহু আ'লামু।


➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)] 


© | সেনানী এপ্স |

Top