এ ব্যাপারে আল্লাহ্ ক্বুরআনুল কারীমে এরশাদ করেনঃ সূরা আত তাওবাহ: ৭৪- "তারা কসম খায় যে, আমরা বলিনি, অথচ নিঃসন্দেহে তারা বলেছে কুফরী বাক্য এবং মুসলমান হবার পর কাফের হয়েছে....... বস্তুতঃ এরা যদি তওবা করে নেয়, তবে তাদের জন্য মঙ্গল। আর যদি তা না মানে, তবে তাদের কে আযাব দেবেন আল্লাহ তায়ালা বেদনাদায়ক আযাব দুনিয়া ও আখেরাতে। অতএব, বিশ্বচরাচরে তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী-সমর্থক নেই।"
.
বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীস নাবী করীম ( ﷺ ) এরশাদ করেন- অর্থ- “নিশ্চই বান্দা মুখ থেকে এমন কিছু কথা বলে যেটাকে সে বিশ্বাস করে না; এ কথার জন্য তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে আর তাকে ৭০ হাজার বছর লাগবে তার তলদেশে পৌঁছাতে”। ‘নাউজুবিল্লাহ’!
.
মুশরিকদের লেখা কিছু ভারতীয় গান দেশের আনাচে কানাচে ভরপুর। বিধর্মীরা মুসলিম যুবক যুবতীদের বেঈমান বানানোর নতুন সিস্টেম চালু করছে।
যেমনঃ (ক) তুঝমে রাব দিখতা হায় অর্থাৎ হে প্রিয়তমা তোমার ভিতরে আমি আমার স্রষ্টাকে দেখতে পাই। ‘নাউযুবিল্লাহ্’! এটা কুফ্রি।
(খ) তুহি মেরা রাব হায় অর্থাৎ হে প্রিয়তমা তুমিই আমার প্রভু, ‘নাউযুবিল্লাহ্’! এটাও কুফ্রি।
(গ) তুহি রাব, তুহি দুয়া, তুহি ইবাদাত তুহি নামায.......। নাউজুবিল্লাহ!
.
এসব গান শুনা হারাম। কেউ এসব গানের অর্থ না বুঝে গেয়ে ফেললে, তা হারাম হবে কিন্তু যদি সে এসব গানের অর্থ জানার পরেও উক্ত গান মুখে উচ্চারণ করে ফেলে তাহলেই তা কুফর হবে। যদিও তা ইয়ার্কি ঠাট্টা করে হোক বা রাগান্বিত মাথায় হোক কিংবা সাধারণ অবস্থায় হোক না কেনো; সে ঈমান থেকে বের হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ
আমরা জানতে অজান্তে যদিও এসব বা এধরনের গান গেয়ে থাকি আসুন কালেমা তাইয়্যেবাহ পাঠ করে তারপর আল্লাহর দরবারে তাওবা করি। আমাদের আল্লাহ তো গাফুরুর রাহিম, ইন শা আল্লাহ তিনি আমাদের ক্ষমা করবেন।
আল্লাহ আমাদের ঈমানের হেফাযত করুন।
✍Dr. Syed Irshad Ahmad Al Bukhari মাদ্দাজিল্লুহুল আলি