কেরাত ও তাজবীদের বর্ণনা
❏ মাসয়ালা: (১২২)
যদি কেউ الحمدلله এর স্থলে الهمد لله (অর্থাৎ ح এর স্থলে هـ অক্ষর দ্বারা) উচ্চারণ করে এ ধরনের উচ্চারণ করা জায়েজ আছে কি? এর দ্বারা কি নামাজ বাতেল হবে?
এ ধরনের উচ্চারণ করাকে عجمى তথা অনারবী লোকদের বেলায় الضروارت تبيح المحظورات (অপারগতা অবস্থায়) হিসাবে জায়েয বলে আলেমগণ মতপোষণ করেছেন। তবে এটি উত্তম নয় এবং এ মাসয়ালার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আলেমদের (علماء متقدمين ومتأخرين) মধ্যকার মতনৈক্য রয়েছে।
فيمن قرأ الهمد لله بالهاء فجرم الشيخ ابن حجر بالبطان، لكن جزم بالصحة شيخه زكريا وافتى بالصحة القاضى وابن الرفعه.
(الترباق النافع صفه ৩১)
❏ মাসয়ালা: (১২৩)
উচ্চ আওয়াজে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা মাকরুহ।
ينا فى الخشوع ولان فيه رياء
কেননা এতে বিনয় নম্রতা থাকে না, আর এতে অহংকার ও রিয়া বেশী হয়; যা আল্লাহর নিকট অপছন্দনীয়।
❏ মাসয়ালা: (১২৪)
নফল নামাজ হতে কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের শিক্ষাদান করা উত্তম। অর্থাৎ কোরআন শরীফের শিক্ষা অর্জন করা নফল নামাজ পড়া হতে উত্তম, আর এই উভয় হতে ইলমে ফিকাহ অর্জন করা অধিকতর উত্তম।