মিলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষে আনন্দ/ঈদ পালন করা কি বৈধ নাকি হারাম? 

👉 আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বিন উমর বাহরুক (রহ) ও খাজরামী শাফী (রহ) [মৃ:৮৬৯-৯৩০ হি:]

ওনারা পবিত্র মিলাদুন্নবী (ﷺ) সম্পর্কে লিখেন-
এদিনের প্রকৃত অবস্থান হলো,যেহেতু এদিনে রাসূল (ﷺ) এর পবিত্র বেলাদত শরীফ সেহেতু এদিনে আনন্দ (ঈদ) উদযাপন করাই হচ্ছে প্রকৃত দাবী।
[হাদাইকুল আনোয়ার ওয়া মাতালিউল আসরার ফি সিরাতিন নাবিইয়িল মুখতার গ্রন্থের ৫৩-৫৮ পৃ:]

👉 বিশ্ব বরণ্য ফকিহ্ ও শারিহে বােখারী, ইমাম কাস্তাল্লানী (রহঃ) তদীয় কিতাবে বলেন :
“মহান আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে রহমত দান করুক যিনি রাসূল (ﷺ) মিলাদের মােবারক রজনীকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।” 
[ইমাম কাস্তাল্লানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ১৪৮ পৃঃ]
  • বুখারী শরীফের ব্যাখাকার বিশ্ববিখ্যাত মোহাদ্দিস আল্লামা কুস্তোলানী রহমাতুল্লাহে আলাইহি (মৃত্যুঃ ৯২৩ হিজরী) বলেন-
যে ব্যক্তি নবী করীম -এর শুভাগমনের মোবারক মাসের রাতসমূহকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তার উপরে রহমত বর্ষণ করেন। আর উক্ত রাত্রকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করবে এ জন্য যে, যাদের অন্তরে (নবী বিদ্বেষী) রোগ রয়েছে। তাদের ঐ রোগ যেন আরো শক্ত আকার ধারণ করে এবং যন্ত্রণায় অন্তর জ্বলে পুড়ে যায়।
 
— শরহে জুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ২৬২
  • ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বপ্রথম মোহাদ্দিস হযরত শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী রহমাতুল্লাহে আলাইহি বলেন-
যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ﷺ এর রাত্রকে ঈদ হিসেবে পালন করে, তার উপর আল্লাহ তায়ালা রহমত নাযিল করেন। আর যার মনে হিংসা এবং [নবী ﷺ এর দুশমনির] রোগ রয়েছে, তার ঐ (নবী বিদ্বেষী) রোগ আরও শক্ত আকার ধারণ করে।
 
— মা সাবাতা বিসসুন্নাহ (উর্দু) পৃষ্ঠা নং-৮৬
Top