মিলাদুন্নবী (ﷺ) খোদার করুণা লাভের মাধ্যমঃ
👉 ইমাম সুয়ুতী (রহঃ) বলেন-
"যে গৃহে বা মসজিদে কিংবা মহল্লায় মিলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষ্যে হুযুর (ﷺ)-এর মীলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তখন অবশ্যই সে গৃহ বা মসজিদ বা মহল্লা অসংখ্য ফেরেশতা দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে এবং উক্ত স্থান সমূহে যারা অবস্থান করে তাদের জন্য তারা সালাত পাঠ করে। (অর্থাৎ তাদের গুণাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে) এবং আল্লাহ তায়ালা তাদের সবাইকে সাধারণভাবে রহমত ও সন্তুষ্টি দ্বারা ভূষিত করেন। অতঃপর নূরের মালা পরিহিত ফেরেশতাকুল বিশেষতঃ হযরত জিব্রাঈল, মীকাঈল, ঈস্রাফীল ও আজরাঈল (আঃ) মিলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষ্যে মাহফিল আয়োজনকারীর গুণাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে থাকেন।
[ইমাম সুয়ুতীঃ“আল উয়াছায়েল ফী শরহিশ শামাইল”]
👉 ইমাম শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) লিখেছেনঃ
আমার শ্রদ্ধেয় আব্বাজান আমাকে অবহিত করে বলেন, আমি প্রতি বছরই নবীকুল সর্দার (ﷺ) এর মীলাদ উপলক্ষ্যে বিরাট খাবার আয়োজন করে আসছিলাম। অতঃপর এক বছর খাবারের আয়োজন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। সুতরাং অল্প ভাজ্যকৃত চনা ব্যতীত আর কিছুই আমি জোগাড় করতে পারিনি। কাজেই সেগুলো উপস্থিত লোকদের মাঝে বন্টন করে দিলাম। অতঃপর আমি স্বপ্নে হুযুর (ﷺ) এর সাক্ষাত লাভ করে ধন্য হলাম। দেখলাম, হুযুর (ﷺ) এর সামনে ঐ চনাগুলো মওজুদ আছে। তখন হুযুর (ﷺ) ছিলেন অত্যন্ত আনন্দিত ও হাস্যোজ্জল।
★ ইমাম শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভীঃ“আদ দুররুস সামীন ফী মুবাশশারাতিন নবীয়্যিল আমীন” ৯ম পৃষ্ঠা
★ ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন, পৃষ্ঠা নং-৮১,
★ ফতুয়ায়ে রশীদিয়া, পৃষ্ঠা নং- ১৩৭,
★ হাকিকতে মীলাদ, পৃষ্ঠা নং-২৮
👉 ইমাম শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) বলেন,
আমি একদা মক্কা মু’আযযামায় বেলাদত শরীফের বরকতময় ঘরে উপস্থিত হয়েছিলাম। আর সেখানে লোকজন সমবেত হয়ে হুযুর (ﷺ) এর উপর একত্রে দরুদ শরীফ পাঠ করছিলেন। তার (হুযুরের) শুভাগমনের সময় সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাবলী ও তার নবুয়ত প্রকাশের পূর্বে সংঘটিত ঘটনাবলী আলোচনা করছিলেন। তারপর আমি সেখানে এক মিশ্র নূরের ঝলক প্রত্যক্ষ করলাম। আমি বলতে পারিনি যে, এ নূরগুলো চর্মচক্ষে দেখেছিলাম নাকি অন্তরচক্ষু দ্বারা দেখেছিলাম। এ দুটোর মধ্যে প্রকৃত ব্যাপার কি ছিল, তা আল্লাহ পাকই ভাল জানেন। অতঃপর আমি গভীরভাবে চিন্তা করলাম এবং উপলব্ধি করতে পারলাম যে, এই নূর বা জ্যোতি ঐ সব ফিরিশতার, যারা এ ধরণের মজলিস ও উল্লেখযোগ্য (ধর্মীয়) স্থানসমূহে (জ্যোতি বিকিরণের জন্য) নিয়োজিত থাকেন। আমার অভিমত হল সেখানে ফিরিশতাদের নূর ও রহমতের নূরের সংমিশ্রণ ঘটেছে।
★ ইমাম শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলভীঃ ফয়ূযুল হারামাইন (আরবী-উর্দু), পৃষ্ঠা নং- ৮০-৮১
👉 ইমাম আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী (রহ) তিনি বলেন-
مَنْ عَظَّمَ لَيْلَةَ مَوْلِدِهٖ بِمَاۤ اَمْكَنَهٗ مِنَ التَّعْظِيْمِ وَالاِكْرَامِ كَانَ مِنَ الْفَائزِيْنَ بِدَارِ السَّلامِ.
অর্থ: “যে ব্যক্তি তার সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) উদযাপন করবে, সে জান্নাতে বিরাট সফলতা লাভ করবে।”
[মুহাদ্দিসে দেহলভীঃ মাছাবাতা বিস সুন্নাহ ১ম খন্ড]