কাফিরদের উপমা অন্ধ, বধিরঃ


১. সূরা রাদ : ১৬


২. সূরা আনফাল : ২২


৩. সূরা বনি ইসরাইল : ৭২


৪. সূরা আরাফ : ১৭৯


৫. সূরা হাজ্ব : ৪৬


৬. সূরা বাকারা, আয়াত ১৭-২০


কাফিরদের ব্যপারে অন্যান্য উপমাঃ


১. ইশাইয়া ৪৫ : ৯-১০


২. সূরা আল-বাকারা: ১৭১


৩. সূরা ইবরাহীম : ১৮


৪. সূরা আল-আ’রাফ: ৪০



কাফিরদের উপমাঃ



۞ আয়াত ১ : 


‘তাদের উপমা ঐ ব্যক্তির মত, যে আগুন জ্বালাল। এরপর যখন আগুন তার চারপাশ আলোকিত করল, আল্লাহ তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিলেন এবং তাদেরকে ছেড়ে দিলেন অন্ধকারে। তারা কিছু দেখছে না। তারা বধির-মূক-অন্ধ। তাই তারা ফিরে আসবে না। কিংবা আকাশের বর্ষণমুখর মেঘের ন্যায়, যাতে রয়েছে ঘন অন্ধকার, বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎচমক। বজ্রের গর্জনে তারা মৃত্যুর ভয়ে তাদের কানে আঙুল দিয়ে রাখে। আর আল্লাহ কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করে আছেন। বিদ্যুৎচমক তাদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়ার উপক্রম হয়। যখনই তা তাদের জন্য আলো দেয়, তারা তাতে চলতে থাকে। আর যখন তা তাদের উপর অন্ধকার করে দেয়, তারা দাঁড়িয়ে পড়ে। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, অবশ্যই তাদের শ্রবণ ও চোখসমূহ কেড়ে নিতেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। [সূরা বাকারা, আয়াত ১৭-২০]


۞ আয়াত ২ :


"যারা তাদের প্রভু সাথে তর্ক করে তাদের ধ্বংস নিশ্চিত। একটা মাটির পাত্র কি কখনও কুমারের সাথে তর্ক করে? মাটি কি তাকে বলে, “থামো, তুমি ভুল করে বানাচ্ছ!”


۞ আয়াত ৩ :


"মাটির পাত্রটা কি অভিযোগ করে, “তুমি এত খামখেয়ালি কেন?” কতই না মন্দ (অদ্ভুত) বিষয় এটা, যদি একটা শিশু জন্ম নিয়েই তার বাবা-মাকে প্রশ্ন করে, “আমি জন্ম হলাম কেন? আমাকে এরকম করে জন্ম দিলে কেন?” (ইশাইয়া ৪৫ : ৯-১০)


۞ আয়াত ৪ :


কাফিরদের উপমা এরূপ, কোন ব্যক্তি এমন কিছু কে আহ্বান করে যারা শুধুমাত্র চীৎকার ছাড়া আর কিছুই শুনতে পায় না। তারা বোবা, বধির ও অন্ধ, কিছুই বুঝে না। (সূরা আল-বাকারা: ১৭১)


۞ আয়াত ৫ :


যারা তাদের পালনকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, তাদের আমলের উদাহরণ হচ্ছে- সেই ছাই ভস্মের মতো যার ওপর দিয়ে প্রবল বাতাস বয়ে যায় ধূলিঝড়ের দিন। তাদের উপার্জনের কোন অংশই তাদের হস্তগত হবে না। (সূরা ইবরাহীম : ১৮)


۞ আয়াত ৬ :


যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা মনে করে এবং এগুলো থেকে অহংকার করে, তাদের জন্য আসমানের দরজাসমূহ বন্ধ। তারা ততোক্ষণ জান্নাতেও প্রবেশ করতে পারবে না যতোক্ষণ না সুঁচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করতে পারবে। (সূরা আল-আ’রাফ: ৪০)


۞ আয়াত ৭ :


(হে রাসূল আপনি) বলুন, যারা মূর্খ ও যারা জ্ঞানী তারা কি সমান? বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।’ [সূরা যুমার : ৯]


কাফিরদের আমল বরবাদঃ


۞ আয়াত ৮ :


আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করবো, তারপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেব। (সূরা আল-ফুরকান: ২৩)


বিপথগামীদের উপমাঃ


۞ আয়াত ৯ :


আমরা কি এমন কাউকে আহ্বান করবো, যে আমাদের কোন উপকার কিংবা ক্ষতি কিছুই করতে পারে না। আমরা কি পেছনের দিকে ফিরে যাব আল্লাহর হেদায়েতের পর, ঐ ব্যক্তির মতো যাকে শয়তান বনভূমিতে বিপথগামী করে দিয়েছে, ফলে সে উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে? আর তার সহচররা তাকে পথের দিকে ডেকে বলছে। এসো আমাদের কাছে। (সূরা আল-আনআ’ম: ৭১)


কাফিরদেরকে অন্ধ, বধির এর সাথে উপমাঃ


۞ আয়াত ১০ :


...قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الْأَعْمَى وَ الْبَصِيْرُ...

...‘বলুন,‘অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান?’...[সূরা রাদ : ১৬]


۞ আয়াত ১১ :


إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِّ عِنْدَ اللهِ الصُّمُّ الْبُكْمُ الَّذِيْنَ لَا يَعْقِلُوْنَ

‘আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম জীব সেই বধির ও মূক যারা কিছুই উপলব্ধি করে না।’[সূরা আনফাল : ২২]


۞ আয়াত ১২ :


وَ مَنْ كَانَ فِيْ هٰذِه أَعْمَى فَهُوَ فِى الْآخِرَةِ أَعْمَى وَ أَضَلُّ سَبِيْلًا

‘আর যে ব্যক্তি এখানে অন্ধ সে আখিরাতেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রষ্ট।’[সূরা বনি ইসরাইল : ৭২]


۞ আয়াত ১৩ :


...فَإِنَّهَا لَا تَعْمَى الْأَبْصَارُ وَ لكِنْ تَعْمَى الْقُلُوْبُ الَّتِيْ فِي الصُّدُوْرِ

...‘বস্তুত চোখ তো অন্ধ নয়,বরং অন্ধ হচ্ছে বক্ষস্থিত হৃদয়।’ [সূরা হাজ্ব : ৪৬]



কাফেররা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট



۞ আয়াত ১৪ :


...لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ بِهَا وَ لَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَا وَ لَهُمْ آذَانٌ لَّا يَسْمَعُوْنَ بِهَا أُولَائِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُولَائِكَ هُمُ الْغَافِلُوْنَ

...‘তাদের হৃদয় আছে,কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না,তাদের চোখ আছে,তা দিয়ে দেখে না এবং তাদের কান আছে,তা দিয়ে শোনে না,এরাই পশুর ন্যায়,বরং তারা তার চেয়েও নিকৃষ্ট। তারাই গাফেল।’

[সূরা আরাফ : ১৭৯]

Top