নবীজির আগমন বিশ্ববাসীর জন্য আনন্দের
🖋মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আশরাফী
কুল-কায়েনাতের রহমত, আল্লাহর হাবীব, দয়াল নবী রাউফুর রাহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুনিয়াতে শুভাগমনের দিনটি অবশ্যই বিশ^বাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেদিন এই ধরাধামে আগমন করেছিলেন সেদিন আল্লাহ পাকের সকল সৃষ্টি আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিল। আর হবেই না বা কেনো? তিনি তো শুধু মানুষের জন্যই রহমত না, তিনি সমস্ত জগতসমূহের জন্য রহমত। আর আল্লাহ পাকের নেয়ামত বা রহমত প্রাপ্তিতে এমনিতেই মানুষের মন খুশিতে নেচে উঠে। তারপরেও আল্লাহ পাক মানুষকে হুকুমও দিচ্ছেন খুশি উদযাপন করার জন্য। পবিত্র কুরআনে সুরা ইউনুসের ৫৮ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে-
قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَالِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُوْنَ
অর্থাৎ- “হে রাসুল! আপনি বলুুন, আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ এবং দয়া প্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন কর। এটা তাদের যাবতীয় সঞ্চয় থেকে উত্তম।”
এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন অনুগ্রহ এবং দয়া বা রহমত প্রাপ্ত হয়ে আনন্দিত হওয়া, খুশি উদযাপন করা, আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করা এটা আল্লাহ পাকের হুকুম। এর চেয়ে উত্তম কাজ আর কিছু নেই এবং এটাই আল্লাহ পাকের নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজ। তাইতো আল্লাহ বলছেন- এটা তাদের যাবতীয় সঞ্চয় থেকে উত্তম। আর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো আমাদের প্রতি আল্লাহ পাকের এমন অনুগ্রহ, নেয়ামত, দয়া বা রহমত যার থেকে বড় অনুগ্রহ আর কিছুই নেই। এই মহা অনুগ্রহের কথা আল্লাহ পাক কুরআনুল কারীমের আল ইমরানের ১৬৪ নং আয়াতে-
لَقَدْ مَنَّ اللهَ عَليَ الْمُؤمِنِيْنَ اِذْ بَعَثَ فِيْهِمْ رَسُوْلاً مِّنْ اَنْفُسِهِمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اَيَتُهُ وَيُزَكِّهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتبَ وَالْحِكْمَةَ وَاِنْ كَانُوْا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِيْنَ
অর্থাৎ- “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা মু’মিনদের প্রতি মহা অনুগ্রহ করেছেন যখন তিনি তাদের জন্য তাদেরই মধ্য হতে একজন রাসুল প্রেরণ করেছেন। যিনি তাদের নিকট তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে শুনাবেন, তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন। অথচ ইতিপূর্বে তারা ছিল সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত।”
উক্ত আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর হাবীবকে মহা অনুগ্রহ বলে উল্লেখ করেছেন। আর পূর্বের আয়াতে সেই মহা অনুগ্রহ বা রহমন প্রাপ্তিতে খুশি উদযাপনের জন্য হুকুম করেছেন।
স্বয়ং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুনিয়াতে নিজের শুভাগমণের কারণে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের নিমিত্তে প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন। সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ اَبِي قَتَدَةَ قَالَ سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّ اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمْ عَنْ صَوْمِ الْاِثْنَيْنِ فَقَالَ فِيْهِ وُلِدْتُ وَ فِيْهِ اُنْزِلَ عَلَيَّ الْقُرْاَنِ
অর্থাৎ- “হযরত কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সোমবার রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি ইরশাদ করেন- এই দিন আমি পৃথিবীতে শুভাগমন করেছি এবং এ দিনেই আমার উপর কুরআনুল কারীম নাযিল করা হয়েছে।”
উপরোক্ত হাদীস শরীফে আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবার রোজা রাখার ব্যাপারে ২টি উপলক্ষের কথা উল্লেখ করেছেন।
১। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পৃথিবীতে শুভাগমন।
২। নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর কুরআন নাযিল।
২টি উপলক্ষ দ্বারাই নবীজির আগমনে খুশি উদযাপন বা ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন জায়েজ প্রমাণিত হয়। ১ম উপলক্ষটিতে তো সরাসরি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের কথা বলা আছেই, আর ২য় উপলক্ষটিতে নবীজি আল্লাহ পাকের ফজল ও করম ‘কুরআনুল কারীম’ প্রাপ্তিতে খুশি হয়ে শুকরিয়া আদায়ের নিমিত্তে রোজা রাখতেন, যা পবিত্র কোরআনের সুরা ইউনুসের ৫৮ নং আয়াতের আল্লাহ পাকের হুকুমের বাস্তবায়ন।
মু’মিন বান্দার জন্য নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমন কুরআনুল কারীমের চেয়েও বড় নেয়ামত, কেননা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুভাগমন না হলে আমরা কুরআন পেতাম না। উক্ত হাদীসের উপর আমল করতে গিয়ে আমরা চাইলে বছরে ৫৪ দিন অর্থাৎ বছরে ৫৪টি সোমবারে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে পারি। আবার তারিখের হিসেবে ১২ রবিউল আউয়াল বছরে ১ দিন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে পারি।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনে আনন্দ প্রকাশ করার বিনিময়ে আমরা পরকালে কি ধরণের প্রতিদান পেতে পারি তা একখানা হাদীস বিশ্লেষণ করলেই আমরা বুঝতে পারি। সহিহ বুখারীর হাদীস খানা নি¤œরুপ-
فَلَمَّ مَاتَ اَبُوْ لَهَبٍ اُرِيَه بَعْضُ اَهْلِيْه فيِ النَّوْمِ بِشَرِّ حِيْبَةٍ فَقَالَ لَه: مَاذَا لَقِيْتَ فَقَالَ اَبُوْ لَهَبٍ : لَمْ اَلْقَ بَعْدَكُمْ رَخَاءً غَيْرَ اَنِّي سُقِيْتُ فِي هذِه مِنِّي بِعَتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ
অর্থাৎ- “অতঃপর আবু লাহাব যখন মারা গেল তখন তার এর ঘনিষ্টজন তাকে স্বপ্নযোগে করুন অবস্থায় দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কবরে কী অবস্থায় আছো? সে উত্তরে বললো, তোমাদের ছেড়ে এই কবর জগতে আসার পর হতে আমি মারাতœক শাস্তির মধ্যে সময় কাটাচ্ছি তবে প্রতি সোমবার আমার তর্জনী আঙ্গুলে জান্নাতী শরবত পরিবেশন করা হয়। সেদিন আমি সেই আঙ্গুল চুষে চুষে পানি পাই, এতে আমার আযাব সামান্যতম কম হয়। এটা এ কারণে যে, আমার দাসী সুয়াইবাহ আমার নিকট নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জন্মের সংবাদ নিয়ে এসেছিলো, আর আমি খুশি হয়ে তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছিলাম।”
বুখারী টিকাকার আল্লামা খলিল আহমদ সাহরানপুরী প্রতি সোমবারে আবু লাহাবের আঙ্গুলে জান্নাতী শরবত হাজির হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে লিখেছেন-
لِاَنَّهَا بَشَّرَتْ أَبَا لَهَبٍ بِوَلاَدَةِ النَّبِيِّ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاَعْتَقَهَا فَنَفَعَه عِتْقُه وَمَعْني نَفْعِه اِيَّاه أَنَّهُ بَقِيَ مِنْ عَمَلِه هَذَا وَلَمْ يَحْبَطْ كَسَائِرِ أَعْمَالِه بِبَرَكَتِه
অর্থাৎ- “আবু লাহাবের কবরে প্রতিটি মুহূর্তে শাস্তি হওয়া সত্বেও প্রতি সোমবারে তার তর্জনী আঙুলে জান্নাতি শরবত হাজির হওয়ার কারণ হলো, সুওয়াইবা দাসী আবু লাহাবকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বেলাদাত শরীফ সম্পর্কে শুভ সংবাদ প্রদান করেছিলেন। আবু লাহাব এমন একটি শুভ সংবাদ শুনা মাত্রই তার দাসীকে আযাদ করে দিয়েছিলো। নবজাতক নবীর জন্মের খুশীতে দাসী আযাদ করে দেওয়ার ঘটনাটি মূলত কবর জগতে তার উপকারে এসেছে। আর প্রতি সোমবারে কবরে জান্নাতি শরবত প্রাপ্তির ঘটনায় তার বিশেষবাবে লাভবান হওয়া এখনো অব্যাহত আছে। আর এটি একমাত্র নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের সংবাদ শুনে আনন্দ প্রকাশ করার কারনেই, অন্যথায় তার অন্যান্য আমলের মতোই এটাও ধ্বংস হয়ে যেত।”
এইখানে কয়েকটা বিষয় লক্ষনীয় ঃ
১। পাপিষ্ঠ আবু লাহাব রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চির দুশমন যাকে আল্লাহ পাক সুরা লাহাবে অভিসম্পাত করেছেন, সেই চির জাহান্নামি নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের খুশি উদযাপন করার কারণে বছরে ৫৪ দিন শাস্তি থেকে কিছুটা নিস্কৃতি পায়।
২। নবীজির শুভাগমন উপলক্ষে আবু লাহাবের খুশি উদযাপনটাকে আল্লাহ পাক পছন্দ করেছেন, তাইতো প্রতি সোমবার তাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে কিছুটা নিস্কৃতি দেন।
২। আবু লাহাব নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে মেনে খুশি হয়নি বরং ভাতিজা হিসেবে খুশি হয়েছে। যদি সে নবীজির উপর ঈমান আনতো তাহলে তার প্রতিদান কি হতো তা আল্লাহই ভালো জানেন।
এখানে আরেকটা বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। আল্লাহ পাক অমুসলিমদেরকে চির জাহান্নামী বলেছেন। অর্থাৎ অমুসলিমদের ১ টা মুহুর্তের জন্যও জাহান্নামের শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু নবীজির চাচা আবু লাহাব এবং আবু তালেবের দৃষ্টান্ত দেখুন। আবু লাহাবের কথা তো আমরা উপরোক্ত হাদীস শরীফ থেকে জানতে পারলাম। আর আবু তালিব সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে কাফিরদের মধ্যে সর্বনি¤œ শাস্তি হবে আবু তালেবের। এখানে লক্ষণীয় যে নবীজির দুই চাচা আবু লাহাব এবং আবু তালেবের এই শাস্তি লাঘবের কারণ কী? কারণ একটাই সেটা হচ্ছে নবী প্রেম। আল্লাহ পাক তাঁর হাবীবকে এত ভালোবাসেন যে, কেউ যদি তার হাবীবের প্রতি মহব্বত প্রদর্শণ করে তাহলে আল্লাহ পাক তাকে তার প্রতিদান দিয়ে থাকেন এমনকি সে যদি আল্লাহকে অস্বীকারও করে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের ব্যাপারে অনেকে প্রশ্ন তুলেন যে একই দিনে তো হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইনতিকালও করেছেন, তাহলে সেইদিন খুশি উদযাপন করা হয় কেন?
এর উত্তরে বলা যায় যে, প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে নবুওয়াতের ঝান্ডা নিয়ে দুনিয়াতে এসেছেন সেই নবুওয়াত কেয়ামত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে। নবীজি যাহেরী ভাবে ইনতিকাল করে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিলেও তিনি রওজা শরীফে জিন্দা কারণ তিনি ‘হায়াতুননবী’ এবং তিনি রওজা শরীফ থেকে উম্মতের আমলসমূহ দেখেন ও উম্মতের সালামের জবাব দিয়ে থাকেন। তাছাড়া তিনি রাহমাতুল্লিল আলামীন অর্থাৎ সকল যুগে সকল জগৎ সমূহের জন্য রহমত। সুতরাং নবীজির আগমনটাই আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং আল্লাহ পাকের বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত। তাই এই নেয়ামত প্রাপ্তির শুকরিয়া আদায়ের জন্য খুশি উদযাপন করা হয়।
আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তদ্বীয় গ্রন্থ “আলহাবী লিল ফাতাওয়া” তে উল্লেখ করেন-
وَقَدْ أَمَرَ الشَّرْعُ بِالْعَقِيْقَةِ عِنْدَ الْوَلاَدَةِ هِيَ اِظْهَارُ شُكْرٍ وَفَرْحٍ بِالْمَوْلُوْدِ وَلَمْ يَأْمُرْ عِنْدَ الْمَوْتِ بِذَبْحٍ وَلاَ غَيْرِهِ بَلْ نُهِيَ عَنِ النِّياَحَةِ وَاِظْهَارُ الْجَزْعِ فَدِلَّتْ قَوَاعِدُ الشَّرِيْعَةِ عَلَي أَنَّهُ يُحْسِنُ فِيْ هَذَا الشَّهْرِ اِظْهَارُ الْفَزْحِ بِوَلاَدَتِهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُوْنَ اِظْهَارِ الْحُزْنِ فِيْهِ بِوَفَاتِهِ
অর্থাৎ- “ইসলামী শরীয়ত শিশু জন্মের বিষয়ে আকীকা করার হুকুম করেছে। আর এই আকীকার উদ্দ্যেশ্য হলো: শিশু জন্মের কারণে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা এবং খুশি প্রকাশ করা। কিন্তু মৃত্যু সম্পর্কে এমন কোন হুকুম নেই বরং কান্নাকাটি, বুক চাপড়ানো নিষেধ করা হয়েছে। শরীয়তের উল্লেখিত বিধানের উদ্দেশ্য হলো- রবিউল আউয়াল শরীফে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বেলাদত বা জন্মের উপরে খুশি প্রকাশ করা। ওফাতের কারণে শোক প্রকাশ করা নয়।”
সুতরাং মু’মিন বান্দার জন্য ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন হলো নবীপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ এবং এই দিবসের গুরুত্ব সকল দিবসের চেয়ে বেশি। শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দেসে দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় কিতাব “মা’সাবাতা বিস সুন্নাহ” তে ঈদে মিলাদুন্নবীর রাতকে লাইলাতুল কদরের চেয়ে অনেকগুনে শ্রেষ্ঠ বলেছেন। কেননা মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলো প্রিয় নবীর শুভাগমনের রাত আর লাইলাতুল কদর হলো নবীর প্রতি আল্লাহর দেওয়া একটি উপহার। আর বন্ধুকে দেওয়া উপহারের চেয়ে বন্ধুর দামই বেশি হয়।
কুল কায়েনাত হলো খুশি
তব শুভ আগমনে,
খোদার হুকুম পালন করে
ঈদে মিলাদ উদযাপনে।