জুমার বর্ণনা
✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]

❏ মাসয়ালা: (৯৯)
যখন জুমার নামাজের দ্বিতীয় আজানের পর ইমাম সাহেব খুতবা প্রদানের জন্য দন্ডয়মান হবেন তখন হতে জুমার নামাজ সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত নফল নামাজ তাছবীহ-তাহলীল, জিকির-আছকার সহ সব ধরনের কথা-বার্তা বলা নিষেধ। হ্যাঁ তবে তারতীব হিসাবে ক্বাজা নামাজ আদায়কারী ক্বাজা পড়ে নিবে এবং কোন ব্যক্তি খুতবা প্রদানের পূর্ব মুহূর্তে সুন্নাত কিংবা নফল নামাজ আরম্ভ করে থাকলে তা তাড়াতাড়ি শেষ করে খুতবা শ্রবণ করবে।

❏ মাসয়ালা: (১০০)
জুমার দিবসে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত হতে দরূদ শরীফ পাঠ অধিক উত্তম।
وسن اكثار الصلواة على النبى عليه السلام يومها وليلتها للاخبار الصحيه فى الامر بذالك فالاكثار من الصلواة على النبى عليه السلام افضل من اكثار ذكر او القرآن لم يرد بحضوصه – (رساله الترياق النافع، للعلامة السيد ابى بكربن عبد الله دهلوى)

❏ মাসয়ালা: (১০১)
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমনিভাবে ফরজে ক্বত্য়ী, ঠিক তেমনিভাবে জুমার নামাজও। কাজেই জুমার নামাজের ক্ষেত্রেও অলসতা ও অবহেলা না করা চাই। কোন বেনামাজী যদি জুমার নামাজ আদায় করে তা ছহিহ ও শুদ্ধ হবে তবে কবুল ও গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকতে পারে। সে আল্লাহর পবিত্র দরবারে অবশ্যই আশা পোষণ করতে হবে যে, তিনি (আল্লাহ্) তাঁর ফজল ও করম (দয়া-মেহেরবানী) দ্বারা আমাদের নেক ও ভাল কর্ম সমূহকে কবুল করবেন। আল্লাহপাক ক্ষমাশীল ও কৃতজ্ঞ অর্থাৎ তিনি গফুর ও শকুর এই গুণাবলী তার পবিত্র সত্ত্বার বেলায় ভাল ধারণা রাখার জন্য হুজুর (ﷺ) এরশাদ ফরমায়েছেন। 
➥ [বরকাতুল উলুম, পৃষ্ঠা-৬৪]

❏ মাসয়ালা: (১০২)
➠তোহফায়ে বুর্রার মধ্যে রয়েছে যে, 
কোন কোন বর্ণনায় জুমার নামাজের পূর্বে কবর জেয়ারত করা নিষেধ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে, মূলত: ইহা একটি ভিত্তিহীন কথা যা হারামাইনের পরিপন্থী একটি কাজ। এ ধরনের বর্ণনা দ্বারা আহলে হারামাইনের বর্ণনাকে রহিত করার অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ জুমার নামাজের পূর্বে কবর জেয়ারত হারামাইনদের কর্ম যা জায়েজ ও বৈধ।
➥ [ফতোয়ায়ে মাজ্মায়ুল বারকাত, তাফসীরে সূরায়ে আলাম নাশরাহ, কৃত-আল্লামা নক্বী আলী খান সাহেব পৃষ্ঠা-২১৪]
Top