পবিত্রতার বর্ণনা
✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (০১)
অজু ছাড়া নামাজ পড়া হারাম এবং কঠিন ও শক্ত গোনাহর কথা। বরং জেনে শুনে পবিত্রতা অর্জন ছাড়া নামাজ আদায় করা ওলামায়ে কেরামগণ কুফুরী লেখেছেন। কেননা অজু ও গোসল ছাড়া নাপাকী অবস্থায় নামাজ আদায়কারী ইবাদতের সাথে বেআদবী এবং অবজ্ঞা করেছে কাজেই এটি কুফুরী। হুজুর (ﷺ) এরশাদ করেছেন: জান্নাতের চাবি হচ্ছে নামাজ আর নামাজের চাবি হচ্ছে পবিত্রতা।
➥ [হামারা ইসলাম]
❏ মাসয়ালা: (০২)
ماء راكد (আবদ্ধ পানি) এ অজু ও গোসল জায়েজ কি না? আবদ্ধ পানিতে অজু ও গোসল করা মাকরূহ। বিশুদ্ধ হাদীসে তা না জায়েজ বলা হয়েছে।
ويكره الغسل والوضوء في الماء الراكد وكثيرًا لا صح من نهيه صلى الله عليه وسلم عن الغسل فيه (الترياق صفحة- ২৪)
❏ মাসয়ালা: (০৩)
রং, খোশবু এবং স্বাদ অপবিত্র বস্তু পড়ার কারণে যদি উক্ত গুণ সমূহের পরিবর্তন ঘটে সেক্ষেত্রে উক্ত পানি দ্বারা অজু ও গোসল করা বৈধ নয়। যদি পবিত্র বস্তু পতিত হওয়ার কারণে যেমন- সাবান, জাফরান ইত্যাদি কারণে কিংবা পানি অনেকদিন বন্ধ থাকার কারণে রং, খোশবু ও স্বাদ পরিবর্তন হলে উক্ত পানি অপবিত্র নয়। উক্ত পানি দ্বারা গোসল এবং অজু করা বৈধ। তবে পানি পাওয়া যেতে হবে। অর্থাৎ পানি যেন গাঢ় না হয়ে পাতলা হয়।
প্রবাহিত তথা প্রবাহমান পানির হুকুম হচ্ছে- পানি এই পরিমান হতে হবে যে- যদি কেউ এতে পাতা ফেলে দেয় তা প্রবাহমান হবে। তবে সে পানির উৎপত্তি স্থল তথা শুরু পবিত্র হবে অর্থাৎ যেখান থেকে পানি প্রবাহিত হয়েছে, তা পবিত্র হতে হবে। যদিওবা অপবিত্র বস্তু ভাসমান হবে তবু উক্ত পানি পাক। সে পানি দ্বারা অজু ও গোসল করা বৈধ।