🔰সন্ধ্যার সময় ঘরের দরজা খোলা না কি বন্ধ রাখা উচিৎ?
প্রশ্ন: অনেকেই বলে যে, সন্ধ্যার আযানের সময় ঘরের
দরজা খোলা রাখতে হয়। কারণ তখন নাকি ঘরে ফেরেশতা
প্রবেশ করে। কথাটি কি শরিয়ত সম্মত?
💚উত্তর:
“সন্ধ্যা (মাগরিব) এর আযানের সময় দরজা খোলা রাখলে ঘরে
ফেরেশতা প্রবেশ করে।” এটি হাদিস বিরুদ্ধ বাতিল কথা। দরজা
খোলা থাক আর বন্ধ থাক যে কোনো অবস্থায় নূরের তৈরি
আল্লাহর ফেরেশতাগণ মানুষের ঘরে প্রবেশ করতে পারে।
তবে সহিহ হাদিস অনুযায়ী, যে ঘরে ছবি, মূর্তি বা কুকুর থাকে সে
ঘরে আল্লাহর রহমতের ফেরেশতাগণ প্রবেশ করে না।
অনুরূপভাবে নির্দিষ্টভাবে ‘সন্ধ্যার সময় ফেরেশতাগণ ঘরে
প্রবেশ করে’ এমন কথাও ভিত্তিহীন।
বরং হাদিসে শয়তানের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সন্ধ্যা বা রাতে
ঘরের দরজা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যেমন:
ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮٍ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ - ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺇِﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ
ﺟِﻨْﺢُ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﺃَﻭْ ﺃَﻣْﺴَﻴْﺘُﻢْ ﻓَﻜُﻔُّﻮﺍ ﺻِﺒْﻴَﺎﻧَﻜُﻢْ ، ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻳَﻨْﺘَﺸِﺮُ ﺣِﻴﻨَﺌِﺬٍ ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺫَﻫَﺐَ
ﺳَﺎﻋَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻓَﺨَﻠَّﻮﻫُﻢْ ﻭَﺃَﻏْﻠِﻘُﻮﺍ ﺍﻟْﺄَﺑْﻮَﺍﺏَ ﻭَﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﺳْﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻟَﺎ ﻳَﻔْﺘَﺢُ
ﺑَﺎﺑًﺎ ﻣُﻐْﻠَﻘًﺎ ، ﻭَﺃَﻭْﻛُﻮﺍ ﻗِﺮَﺑَﻜُﻢْ ﻭَﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﺳْﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻭَﺧَﻤِّﺮُﻭﺍ ﺁﻧِﻴَﺘَﻜُﻢْ ، ﻭَﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﺳْﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ،
ﻭَﻟَﻮْ ﺃَﻥْ ﺗَﻌْﺮِﺿُﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ، ﻭَﺃَﻃْﻔِﺌُﻮﺍ ﻣَﺼَﺎﺑِﻴﺤَﻜُﻢْ . ﻣُﺘَّﻔَﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
জাবির রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যখন রাতের আঁধার নেমে আসে অথবা
বলেছেন:
“যখন সন্ধ্যা হয়, তখন তোমাদের শিশুদেরকে (বাইরে যাওয়া
থেকে) আটকে রাখো। কেননা সে সময় শয়তান ছড়িয়ে
পড়ে। তবে রাতের কিছু সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে
তাদেরকে ছেড়ে দাও এবং বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজাসমূহ
বন্ধ করো। কারণ শয়তান বদ্ধদ্বার খুলতে পারে না। আর বিসমিল্লাহ
পড়ে তোমাদের মশকগুলো (চামড়ার তৈরি পানির পাত্র বিশেষ) এর
মুখ বন্ধ করো এবং বিসমিল্লাহ বলে তোমাদের পাত্রগুলোও
ঢেকে রাখো। (ঢাকার কিছু না পেলে) কোন কিছু
আড়াআড়িভাবে হলেও পাত্রের উপর রেখে দাও। (আর ঘুমানোর সময়) বাতিগুলো নিভিয়ে দাও।”
(বুখারী ও মুসলিম)