52 – “الإيمان بضع وسبعون شعبه فأفضلها قول لا إله إلا الله وأدناها إماطة الأذى عن الطريق والحياء شعبة من الإيمان” (م د ن هـ عن أبي هريرة) .
ঈমানের শাখা সত্তরটিরও কিছু বেশি। এর সর্বোচ্চ শাখা হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর সাক্ষ্য প্রদান করা। আর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে- রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা ।
53 – “الإيمان بضع وستون شعبه والحياء شعبة من الإيمان” (خ عن أبي هريرة) .
ঈমানের শাখা সত্তরটিরও কিছু বেশি। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা ।
54 – “الإيمان أربع وستون بابا” (ت عن أبي هريرة) .
ঈমানের ৬৪ টি দরজা রয়েছে।
55 – “إن لله تعالى مائة خلق وسبعة عشر خلقا من أتى بخلق منها دخل الجنة” (ع هب عن عثمان) .
আল্লাহ তাআলার একশত সত্তরটি গুণ রয়েছে। যদি কেউ একটি গুণ দ্বারাও গুনান্বিত হয় তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
56- “الإيمان بضع وسبعون بابا. فأدناها إماطة الأذى عن الطريق وأرفعها قول لا إله إلا الله” (ت عن أبي هريرة) .
ঈমানের শাখা সত্তরটিরও কিছু বেশি। এর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা। আর এর সর্বোচ্চ শাখা হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।
57 – “الإيمان الصبر والسماحة” (ع طب في مكارم الأخلاق عن جابر) .
ইমান হলো ধৈর্য ও দয়ার্দ্রতা।
58 – “الإيمان عفيف عن المحارم عفيف عن المطامع” (حل عن محمد ابن نضر الحارثي مرسلا) .
ইমান হলো হারাম বস্তু এবং নফসানী খাহিশ থেকে নিষ্কলুষতা ও পূত-পবিত্রতার নাম।
59 – “الإيمان والعمل أخوان شريكان في قرن لا يقبل الله أحدهما إلا بصاحبه” (ابن شاهين في السنة عن علي) .
ইমান ও আমল দুই ভাইয়ের মত। উভয়টি একই রকম। আল্লাহ তাআলা কোন একটিকে অপরটি ব্যতীত কবুল করেন না।
60 – “الإيمان والعمل قرينان لا يصلح واحد منهما إلا مع صاحبه” (ابن شاهين عن محمد بن علي مرسلا) .
ইমান ও আমল দুই সাথীর মত। একটি ব্যতীত অপরটি ঠিক থাকতে পারে না।
61 – “الإيمان نصفان فنصف في الصبر ونصف في الشكر” (هب عن أنس) .
ইমান দুইটি অংশের নাম। একটি অংশ হলো সবর। আর আরেকটি অংশ হলো শোকর।
62 – “إذا سئل أحدكم أمؤمن هو فلا يشك في إيمانه” (طب عن عبد الله بن زيد الأنصاري) .
যখন তোমাদের কাউকে তার ভাইয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, সে কি মুমিন? তবে তার ইমানের ব্যাপারে সন্দেহ করো না।
63 – “أسلم المسلمين إسلاما من سلم المسلمون من لسانه ويده” (حب عن جابر) صحيح.
ইসলামের সবচেয়ে নিবেদিত মুসলমান সে, যার হাত ও মুখ হতে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।
64 – “أكمل المؤمنين من سلم المؤمنون من لسانه ويده” (ك عن جابر) .
সবচেয়ে পরিপূর্ণ ইমানদার সে, যার হাত ও মুখ হতে অপর মুমিন নিরাপদ থাকে।
65 – “أشرف الإيمان أن يأمنك الناس وأشرف الإسلام أن يسلم الناس من لسانك ويدك وأشرف الهجرة أن تهجر السيئات وأشرف الجهاد أن تقتل ويعقر فرسك” (طس عن ابن عمر) رواه ابن النجار في تاريخه وزاد “وأشرف الزهد أن يسكن قلبك على مارزقت وإن أشرف ماتسأل من الله تعالى العافية في الدين والدنيا”.
সবচেয়ে উচ্চ ইমান হলো মানুষ তোমার থেকে নিরাপদ হয়ে যাবে। সবচেয়ে উচ্চ ইসলাম হলো মানুষ তোমার যবান ও হাতের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। সবচেয়ে উচ্চ হিজরত হলো এই যে, তুমি মন্দ কাজ সমূহ ছেড়ে দিবে। আর সবচেয়ে বড় জিহাদ হলো- তুমি শহীদ হয়ে যাবে এবং জিহাদে তোমার ঘোড়া যখমী হয়ে যাবে।
ইবনুন নাজ্জার তার ইতিহাসে আরো বৃদ্ধি করে বর্ণনা করেন- সবচেয়ে উচ্চ যুহুদ হলো, তোমার রুযীতে তোমার মন প্রশান্ত হয়ে যাবে। আর সবচেয়ে উচ্চ দুআ হলো, তুমি আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের আফিয়াত- শান্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করবে।
66 – ” أفضل الإيمان أن تعلم أن الله معك حيث ماكنت” (طب حل عن عبادة بن الصامت) .
উত্তম ইমান হলো- তোমার এটা জানা থাকা যে, তুমি যেখানেই থাক না কেন আল্লাহ তোমার সাথে আছেন।
67 – “أفضل الإيمان أن تحب لله وتبغض لله وتعمل لسانك في ذكر الله عز وجل وأن تحب للناس ماتحب لنفسك وتكره لهم ماتكره لنفسك وأن تقول خيرا أو تصمت” (طب عن معاذ بن جبل) .
উত্তম ইমান হলো- তুমি মহব্বত করবে তো আল্লাহর জন্য, বিদ্বেষ ও শত্রুতা করবে তো আল্লাহর জন্য। তোমার যবানকে আল্লাহর যিকির দ্বারা সিক্ত রাখবে। যে জিনিস তোমার জন্য পছন্দ করবে অন্যের জন্যও তা পছন্দ করবে। যে জিনিস নিজের জন্য অপছন্দ করবে অপরের জন্যও তা অপছন্দ করবে। আর ভাল কথা বলবে, নয়তো চুপ থাকবে।
68 – “خمس من الإيمان من لم يكن فيه شيء منهن فلا إيمان له التسليم لأمر الله والرضاء بقضاء الله والتفويض إلى الله والتوكل على الله والصبر عند الصدمة الأولى” (البزار عن ابن عمر) .
ইমানের পাঁচটি বিষয় এমন যে, কারো মধ্যে যদি তার একটিও না থাকে তবে তার ইমানই নেই। তা হলো- আল্লাহর নির্দেশের সামনে আত্ম-সমর্পণ করা। আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা। নিজেকে আল্লাহর উপর সোপর্দ করা। আল্লাহর উপর ভরসা করা এবং মুসিবতের প্রথম আঘাতেই সবর করা।
69 – “ذروة الإيمان أربع خصال الصبر للحكم والرضاء بالقدر والإخلاص للتوكل والاستسلام للرب” (حل ص عن أبي الدرداء)
ইমানের চূড়া চারটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে। আল্লাহর হুকুমের উপর ধৈর্য ধারণ করা। তাকদীর বা আল্লাহর নির্ধারিত ভাগ্যের উপর সন্তুষ্ট থাকা। ইখলাসের সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করা। আর আল্লাহর অনুগত থাকা।
70 – “لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من ولده ووالده والناس أجمعين” (حم ق ن هـ عن أنس)
তোমাদর মধ্যে কেউ সে পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না আমি তার নিকট তার সন্তান-সন্ততী, তার পিতা-মাতা এবং সমস্ত মানুষ থেকে বেশী প্রিয় না হব।
71- “والذي نفسي بيده لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب الناس إليه من والده وولده” (حم خ ع عن أبي هريرة) .
আল্লাহর শপথ! তোমাদর মধ্যে কেউ সে পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না আমি তার নিকট তার সন্তান-সন্ততী, তার পিতা-মাতা থেকেও বেশী প্রিয় না হব।
72 – “ثلاث من كن فيه ذاق طعم الإيمان من كان لا شيء أحب إليه من الله ورسوله ومن كان لأن يحرق بالنار أحب إليه من أن يرتد عن دينه ومن كان يحب لله ويبغض لله” (سمويه طب عن أنس) .
যার মধ্যে তিনটি গুণ আছে সে ইমানের স্বাদ লাভ করে। আল্লাহ ও রাসূল থেকে কোন কিছু বেশী প্রিয় না হওয়া। নিজের দীন থেকে ফিরে যাওয়ার চাইতে আগুনে দগ্ধ হওয়া বেশী প্রিয় হওয়া। আর আল্লাহর জন্যই কাউকে ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্যই কাউকে ঘৃণা করা।
الإكمال
73 – “أفضل الإيمان أن تحب لله وتبغض لله وتعمل لسانك في ذكر الله” ابن مندة (عن إياس ابن سهل لجهني) .
উত্তম ইমান হলো আল্লাহর জন্য ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্য শত্রুতা করা এবং তোমার যবান আল্লাহর যিকির দ্বারা সিক্ত থাকা।
74 – “أفضل الإيمان الصبر والسماحة” (خ في التاريخ من حديث عبيد بن عمير عن أبيه) (الديلمي عن معقل بن يسار) .
উত্তম ইমান হলো ধৈর্য ও দয়ার্দ্রতা।
75 – “أفضل الإيمان خلق حسن” (طب عن عمرو بن عبسة) .
উত্তম ইমান হলো সুন্দর স্বভাব-চরিত্র।
76 – “أفضل الإسلام من سلم المسلمون من لسانه ويده” (خ م ت ن طب عن أبي موسى) (طب عن عمرو بن عبسة) (ط والدارمي وعبد بن حميد ع طس طص عن جابر) (طب ق عن ابن عمر) .
উত্তম ইসলাম হলো যার যবান ও হাত থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।
77 – “أفضل الإسلام من سلم المسلمون من لسانه ويده وأكمل المؤمنين إيمانا أحسنهم خلقا وأفضل الصلاة طول القنوت وأفضل الصدقة جهد المقل” (ابن نصر عن جابر)
উত্তম ইসলাম হলো যার যবান ও হাত থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে। পরিপূর্ণ ইমানদার ঐ ব্যক্তি যার চরিত্র সবার চেয়ে উত্তম। উত্তম নামায হলো যার কিয়াম দীর্ঘ হয়। আর উত্তম সাদকা হলো দরিদ্র ব্যক্তির সাদকা।
78 – “إن لله مائة وسبعة عشر شريعة من وافاه بخلق منها دخل الجنة” (بز عن عثمان) .
আল্লাহ তাআলার একশত সতেরটি গুণ রয়েছে। যদি কেউ একটি গুণ দ্বারাও গুণান্বিত হয়ে যায় তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
79 – “إن لله مائه خلق وسبعة عشر خلقا فمن أتاه بخلق واحد منها دخل الجنة” (ط والحكيم ع عن عثمان) وضعف.
আল্লাহ তাআলার একশত সতেরটি গুণ রয়েছে। তার মধ্য থেকে যদি কাউকে একটি গুণও প্রদান হয়, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
80 – “إن لله عز وجل لوحا من زبرجد أخضر جعله تحت العرش كتب فيه أني أنا الله لا إله إلا أنا أرحم الراحمين خلقت بضعة عشر وثلثمائة خلق من جاء بخلق منها مع شهادة أن لا إله إلا الله دخل الجنة” (طس وأبوالشيخ في العظمة عن أنس) وضعف.
আল্লাহ তাআলার নিকট সবুজ বর্ণের পাথর বিশিষ্ট একটি পবিত্র ফলক আছে, যা আরশের নিচে অবস্থিত। যার মধ্যে লিখা আছে- আমি আল্লাহ! আমি ব্যতীত কোন মাবুদ নাই। আমিই সবচেয়ে বেশী রহমকারী। আমি তিনশত দশেরও বেশী সুন্দর চরিত্র সৃষ্টি করেছি। যে ব্যক্তি এর মধ্য থেকে কোন একটি সুন্দর চরিত্র নিয়ে এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর’ সাক্ষ্যসহ আসে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
81 – “إن لله تعالى ثلثمائة وخمس عشر شريعة يقول الرحمن وعزتي لا يأتيني عبد من عبادي لا يشرك بي شيئا بواحدة منهن إلا أدخلته الجنة” (الحكيم عن أبي سعيد) .
আল্লাহ তাআলার তিনশত পনরটি গুণ আছে। আর দয়াময় আল্লাহ তাআলা বলেন- আমার ইযযতের শপথ! আমার কোন বান্দা আমার নিকট এই অবস্থায় আসে যে, সে ঐসব গুণের মধ্যে আমার সাথে কাউকে শরীক করে নি, তাহলে তাকে আমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করাব।
82 – “إن بين يدي الرحمن لوحا فيه ثلثمائة وخمس عشر شريعة يقول الرحمن وعزتي وجلالي لا يأتي عبد من عبادي لا يشرك بي شيئا فيه واحدة منها إلا دخل الجنة” (عبد بن حميد عن أبي سعيد) ضعف.
দয়াময় আল্লাহর নিকট একটি ফলক আছে। যার মধ্যে তিনশত পনরটি গুণাবলী আছে। দয়াময় আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার সম্মান ও মহত্মের কসম! আমার যে বান্দাই এই গুণাবলীতে আমার সাথে কাউকে শরীক না করে আমার কাছে আসবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
83 – “الإيمان ثلثمائة وثلاثون شريعة من وافى شريعة منها دخل الجنة” (طس طب حب وابن النجار عن المغيرة بن عبد الرحمن بن عبيد عن أبيه عن جده) وضعف.
ইমান তিনশত তিরিশটি গুণাবলীর নাম। যদি কেউ একটির দ্বারাও গুনান্বিত হয়ে যায়, তবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
84 – “الإيمان سبعون أو اثنان وسبعون بابا أرفعه لا إله إلا الله وأدناه إماطة الأذى عن الطريق والحياء شعبة من الإيمان” (حب عنه)
ঈমানের সত্তর অথবা বাহাত্তরটি শাখা রয়েছে। এর সর্বোচ্চ শাখা হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এবং সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা। আর লজ্জা ইমানের একটি শাখা।
85 – “إن الرجل لا يكون مؤمنا حتى يكون قلبه مع لسانه سواء ويكون لسانه مع قلبه سواء ولايخالف قوله عمله ويأمن جاره بوائقه” (ابن بلال في مكارم الأخلاق) .
কোন ব্যক্তি ইমানদার হতে পারবে না সে পর্যন্ত- যে পর্যন্ত তার অন্তরের সাথে যবানের এবং যবানের সাথে তার অন্তরের মিল না হবে । আর তার কথা ও কাজের বিরোধিতা দূর না হবে। আর তার প্রতিবেশী তার কষ্ট থেকে নিরাপদ না হবে।
86 – “الإيمان في قلب الرجل يحب الله عز وجل” (الديلمي وابن النجار عن أبي هريرة) .
ইমান ঐ ব্যক্তির অন্তরে স্থান লাভ করে যে আল্লাহর প্রতি মহব্বত রাখে।
87 – “الإيمان عريان وزينته الحياء ولباسه التقوى وماله الفقه” (ابن النجار عن أبي هريرة) (الخرائطي في مكارم الأخلاق عن وهب (ابن منبه) معروف
ইমান অনাবৃত- লজ্জা তার সৌন্দর্য, তাকওয়া তার পোষাক এবং বুঝ-বিবেচনা তার সম্পদ।
88 – “ثلاث من الإيمان الإنفاق في الإقتار وبذل السلام للعالم والإنصاف من نفسك” (بز طب عن عمار) ورجح بز وقفه
তিনটি বিষয় ইমানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। সংকটাবস্থায় দান করা। আলিমকে সালাম করা এবং নিজের ব্যাপারে ইনসাফ করা।
89 – “ثلاث خلال من جمعهن فقد جمع خلال الإيمان الانفاق من الاقتار والانصاف من نفسك وبذل السلام للعالم” (حل عن عمار) .
তিনটি বিষয় যে নিজের মধ্যে জমা করেছে, নিশ্চিত সে ইমানের গুণাবলী জমা করেছে। দারিদ্রতা ও সংকটাবস্থায়ও দান করা। নিজের ব্যাপারে ইনসাফ করা এবং আলিমকে সালাম করা।
90 – “من أحب لله وأبغض لله وأعطى لله ومنع لله فقد استكمل الإيمان” (حم عن معاذ بن أنس) .
যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মহব্বত করল এবং আল্লাহর জন্যই রাগান্বিত হলো। আল্লাহর জন্য কাউকে দিল এবং আল্লাহর জন্যই দেয়া থেকে বিরত থাকল- তবে সে তার ইমানকে পূর্ণ করে নিল।
91 – “والله لا يكون أحدكم مؤمنا حتى أكون أحب إليه من ولده ووالده” (ك عن فاطمة بنت عتبة) .
আল্লাহর শপথ! তোমাদর মধ্যে কেউ সে পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না আমি তার নিকট তার সন্তান-সন্ততী এবং তার পিতা-মাতা থেকেও বেশী প্রিয় না হব।
92 – “لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من نفسه” (حم عن عبد الله بن هشام) .
তোমাদর কেউ সে পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না আমি তার নিকট তার নিজের থেকেও বেশী প্রিয় না হব।
93 – “لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من نفسه، وأهلي أحب إليه من أهله، وعترتي أحب إليه من عترته، وذريتي أحب إليه من ذريته” (طب هب عن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن أبيه) .
তোমাদর কেউ সে পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না আমি তার নিকট তার নিজের থেকে, আমার পরিবার তার পরিবার থেকে, আমার বংশ তার বংশ থেকে এবং আমার সন্তান-সন্ততী তার সন্তান-সন্ততী থেকে বেশী প্রিয় না হবে।
94 – “لا يؤمن أحدكم حتى يحب المرء لا يحبه إلا لله” (حم عن أنس) .
তোমাদর কেউ সে পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না সে আল্লাহর জন্যই কাউকে মহব্বতকারী না হয়ে যাবে।
95 – “لا يؤمن عبد حتى يحب للناس مايحب لنفسه من الخير” (الخرايطي في مكارم الأخلاق عن أنس) .
তোমাদর কেউ মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না সে অপরের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, নিজের জন্য যা পছন্দ করে।
96 – “لا يؤمن أحدكم حتى يحب لأخيه مايحب لنفسه والمسلم من سلم المسلمون من لسانه ويده، لا يؤمن أحدكم حتى يأمن جاره شره” (ابن عساكر عن اسيد بن عبد الله بن زيد القسري عن أبيه عن جده) .
তোমাদর কেউ সে পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না সে অপরের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, নিজের জন্য যা পছন্দ করে। আর মুসলমান হলো সে, যার মুখ ও হাত হতে অপর ব্যক্তি নিরাপদ থাকে। আর তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট হতে নিরাপদ না হবে।
97 – “لا يؤمن عبد حتى يكون لسانه وقلبه سواء وحتى يأمن جاره بوائقه ولايخالف قوله فعله” (ابن النجار عن أنس) .
কোন বান্দা সে পর্যন্ত ইমানদার হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তার যবান ও অন্তর সমান না হবে। তার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট হতে নিরাপদ না হবে এবং তার কথা ও কাজের বিরোধিতা দূর না হবে।
98 – “لا يجد العبد صريح الإيمان حتى يحب ويبغض لله فإذا أحب لله وأبغض لله فقد استحق الولاية من الله وإن أولياي من عبادي وأحباي من خلقي الذين يذكرون بذكري وأذكر بذكرهم” (طب عن ابن عمرو بن الحمق) .
কোন বান্দা ইমানকে ভালভাবে লাভ করতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তার মহব্বত ও ঘৃণা আল্লাহর জন্যই না হয়ে যাবে। অতএব যখন সে আল্লাহর জন্যই মহব্বত ও শত্রুতা পোষণকারী হয়ে যাবে, তখন সে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার নৈকট্য লাভের যোগ্য হয়ে গেল। (আল্লাহ তাআলা বলেন) আর আমার বান্দাদের মধ্যে আমার বন্ধু এবং আমার সৃষ্টির মধ্যে আমার প্রিয় বান্দা সে, যে আমার যিকির করে, আমাকে স্মরণ করে আর আমিও তাকে স্মরণ করি।
99 – “لا يحق العبد حقيقة الإيمان حتى يغضب لله ويرضى لله فإذا فعل ذلك فقد استحق حقيقة الإيمان وإنما أحباي وأولياي الذين يذكرون بذكري وأذكر بذكرهم” (طس عن محمد بن عمرو بن الحمق) *وضعف
কোন বান্দা ইমানের হাকীকত পর্যন্ত পৌছতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তার ক্রোধ ও ঘৃণা আল্লাহর জন্যই না হয়ে যাবে। অতএব যখন সে অবস্থা সৃষ্টি হয়ে যাবে, তখন সে ইমানের হাকীকত লাভের যোগ্য হয়ে গেল। আর আমার প্রিয় ও আমার বন্ধু তারা, যারা আমার যিকির করে, আমাকে স্মরণ করে আর আমিও তাদেরকে স্মরণ করি।
100 – ” لا يحق العبد حق صريح الإيمان حتى يحب لله ويغضب فإذا أحب لله وأبغض فقد استحق الولاية من الله تعالى فإن أولياي من عبادي وأحباي من خلقي الذين يذكرون بذكري وأذكر بذكرهم” (حم عن ابن عمر بن الحمق) .
কোন বান্দা পূর্ণ ইমানদারের যোগ্য ঐ পর্যন্ত হতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তার ভালবাসা ও ঘৃণা আল্লাহর জন্যই না হয়ে যাবে। অতএব যখন সে আল্লাহর জন্যই মহব্বত ও শত্রুতা পোষণকারী হয়ে যাবে, তখন সে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার নৈকট্য লাভের যোগ্য হয়ে গেল। (আল্লাহ তাআলা বলেন) আর আমার বান্দাদের মধ্যে আমার বন্ধু এবং আমার সৃষ্টির মধ্যে আমার প্রিয় বান্দা সে, যে আমার যিকির করে, আমাকে স্মরণ করে আর আমিও তাকে স্মরণ করি।
101 – “لا يبلغ العبد حقيقة الإيمان حتى يحب للناس مايحب لنفسه من الخير” (ع حب ص عن أنس) .
কোন বান্দা ইমানের হাকীকত পর্যন্ত ততক্ষণ পৌছতে পারবে না, যে পর্যন্ত না সে অপরের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে।
102 – “لا يبلغ العبد حقيقة الإيمان حتى يعلم أن ما أصابه لم يكن ليخطئه وما أخطأه لم يكن ليصيبه” (س وحسنه طب كر عن أبي الدرداء) .
কোন বান্দা ইমানের হাকীকত পর্যন্ত ততক্ষণ পৌছতে পারবে না, যে পর্যন্ত না সে জেনে নিবে যে, যেই মুসিবত ও বিপদ তার উপর আপতিত হয়েছে তা তার উপর আপতিত না হয়ে থাকত না। আর যা তার উপর আপতিত হয়নি তা কখনো আপতিত হত না।
103 – ” لكل شيء حقيقة ومايبلغ العبد حقيقة الإيمان حتى يحب للناس مايحب لنفسه وحتى يأمن جاره من بوائقه” (كر عن ابن عمر) .
প্রত্যেক জিনিসের একটি হাকীকত আছে। আর কোন বান্দা ইমানের হাকীকত পর্যন্ত ততক্ষণ পৌছতে পারবে না, যে পর্যন্ত না সে অপরের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে। আর যে পর্যন্ত না তার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ না হবে।
104 – “لا يبلغ عبد حقيقة الإيمان حتى يحب للناس مايحب لنفسه” (ابن جرير عن ابن عمر) .
কোন বান্দা ইমানের হাকীকত পর্যন্ত ততক্ষণ পৌছতে পারবে না, যে পর্যন্ত না সে অপরের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে।
105 – ” أوثق عرى الإسلام أن تحب في الله وتبغض في الله” (ابن أبي الدنيا في كتاب الإخوان عن البراء) .
ইমানের মজবুত কড়া হলো আল্লাহর জন্যই ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্যই ঘৃণা ও শত্রুতা পোষণ করা।
106 – “لا يستكمل عبد الإيمان حتى يحب لأخيه مايحب لنفسه وحتى يخاف الله في مزاحه وجده” (أبو نعيم في المعرفة عن أبي مليكة الداري
কোন বান্দা ইমানকে ঐ পর্যন্ত পূর্ণ করতে পারবে না, যে পর্যন্ত না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে। আর যে পর্যন্ত না সে, তার হাসি-মজাক ও গুরু-গাম্ভীর্যে আল্লাহকে ভয় না করবে।
107- “لايستكمل العبد الإيمان حتى يكون فيه ثلاث خصال الانفاق في الاقتار والانصاف من نفسه وبذل السلام” (الخرائطي في مكارم الأخلاق عن عمار بن ياسر) الديلمي عن أنس.
কোন বান্দা ইমানকে ঐ পর্যন্ত পূর্ণ করতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তার মধ্যে তিনটি গুণের সমাবেশ না ঘটবে। দারিদ্র ও সংকটাবস্থায়ও ব্যয় করা ও দান করা। নিজের উপর ইনসাফ করা এবং সালাম করা।
108 – “تطعم الطعام وتقري السلام على من عرفت ومن لم تعرف” (حم خ م د ن هـ عن ابن عمر) “إن رجلا سأل رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم أي الإسلام خير قال” فذكره.
আহার করাও এবং পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম প্রদান কর।
এক ব্যক্তি রাসূলূ্ল্লাহ (সা) কে প্রশ্ন করেছিল- কোন ইসলাম উত্তম? তখন রাসূলুল্লাহ (সা) উক্ত ইরশাদ করেন।