💠 বিষয়ঃ- আশুরার দিনের আমলআশুরার দিনের বদরুছম
সংগ্রহঃ- পারের তরী।
✍ লেখকঃ- আবদে রাসুল (ﷺ) আল্লামা মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী হানাফী, ক্বদেরী। খলিফায়ে, খানদানে আলা হযরত ইউ.পি ভারত।
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকঃ- জামি'আ-এ ইলমে মদিনা।
রেজভীয়া দরগাহ শরীফ, সতরশ্রী, নেত্রকোনা।

✔ এ দিনের আমল অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমরা আশুরার দিনে রোযা রাখ এবং এতে ইয়াহুদীদের বিপরীত করতে এ দিনের পূর্বে এবং পরেও একদিন রোযা রাখ। (বায়হাক্বী)

অর্থাৎ ৯, ১০ ও ১১ মুহাররম রোযা রাখার কথা বলা হয়েছে।

🔲 হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ফরমান- আল্লাহ'র নিকট আমি আশা করি যে, আশুরার রোযা বিগত বছরের গুনাহকে মিটিয়ে দিবে। (মুসলিম শরীফ)

🔳 হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, জাহেলী যুগে কুরাইশরা আশুরার রোযা রাখত এবং রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নবুওয়্যাত ঘোষনা করার পূর্বে এ দিনে রোযা রাখতেন। এমনকি হিজরতের পরেও মদিনা মুনাওয়ারায় তিনি আশুরার রোযা রাখতেন এবং অন্যদের রাখতে বলতেন। আর এটা এমন দিন ছিল যাতে খানায়ে কা'বায় গিলাপ চড়ানো হত। কিন্তু যখন রমদ্বানের রোযা ফরজ করা হয়েছে তখন তিনি আশুরার রোযা (ফরজ হিসাবে) রাখা ছেড়ে দিলেন। আর তা ইচ্ছাধীন করে দিলেন যে, - যে চাইবে রাখবে, যে চাইবে না রাখবে না। (বুখারী ও মুসলিম)

🔳 নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিন স্বীয় পরিবারের জন্য মুক্ত হস্তে ব্যয় করবে, আল্লাহ তাঁকে পূর্ণ বছর সচ্ছলতা দান করবেন। (বায়হাক্বী)

আল্লাহ পাক আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুক।(আমিন)

✔ আশুরার দিনের বদরুছম

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এ যে, এ মুবারক মাসে প্রত্যেক মুসলমান বিদ'আত, বদরুছম, গুনাহ ও অন্যায় কাজে সচরাচর নিমজ্জিত রয়েছে। শহরে বন্দরে, গ্রাম-গঞ্জে মহিলারা সুসজ্জিত হয়ে স্বীয় ঘর থেকে বের হচ্ছে, আর বেগানা ব্যক্তিদেরকে দর্শনের আমন্ত্রণ করছে এবং নিজেও বেগানা পুরুষদেরকে দেখছে- এগুলো কিন্তু সাধারণ গুনাহ নয়। এতে দুঃখের বিষয় এটাও যে, এর দ্বারা তাদের স্বীয় সতীত্বের আচল উন্মোক্ত করা হয় এবং এতে অমুসলিমদের কাছে ইসলামকে উপহাস পরিণত করা হয়।(নাউজুবিল্লাহ)

মুসলমানদের উচিৎ হচ্ছে যে, শিয়া-রাফেযীদের অনুসরণ থেকে নিজেরা বাঁচবে এবং স্বীয় স্ত্রী সন্তানদেরকে রক্ষা করবে। শিয়াদের আলম বা বিশেষ পতাকা তখত ও তাজিয়ার সাথে ইসলামের তথা আহলুস সুন্নাতের কোন সম্পর্ক নেই। আর না আছে দ্বীনের মধ্যে এর কোন আছল বা ভিত্তি। এতে বাজনাসহ যাবতীয় কর্মসমূহ ইয়াযীদী কর্ম এবং কবীরা গুনাহ। তবে হ্যাঁ, নজর ও নিয়ায আল্লাহ তা'আলার দরবারে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসনীয়। খুব ভাল ভাবে "ঈসালে ছাওয়াব" করবে, মৃত আপনজন বিশেষত শুহাদায়ে কারবালা এবং অন্যান্য বুযুর্গানে দ্বীনকে এর ছাওয়াব হাদিয়া করবে। কেননা এতে অধিক পরিমানে ছাওয়াব রয়েছে। যে ব্যক্তি ঈসালে ছাওয়াব করবে, সে দশগুণ বেশি ছাওয়াব পাবে। (সূফী ইকবাল আহমদ নূরী)

Top