ধৈর্য ও নামায আল্লাহর সাহায্য লাভের দুটি উপায়

(কৃতজ্ঞতায়ঃ দুররুস সা'আদাত) 

ইমাম সুয়ূতী (রহ) রচিত হাদীস ভিত্তিক তাফসীর গ্রন্থ ‘তাফসীর আদ দুররে মানসূর’ থেকে সংকলিত
সূরা বাকারা:৪৫ এর তাফসীর

وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ
তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর।– সূরা বাকারা:৪৫

আল্লাহর বাণী
وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ
তোমরা ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য চাও

আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা লাভের দুটি উপায়
ইমাম আব্দ ইবনে হুমায়দ হযরত কাতাদাহ (রহ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
إنَّهُمَا معونتان من الله فاستعينوا بهما
নামায আর সবর হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য লাভের উপায়। সুতরাং তোমরা এই দুটির মাধ্যমে সাহায্য অন্বেষণ কর।

সবরের প্রকার
ইমাম ইবনে আবী হাতিম (রহ) হযরত উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন-
الصَّبْر صبران: صَبر عِنْد الْمُصِيبَة حسن وَأحسن مِنْهُ الصَّبْر عَن محارم الله
সবর দুই প্রকার। এক হলো মুসিবতে সবর করা আর তা উত্তম। অপর হলো আল্লাহর হারামকৃত বিষয়ের উপর সবর করা আর তা আরো উত্তম।
ইমাম ইবনে আবিদ দুনইয়া কিতাবুস সবরে, আবুশ শায়খ কিতাবুস সাওয়াবে, দায়লামী মুসনাদ আল ফিরদাউসে হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-
الصَّبْر ثَلَاثَة فَصَبر على الْمُصِيبَة وصبر على الطَّاعَة وصبر على الْمعْصِيَة
সবর তিন প্রকার। মুসিবতে সবর, আল্লাহর আনুগত্যের উপর সবর এবং পাপ কাজের ব্যাপারে সবর।

ধৈর্য ও সবরের সাথেই রয়েছে আল্লাহর সাহায্য
ইমাম দারাকুতনী আফরাদে, ইবনে মিরদুইয়া, বায়হাকী এবং ইস্পাহানী কিতাবুত তারগীবে হযরত সাহল ইবনে আস সায়িদী (রা) থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ (সা) হযরত ইবনে আব্বাস (রা) কে বলেন- হে বৎস! আমি কি তোমাকে কিছু কথা বলব না যার দ্বারা আল্লাহ তোমার উপকার করবেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন-
احفظ الله يحفظك احفظ الله تَجدهُ أمامك تعرف إِلَى الله فِي الرخَاء يعرفك فِي الشدَّة فَإِذا سَأَلت فَسَأَلَ الله وَإِذا استعنت فَاسْتَعِنْ بِاللَّه جف الْقَلَم بِمَا هُوَ كَائِن فَلَو جهد الْعباد أَن ينفعوك بِشَيْء لم يَكْتُبهُ الله عَلَيْك لم يقدروا عَلَيْهِ وَلَو جهد الْعباد أَن يضروك بِشَيْء لم يَكْتُبهُ الله عَلَيْك لم يقدروا عَلَيْهِ فَإِن اسْتَطَعْت أَن تعْمل لله بِالصّدقِ فِي الْيَقِين فافعل فَإِن لم تستطع فَإِن فِي الصَّبْر على مَا تكره خيرا كثيرا وَاعْلَم أَن النَّصْر مَعَ الصَّبْر وَأَن الْفرج مَعَ الكرب وَأَن مَعَ الْعسر يسرا
তুমি আল্লাহর (বিধানসমূহের) হিফাযত করবে, তাহলে তিনি তোমার হিফাযত করবেন। আল্লাহর বিধান মেনে চলবে তাহলে তাকে তোমার সামনে সদয় পাবে। সুখের সময় তুমি আল্লাহকে চিনবে, তাহলে কষ্টের সময় তিনি তোমাকে চিনবেন। যখন কিছু চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে। যখন সাহায্য চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইবে। জীবনে যা ঘটবে তা লিখা হয়ে গেছে।
জেনে রাখ! সমস্ত মানুষ যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ যা তোমার তাকদীরে লিখে রেখেছেন তা ছাড়া আর কোন উপকার তারা তোমার করতে পারবে না। অপরদিকে তারা সকলে মিলে যদি তোমার কোন ক্ষতি করার ইচ্ছা করে তবু আল্লাহ তোমার জন্য যা লিখে রেখেছেন তার বাইরে তারা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। অতএব ইখলাস ও একনিষ্ঠতা এবং ইয়াকীন ও দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে আমল করে যাও। জেনে রাখ! অপছন্দনীয় বিষয়ে ধৈর্যধারণ করার মাঝে অনেক কল্যাণ রয়েছে। ধৈর্যের সাথেই রয়েছে আল্লাহর সাহায্য। বিপদের পরেই রয়েছে মুক্তি। আর কষ্টের পরই সুখ।

ইলম বা জ্ঞান মুমিনের বন্ধু
হাকিম তিরমিযী নাওয়াদিরুল উসূলে হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি একদিন হযরত রাসূলুল্লাহ (সা) এর সাথে তার পিছনে সওয়ার ছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলব না যার দ্বারা আল্লাহ তোমাকে উপকৃত করবেন? আমি বললাম, অবশ্যই বলুন। তিনি (সা) বললেন-
عَلَيْك بِالْعلمِ فَإِن الْعلم خَلِيل الْمُؤمن والحلم وزيره وَالْعقل دَلِيله وَالْعَمَل قيمه والرفق أَبوهُ واللين أَخُوهُ وَالصَّبْر أَمِير جُنُوده
তুমি ইলম শিখবে ও তা আঁকড়ে থাকবে, কেননা ইলম হলো মুমিনের বন্ধু। আর হিলম বা সহনশীলতা হলো তার উযির। আকল মুমিনের পথপ্রদর্শক। আমল তার মূল্যবান পাথেয়। নম্রতা তার পিতা সদৃশ। ভদ্রতা তার ভাইয়ের সদৃশ। আর সবর তার সৈন্যবাহিনীর আমির।

উত্তম আমল
ইমাম ইবনে আবী শাইবাহ ও ইমাম বায়হাকী (রহ) হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) কে জিজ্ঞাসা করা হলো কোন আমল উত্তম? তিনি বললেন,-
الصَّبْر والسماحة
ধৈর্য ও নম্রতা।
জিজ্ঞাসা করা হলে কোন মুমিনের ইমান পূর্ণ? তিনি বললেন, যার চরিত্র উত্তম।

সবর ও ইমানের দৃষ্টান্ত

ইমাম ইবনে আবি শাইবাহ কিতাবুল ইমানে এবং বায়হাকী হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন-

الصَّبْر من الإِيمان بِمَنْزِلَة الرَّأْس من الْجَسَد إِذا قطع الرَّأْس نَتن بَاقِي الْجَسَد وَلَا إِيمَان لمن لَا صَبر لَهُ

সবর ইমানের মধ্যে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথার মত। যখন মাথা কেটে দেওয়া হয় তখন বাকী শরীরও নষ্ট হয়ে যায়। যার ধৈর্য নাই তার ইমানও নাই।

দুনিয়ার চিন্তা-ভাবনা থেকে বের হওয়ার উপায়

ইমাম ইবনে আবিদ দুনেইয়া এবং বায়হাকী (রহ) হযরত হাসান থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-

أَدْخِلْ نَفْسَكَ فِي هُمُومِ الدُّنْيَا، وَاخْرُجْ مِنْهَا بِالصَّبِرِ، وَلْيَرُدَّكَ عَنِ النَّاسِ مَا تَعْلَمُ مِنْ نَفْسِكَ

তুমি নিজেকে দুনিয়ার চিন্তা-ভাবনায় জড়িত কর। আর সবরের মাধ্যমে তা থেকে উত্তীর্ণ হয়ে যাও। আর তুমি নিজের ব্যাপারে যা জান, তা যেন তোমাকে অপরকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত রাখে।

আসক্তি ও চাহিদার ব্যাপারে ধৈর্য  

ইমাম বায়হাকী হযরত বারা ইবনে আযিব (রা) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-

من قضى نهمته فِي الدُّنْيَا حيل بَينه وَبَين شَهْوَته فِي الْآخِرَة وَمن مد عَيْنَيْهِ إِلَى زِينَة المترفين كَانَ مهيناً فِي ملكوت السَّمَاء وَمن صَبر على الْقُوت الشَّديد أسْكنهُ الله الفردوس حَيْثُ شَاءَ

যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তার (সব) চাহিদাকে পূর্ণ করেছে আখিরাতে তার ও তার চাহিদার মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার ভোগ-বিলাসীদের প্রাচূর্য ও জাঁকজমকের দিকে লালসার দৃষ্টি দিবে সে আসমানের বাদশার (আল্লাহ) নিকট হেয় হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি টানাটানি ও কষ্ট-ক্লেশের রিযিকে ধৈর্যধারণ করবে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের যেখানে খুশি অবস্থান করাবেন।

সফল যে ব্যক্তি
ইমাম আহমদ, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, এবং ইমাম বায়হাকী তার শব্দে হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-
قد أَفْلح من أسلم وَكَانَ رزقه كفافاً وصبر على ذَلِك
ঐ ব্যক্তি সফলকাম- যে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ রিযিক পেয়েছে আর এর উপর ধৈর্য ধারণ করেছে।

সুসংবাদ যার জন্য
ইমাম বায়হাকী (রহ) হযরত আবুল হুয়ায়রিস (রা) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-
طُوبَى لمن رزقه الله الكفاف وصبر عَلَيْهِ
সুসংবাদ তার জন্য- যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রিযিক পেয়েছে এবং এর উপর ধৈর্য ধারণ করেছে।

উত্তম যে ব্যক্তি
ইমাম বুখারী মুফরাদে, তিরিমিযী ও ইবনে মাজাহ হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-
الْمُسلم الَّذِي يخالط النَّاس ويصبر على أذاهم خير من الْمُسلم الَّذِي لَا يخالط النَّاس وَلَا يصبر على أذاهم
যে মুসলমান লোকজনের সাথে মিলে-মিশে থাকে এবং তাদের দেওয়া কষ্টে ধৈর্যধারণ করে সে ঐ মুসলমান থেকে উত্তম- যে লোকদের সাথে মিলে-মিশে থাকে না এবং তাদের দেওয়া কষ্টে ধৈর্যধারণ করে না।

কোন কষ্ট ও মুসিবতে ধৈর্য ধারণের নগদ প্রতিদান
ইমাম বায়হাকী হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন এবং তিনি এটাকে যয়ীফ বলেছেন- রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-
مَا صَبر أهل بَيت على جهد ثَلَاثًا إِلَّا أَتَاهُم الله برزق
যেই পরিবার কোন কষ্ট ও মুসিবতের উপর তিন দিন ধৈর্যধারণ করবে আল্লাহ তাদেরকে রিযিক দান করবেন (রিযিক বাড়িয়ে দিবেন)।
ইমাম বায়হাকী হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে আরো বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-
من جَاع أَو احْتَاجَ فكتمه النَّاس كَانَ حَقًا على الله أَن يرزقه رزق سنة من حَلَال
যে ব্যক্তি ক্ষুধার্থ রইল অথবা কোন প্রয়োজন দেখা দিল আর সে তা মানুষের থেকে গোপন রাখল। তবে আল্লাহর উপর হক হয়ে গেল যে, আল্লাহ তাকে এক বৎসরের হালাল রিযিক দান করবেন।

যার জন্য জান্নাত ওয়াজীব
ইমাম বায়হাকী হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে আরো বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-
مَا من مُؤمن تَقِيّ يحبس الله عَنهُ الدُّنْيَا ثَلَاثَة أَيَّام وَهُوَ فِي ذَلِك رَاض عَن الله من غير جزع إِلَّا وَجَبت لَهُ الْجنَّة
ঐ মুমিন মুত্তাকী যার থেকে আল্লাহ তাআলা তিনদিন দুনিয়াকে আটকে রখেছেন এবং সে এর উপর সবর করেছে আর কোন হা-হুতাশ করেনি, তবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজীব।

উত্তম ইমান
ইমাম আহম কিতাবুয যুহুদে এবং ইমাম বায়হাকী (রহ) হযরত হাসান থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-
أفضل الإِيمان الصَّبْر والسماحة
উত্তম ইমান হলো ধৈর্য ও নম্রতা।

আল্লাহর বাণী
وَالصَّلَاةِ
এবং নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও

কোন প্রয়োজন ও সংকট দেখা দিলে রাসূলুল্লাহ (সা) যা করতেন
ইমাম আহমদ, আবু দাউদ এবং ইবনে জারির হযরত হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন-
كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا حز بِهِ أَمر فزع إِلَى الصَّلَاة
যখনই রাসূলুল্লাহ (সা) এর কোন প্রয়োজন বা সংকট দেখা দিত তখনই তিনি নামাযে দাড়িয়ে যেতেন।

ইমাম ইবনে আবিদ দুনইয়া এবং ইবনে আসাকির হযরত আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন-
كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا كَانَت لَيْلَة ريح كَانَ مفزعه إِلَى الْمَسْجِد حَتَّى يسكن وَإِذا حدث فِي السَّمَاء حدث من كسوف شمس أَو قمر كَانَ مفزعه إِلَى الصَّلَاة
যেই রাতে ঝড়ো হাওয়া বইত সেই রাতে মসজিদ রাসূলুল্লাহ (সা) এর আশ্রয়স্থল হত- যে পর্যন্ত না তা শান্ত হত। আর আকাশে কোন বিপর্যয় ঘটলে যেমন সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ- তখন তিনি নামাযের আশ্রয় নিতেন।

নবীদের নীতি- বিপদ ও সংকটে নামায আর নামায
আহমদ নাসাঈ ও ইবনে হিব্বান হযরত সুহাইব (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন-
كَانُوا – يَعْنِي الْأَنْبِيَاء – يفزعون إِذا فزعوا إِلَى الصَّلَاة
তারা অর্থাৎ আম্বিয়া কিরাম যখন কোন ভয়ের সম্মুখীন হতেন তখন নামাযে মনোনিবেশ করতেন।

মৃত্যু সংবাদে বা  কোন দুঃসংবাদে নামায পড়া
সাঈদ ইবনে মানসূর, ইবনুল মুনযির, ইবনে জারির এবং বায়হাকী (রহ) হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন- হযরত ইবনে আব্বাস (রা) সফরে ছিলেন। এমন সময় তার এক সন্তানের মৃত্যু সংবাদ তাকে দেওয়া হয়। তখন তিনি সওয়ারী থেকে নেমে দুই রাকাত নামায আদায় করেন এবং ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পাঠ করে বললেন- আমাদের সেই কাজই করা উচিত যার প্রতি আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন-
وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ
তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর।– সূরা বাকারা:৪৫

ইমাম বায়হাকী শুআবুল ইমানে হযরত উবাদা ইবনে মুহাম্মদ উবাদা ইবনুস সামিত (রা) থেকে বর্ণনা করেন। যখন হযরত উবাদা (রা) এর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলো, তখন তিনি বললেন- তোমাদের কোন ব্যক্তির আমার জন্য ক্রন্দন করা বৈধ নয়। অতএব যখন আমার রূহ কবয হয়ে যাবে তখন তোমরা ওযু করবে এবং খুব ভালভাবে ওযু করবে। অতঃপর তোমরা সবাই মসজিদে গিয়ে নামায পড়বে। অতঃপর আল্লাহর সব বান্দা এবং নিজেদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন- “তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর।” এরপর দ্রুত আমাকে দাফন করে দিবে।

Top