প্রকৃত অবস্থা: ফাতিমা রা.’র বিদায় ও হাশর
🖋 Golam Dasgir Lisani
খুব কষ্ট লাগে, যখন ফাতিমা বিনতে রাসূল দ.’র বিষয়ে হাদীস বলতে শুধু এগুলো বলা হয়-
ক. যদি মুহাম্মাদ দ.’র কন্যা ফাতিমাও চুরি করতেন, তবে তারও হাত কাটা হতো।
খ. কবরের আযাব এমন ভয়ানক, কবরে রাখার পর...
গ. সেবিকা চাওয়ায় রাসূল দ. বরং ভাল কিছু দিলেন, কিছু যিকর দিলেন...
জন্ম থেকে এই তিনটা হাদীসই তো খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা রা. বিষয়ে শুনে এসেছেন, তাই না? কারণ আছে। আপনাকে রাজা-চেক দিয়ে রাখা হয়েছে। ফাতিমা রা. হলেন কুইন অভ আহলাল বাইত, তিঁনিই হার্ট, তিঁনিই কোর। এই কুইন চেক দিয়ে রাখতে পারলে আপনি আর আহলাল বাইত নিয়ে এগুতে পারবেন না। খুব ভেবেচিন্তে কাজগুলো করা হয়েছে। বেছে বেছে ডিস্টিল্ড ওয়াটারের হাদীস দেয়া হচ্ছে আপনাকে। মিনারেল ওয়াটারে যদি আবার বদহজম হয়! একেবারে জন্ম থেকে আপনাকে খুব সাবধানে নিরামিষ টাইপ হাদীস গেলানো হয়েছে। আর যাই হোক, ভুলেও যেন আহলাল বাইতের প্রতি ভালবাসা জন্মে না যায়, আর জন্মালে যেন গভীর না হয়। তো আমরা তো যবনিকাই তুলছি ক’দিন ধরে, তাই না?
অবিশ্বাস্য সব হাদীস আহলাল বাইত নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি। প্রায় একশোর মত অবিশ্বাস্য হাদীস গত দু সপ্তাহে। চলুক ওটাই।
ডিস্টিল্ড ওয়াটার ছুঁড়ে ফেলুন, এমনকি কিপ মিনারেল ওয়াটার অ্যাসাইড। লেটস হ্যাভ সাম মোর স্পার্কলিং ওয়াটার। চাইলে এখানে আপনি স্পার্কলিং ওয়াটারকে আবে কাউসারও তরজমা করতে পারেন... :)
নিচের হাদীসগুলো পড়ে ভাবুন তো, খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা রা. সম্পর্কে আগে কী ধারণা ছিল আর এখন ধারণা কেমন হচ্ছে? এই ধারণাটাকেই রিশেপ দিতে হবে।
১.
নিশ্চই যে ব্যক্তি সবার প্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করবেন তিনি হলেন ফাতিমা রা.।
২.
-ইয়া রাসূলআল্লাহ্ দ.! আপনি কি হাশরেও আপনার উটে সওয়ার হবেন?
-না। হাশরের ময়দানে আমি বোরাকের উপর সওয়ার হব, আর ফাতিমা আমার উট উজবার উপর।
(আলী রা. বর্ণিত)
৩.
হাশরের দিনে নবীগণ নিজ নিজ সওয়ারে চড়বেন। সালিহ আ. তাঁর সেই উটেই সওয়ার হবেন। আমি সওয়ার হব বোরাকে, যার একেকটা পদক্ষেপ চোখ যতদূর দেখতে পায় ততদূর চলে, আর আমার সামনে রাখা হবে ফাতিমাকে।
(আবু হুরাইরা রা. বর্ণিত)
৪.
পুনরুত্থানের দিনে আমার মেয়ে সম্মানের পোশাক পরে উঠবেন। যে পোশাক আবে হায়াত দিয়ে ধোয়া হবে। তাঁকে দেখে সমস্ত সৃষ্টি স্তব্ধ হয়ে যাবে। তখন তাঁর গায়ে চড়ানো হবে জান্নাতের পোশাক। পোশাকের প্রতি স্তরে থাকবে আরো হাজার স্তর। প্রতি স্তরে সবুজ অক্ষরে লেখা থাকবে:
মুহাম্মাদ দ.’র কন্যাকে সবচে ভালভাবে জান্নাতে নিয়ে যাও। মহা সম্মানে, উচ্চ বরেণ্যতায়, গভীর সম্ভ্রমে।
তাঁকে ঘিরে রাখবে জান্নাতের ৭০ হাজার অসূর্যস্পর্শা নারী।
(আলী রা. বর্ণিত)
৫.
হাশরের দিনে আল্লাহ্’র কুরসির গভীর থেকে (অন্য কিছু রেওয়ায়েতে, পর্দার আড়াল থেকে) ঘোষক ঘোষণা করবে,
মানুষ! মাথা নত করে দাও। অবনত করো চোখ! মুহাম্মাদ দ.’র কন্যা ফাতিমা রা. সেতু (পুলসিরাত) পেরিয়ে যাবেন।
তাঁর সাথের ৭০ হাজার জান্নাতি নারী সত্ত্বা আলোর চমকের মত হবে।
৬.
উম্ম সালমা রা. বলেন:
ফাতিমা রা. শেষ সময়ে অসুস্থ থাকাকালে আমি তাঁর দেখাশোনা করেছি। সেদিন সকালে অবস্থা একটু ভাল ছিল, আলী রা. কাজে ছিলেন। ফাতিমা রা. বললেন,
-ও মা! আমার গোসলের জন্য কিছুটা পানি আনুন। যতটুকু দেখলাম তিঁনি সবচে ভালভাবে গোসল করলেন।
-ও মা! আমাকে নতুন পোশাক এনে দিন। আমি এনে দিলাম। তিনি পরিধান করলেন।
-ও মা! আমার বিছানা ঘরের মধ্যখানে করে দিন। আমি তাই করলাম।
এরপর ফাতিমা শুয়ে পড়লেন। মুখ করলেন কা’বার দিকে। হাত রাখলেন গালের নিচে। বললেন,
-ও মা! আমার চলে যাবার সময় হয়েছে। আর আমি নিজেকে ভালভাবে পূতপবিত্র করেছি। কেউ যেন আমার পোশাক স্পর্শ না করে।"
ঠিক সেই অবস্থাতেই ফাতিমা রা. চলে গিয়েছিলেন।
১.
Dhahabi said in Mizal-uz-itidal fi naqd ar-rijal (4:351) that Abu Salih Muazzin narrated it in Manaqib
Fatimah.
Asqalani also said the same in Lisan-ul-mizan (4:16).
Qazwini, at-Tadwin fi akhbar qazwin (1:457) 2. Hindi, Kanz-ul-ummal (12:110#34234)
২.
Ibn Asakir, Tarikh Dimashq al-kabir (10:353)
Ibn Asakir, Tarikh Dimashq al-kabir (10:352,353)
Hindi said in Kanz-ul-ummal (11:499#32340) Abu Nuaym and Ibn Asakir narrated it.
Daylami, al-Firdaws bi mathur al-khitab (1:44#107)
Ajlawni said in Kashf-ul-khifa wa muzil-ul-ilbas (1:236) Daylami narrated it through Abdullah bin Abbas
as a marfu tradition.
৩.
Hakim said in al-Mustadrak (3:166#4727) the tradition is sahih (sound) in accordance with the conditions
of Imam Muslim.
৪.
Muhibb Tabari, Dhakhair-ul-uqba fi manaqib dhaw-il-qurba (p.95)
৫.
Hakim, al-Mustadrak (3:166#4728)
Muhibb Tabari, Dhakhair-ul-uqba fi manaqib dhaw-il-qurba (p.94)
Ibn Athir, Usad-ul-ghabah fi-marifah as-sahabah (7:220)
Ajlawni, Kashf-ul-khifa wa muzil-ul-ilbas (1:101#263)
Hakim, al-Mustadrak (3:175#4757)
Ahmad bin Hambal, Fadail-us-sahabah (2:763#1344)
Tabarani, al-Mujam-ul-kabir (1:108#180)
Tabarani, al-Mujam-ul-kabir (22:400#999)
Tabarani, al-Mujam-ul-awsat (3:35#2386)
Haythami, Majma-uz-zawaid (9:212)
Khatib Baghdadi, Tarikh Baghdad (8:142)
Muhibb Tabari, Dhakhair-ul-uqba fi manaqib dhaw-il-qurba (p.94)
Ajlawni, Kashf-ul-khifa wa muzil-ul-ilbas (1:101#263)
Hindi, Kanz-ul-ummal (12:106#34211)
Hindi said in Kanz-ul-ummal (12:106#34210) that Abu Bakr narrated it in al- Ghilaniyat through Abu
Ayyub Ansari.
Khatib Baghdadi related it in Tarikh Baghdad (8:141) through Ayeshah with slightly different words.
Haytami said in as-Sawaiq-ul-muhriqah (2:557) Abu Bakr narrated it in al- Ghilaniyat.
Muhibb Tabari said in Dhakhair-ul-uqba fi manaqib dhaw-il-qurba (p.94) Abu Said Naqqash related
this tradition in Fawaid-ul-Iraqiyyin.
Hindi, Kanz-ul-ummal (12:105,106#34209, 34210)
Ibn Jawzi related it in Tadhkirat-ul-khawass (p.279) with slightly different words through Abdullah bin
Umar.
Haytami said in as-Sawaiq-ul-muhriqah (2:257) Abu Bakr narrated it in al-Gilaniyat.
Manawi, Fayd-ul-qadir (1:420,429)
৬.
Ahmad bin Hambal, Fadail-us-sahabah (2:629,725# 1074, 1243)
Dulabi, az-Zurriyah at-tahirah (p.113)
Haythami, Majma-uz-zawaid (9:211)
Zaylai, Nasb-ur-rayah (2:250)
Muhibb Tabari, Dhakhair-ul-uqba fi manaqib dhaw-il-qurba (p.103)
Ibn Athir, Usad-ul-ghabah fi marifah as-sahabah (7:221)