প্রশ্নঃ- মাযহাবের প্রয়োজন কেন?
উত্তরঃ- এখানে সহজে বুঝানোর জন্য বলছি- মাযহাব অর্থ পথ। কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত শরয়ী বিধানাবলী মানার পথের নাম হল মাযহাব। যেমন কুরআন ও হাদীসে অজুর কথা এসেছে। কিন্তু ওজুর ফরজ কয়টি? সুন্নত কয়টি? ওয়াজিব কয়টি? ইত্যাদি স্পষ্ট শব্দে আসেনি। তো মাযহাবের কিতাবে কুরআন ও হাদীসকে সামনে রেখে উক্ত বিষয়াবলীকে সাজিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
মাযহাব কোন আলাদা বস্তুর নাম নয়। বরং কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত বিধানাবলীর সুবিন্যাস্ত রূপের নাম।
এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে হাদীস থাকতে মাযহাব কেন? তাহলে প্রশ্ন করুন-
১) ওজুর ফরজ কয়টা?
২) নামাযের ফরজ কয়টা?
৩) ওজুর মুস্তাহাব কয়টা?
৪) গোসলের ফরজ কয়টা?
৫) নামাযের শর্ত কয়টা?
৬) ওজু ভঙ্গের কারণ কয়টা?
৭) নামায ভঙ্গের কারণ কয়টি?
এভাবে নামায, রোজা, হজ্ব, ওজু, যাকাত, ইত্যাদির, ফরজ, সুন্নাত, মুস্তাহাব, ভঙ্গের কারণ ইত্যাদি নির্দিষ্ট আকারে কেউ যদি হাদীস থেকে স্পষ্ট শব্দে দেখিয়ে দিতে পারে, তাহলে আসলে মাযহাবের কোন দরকারই নেই।
মাযহাবেরতো সৃষ্টিই হয়েছে কুরআন ও হাদীস বুঝার জন্য। এটির প্রয়োজনই হয়েছে কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত বিষয়াবলী স্পষ্ট করার জন্য।
সুতরাং হাদীস থাকতে মাযহাব কেন এমন প্রশ্ন মুর্খ ব্যক্তি ছাড়া আর কে করতে পারে?
মাযহাব যদি আলাদা কিছু হতো, তাহলে এমন প্রশ্ন যৌক্তিক হতো। কিন্তু মাযহাবতো আলাদা কোন বিষয়ই নয়। বরং কুরআন ও হাদীসেরই বিন্যাস্ত রূপ। তাহলে হাদীস থাকতে মাযহাব কেন? এমন প্রশ্ন অসাড় প্রশ্ন নয়কি?
এলজামী জবাব
মাযহাব তথা কুরআন ও হাদীস বিশেষজ্ঞদের কথা না মেনে শুধু হাদীস অনুপাতে নামায পড়তে চাইলে প্রশ্ন হল-
১
নামাযের ফরজ কয়টি? সহীহ হাদীস দ্বারা নির্দিষ্ট আকারে জানতে চাই।
২
নামাযের ওয়াজিব কয়টি?
৩
নামাযের সুন্নত কয়টি?
৪
নামাযের শর্ত কয়টি?
৫
নামায ভঙ্গের কারণ কয়টি?
৬
নামাযের মুস্তাহাব কয়টি?
৭
নামাযের মাকরূহাত কয়টি?
৮
ফরজ কাকে বলে?
৯
সুন্নত কাকে বলে?
১০
মুস্তাহাব কাকে বলে?
উপরোক্ত বিষয়গুলো কুরআন ও সহীহ হাদীস দিয়ে পরিস্কার শব্দে দেখান! কোন মাযহাবী ব্যক্তির উক্তি নকল করা যাবে না! শুধুই হাদীস দিয়ে প্রমাণ করুন!