লেখকঃ-মুহাম্মদ আনিসুল মুস্তাফা

ছোট্ট বালক।অত্যন্ত মেধাবী। খুবই গরীব-অসহায়।প্রত্যহ গ্রামের মক্তবে খালি পায়ে পড়তে যায়।কারণ জুতো কেনার সামর্থ্য নেই। প্রচন্ড শীত পড়ছে।ওস্তাদ দেখলেন প্রতিদিনের মতো আজও ছেলেটি খালি পায়ে হেঁটে আসছে।।ওস্তাদ ভীষণ ব্যথিত হলেন। তাই ক্লাস শেষে ছেলেটিকে ডেকে বললেনঃ আমার রুমে গিয়ে দেখো, খাটের নিচে এক জোড়া কাপড়ের জুতো আছে।ওগুলো নিয়ে আসো।
নিয়ে আসার পর ওস্তাদ পকেট থেকে দু'আনা পয়সা বের করে তার হাতে দিয়ে বললেন, যাও আজ বাজারে গিয়ে ওই পয়সা দিয়ে জুতো মেরামত করবে এবং কালকে  এ জুতো পরেই মক্তবে আসবে। কেমন? ছেলেটি বলল,ঠিক আছে হুজুর।

এই বলে সে বাজারের দিকে রওনা দিল এবং পথিমধ্যে চিন্তা করল।এ জুতো ত ওস্তাদের।  ওস্তাদের জুতো ছাত্র ব্যবহার করা শোভা পায়না।তাহলে এখন কি করা যায়। হঠাৎ তার মাথায় একটি বুদ্ধি আসল।সে এক আনা দিয়ে সোড়া কিনে জুতো থেকে কাপড়গুলো আলাদা করল এবং শুকিয়ে দর্জির কাছে নিয়ে গেল এবং তা দিয়ে একটি টুপি বানিয়ে নিল।।
যাতে ওস্তাদের সম্মান ও মর্যাদা বজায় থাকে।

পরদিন শিক্ষক দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং দেখলেন ছেলেটি আগের মতো খালি পায়েই আসতেছে। এতে শিক্ষক খুব রাগান্বিত হলেন এবং খালি পায়ে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলেন। তখন ছেলেটি বললো আপনার সম্মান রক্ষার্থে আমি জুতার কাপড় দিয় টুপি সেলাই করে, সে টুপি পরে এসছি। তখন শিক্ষক ছেলেটির আদব দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলেন এবং ছেলেটির জন্য আল্লাহর দরবারে এ বলে দোয় করলেনঃ
হে আল্লাহ এ ছেলেটিকে যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম বানিয়ে দিন।। আল্লাহ শিক্ষকের দোয়া কবুল করলেন।। 
পরবর্তীতে সে ছেলেটি যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম হন।। পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলমান তাকে অনুসরণ করেন।

আর তিনি হলেন, বিখ্যাত তাবেয়ী,,জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিস, হানাফি মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা, ইমামে আজম,ফিকাহের জন্য জগতবাসী যার কাছে চীরঋনী, ইমাম আবু হানিফা নোমান বিন সাবিত (রদ্বি)।

শিক্ষকের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন।।

আজ ৫ই সেপ্টেম্বর। 
বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
পৃথিবীর সকল শিক্ষকদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।।

শিক্ষক সে তো মহান গুরু চির উন্নত মান
শ্রদ্ধা জানাব স্মরণ করে তাঁদের অবদান।


Top