✍ বিষয়ঃ- মিসওয়াকের উপকারিতা এবং ব্রাশের অপকারিতা।
〰〰〰〰〰〰〰〰〰〰〰〰〰〰〰〰
✴ মিসওয়াক শরীফের মধ্যে ধর্মীয় ও দুনিয়াবী অসংখ্য উপকারীতা রয়েছে। এতে বিভিন্ন রাসায়নিক অংশ রয়েছে, যা দাঁতকে সব ধরণের রোগ থেকে রক্ষা করে।
✔ তাহতাবী শরীফেরর পাদটীকায় রয়েছে:
১) মিসওয়াক দ্বারা স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়,
২) মাথা ব্যথা দূর হয় এবং মাথার রগগুলোতে প্রশান্তি আসে।
৩) এতে শ্লেষ্মা (কফ, সর্দি) দূর, দৃষ্টি শক্তি তীক্ষ্ম, পাকস্থলী ঠিক এবং খাদ্য হজম হয়, বিবেক বৃদ্ধি পায়।
৪) সন্তান প্রজননে বৃদ্ধি ঘটায়।
৫) বার্ধক্য দেরীতে আসে এবং পিঠ মজবুত থাকে।”
#রেফারেন্সঃ- হাশিয়াতুত তাহতাভী, আল মারাকিল ফালাহ, ৬৮ পৃষ্ঠা।
✔ মিসওয়াক সম্বন্ধে দু’টি বরকতময় হাদীস মোবারকঃ-
(১) “যখন হুযুর পুরনূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম) তাঁর মোবারক ঘরে প্রবেশ করতেন তখন সর্বপ্রথম মিসওয়াক করতেন।” (সহীহ মুসলিম শরীফ, ১৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৫৩)
(২) “নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম) যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হতেন, তখন মিসওয়াক করতেন।” (আবু দাউদ, ১ম খন্ড, ৫৪ পৃষ্ঠা, হাদীস-৫৭)
✔ মুখের ফোস্কার চিকিৎসা
ডাক্তারগণ বলেন: “অনেক সময় গরম ও পাকস্থলী হতে বের হওয়া এসিডের ফলে মুখে ফোস্কা পড়ে যায়। এই রোগ থেকে বিশেষ ধরণের জীবাণু মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এর চিকিৎসার জন্য তাজা মিসওয়াক দ্বারা মিসওয়াক করুন এবং এর লালাকে কিছুক্ষণ মুখের ভিতরের এদিক সেদিক ঘুরাতে থাকুন। এই ভাবে অনেক রোগী সুস্থতা লাভ করেছে।”
❎ টুথ ব্রাশের অপকারিতা সমূহ
বিশেষজ্ঞগণের গবেষণা অনুযায়ী ৮০% রোগ পাকস্থলী ও দাঁতের দূষণ থেকে সৃষ্টি হয়। সাধারণতঃ দাঁতের পরিচ্ছন্নতার প্রতি লক্ষ্য না রাখার ফলে মাড়িতে বিভিন্ন ধরণের জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে। অতঃপর পাকস্থলীতে গিয়ে বিভিন্ন ধরণের রোগের সৃষ্টি করে। মনে রাখবেন! টুথ ব্রাশ মিসওয়াকের স্থলাভিষিক্ত নয় বরং বিশেষজ্ঞদের স্বীকারোক্তি রয়েছে যে,
(১) ব্রাশ যখন একবার ব্যবহার করা হয় তখন এতে জীবাণুর ভিত্তি জমে যায়। পানি দ্বারা ধৌত করার ফলেও ঐ জীবাণুগুলো যায় না বরং তা বংশবৃদ্ধি করে,
(২) ব্রাশের কারণে দাঁতের উপরিভাগে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতার ভিত্তি নষ্ট হয়ে যায়,
(৩) ব্রাশের ব্যবহারে মাড়ি ধীরে ধীরে নিজস্থান থেকে সরে যায়, যার ফলে দাঁত ও মাড়ির মধ্যে শূণ্যতা (GAP) সৃষ্টি হয় এবং তাতে খাদ্যের কণা লেগে পঁচে যায় এবং জীবাণুগুলো তাদের স্থান তৈরী করে নেয়। এতে অন্যান্য রোগ-ব্যাধি ছাড়াও চোখের নানা ধরণের রোগ-ব্যাধিও জন্ম নেয়। ফলে দৃষ্টিশক্তি দূর্বল হয়ে পড়ে বরং কোন কোন সময় মানুষ অন্ধও হয়ে যায়।