আমার এ কদম আল্লাহর সমস্ত ওলীর গর্দানের উপর শাহানশাহে বাগদাদ-




‘আমার এ কদম আল্লাহর সমস্ত ওলীর গর্দানের উপর’ এ বাণী কার তা বুঝতে আমাদরে আর বাকি থাকেনি এমন মহিমার্পূণ বাণীটি ওলীকুল সম্রাট আলে রাসূল, নায়বেে মুস্তফা, গাউসুল জিন্নি ওয়াল ইনস, বড়পীর হুযূর শায়খ সুলতান সাইয়্যদে মুহিউদ্দীন আব্দুল ক্বাদরি জীলানী রাদ্বয়িাল্লাহু তা‘আলা আনহুরই। আধ্যাত্মকি জগতরে মহান সাধক নায়বেে রাসূল (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) গাউসুস্ সাক্বালাঈন গাউসুল আযম তখনই এ পৃথিবীতে আবর্ভিূত হন, যখন পৃথিবীর মানুষ আবারও ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জতি হয়ে পড়েছিল। গাউসে পাক রাদ্বয়িাল্লাহু তা‘আলা আনহুই তাঁর খোদা প্রদত্ত ইল্মী ও রূহানী শক্তি বলে দ্বীন ইসলামকে পুনরায় জীবিত করছেলিনে। তাই তাকে ‘মুহিউদ্দীন’ বা ‘ইসলাম’কে পুনরায় জীবিতকারী বলা হয়।
আসুন, আমরাও আরয করি-
‘ইয়া গাউস! ‘মুহিউদ্দীন’ হুয়ায়হে আপকা নাম,
কুয়িঁ কহে্ আ-পনে বাচায়া হে ইসলামকি জান।
আপকি ক্বাদমােঁমে হামারা সালাম।’
তিনি র্সবদা নিজেকে ইসলামরে খেদমতে নিয়োজিত রাখনে। তিনি যখনই ওয়াজ নসিহত করতনে, তখন বিভিন্ন  রাজা-বাদশাহ্, মন্ত্রীর্বগ এবং সাধারণ মানুষ তাঁর মজলিসে উপস্থতি থাকতনে। যাতে তাঁর থেকে রূহানী ফুয়ূজাত হাসিল করতে পারেন। গাউসে পাকের প্রতিষ্ঠিত তরীক্বা ‘ত্বরীক্বা-ই ক্বাদেরিয়া। এ ত্বরীক্বার মাশায়খেও যুগে যুগে ইসলামের প্রচার-প্রসারে ও বিভিন্ন ধরনরে খেদমতে নিজেদেরেকে নিয়োজিত রাখেন। যেমন- কুতুবুল আউলিয়া, বানিয়ে জামেয়া হযরত সায়্যৈদ আহমদ শাহ সিরকোটি আল ক্বাদেরী, বানিয়ে জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী হযরত সায়্যৈদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রাহিমাহুমাল্লাহু তা‘আলা এবং র্বতমান সময়ে তাঁদরেই উত্তরসূরী সায়্যৈদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ আলকাদেরী দামাত বারকাতুহুমুল আলিয়া। এ মহান ওলীগণ তরীক্বা-ই ক্বাদেরিয়ার শিক্ষা ও দীক্ষার প্রচার ও প্রসারে নিরলস ভূমিকা পালন করছেন। তাই হুজুর গাউসে পাকের শিক্ষা ও আর্দশের প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে এ উপমহাদশেরে সকল স্তররে মানুষ এ মহান সাধকদের কাছে ঋণী। হুযূর গাউসে পাক হলেন  পীরানে পীর, তাঁর জন্মের র্পূব থেকেই অনেক কারামাত প্রকাশ পয়েছিল এবং তাঁর জীবদ্দশায়ও অগণিত কারামত প্রকাশ পায়। এমনকি এখনো তাঁর কারামত প্রকাশ পাচ্ছে ক্বিয়ামত র্পযন্ত প্রকাশ পেতে থাকবে। 
হুযূর গাউসে পাক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু পৃথিবীতে  আগমনের পূর্বেই অনেকে সম্মানেত ওলী তাঁর আগমনের সুসংবাদ দিয়েছিলেন এবং এটিও বলেছিলেন যে, ‘অতিশীঘ্রই এক আরফি বান্দার আবির্ভাব  ঘটবে যাঁর নাম হবে আব্দুল ক্বাদির এবং তিনি পৃথিবীতে আগমনের পর ঘোষণা করবেন, আমার এ ক্বদম আল্লাহর প্রত্যেক ওলীর গর্দানের উপর। যখন তিনি এ কথা ঘোষণা দেন, তখন র্পূবাপর সকল ওলী এ কথা স্বীকার করে নেবেন।’ গাউসে পাকের বিখ্যাত জীবন গ্রন্থ ‘বাহজাতুল আসরার ওয়া মা’দিনুল আনওয়ার’-এ বর্ণিত  আছে যে, একদা শায়খ আবূ বকর ইবনে হিওয়ার তাঁর মজলিসে স্বীয় সাথীদের নিয়ে আউলয়িায়ে কেরামের অবস্থাদি আলোচনা করেছিলেন। তখন গাউসে পাকের আবির্ভাব  হয়নি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘অতি সত্বর ইরাকে একজন অনারবীয় ব্যক্তির জন্ম হবে, যিনি মানুষের নিকট অতি উঁচু র্মযাদাবান হবেন  এবং তাঁর নাম হবে ‘আব্দুল কাদির তিনি বাগদাদে বসবাস করবেন। তিনি বলবনে, ‘আমার এ ক্বদম আল্লাহর সমস্ত ওলীর র্গদানরে উপর’। তাঁর যুগের ওলীগণ তাঁর কথা মানবেন। তিনি স্বীয় যুগে একক ব্যক্তি হিসাবে  আবর্ভিূত হবেন। তাঁর যুগের এক প্রসদ্ধি বুযূর্গ হলেন শায়খ আব্দুল্লাহ্ আল জূবী রহমাতুল্লাহি আলায়হি
‘বাহজাতুল আসরার’-এর অন্য র্বণনায় আছে যে গাউসে পাকের আবর্ভিাবের র্পূবে একদা শায়খ আবূ আহমদ আব্দুল্লাহ্ ইবনে আহমদ ইবনে মূসা জাওনী, যিনি ‘হক্বক্বী’ উপাধীতে ভূষিত ছিলেন ‘কোহে জরদ’-এ একাকী অবস্থায় থাকাকালে ৪৬৮ হিজরীতে ঘোষণা দেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,  অতিসত্ত্বর অনারবীয় ভূ-খন্ডে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করবেন, যাঁর কারামতসমূহ অতিমাত্রায় প্রকাশ পাবে এবং সকল ওলীর নিকট তিনি র্পূণমাত্রায় গ্রহণযোগ্য হবেন। তিনি বলবেন, ‘আমার এ ক্বদম আল্লাহর প্রত্যেক ওলীর র্গদানরে উপর’। তাঁর সমমায়কি ওলীগণও তাঁর ক্বদমের নিচে হবেন। তাঁর মাধ্যমে তাঁর যুগের লোকেরা ধন্য ও র্মযাদাবান হবে।  আর যে ই তাকে দেখবেন, তিনিই তার নিকট থেকে উপকার লাভ করবনে।
বাহজাতুল আসরারের অপর র্বণনায় রয়েছে  শায়খ আবূ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান ত্বাসফূনজী আলী করখী বলনে, ‘শায়খ আব্দুল ক্বাদির তাঁর আপন জীবনের প্রথম দিকে  যৌবনকালে আমাদের  শায়খ তাজুল আরেফীন আবুল ওয়াফা কাকীস রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বাগদাদরে ক্বালমূনিয়ায় আসতেন। যখন আবুল ওয়াফা তাঁকে দেখতেন, তখনই দাঁড়য়িে যেতেন এবং তাঁর নিকট উপস্থিত লোকদরে উদ্দেশ্যে বলতেন, ‘আল্লাহর ওলীর জন্য দাঁড়িয়ে যাও!’’ অধিকাংশ সময় তাঁকে আসতে দেখলে তাঁর উদ্দেশ্যে কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতনে।
 তিনি প্রায়শ একথা ও বলতেন, ‘যে ব্যক্তি এ যুবকের সম্মানার্থে দাঁড়াবে না, সে আল্লাহর ওলীর জন্য দাঁড়ালো না।’ যখন লোকেরা তাঁর মুখে একথা বারংবার শুনলেন, তখন এ সম্পর্কে তার মুরীদগণ তাঁর নিকট তাঁর সম্পর্কে জানতে চাইলনে। তখন তিনি বললনে, ‘এ যুবকের এমন একটি সময় আসবে, যখন বিশিষ্ট ও সাধারণ লোকেরা  তাঁর মুখাপেক্ষী হবে।  আর আমি তাঁকে এ কথা প্রকাশ্য সমাবেশে বলতে দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলছেন, ‘আমার এ ক্বদম আল্লাহর সমস্ত ওলীর গর্দানে উপর। অতঃপর আল্লাহর ওলীগণের র্গদানগুলো তাঁর জন্য ঝুঁকে যাবে।  কেননা, ওই সময় তিনি তাঁদের ক্বুত্বব হবেন। সুতরাং তোমাদরে মধ্যে যে ব্যক্তি তাঁর ওই সময়টুকু পাবে, সে যেন তাঁর খেদমত করাকে নিজের জন্য অপরিহার্য করে নেয়।
বিশিষ্ট শায়খ আবুল ওয়াফা বলছেন, ‘যে গাউসে পাকের সময় পাবে, সে যেন তাঁর খেদমত করাকে নিজের  জন্য অপরিহার্য করে নেয়। আমরা গাউসে পাকের সময়টুকুতো পাইনি,কিন্তু গাউসে পাকের আওলাদ, রাসূলে পাকের আওলাদের সময়টুকুতো পাচ্ছি  আমরা যেন তাঁদের খেদমতে নিজেদেরে উৎর্সগ করতে পারি।  মহান আল্লাহর রাব্বুল আলামীন আমাদরেকে ওই তাওফীক দান করুন। আমিন

একদা শায়খ আক্বীল মানজাবী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হিকে জিজ্ঞেস করা হলো, ওই সময়ের কুত্বুব কে? তিনি বলেন ‘তিনি এখন মক্কা শরীফে অবস্থান করছনে, আল্লাহর ওলীগণ ব্যতীত অন্য কেউ তাকে চিনেনা। আর অতিসত্ত্বর এখানে তিনি আত্মপ্রকাশ করবনে।’ আর ইঙ্গিত করেছেন ইরাকের দিকে তিনি হলেন এক যুবক, ওই যুবক অনারবীয় হবেন। অতি গুণবান হবেন, বাগদাদে লোকজনের সামনে ওয়া’য করবেন, বিশিষ্ট ও সাধারণ লোকেরা তাঁর কারামতসমূহ চিনতে পারবে তিনি হবেন স্বীয় যুগের কুত্বব, আর বলবেন আমার এ কদম আল্লাহর সমস্ত ওলীর র্গদানরে উপর। আর ওলীগণ নিজ নিজ গর্দান তাঁর পদতলে সর্মপণ করবেন। আমি যদি এ যুগে থাকতাম তবে আমার মাথা তাঁর পদতলে নুইয়ে দিতাম। তিনি ওই ব্যক্তি যে লোকদের মধ্যে যে কেউ তাঁর কারামতের সত্যায়ন করবে খোদা তাঁর মাধ্যমে তাঁকে উপকৃত করবেন’।
একদা শায়খ আলী ইবনে ওয়াহ্ব রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির দরবারে ফক্বীরদের একটি দল আসল। তাঁরা বললনে, ‘আজম’ (আরবের বাইর)থেকে । তিনি বললনে, ‘আজমের কোন জায়গা থেকে? তাঁরা বললনে, ‘জীলান থেকে। তখন তিনি(সকলের উদ্দেশে)বললেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা দুনিয়াকে এমন এক ব্যক্তি দ্বারা উজ্জ্বল করে দিয়েছেন যিনি অতি সত্ত্বর তোমাদরে মধ্য থেকে আত্মপ্রকাশ করবেন, তিনি আল্লাহর খুবই নৈকট্যধন্য হবেন। তাঁর নাম ‘আব্দুল ক্বাদির তাঁর প্রকাশ ঘটবে ইরাকের বাগদাদে তিনি ঘোষণা করবনে, ‘আমার এ কদম আল্লাহর সমস্ত ওলীর গর্দানের উপরই। যুগের ওলীগণ তাঁর এ বুর্যুগী ও র্মযাদার কথা স্বীকার করে নেবেন। 
গাউসে পাক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর শুভ আবর্ভিাবের পর, ৫৫৯ হিজরীতে বাগদাদের হালবার খানক্বায় তাঁর মজলিসে এ বলে ঘোষণা দেন ‘আমার এ ক্বদম আল্লাহর সমস্ত ওলীর গর্দানের উপর’। ওই সময় তাঁর মজলিসে ইরাকের শায়খগণ ব্যাপকহারে উপস্থতি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রসদ্ধি ৪৮ জন শায়খ উপস্থিত ছিলেন নিচে কয়কেজন শায়খের নাম উল্লখে করা হলোঃ
শায়খ আলী ইবনুল হায়তী, 
শায়খ বক্বা ইবনে বত্তূ, 
শায়খ আবূ নজীব আব্দুল ক্বাদির ইবনে আব্দুল্লাহ্ সোহরাওর্য়াদী, 
শায়খ আব্দুল ক্বাদির ইবনে হাসান বাগদাদী, শায়খ শিহাব উদ্দীন ওমর ইবনে মুহাম্মদ সোহরাওর্য়াদী রহমাতুল্লাহি আলায়হিম প্রমুখ।

 আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁদরে প্রতি ও তাদরে সাথে আমাদের প্রতিও সন্তুষ্ট থাকুন।
 আর শায়খ মুহিউদ্দীন আব্দুল ক্বাদের জীলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাঁদের সকলের সামনে বক্তব্য রাখছলিনে। যখন তিনি ঘোষণা দিলেন, ‘আমার এ ক্বদম আল্লাহর সমস্ত ওলীর গর্দানের উপর’, তখনই শায়খ আলী ইবনুল হায়তী দন্ডায়মান হলেন এবং চেয়ারের উপর চড়লেন। আর শায়খ (গাউসে পাক)’র ক্বদম শরীফ নিয়ে নিজের গর্দানের উপর রাখলনে। উপস্থিত সবাইও আপন আপন গর্দান এগিয়ে দিলেন এবং যারা অনুপস্থিত ছিলেন তারাও এ বাণী মেনে নিয়ে নিজেদেরে গর্দান ঝুঁকয়িে দিয়েছিলেন এবং গাউসে পাকের র্পূবে যাঁরা এসেছিলেন  তাঁরাও এ কথা মেনে নিয়েছিলেন এবং যাঁরা তাঁর পরে এসেছিলেন, তাঁরাও মেনে নিয়েছিলেন। যেমন, গাউসে পাকের শানে চর্তুদশ শতাব্দরি মুজাদ্দদি ইমাম আ’লা হযরত রদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলছেনে,
‘জু ওলী ক্ববল থে ইয়া বা’দ হুয়ে ইয়া হোঙ্গে
সব আদব রাখতে হ্যাঁয় দিল সে মেরে আক্বা তেরা’।
র্অথঃ যে ওলী র্পূবে ছিলেন কিংবা পরর্বতীতে এসেছেন অথবা আগমন করবনে, সবাই, হে আমার আক্বা (মুনিব), তাঁদের হৃদয়ে আপনার প্রতি আদব ধারণ করেন।
হযরত মুজাদ্দদি আলফে সানি রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি তার মাকতূবাত শরীফের ১২৩ নম্বর মাকতূবে (৩য় খন্ড) লিখেছেন, ‘হযরত শায়খ আব্দুল ক্বাদির জীলানী রাদ্বিগাল্লাহু তা‘আলা আনহুর যমানা থেকে আরম্ভ করে ক্বিয়ামতের র্পূব র্পযন্ত যত আউলিয়া, আবদাল, আক্বতাব, আওতাদ, নুজাবা, নুক্বাবা, গাউস অথবা মুজাদ্দদিরে আবর্ভিাব হবে তাঁরা সকলইে ত্বরীক্বতের ফয়য, বরকত ও বলোয়ত র্অজনরে বেলায় গাউসুল আ’যমরে মুখাপেক্ষী। তাঁর মাধ্যম বা ওসীলা ছাড়া ক্বিয়ামত র্পযন্ত কেউ ওলী হতে পারবে না।
উপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ক্বিয়ামতের র্পূবে ইমাম মাহদী আলায়হি সাল্লাম র্পযন্ত তিনিই বিশ্বব্যাপী ‘গাউসুল আ’যম’। তাঁর র্মযাদায় এ সময়সীমা কেউ পৗেঁছতে পারবে না। সুতরাং প্রতিটি যুগে যত ওলী ও গাউসে যামান আসবেন তাঁরা সবাই গাউসে পাকের অধীন ও প্রতিনিধি। 
তবে, আফসোসের বিষয় এ যে, র্বতমান সময়ে কিছু হিংসুক ও কপট শ্রেণীর লোক নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য ‘গাউসুল আ’যম’ দাবি করছে এবং গাউসে পাকের মূল্যবাণ বাণী-
‘আমার এ ক্বদম আল্লাহর সমস্ত ওলীর গর্দানের উপর’ কথাটি অস্বীকার করছে আর বলছে আমরাই স্বতন্ত্র গাউস। আমরা কংবা আমাদরে পীর গাউসে পাককে ও তাঁর ক্বদমের এ র্মযাদাকে অস্বীকার করি।  বাংলা ভাষার প্রবাদটি ওই সকল লোককে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-
আপনারে বড় বলে বড় সে নয়,
লোকে যাকে বড় বলে বড় সে হয়।
নিজে নিজে  ‘গাউসুল আ’যম’ বলে বসলে ‘গাউসুল আ’যম’ হওয়া যাবে না। বেলায়ত যেখান থেকে পাওয়া যায়, ওই মহান দরবারের গোলামী করার বিকল্প পথ নেই।
হুযূর গাউসুল আ’যম দস্তগীর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে শাহানশাহে বাগদাদের এ সম্মানটুকু মহান আল্লাহর প্রদত্ত। আজ যারা আ’লে রাসূল-এর সম্মান দেখে গাউসে পাকের মহার্মযাদা দেখে হিংসা ও বিদ্বেষের  বশীভূত হয়ে নজিদেরেকে এ সব খোদাপ্রদত্ত উপাধিকে নিজেদের নামের সাথে কংবা পরর্বিতে ব্যবহার করছে, তারা যে ঘোর অন্ধকারে নেমজ্জিত, তাতে সন্দেহ কিসের? তাদের মনে রাখা দরকার, হাদীস শরীফে এসেছে,  যে ব্যক্তি সায়্যৈদ নয়; কিন্তু নিজেকে সায়্যৈদ বলে দাবি করে র্অথাৎ রাসূলে পাকের বংশধর বলে নিজেদেরেকে সাব্যস্ত করে,  তারা অভিশপ্ত, আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত।
আল্লাহ্ সবাইকে হেদায়াত দান করুন এবং হিদায়তের উপর প্রতিষ্ঠিক রাখুন!। বিশেষত আল্লাহ্ তাঁর রসূল-ই আক্রাম এবং হুযূর গাউসে পাক ও আউলিয়া-ই কেরােমের ভালবাসার উপর আজীবন কায়মে রাখুন। আমিন
Top