সাহায্য করার সুফল-
এক লোকের স্ত্রী ছিলো খুবই দানশীলা,
পরহেযগার। গরীব-দুঃখীদের প্রতি সমব্যথী।
কিন্তু স্বামীটা ছিলো হাড়কিপ্টা, কুঞ্জুস।
হাত গলে এক ফোঁটা পানিও বের হতো না।
স্বামী সব সময় স্ত্রীকে, দান-খয়রাত করতে
কঠোরভাবে নিষেধ করতো। একদিন স্বামী
মসজিদে গেলো। এমন সময় দরজায় টোকা
পড়লো। স্ত্রী দরজার কাছে গিয়ে ভেতর
থেকে বললো,
- কে?
- আম্মাজান, আমি একজন অসহায়। ঠাণ্ডায় খুবই কষ্ট
পাচ্ছি। শীত নিবারণের কোনও কাপড় আমার কাছে
নেই।
স্ত্রীর মনটা গলে গেলো। স্বামীর
নিষেধের কথা ভুলে গেলো। ভিক্ষুকটিকে তিনটা
পুরনো কাপড় দিলো।
সাথে খাওয়ার জন্য তিনটা খেজুরও দিয়ে দিলো।
.
অন্যদিকে স্বামী মসজিদে নামায পড়ে ঘুমিয়ে
ছিলো।
স্বপ্নে দেখলো,,,,,,,
কিয়ামত কায়েম হয়ে গেছে। মানুষজন বিশাল বিশাল ঢেউয়ের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে।
মাথার ওপর তীব্র গরম। সূর্যটা একদম মাথার ওপর থেকে আগুনের উল্কা ছড়াচ্ছে।
হঠাত লোকটা অবাক হয়ে দেখলো, তিনটা কাপড়
এসে মাথার ওপর স্থির হলো।
কিন্তু কাপড়গুলোতে তিনটা ছিদ্র ছিলো।
কোত্থেকে যেনো তিনটা খেজুর এসে
ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিলো। এখন আর মাথার ওপর
কোনও রোদ নেই। লোকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ়
হয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলো।
বাড়ি এসে স্ত্রীকে স্বপ্নের কথা খুলে
বললো।
.
স্ত্রী বুঝতে পারলো, এটা তার দান করা তিনটা কাপড় আর খেজুরের বরকতে হয়েছে।
স্বামীকে পুরো বিষয়টা খুলে বললো। স্বামী
প্রত্যুত্তরে বললো, - আজ থেকে একজন
মিসকীনও যাতে আমাদের দরজা থেকে খালি হাতে না যায়।
.
এই লোককে আল্লাহ তা‘আলা পার্থিব জীবনেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় একটা
হাদীসের মূলবাণীই ফুটে উঠেছে,
“কিয়ামতের দিন প্রতিটি মানুষ তার সাদক্বার ছায়াতলে
থাকবে।” (আহমাদ)
.
ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে প্রতিদিন সামান্য কিছু হলেও সাদক্বাহ করার তাওফীক দান করুন।
আমীন।
Top