শেষ জামানায় দাজ্জাল ও মিথ্যাবাদীদের আবির্ভাব হবেঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবীজী ﷺ এরশাদ করেন, শেষ যামানায় এমন কিছু দাজ্জাল ও মিথ্যাবাদী আত্মপ্রকাশ করবে যারা তোমাদের নিকট এমন সব (মিথ্যা) হাদিস বলবে যা, না তোমরা কোনদিন শুনেছ, না তোমাদের বাপ দাদারা শুনেছে। সুতরাং তোমরা তাদের নিকট থেকে দূরে থাক এবং তাদেরকেও তোমাদের কাছ থেকে দূরে রাখ। এতে করে তারা তোমাদের পথভ্রষ্ট করতে পারবে না এবং তোমাদেরকে ফেতনায় পতিত করতে পারবে না।
১.সহীহ মুসলিমঃ ১/২৪, হাদীস নং-৮;
২.আল্লামা তাহাবী, মুশকিলুল আসার, ৬/৪৪৮, হাঃ ২৮৮৪;
৩.শাইখ ওলীউদ্দীন, মেশকাতুল মসাবীহ, ১/৩৩ হাঃ ১৫৪;
৪. আল মানাবী, ফয়জুল ক্বাদীর ফি শরহে জামে ‘উস্সাগীর, ৬/২৫৮, হাঃ ৮৯৩০
শিক্ষণীয়ঃ
বুঝা যাচ্ছে, এখন সেই ফিত্নার যুগ এসে গেছে।
প্রথমত, নবীজী ﷺ যাদের নিয়ে ১৪০০ বছর পূর্বে ইলমে গায়েব থেকে ভবিষ্যৎ বাণী দিয়েছিল আজ সেই ইলমে গায়েবকেই জামাত, ওহাবী(কওমী)-সালাফী(পীস টিভির দাওয়া) গ্রুপ এরা মানে না। এর চেয়ে বাস্তব উদাহরণ আর কি হতে পারে?
দ্বিতীয়ত, এখানে শুধু জাল হাদিসই নয়- একদল মানুষ হাদিসের অনুবাদ অথবা ব্যাখ্যা বিকৃতি করে মানুষকে বিপথগামী করছে তারাও একদিকে মিথ্যাবাদী ও নতুন হাদিস রচনাকারীর কাতারে। কারণ হাদিসে যা উদ্দেশ্য নয় কিংবা যা বলা হয় নি তাকে হাদিস বলে চালিয়ে দেয়াই হল হাদিসের নামে জাল রচনা করা।
এবার একটু খেয়াল করে দেখুন ৮০% হাদিসের কিতাব, তফসীর যেই ওহাবী-সালাফীরা অনুবাদ করে কাট-সাট আর ভুল ব্যাখ্যা দ্বারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর এই হাদিসটি যথেষ্ট।