॥8॥
‘যার পীর নেই, তার পীর শয়তান’-এ উক্তির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা
শায়খ (পীর-মুরশিদ) বা আল্লাহর পথে পথ-প্রদর্শনকারী (হাদী) দু'ধরনের হয়ে থাকে।
১. সাধারণ হাদী (عام هادي) বা মুরশিদে আম
২. বিশেষ হাদী (خاص هادي) বা মুরশিদে খাস
এক. ‘সাধারণ হাদী’ হচ্ছে আল্লাহর কালাম, শরীয়ত ও তরীকতের ইমামগণের কালাম এবং আহলে যাহির ও বাতিন আলিমগণের কালাম। এ বিশুদ্ধ ধারা পরম্পরায় সাধারণ লােকের (عوام) হাদী হচ্ছেন আলিমগণের কালাম, আলিমগণের রাহনুমা হচ্ছেন ইমামগণের কালাম, ইমামগণের মুরশিদ হচ্ছেন রসূলের কালাম আর রসূলের পেশওয়া হচ্ছেন আল্লাহর কালাম।
দুই, ‘বিশেষ হাদী’ হচ্ছে, আল্লাহর এমন বিশেষ বান্দা যিনি নিজে হিদায়তের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত, অন্যকে হিদায়তের পথে পরিচালিত করতে সক্ষম এবং বায়আতের সকল শর্তের ধারক। একজন সাধারণ লােক তার হাতে বায়আত গ্রহণের মাধ্যমে নিজের সকল কাজ-কর্ম, কথাবার্তা, নড়াচড়া, উঠা-বসা ইত্যাদিতে শরীয়ত ও তরীকতের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসারে ওই শায়খের নির্দেশনার উপর অটল-অবিচল থাকে।
উপরিউক্ত প্রথম প্রকারের শায়খ বা পীর-মুরশিদ প্রত্যেক লােকের জন্য আবশ্যক। এ প্রকার পীর-মুরিশদ বিহীন লােকের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। তার ইবাদত বন্দেগী সবই ধ্বংসে নিপতিত। তাকে প্রথমে সালাম দেয়া নিষেধ। কিয়ামত দিবসে তার পুনরুত্থান হবে শয়তানের দলের সাথে । আল্লাহ তা'আলা বলেন,
یَومَ نَدعُوا کُلَّ أُنَاسِ بِإِمَمِهِ
‘ওই দিন প্রত্যেক দলকে তাদের ইমামের সাথে আহ্বান করা হবে।”
হিদায়তের উপর প্রতিষ্ঠিত ইমামগণকে যখন কেউ নিজের পীর-মুরশিদ (ইমাম) বলে মেনে না নেয়, তখন সে পথভ্রষ্ট ইমাম অর্থাৎ অভিশপ্ত শয়তানের মুরিদ হলাে । অবশ্যই সে কিয়ামত দিবসে তারই দলে উত্থিত হবে। আল্লাহ তা'আলার পানাহ্! আর কালেমা-পড়ুয়া বা মুসলমানদের মধ্যে এ প্রকারের পীর-মুরশিদবিহীন লােক চারটি দলে বিভক্ত। যেমন
১. আল-কুরআন, সুরা আল-ইসরা, ১৭:৭১
প্রথমত: ওইসব কাফির ও নাস্তিক যারা প্রথম থেকে কুরআন হাদিসকে মানে না। যেমন, ন্যাচারী (প্রকৃতিবাদী), যারা হাদীসের প্রয়ােজনীয়তাকে অস্বীকার করে আর কুরআনের নিশ্চিত অকাট্য সঠিক অর্থকে রদ করে একটি সুবিধা মতাে মনগড়া অর্থ করে থাকে। এসব লােকের উপর আল্লাহর লা'নত হােক।
দ্বিতীয়ত: গায়রে মুকাল্লিদ, যারা বাহ্যিকভাবে কুরআন-হাদীস মানে, কিন্তু দ্বীনের প্রকৃত ধারক-বাহক ও ইসলামী শরীয়তের মহান ইমামগণকে বাতিল ও অনুসরণযােগ্য নয় বলে বিশ্বাস রাখে । ইসলামী শরিয়তের মহান ইমামগণের অনুসরণ (বায়আত)-এর রজ্জু ছিন্ন করে সরাসরি আল্লাহ ও রসুলের সাথে হাত মেলাতে চায় ।
وَسَیَعلَمُ الَّذِینَ ظَلَمُوا أَیَّ مُنقَلَبٍ یَنقَلِبُون
‘জালিমরা শীঘ্রই জানবে কোন স্থলে ওরা প্রত্যাবর্তন করবে।
তৃতীয়ত: মুকাল্লিদ ওহাবীগণ, যদিও তারা বাহ্যিকভাবে ফিকহের প্রত্যেক শাখাগত (فروع) মাসআলায় ইমামগণের তাকলীদ (অনুসরণ) করার কথা বলে কিন্তু শরীয়তের মৌলিক (أصول) ও আকীদাগত (عقاٸد) বিষয়ে প্রকাশ্যে মুসলমানদের বৃহত্তম দল (سواد أعظم)-এর বিপরীতে চলে । আল্লাহর মহান ওলীগণের মকাম, মানসাব, তাসাররুফ ও মরতবা ইত্যাদি বিষয় তাদের গায়ের জ্বালার কারণ হয়।
চতুর্থত: অনুরূপভাবে সকল পথভ্রষ্ট, বদ-মযহাব ভ্রান্ত-দল-উপদল। যেমন, রাফেযী (শিয়া), খারেজী, মু'তাযিলা, কাদরীয়া ও জাবরীয়া ইত্যাদি। আল্লাহ তাদের সকলকে অপদস্থ করুক! ওই সব ভ্রান্ত দল-উপদল হিদায়তের পথ ছেড়ে নিজেদের কামনা-বাসনা ও কু-প্রবৃত্তিকে ইমাম বা (পীর-মুরশিদ) বানিয়েছে আর নিজেদের বায়আতের সিলসিলা অভিশপ্ত শয়তানের সাথে জুড়ে দিয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
أَفَرَءَیتَ مَنِ اُتَّخَذَ إِلَهَهُ٫ هَوَٸهُ.
‘তুমি কি লক্ষ্য করেছ তাকে, যে তার খেয়াল-খুশীকে নিজ ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে?”
সুতরাং সার কথা হচ্ছে যে, যারা প্রবৃত্তির পুজারী অর্থাৎ আহলে সুন্নাত ওয়া জামা'আতের বিরােধী, তারা প্রথম অর্থের ভিত্তিতের পীরবিহীন বলে সাব্যস্ত হবে। তাদের পীর শয়তান, শয়তানের সাথে তাদের হাশর হবে, তারা পথভ্রষ্ট, তারা ইসলামের
১. আল-কুরআন, সুরা আশ-শুয়ারা, ২৬:২২৭
২. আল-কুরআন, সুরা আল-জাসিয়া, ৪৫:২৩
গণ্ডির বাইরে, তাদের ইবাদত-বন্দেগী কবুল হবে না-ইত্যাদি বিধান তাদের ক্ষেত্রে প্রযাজ্য হবে।
قَتَلَهُمُ اللّٰهُ ؑ أَنَّیٰ یُٶفَکُونَ.
‘আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন! ওরা ওল্টো দিকে কোথায় ফিরে যাচ্ছে?
বিশুদ্ধ আকীদাধারী সুন্নী, যারা হিদায়তের উপর প্রতিষ্ঠিত ইমামগণকে মানেন, ইমামগণের তাকলীদকে জরুরি জানেন, সম্মানিত ওলীগণের প্রতি সাচ্ছা ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন, এবং ইসলামের সকল মৌলিক বিশ্বাস (আকাইদ)-এ সঠিক পথের উপর অবিচল রয়েছেন, তারা কখনাে পীরহীন হয় না।
আল্লাহ, রসূল, মাযহাবের ইমাম ও আলিমগণ এ চার পরম্পরা তাদের পীর মুরশিদ। এমতাবস্থায় সকল সুন্নী মুসলমানদের হাত পবিত্র শরীয়তের হাতের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। (কারাে কারাে ক্ষেত্রে) যদিও প্রকাশ্যে আল্লাহর কোন খাস-বান্দার পবিত্র হাতে হাত রেখে বায়আতের গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ হয় নি।
عہد ما بالب شیریں دہنا بست خداۓ ما ہمہ بندہ وایں قوم خدا وندا نند
আল্লাহ তা'আলা মিষ্টভাষী লােকদের সাথে আমাদের সম্পর্ক জুড়ে দিয়েছেন। আমরা সবাই হলাম গােলাম আর ওরা হচ্ছেন আকা বা মনিব ।
দ্বিতীয় অর্থের ভিত্তিতেও শায়খ বা পীর মুরশিদ ওই ব্যক্তির জন্য আবশ্যক যে সুলুক বা তরীকতের পথে চলতে চাই। এ পথ এতাে সহজ নয় যে, নিজ ইচ্ছা মতাে কিংবা এত সংক্রান্ত কিতাবাদি পড়ে চলা যায়। এ পথের পথিক তার যােগ্যতা ও অবস্থা অনুপাতে এমন সব কঠিন বিপদাপদের সম্মুখীন হয়, যার থেকে উত্তোরণ কামিল পীরের দিকনির্দেশনা ছাড়া সম্ভব নয়। আর এ বিশেষ প্রকার পীরের বায়আত ছেড়ে দেওয়ার কারণে কারাে প্রতি ওই সব বিধান প্রয়ােগ করা যা পূর্বে বর্ণিত হয়েছে, নিছক মিথ্যা, বাতিল ও প্রকাশ্য যুলম এবং দ্বীনের প্রতি সরাসরি অপবাদই। প্রথমত: তরীকতের এ বন্ধুর পথের অভিযাত্রী অতি নগণ্য। দ্বিতীয়ত: এ পথে কেউ চলতে চাইলেও উপযুক্ত পীর-মুরশিদ পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। (কারণ)।
اےبسا ابلیس آدم ہوۓ ہست پس بہر دستے نبا ید داددست
‘মানব আকৃতিতে অনেক শয়তান রয়েছে। অতএব যার-তার হাতে
১. আল-কুরআন, সুরা আত-তাওবা, ৯:৩০
২. তা হচ্ছে, পীরবিহীন লােক পথভ্রষ্ট, ইসলাম থেকে খারিজ, তার ইবাদত-বন্দেগী কবুল হয় না, তার নামায-রােযা তেলবিহীন প্রদীপের ন্যায়, পীরবিহীন লােকের তাসবীহ-দরূদ-ওযীফা ইত্যাদিতে সময় ব্যয় করা জীবন বরবাদ করার নামান্তর। সর্বোপরি পীরহীন লােকের পীর হচ্ছে শয়তান ইত্যাদি।
(বায়আতের জন্য) হাত দিও না।
এমন অনেক আলিম ও নেককার বান্দা দেখা যায়, যারা তরীকতের এ বিশেষ বায়আত (بیعت خاص)-এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। আল্লাহর পানাহ! তাই বলে কি তাঁদের ব্যাপারে ওইসব কঠিন বিধান প্রযােজ্য হবে? আর যারা এ বিশেষ বায়আত গ্রহণ করেছেন তারা কি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথেই হয়েছেন? কখনাে না। বরং তাদের অনেকে যখন ইলমে জাহেরের ইমামতের উচ্চ মর্যাদায় গিয়ে পৌঁছেছেন, তারপর গিয়ে। এ বিশেষ বায়আত অর্জন করেন। তাহলে ওই দীর্ঘসময়কাল পর্যন্ত তারা কি ওই বিধানের উপযােগী ছিলেন? আল্লাহর পানাহ! এ প্রকার ধারণা নিরেট মুর্খতা ও সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতার নামান্তর।
‘দুনিয়াতে যার শায়খ বা পীর নেই, পরকালে তার পীর শয়তান। অর্থাৎ শয়তানের সাথে তার হাশর হবে।'—এটা রসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী (হাদীস) নয়। হ্যা আউলিয়া-ই কিরামের উক্তি হবে। আর-
اَلشَّیخُ فِي قَومِهِ کَالنَّبِيِّ فِي أُمَّتِهِ.
শায়খ (পীর) স্বীয় গােত্রে তেমনি, যেমন নবী নিজ উম্মতের মধ্যে।
এটা হাদীস হওয়া নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। যেমন, ইবনে হিব্বান কিতাবুদ দো'আফা আর দায়লামী মাসনাদুল ফেরদৌসে হযরত আবু রাফি রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন বলেছেন। যদিও এ হাদীসকে ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী এবং তার পূর্বে ইবনে তায়মিয়া মওযু আর ইমাম সাখাভী বাতিল বলেছেন। কিন্তু সঠিক অভিমত হচ্ছে তাই যা ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী থেকে বর্ণিত আছে। তার মতে, এ হাদীস শুধুমাত্র যয়ীফ; বাতিল ও মওযু নয়। তিনি জামে সগীর-এ দু’সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। যেমন তিনি লিখেছেন-
اَلشَّیخُ فِي أَهلِهِ کَالنَّبِيِّ فِي أُمَّتِهِ.
শায়খ (পীর) স্বীয় গােত্রে তেমনি, যেমন নবী নিজ উম্মতের মধ্যে।
اَلشَّیخُ فِي بَیتِهِ کَالنَّبِيِّ فِي قَومِهِ.
শায়খ (পীর) স্বীয় পরিবারে তেমনি, যেমন নবী নিজ উম্মতের মধ্যে।
১. সাখাবী,المقاصد الحسنة في بیان کثیر من الأحادیث المشتهرة علی الألسنة, হাদীস : ৬০৯, পৃ-২৫৭, দারুল কুতুব আল আলমিয়া, বৈরুত।
সুয়ুতী,خطبة المٶلف ٫ الجامع الصغیر من حدیث البشیر النذیر, হাদীস: ৪৯৬৯, দারুল কুতুব আল-আলমিয়া, বৈরুত।
আর তিনি উক্তগ্রন্থের ভূমিকায় তার এ গ্রন্থে কোন মওযু হাদিস বর্ণনা করবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যেমন তিনি লিখেছেন-
تَرَکتُ القَشرَ وَأَخَذتُ اللُبَابَ وَصَنَعتُهُ عَمَّا تَفَرَّدَ بِهِ وَضَّاعُ أَو کَذَّبُ.
‘আমি কোশাকে ছিন্ন করে মগজ বের করেছি। মনগড়া হাদীস রচনাকারী ও মিথুকদের বর্ণনা থেকে এ গ্রন্থকে রক্ষা করেছি।'
কিন্তু উক্ত হাদীস দ্বারা এটুকু প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর পথের দিকে আহ্বানকারী হাদীদের আনুগত্য করা আবশ্যক। এ হাদীসের অর্থ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোন কারণ নেই। কারণ স্বয়ং পবিত্র কুরআনের এ আয়াত
أَطِیعُوا اُللّٰهَ وَأَطِیعُوا اُلرَّسُولَ وَأَولِی ُالأَمرِ مِنکُم.
‘আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রসুলের এবং যারা তােমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী। উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যার জন্য যথেষ্ট।
উক্ত আয়াতে বর্ণিত ‘যারা তােমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী (উলুল আমর) দ্বারা ওলামায়ে দ্বীন তথা শরীয়ত ও তরীকতের আলিমগণকে বুঝানাে হয়েছে। এটাই সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও গ্রহণযােগ্য অভিমত। এ হাদীস দ্বারা এ অর্থে নেয়া “যে ব্যক্তি প্রকাশ্যভাবে কারাে হাতে বায়আত গ্রহণ করলাে না, সে গােমরাহ (পথভ্রষ্ট)'—চরম বাড়াবাড়ি, অপবাদ ও মূর্খতা ছাড়া কিছু নয়। আল্লাহর পানাহ।
হ্যাঁ! বায়আত ও ইমামতে কুবরা সম্পর্কে সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে,
~مَن خَلَعَ یَدًا مِن طَاعَةٍ لَقِيَ اللّٰهَ یَومَ القِیَامَةِ لاَ حُجَّةَ لَهُ وَمَن مَاتَ وَلَیسَ فِی عُنُقِهِ بَیعَةُ مَاتَ مِیتَةً جَاهِلِیَّةً~
“যে ব্যক্তি ইমামের আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নিলাে, যে কিয়ামত দিবসে আল্লাহর সাথে এমতাবস্থায় সাক্ষাৎ করবে, তার হাতে কোন দলীল থাকবে না। যে ব্যক্তি এমতাবস্থায় মৃত্যুবরণ করলাে যে, তার গর্দানে বায়আত (আনুগত্যের) বেড়ি থাকলাে না, সে জাহেলীয়াতের মৃত্যুতে মৃত্যুবরণ করলাে।
এ পরিণতিও তখনই হবে যখন ইমাম বিদ্যমান থাকবে। অন্যথায় ওয়াজিব নয়। আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কষ্ট দেন না।
. সুয়ুতী,خطبة المٶلف ٫الجامع الصغیر من حدیث البشیر النذیر, হাদীস : ৪৯৭০, দারুল কুতুব আল-আলমিয়া, বৈরুত
২. সুয়ুতী,خطبة المٶلف ٫الجامع الصغیر من حدیث البشیر النذیر, ১/৫, দারুল কুতুব আল-আলমিয়া, বৈরুত
৩. আল-কুরআন, সুরা আন-নিসা, ৪:৫৯
৪. মুসলিম, আস-সহীহ, কিতাবুল ইমরা, অধ্যায় : وجوب ملازمة جماعة المسلمین , ২/১২৮কদীমী কুতুবখানা