‘মিলাদে শাইখে র্বহক্ব’ বা ‘ফজায়েলে গাউসিয়া’ নামক কিতাবে বর্ণিত আছে যে, গেয়ারভী শরীফের ফজিলত অগণিত; যার বর্ণনা লিপিবদ্ধ করা সম্ভব নয়। তবে মুমিন মুসলমান বিশেষ করে গাউসে পাকের আশেকানের অবগতির জন্য কয়েকটি ফজিলত নিন্মে প্রদত্ত হল :

* যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে প্রতি চাঁদের ১১ তারিখে গেয়ারভী শরীফ আদায় করবে সে অল্প দিনের মধ্যে ধনী ও স্বচ্ছল হবে এবং তার দারিদ্র্য দূর হবে। যে ব্যক্তি ওটাকে অস্বীকার বা ঘৃণা করবে সে দারিদ্রের মধ্যে থাকবে।
* “তানায্যার্লু রাহমাতু ইনদা যিকরিছ সোয়ালিহীন্‘র বর্ণনা অনুযায়ী, গেয়ারভী শরীফ যেখানে পালিত হয় আল্লাহর রহ্মত সেখানে অবতীর্ণ হয়।
* বর্ণিত আছে যে, হযরত গাউসুল আ‘জম (রাঃ) ১২ই রবিউল্ আউয়ালকে খুব গুরুত্ব সহকারে পালন করতেন। একদিন স্বপ্নে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন- “আমার বারই রবিউল্ আউয়ালের প্রতি তুমি যে সম্মান প্রদর্শন করে আসছ এর বিনিময়ে আমি তোমাকে গেয়ারভী শরীফ দান করলাম।”
* যে ব্যক্তি এটা পালন করবে সে খায়র ও র্বকত্ লাভ করবে এবং পৃথিবীর পূর্ব হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত এটা ক্বিয়ামত অবধি জারি থাকবে।
* যে ব্যক্তি সব সময় এটা পালন করবে সে বিপদ হতে রক্ষা পাবে; দুঃখ ও চিন্তামুক্ত হয়ে সুখ ও শান্তিতে জীবন যাপন করবে।

অতএব, অজুর সাথে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে সম্মান সহকারে গেয়ারভী শরীফ পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।

Top