আজহারির এক ওয়াজে জানা যায় ২০০৯/১০ সালে ওবামার মিশর সফরকালে তার সঙ্গে মিটিং করেছে, হিলারির সঙ্গেও দেখা হয়, আল আজহারের ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলের ১০০ জন যার যার দেশের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়।
ওবামা মিশরে এসে ১০০ জন ছাত্রের বক্তব্য শুনবে?
বানোয়াট কিচ্ছা বলা অভ্যাস হয়ে গেছে। ওবামার মিশর সফরে হিলারি ছিল না। পুরো অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং শিডিউল রয়েছে নেটে।
তখন ব্রাদারহুড ও আল কায়েদা হুমকির কারণে আল আজহারের সকল ছাত্রদের বাসায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। সন্দেহবশত আজহারির হোস্টেলের ২০০ জন বিদেশী ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করে অজানা স্থানে নিয়ে যায়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কেউ বাদ ছিল না। আহাজারিও গ্রেফতার হয়।
https://www.huffpost.com/entry/cairo-under-siege-ahead-o_n_211154
উল্লেখ্য, ওবাম সফর উপলক্ষ্যে মেধাবী ছাত্রদেরকে টয়লেট ও মাঠ পরিস্কারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
আজহারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক ও সন্দেহ রয়েছে।
১. তিনি Department of Tafseer & Quranic Science থেকে অনার্স পাশ করার দাবি করেন। কিন্তু আজহারের ফ্যাকাল্টির নাম এটি নয়।
২. সে ভর্তি হয়েছিল অনার্সের প্রি কোর্স মাহাদে যেটিতে সাধারণত ৩ বছর লাগে। ২০০৮ এ গিয়ে ২০১২ সালের মধ্যে অনার্স শেষ হয় না।
৩. টয়লেটের ছবি দিলেও আজহারের কনভোকেশনের ছবি নেই, যে কনভোকেশনের ছবি ব্যবহার করে তা মালয়েশিয়ার।
৪. আল আজহারের কনভোকেশনের ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালের যে ভিডিও রয়েছে সেখানে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
৫. ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া থেকে মাস্টার্সের থিসিসকে এমফিল বলে দাবি করেছে।
৬. পিএইডি ক্যান্ডিডেট হয়ে ডক্টর লেখে।
বাংলাদেশকে নিশীথ প্রশ্নফাঁসের দেশ উল্লেখ করে। কিন্তু সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারির জন্য বিখ্যাত মালয়েশিয়া। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও মালয় বিশ্ববিদ্যালয় সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট ও পিএইডি ডিগ্রীর ব্যবসা চালায় দালাল চক্র ও কিছু শিক্ষক। আজহারি টাকা দিয়েএ সার্টিফিকেট কিনেছে। সার্টিফিকেট বিক্রি বন্ধ করতে সেই দেশের সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এবার তার এলেমের কথা বলি। সে পড়াশোনা করে ডিগ্রী পেয়েছে বলে মনে হয় না। ইসলাম নিয়ে পড়া কোনো আলেমের কৃতিত্ব আরবি ভাষা জানার কারণে হয়। সে তার পড়ার মাধ্যম ইংরেজি বলে উল্লেখ করে। হাবিব ও খলিল শব্দের অর্থ একই বলে ওয়াজ করেছে এবং রাসুলকে হাবিব ও ইব্রাহিম নবীকে খলিল বলে জ্ঞান দিচ্ছে যা মোটেই সঠিক নয়। আর এটা ইসলামের ছাত্রের প্রাথমিক জ্ঞান যে দুজনই খলিলুল্লাহ। দুই তিনটি আয়াত বলে কিচ্ছা কাহিনী, জইফ হাদিস ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়ে মাহফিল করছে। তার ভুলের সংখ্যা এত যে উল্লেখ করলে আল মওজুয়াত বইয়ে রূপ নিবে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ এগুলো শুনে মারহাবা বলছে, তাকে জ্ঞানী ও সহি এলেমের অধিকারী হিসেবে বিবেচনা করছে।
এভাবে ইসলামেরও বিকৃতি ঘটানো হচ্ছে। রাজাকারদের নবীর সমতূল্য করতে ২০১৩ সালে কোরআন বিকৃত করে, ইবনে হিসামের ভুয়া রেফারেন্স দিয়ে রাসুলের কারাগারে থাকার বানোয়াট কাহিনী প্রচার শুরু করে শেখ জামাল ও জামাতিরা। ভুয়া আজহারি টাইটেল ব্যবহার করা মিজান একই কাজ অব্যহত রাখছে।