বিষয়ঃ"এক সাহাবীর প্রতি রাসুলে খোদারﷺ নসিহত!"
স্বাধীন আহমদ রেজভী
জুলাই ৬,২০১৯ইং
*********************
হযরত সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী (রাদ্বীঃ) বর্ণনা করেন, আমি একদা রাসুলুল্লাহﷺ এর কাছে আরজ করলাম,ইয়া রাসুলুল্লাহﷺ আমাকে কিছু আদেশ দিন।রাসুলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করলেন,
১. তুমি আল্লাহকে ভয় করবে,নিঃসন্দেহে এটি তোমার ধার্মিকতার মূল।
২.অধিক হারে কোরআন তিলাওয়াত ও বেশি বেশি আল্লাহর জিকির কর,কেননা তা তোমার জন্য আসমান ও জমিনে নূর হবে।
৩.জিহাদকে নিজের ওপর অপরিহার্য করে নাও,কেননা এটি আমার উম্মতের জন্য রাহবানিয়াত।(অধিকহারে ইবাদত ও রিয়াজত করা এবং লোকজন থেকে দূরে থাকাকে রাহবানিয়াত বলে)
৪.কম হাসবে,কেননা অধিক হাসি অন্তরকে মৃত এবং চেহারাকে অনুজ্জ্বল করে দেয়
৫.ভালো কথা ব্যতীত চুপ থাকবে,কেননা চুপ থাকা শয়তানের বিরুদ্ধে ঢাল স্বরুপ এবং দ্বীনি কাজে সহায়ক।
৬.দুনিয়ার বিষয়ে তুমি তোমার থেকে নগন্য কে দেখ,তোমার থেকে উত্তম কে দেখো না।কেননা এটা এ থেকে উত্তম যে তুমি আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে।
৭.অভাবীদের ভালবাস এবং তাদের সংস্পর্শ অবলম্বন কর।
৮.সত্য কথা বল,যদিও তা তিক্ত হয়।
৯.আত্নীয়দের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখো,যদিও বা তারা তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১০.আল্লাহর ব্যপারে কারো নিন্দাকে ভয় করো না।
১১.মানুষের জন্য তাই পছন্দ কর,যা নিজের জন্য পছন্দ কর।
অতঃপর রাসুলুল্লাহ ﷺআমার বুকের ওপর হাত মোবারক রাখলেন,আর বললেন,হে আবু যর! তাদবীরের চাইতে বড় বুদ্ধিমত্তা নেই,গুণাহ থেকে বাঁচার চেয়ে বড় কোনো পরহেজগারিতা নেই,উত্তম চরিত্রের চাইতে কোনো আভিজাত্য নেই।
[মুজামুল আওসাত]