১. বর্তমান আহলে হাদিস তথা সালাফিদের নিকট দ্বঈফ হাদিস হলাে এক প্রকার জাল হাদিস হিসেবে গন্য, যেমনটি আলবানীর অনেক পুস্তকে দৃষ্টি দিলে তা অনুধাবন করা যায়। পাঠকবৃন্দ! সকল মুহাদ্দীসিনে কেরাম একমত যে, দ্বঈফ সনদের হাদিসও হাদিসের এক প্রকারের অন্তর্ভুক্ত; সনদের রাবির আদালতের ক্ষেত্রে সহিহ, হাসান দ্বঈফ হয়ে থাকে। কিন্তু আলবানী ও তার উত্তরসূরীরা সকল ইমাম ও মুহাদ্দীসিনে কেরামের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে, তারাই এক উসূলে হাদিসের নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করেছে।
২. অপরদিকে দ্বঈফ হাদিস যখন একাধিক সনদে বর্ণিত হবে তা আর দ্বঈফ থাকে না। এ মুহাদ্দিসীনে কিরামের নীতিমালাটি আহলে হাদিস সম্প্রদায় নিজেদের মতের পক্ষে যখন একটি দ্বঈফ সনদের হাদিসও আসবে তখন এটিকে 'হাসান' বলতে একটুও চিন্তা করবে না। আর নিজেদের মত ও পথের বিরােদ্ধে যখন একাধিক সনদ নয় বরং ১৭জন সাহাবি বর্ণনা করলেও তা তাদের নিকট দ্বঈফ সনদই থেকে যায়।
৩. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, আলবানী ও তার উত্তরসূরীদের কোন সনদের একজন রাবি মজহুল (অপরিচিত) থাকলে তখন তাদের মওদু বা জাল হাদিস বলতে একটও চিন্তা ভাবনা করে না। আমার এ পুম্ভকের অনেক স্থানে আলবানী ও তার অনুসারীদের খন্ডন করেছি, এ কিতাবের বিভিন্ন স্থানে আলবানীর জবাব পাবেন, ইনশা আল্লাহ!
এ ব্যাপারে আপনাদের হাতের নাগালে একটি পুস্তক পাবেন, বইটির মূল লিখক হলাে শায়খ নাসিরুদ্দীন
আলবানী যার অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন বাংলাদেশের তথা কথিত আহলে হাদিস আবুল কালাম আযাদ। পুস্তকটির বাংলা নামকরন করা হয়েছে “ছহীহ হাদীছের পরিচয় ও হাদীছ বর্ণনার মূলনীতি " যা আযাদ বুক ডিপু, ১৯, শাহী জামে মসজিদ মার্কেট,আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম হতে প্রকাশিত। এ বিষয়ে বইটির
২৩.২৫ ২৭পৃ.দেখতে পারেন। এ বিষয়ে আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলবী (রহ.) এর সংকলিত ফতােওয়ায়ে আফ্রিকায় রাসূল (দ.) হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ও হযরত উমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু একই মাটির সৃষ্টির হাদিসের আলােচনায় দেখতে পাবেন যে একটি জাল হাদিসকেও আবদুল্লাহ জাঙ্গীর তার হাদিসের নামে জালিয়াতি বইয়ে আলবানীর দলিলের ভিত্তিতে হাসান বলতে একটুও চিন্তা বা দ্বিধাবােধ করেননি। আবার আহলে হাদিস শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী "আলেমের কলমের কালি শহীদের রক্তে চেয়ে পবিত্র" ও যে সুরা ইখলাস তিনবার পড়বে সে যেন সম্পূর্ণ কুরআন পড়লাে এবং তােমরা মু'মিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর, কেননা তারা আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে এ হাদিসটি দ্বারা ওলীদের কাশফ প্রমানিত হয় বিধায় মােট দশ থেকে বেশী সাহাবি হতে বর্ণিত হওয়ার হওয়ার পরেও হাদিসটিকে সে দ্বঈফ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।