📌 নবম শতকের মুজাদ্দিদ ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ুতি আলাইহির রহমত المصابيح فى صلاة التراويح ‘মাসাবিহ কিতাবের তারাবীহ অধ্যায়ে’ ইমাম বায়হাকী এর বর্ণিত ২০ বিশ রাকআত তারাবীহসংক্রান্ত হাদিস যে সহীহ শুদ্ধ এ সম্বন্ধে আলোকপাত করে সুয়ুতি বলেন-
وفى سنن البيهقى وغيره باسناد صحبح عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: " كَانُوا يَقُومُونَ عَلَى عَهْدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ بِعِشْرِينَ رَكْعَةً
ভাবার্থ: ইমাম বায়হাকী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরামগণ সহীহ শুদ্ধ সনদে সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকালে সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায পড়তেন।
📌 ইমাম জালালউদ্দিন সুয়ুতি আলাইহির রহমাহ ‘মাসাবিহ’ এর মধ্যে আরো উল্লেখ করেন-
ভাবার্থ: ইমাম বায়হাকী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরামগণ সহীহ শুদ্ধ সনদে সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকালে সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায পড়তেন।
📌 ইমাম জালালউদ্দিন সুয়ুতি আলাইহির রহমাহ ‘মাসাবিহ’ এর মধ্যে আরো উল্লেখ করেন-
وَقَالَ السبكي فِي شَرْحِ الْمِنْهَاجِ: اعْلَمْ أَنَّهُ لَمْ يُنْقَلْ كَمْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ اللَّيَالِيَ، هَلْ هُوَ عِشْرُونَ أَوْ أَقَلُّ، قَالَ: وَمَذْهَبُنَا أَنَّ التَّرَاوِيحَ عِشْرُونَ رَكْعَةً ; لِمَا رَوَى الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ بِالْإِسْنَادِ الصَّحِيحِ عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ الصَّحَابِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كُنَّا نَقُومُ عَلَى عَهْدِ عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بِعِشْرِينَ رَكْعَةً وَالْوَتْرِ، هَكَذَا ذَكَرَهُ الْمُصَنِّفُ وَاسْتَدَلَّ بِهِ، وَرَأَيْتُ إِسْنَادَهُ فِي الْبَيْهَقِيِّ،
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, ইমাম সুবুকি আলাইহির রহমত ‘শরহুল মিনহাজ’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, হাবিবে খোদা কত রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করেছেন, তার কোন নিদৃষ্ট সংখ্যা সহীহ হাদিস দ্বারা উল্লেখ নেই।
সুবুকি বলেন- আমাদের মাযহাব হলো ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায। দলিল হিসেবে ইমাম বায়হাকী আলাইহির রহমতের ‘সুনানে কুবরা’ বায়হাকী এর বর্ণিত হাদিসখানা দলিলরূপে উপস্থাপন করে বলেন- সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসখানা সহীহ।
রাবী বলেন- আমরা সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতের সময় ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতাম।’
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত হাদিসকে ইমাম বায়হাকী, ইমাম জালালউদ্দিন সুয়ুতি, ইমাম নিমভী হানাফি, ইমাম সুবুকি, ইমাম নববী গং সহ সকল মুহাদ্দিসীনে কেরামগণ সহীহ বা বিশুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেছেন যে, হযরত ওমর, হযরত উসমান ও হযরত আলী রেদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন এর যামানায় ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায সাহাবায়ে কেরামগণ আদায় করতেন।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, ইমাম সুবুকি আলাইহির রহমত ‘শরহুল মিনহাজ’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, হাবিবে খোদা কত রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করেছেন, তার কোন নিদৃষ্ট সংখ্যা সহীহ হাদিস দ্বারা উল্লেখ নেই।
সুবুকি বলেন- আমাদের মাযহাব হলো ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায। দলিল হিসেবে ইমাম বায়হাকী আলাইহির রহমতের ‘সুনানে কুবরা’ বায়হাকী এর বর্ণিত হাদিসখানা দলিলরূপে উপস্থাপন করে বলেন- সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসখানা সহীহ।
রাবী বলেন- আমরা সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতের সময় ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতাম।’
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত হাদিসকে ইমাম বায়হাকী, ইমাম জালালউদ্দিন সুয়ুতি, ইমাম নিমভী হানাফি, ইমাম সুবুকি, ইমাম নববী গং সহ সকল মুহাদ্দিসীনে কেরামগণ সহীহ বা বিশুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেছেন যে, হযরত ওমর, হযরত উসমান ও হযরত আলী রেদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন এর যামানায় ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায সাহাবায়ে কেরামগণ আদায় করতেন।
ইমাম আসকালানীর অভিমত
______________
📌 হাফিজুল হাদিস ইবনে হাজার আসকালানী আলাইহির রহমত ‘ফতহুল বারি শরহে বুখারী’ নামক কিতাবের পঞ্চম জিলদের ৪০৫ পৃষ্ঠায় তারাবীহ অধ্যায়ে ইয়াজিদ ইবনু খুসাইফা থেকে বর্ণিত হাদিসসমূহ মোট চারখানা হাদিস দলিলস্বরূপ উল্লেখ করে, তারাবীহ নামায যে, ২০ বিশ রাকআত, হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকাল থেকে এ পর্যন্ত চলে আসছে উপস্থাপন করেন-
______________
📌 হাফিজুল হাদিস ইবনে হাজার আসকালানী আলাইহির রহমত ‘ফতহুল বারি শরহে বুখারী’ নামক কিতাবের পঞ্চম জিলদের ৪০৫ পৃষ্ঠায় তারাবীহ অধ্যায়ে ইয়াজিদ ইবনু খুসাইফা থেকে বর্ণিত হাদিসসমূহ মোট চারখানা হাদিস দলিলস্বরূপ উল্লেখ করে, তারাবীহ নামায যে, ২০ বিশ রাকআত, হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকাল থেকে এ পর্যন্ত চলে আসছে উপস্থাপন করেন-
وَرَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ فَقَالَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ
১. হাফিজুল হাদিস আব্দুর রাজ্জাক মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেছেন, ২১ একুশ রাকআত (তন্মধ্যে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ১ রাকআত বিতির)
১. হাফিজুল হাদিস আব্দুর রাজ্জাক মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেছেন, ২১ একুশ রাকআত (তন্মধ্যে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ১ রাকআত বিতির)
وَرَوَى مَالِكٌ مِنْ طَرِيقِ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ عِشْرِينَ رَكْعَةً وَهَذَا مَحْمُولٌ عَلَى غَيْرِ الْوِتْرِ
২. ইমাম মালিক ইয়াজিদ ইবনে খুসাইফা সূত্রে সাঈব ইবনে ইয়াজিদ থেকে বিতির ছাড়া বর্ণনা করেন, ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায সাহাবায়ে কেরাম আদায় করেছেন।
২. ইমাম মালিক ইয়াজিদ ইবনে খুসাইফা সূত্রে সাঈব ইবনে ইয়াজিদ থেকে বিতির ছাড়া বর্ণনা করেন, ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায সাহাবায়ে কেরাম আদায় করেছেন।
وَعَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ قَالَ كَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ فِي زَمَانِ عُمَرَ بِثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ
৩. ইমাম মালিক ইয়াজিদ ইবনে রোমান থেকে ৩ রাকআত বিতির সহ ২৩ তেইশ রাকআত তারাবীহ নামায সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর যামানায় আদায় করেছেন বলে বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ইয়াজিদ ইবনে রোমান যেহেতু ছেকা রাবী তাই এ হাদিস مرسل ‘মুরসাল হওয়া সত্ত্বেও দলিলরূপে গণ্য করেছেন ইমাম ইবনে হজর আসকালানী আলাইহির রহমত।
৩. ইমাম মালিক ইয়াজিদ ইবনে রোমান থেকে ৩ রাকআত বিতির সহ ২৩ তেইশ রাকআত তারাবীহ নামায সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর যামানায় আদায় করেছেন বলে বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ইয়াজিদ ইবনে রোমান যেহেতু ছেকা রাবী তাই এ হাদিস مرسل ‘মুরসাল হওয়া সত্ত্বেও দলিলরূপে গণ্য করেছেন ইমাম ইবনে হজর আসকালানী আলাইহির রহমত।
وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ نَصْرٍ مِنْ طَرِيقِ عَطَاءٍ قَالَ أَدْرَكْتُهُمْ فِي رَمَضَانَ يُصَلُّونَ عِشْرِينَ رَكْعَةً وَثَلَاثَ رَكَعَاتِ الْوِتْرَ
৪. অপরদিকে মুহাম্মদ ইবনে নসর আতা সূত্রে হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন- আমি পেয়েছি সাহাবায়ে কেরামগণ রমযান মাসে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির নামায আদায় করতেন।’
এ বর্ণনাটিকেও আসকালানী তারাবীহ নামায যে ২০ বিশ রাকআত দলিলরূপে গণ্য করেছেন।
ইমাম আসকালানী আলাইহির রহমত উপরে বর্ণিত চারখানা হাদিসের সনদের মধ্য হতে কোন একজন বর্ণনাকারীকেও মুনকার বলে আখ্যায়িত করেননি।
উপরোল্লেখিত চারখানা হাদিস ব্যতীত আরো তিনটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন-
এক. ১১ এগারো রাকআত
দুই. ১১ এগারো থেকে বেশি রাকআত
তিন. ১৩ তেরো রাকআত।
সর্বমোট সাতখানা হাদিস বর্ণনা করে তিনি সবকটি বর্ণনাগুলিকে সহীহ-শুদ্ধ সাব্যস্ত করে সর্বশেষে তিনি সব হাদিসগুলোকে তাতবীক বা সমন্বয় করেছেন এভাবে -
৪. অপরদিকে মুহাম্মদ ইবনে নসর আতা সূত্রে হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন- আমি পেয়েছি সাহাবায়ে কেরামগণ রমযান মাসে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির নামায আদায় করতেন।’
এ বর্ণনাটিকেও আসকালানী তারাবীহ নামায যে ২০ বিশ রাকআত দলিলরূপে গণ্য করেছেন।
ইমাম আসকালানী আলাইহির রহমত উপরে বর্ণিত চারখানা হাদিসের সনদের মধ্য হতে কোন একজন বর্ণনাকারীকেও মুনকার বলে আখ্যায়িত করেননি।
উপরোল্লেখিত চারখানা হাদিস ব্যতীত আরো তিনটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন-
এক. ১১ এগারো রাকআত
দুই. ১১ এগারো থেকে বেশি রাকআত
তিন. ১৩ তেরো রাকআত।
সর্বমোট সাতখানা হাদিস বর্ণনা করে তিনি সবকটি বর্ণনাগুলিকে সহীহ-শুদ্ধ সাব্যস্ত করে সর্বশেষে তিনি সব হাদিসগুলোকে তাতবীক বা সমন্বয় করেছেন এভাবে -
وَالْجَمْعُ بَيْنَ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ مُمْكِنٌ بِاخْتِلَافِ الْأَحْوَالِ وَيُحْتَمَلُ أَنَّ ذَلِكَ الِاخْتِلَافَ بِحَسَبِ تَطْوِيلِ الْقِرَاءَةِ وَتَخْفِيفِهَا فَحَيْثُ يُطِيلُ الْقِرَاءَةَ تَقِلُّ الرَّكَعَاتُ وَبِالْعَكْسِ وَبِذَلِكَ جَزَمَ الدَّاوُدِيُّ وَغَيْرُهُ
ভাবার্থ: হাফিজুল হাদিস আল্লামা ইবনে হজর আসকালানী আলাইহির রহমত বলেন- এ সকল বর্ণনাগুলির মতানৈক্যের নিরসন বা সমাধান এভাবে হতে পারে।
১. ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে মতানৈক্যের সূচনা হয়েছে।
২. যে নামাযে লম্বা কিরআত পাঠ করা হতো, রাকআত কম হতো।
৩. আবার যে নামাযে কিরআত খাটো করা হতো, রাকআত বেশি হতো, ইমাম দাউদী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরামগণ এভাবে রাকআত মতানৈক্যের নিরসন বা সমাধান দিয়েছেন।
ইমাম আসকালানী আলাইহির রহমত আরো বলেছেন- এগারো রাকআত, এগারো রাকআত থেকে বেশি, তেরো রাকআত ও একুশ রাকআত। সবগুলো রেওয়ায়েত বা বর্ণনাগুলোকে সহীহ-শুদ্ধ স্বীকার করে, এভাবে এর তাতবীক বা সমাধান দিয়েছেন। এগারো রাকআত ও তেরো রাকআত হলো তাহাজ্জুদ এর নামায। একুশ রাকআত এর মধ্যে বিশ রাকআত তারাবীহ এক রাকআত বিতির।
উল্লেখ্য যে, ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামাযের উপর সকল সাহাবায়ে কেরামগণের ঐকমত্য বা ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ভাবার্থ: হাফিজুল হাদিস আল্লামা ইবনে হজর আসকালানী আলাইহির রহমত বলেন- এ সকল বর্ণনাগুলির মতানৈক্যের নিরসন বা সমাধান এভাবে হতে পারে।
১. ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে মতানৈক্যের সূচনা হয়েছে।
২. যে নামাযে লম্বা কিরআত পাঠ করা হতো, রাকআত কম হতো।
৩. আবার যে নামাযে কিরআত খাটো করা হতো, রাকআত বেশি হতো, ইমাম দাউদী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরামগণ এভাবে রাকআত মতানৈক্যের নিরসন বা সমাধান দিয়েছেন।
ইমাম আসকালানী আলাইহির রহমত আরো বলেছেন- এগারো রাকআত, এগারো রাকআত থেকে বেশি, তেরো রাকআত ও একুশ রাকআত। সবগুলো রেওয়ায়েত বা বর্ণনাগুলোকে সহীহ-শুদ্ধ স্বীকার করে, এভাবে এর তাতবীক বা সমাধান দিয়েছেন। এগারো রাকআত ও তেরো রাকআত হলো তাহাজ্জুদ এর নামায। একুশ রাকআত এর মধ্যে বিশ রাকআত তারাবীহ এক রাকআত বিতির।
উল্লেখ্য যে, ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামাযের উপর সকল সাহাবায়ে কেরামগণের ঐকমত্য বা ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
لَكِنْ أَجْمَعَ الصَّحَابَةُ عَلَى أَنَّ التَّرَاوِيحَ عِشْرُونَ رَكْعَةً
مرقاة شرح مشكوة: جلد 3 ص 346: ملا على قارى عليه الرحمة
وَفِي اتِّفَاقِ الصَّحَابَةِ - رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ - عَلَى تَقْدِيرِ التَّرَاوِيحِ بِعِشْرِينَ رَكْعَةً
كتاب المبسوط الشمس الدين السرخسى جزء الاول ص 156 -
ইমাম নববীর অভিমত 📌
"আলমাজমুউ শরহুল মুহাজ্জাব"
নামক কিতাবের পঞ্চম জিলদের ৪৬ পৃষ্ঠায় ইমাম নববী (বেলাদত ৬২১ হিজরি, ওফাত ৬৭৬ হিজরি) উল্লেখ করেন-
وَاحْتَجَّ أَصْحَابُنَا بِمَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ بِالْإِسْنَادِ الصَّحِيحِ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ الصَّحَابِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ " كَانُوا يَقُومُونَ عَلَى عَهْدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ بِعِشْرِينَ ركعة
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ يُجْمَعُ بَيْنَ الرِّوَايَتَيْنِ بِأَنَّهُمْ كَانُوا يَقُومُونَ بِعِشْرِينَ رَكْعَةً وَيُوتِرُونَ بِثَلَاثٍ وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَيْضًا قِيَامَ رَمَضَانَ بِعِشْرِينَ رَكْعَةً
ভাবার্থ: ইমাম নববী আলাইহি রহমত বলেন- আমাদের আসহাব ইমামগণ হাফিজুল হাদিস ইমাম বায়হাকী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরামগণ কর্তৃক সহীহ সনদে হযরত সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসের মাধ্যমে দলিল গ্রহণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। (সাহাবায়ে কেরামগণের ভাষ্য)
আমরা সাহাবায়ে কেরামগণ ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকালে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায পড়তাম।
ইমাম বায়হাকী বলেন- উভয় বর্ণনা দ্বারাই ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির সাব্যস্থ হয়ে গেল। ইমাম নববী বলেন- ইমাম বায়হাকী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু
থেকেও ২০ বিশ রাকআত তারাবীহসংক্রান্ত হাদিস বর্ণনা করেছেন।
মুদ্দাকথা হলো ইমাম বায়হাকী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহসংক্রান্ত দুইখানা হাদিস বর্ণনা করেছেন ভিন্ন সনদে।’
ইমাম নববী উক্ত কিতাবের ৪৫ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ করেন-
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ يُجْمَعُ بَيْنَ الرِّوَايَتَيْنِ بِأَنَّهُمْ كَانُوا يَقُومُونَ بِعِشْرِينَ رَكْعَةً وَيُوتِرُونَ بِثَلَاثٍ وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَيْضًا قِيَامَ رَمَضَانَ بِعِشْرِينَ رَكْعَةً
ভাবার্থ: ইমাম নববী আলাইহি রহমত বলেন- আমাদের আসহাব ইমামগণ হাফিজুল হাদিস ইমাম বায়হাকী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরামগণ কর্তৃক সহীহ সনদে হযরত সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসের মাধ্যমে দলিল গ্রহণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। (সাহাবায়ে কেরামগণের ভাষ্য)
আমরা সাহাবায়ে কেরামগণ ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকালে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায পড়তাম।
ইমাম বায়হাকী বলেন- উভয় বর্ণনা দ্বারাই ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির সাব্যস্থ হয়ে গেল। ইমাম নববী বলেন- ইমাম বায়হাকী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু
থেকেও ২০ বিশ রাকআত তারাবীহসংক্রান্ত হাদিস বর্ণনা করেছেন।
মুদ্দাকথা হলো ইমাম বায়হাকী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহসংক্রান্ত দুইখানা হাদিস বর্ণনা করেছেন ভিন্ন সনদে।’
ইমাম নববী উক্ত কিতাবের ৪৫ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ করেন-
(فَرْعٌ) فِي مَذَاهِبِ الْعُلَمَاءِ فِي عَدَدِ رَكَعَاتِ التَّرَاوِيحِ مَذْهَبُنَا أَنَّهَا عِشْرُونَ رَكْعَةً بِعَشْرِ تَسْلِيمَاتٍ غَيْرَ الْوِتْرِ وَذَلِكَ خَمْسُ تَرْوِيحَاتٍ وَالتَّرْوِيحَةُ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ بِتَسْلِيمَتَيْنِ هَذَا مَذْهَبُنَا وَبِهِ قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَصْحَابُهُ وَأَحْمَدُ وَدَاوُد وَغَيْرُهُمْ وَنَقَلَهُ الْقَاضِي عِيَاضٌ عَنْ جُمْهُورِ الْعُلَمَاءِ
حاشيه- وَالصَّحِيْحُ قَوْلُ الْعَامَّةِ لِمَا رُوِىَ اَنَّ عُمَرَ رضى الله عنه جَمَعَ اَصْحَابَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِىْ شَهْرِ رَمْضَانَ عَلَى اُبَىْ بِنْ كَعْبٍ فَصَلَّى بِهِمْ فِى كُلِّ لَيْلَةٍ عِشْرِيْنَ رَكْعَةً وَلَمْ يَنْكُرْ اَحَدٌ عَلَيْهِ فَيَكُوُن اِجْمَاعًا مِنْهُمْ عَلَى ذَلِكَ-
ভাবার্থ: ইমাম নববী বলেন- আমাদের মাযহাব হলো বিতির ব্যতীত দশ সালামের মাধ্যমে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায। দশ সালামে পাঁচ তারাবীহ হয়। এক তারবিহাত হলো দুই সালামে চার রাকাত। এটাই হলো আমাদের মাযহাব। এর উপরই প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ইমাম আবু হানিফা এবং তাঁর অনুসারি আসহাবগণ। ইমাম আহমদ ও দাউদসহ অন্যান্য উলামায়ে কেরামগণও এর উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।
حاشيه- وَالصَّحِيْحُ قَوْلُ الْعَامَّةِ لِمَا رُوِىَ اَنَّ عُمَرَ رضى الله عنه جَمَعَ اَصْحَابَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِىْ شَهْرِ رَمْضَانَ عَلَى اُبَىْ بِنْ كَعْبٍ فَصَلَّى بِهِمْ فِى كُلِّ لَيْلَةٍ عِشْرِيْنَ رَكْعَةً وَلَمْ يَنْكُرْ اَحَدٌ عَلَيْهِ فَيَكُوُن اِجْمَاعًا مِنْهُمْ عَلَى ذَلِكَ-
ভাবার্থ: ইমাম নববী বলেন- আমাদের মাযহাব হলো বিতির ব্যতীত দশ সালামের মাধ্যমে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায। দশ সালামে পাঁচ তারাবীহ হয়। এক তারবিহাত হলো দুই সালামে চার রাকাত। এটাই হলো আমাদের মাযহাব। এর উপরই প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ইমাম আবু হানিফা এবং তাঁর অনুসারি আসহাবগণ। ইমাম আহমদ ও দাউদসহ অন্যান্য উলামায়ে কেরামগণও এর উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।
আল্লামা কাজী আয়াজের অভিমত
______________
📌 মুহাদ্দিসে আ’জম কাযী আয়াজ আলাইহির রহমত জমহুর উলামায়ে কেরামগণ থেকে এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
উক্ত শারহুল মুহাজ্জাব কিতাবের পার্শ্বটীকায় আরো উল্লেখ রয়েছে-
______________
📌 মুহাদ্দিসে আ’জম কাযী আয়াজ আলাইহির রহমত জমহুর উলামায়ে কেরামগণ থেকে এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
উক্ত শারহুল মুহাজ্জাব কিতাবের পার্শ্বটীকায় আরো উল্লেখ রয়েছে-
وَالصَّحِيْحُ قَوْلُ الْعَامَّةِ لِمَا رُوِىَ اَنَّ عُمَرَ رضى الله عنه جَمَعَ اَصْحَابَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِىْ شَهْرِ رَمْضَانَ عَلَى اُبَىْ بِنْ كَعْبٍ فَصَلَّى بِهِمْ فِى كُلِّ لَيْلَةٍ عِشْرِيْنَ رَكْعَةً وَلَمْ يَنْكُرْ اَحَدٌ عَلَيْهِ فَيَكُوُن اِجْمَاعًا مِنْهُمْ عَلَى ذَلِكَ-
ভাবার্থ- সকল উলামায়ে কেরামগণের অভিমতই সহীহ বা বিশুদ্ধ। যেহেতু হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু রমযান মাসে উবাই ইবনে কা’ব এর নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরামগণকে একত্রিত করালেন। উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে রমযানশরীফের প্রতিটি রাতে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করলেন। অথচ কেউই এই ইজমা বা ঐকমত্যকে অস্বীকার করেন নি।
ভাবার্থ- সকল উলামায়ে কেরামগণের অভিমতই সহীহ বা বিশুদ্ধ। যেহেতু হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু রমযান মাসে উবাই ইবনে কা’ব এর নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরামগণকে একত্রিত করালেন। উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে রমযানশরীফের প্রতিটি রাতে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করলেন। অথচ কেউই এই ইজমা বা ঐকমত্যকে অস্বীকার করেন নি।
📌 আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবীর অভিমত
_____________
পাকভারত ও বাংলা উপমহাদেশে যিনি কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা সর্বপ্রথম নিয়মিতভাবে চালু করে ছিলেন, তিনি হচ্ছেন, একাদশ শতাব্দীর দশম মুজাদ্দিদ শায়খুল মুহাক্কিবক শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত (বেলাদত ৯৫৮ হিজরি ওফাত ১০৫২ হিজরি) ‘মা সাবাতা মিনাস সুন্নাহ’ নামক কিতাবের شهر رمضان ‘শাহরে রমযান’ অধ্যায়ে উল্লেখ করেন-
_____________
পাকভারত ও বাংলা উপমহাদেশে যিনি কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা সর্বপ্রথম নিয়মিতভাবে চালু করে ছিলেন, তিনি হচ্ছেন, একাদশ শতাব্দীর দশম মুজাদ্দিদ শায়খুল মুহাক্কিবক শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত (বেলাদত ৯৫৮ হিজরি ওফাত ১০৫২ হিজরি) ‘মা সাবাতা মিনাস সুন্নাহ’ নামক কিতাবের شهر رمضان ‘শাহরে রমযান’ অধ্যায়ে উল্লেখ করেন-
علم انه قد اختلف العلماء فى التراويح هل تسمى سنة ... وقال بعضهم تسمى سنة وهو الاصح وهى سنة مؤكدة للرجال والنساء توارثها الخلف عن السلف-
ভাবার্থ: তারাবীহ নামায সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও সহিহ শুদ্ধ অভিমত হলো- তারাবীহ নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ পুরুষ মহিলা সকলের জন্য। এ অভিমত সলফে সালেহীন থেকে চলে আসছে।
তিনি উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ করেন-
ভাবার্থ: তারাবীহ নামায সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও সহিহ শুদ্ধ অভিমত হলো- তারাবীহ নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ পুরুষ মহিলা সকলের জন্য। এ অভিমত সলফে সালেহীন থেকে চলে আসছে।
তিনি উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ করেন-
الفصل الاول فى عدد ركعاتها-
فعندنا عشرون ركعة لما روى البيهقى باسناد صحيح انهم كانوا يقومون على عهد عمر بعشرين ركعة وفى عهد عثمان وعلى مثله-
ভাবার্থ: শায়খুল মুহাক্কিকীন শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত বলেন- হাফিজুল হাদিস ইমাম বায়হাকি আলাইহির রহমতের সহীহ বর্ণনার আলোকে আমরা মুহাদ্দিসীনে কেরামদের অভিমত হলো- তারাবীহ নামায ২০ বিশ রাকআত। কেননা সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর ফারুক, হযরত উসমান, হযরত আলী রেদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈনের যামানায় রমযান মাসে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন।
তিনি (শেখ আব্দুল হক দেহলভী) আরো বলেন- আল্লাহর রাসূল বিশ রাকাত তারাবীহ নামায আদায় করেছেন বলে কোন সহীহ হাদিস নেই। কিন্তু সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ আদায় করে আসছেন, হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকালের শেষপ্রান্ত থেকে, তাঁরই নির্দেশে সকল সাহাবায়ে কেরামদের ঐকমত্যে সহীহ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত আছে। এ পুস্তকের প্রথমাংশে দলিলসহ প্রমাণ করা হয়েছে।
অপরদিকে হাবিবে খোদা কত রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করেছেন, এর সঠিক সংখ্যার কোন সহীহ বর্ণনা নেই। হাফিজুল হাদিস ইমাম সুবুকিসহ সকল মুহাদ্দিসীনগণ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। অর্ধান্ধ ব্যক্তিবর্গ কিছু দেখে আবার অনেক কিছুই দেখতে পারে না।
فعندنا عشرون ركعة لما روى البيهقى باسناد صحيح انهم كانوا يقومون على عهد عمر بعشرين ركعة وفى عهد عثمان وعلى مثله-
ভাবার্থ: শায়খুল মুহাক্কিকীন শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত বলেন- হাফিজুল হাদিস ইমাম বায়হাকি আলাইহির রহমতের সহীহ বর্ণনার আলোকে আমরা মুহাদ্দিসীনে কেরামদের অভিমত হলো- তারাবীহ নামায ২০ বিশ রাকআত। কেননা সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর ফারুক, হযরত উসমান, হযরত আলী রেদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈনের যামানায় রমযান মাসে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন।
তিনি (শেখ আব্দুল হক দেহলভী) আরো বলেন- আল্লাহর রাসূল বিশ রাকাত তারাবীহ নামায আদায় করেছেন বলে কোন সহীহ হাদিস নেই। কিন্তু সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ আদায় করে আসছেন, হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকালের শেষপ্রান্ত থেকে, তাঁরই নির্দেশে সকল সাহাবায়ে কেরামদের ঐকমত্যে সহীহ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত আছে। এ পুস্তকের প্রথমাংশে দলিলসহ প্রমাণ করা হয়েছে।
অপরদিকে হাবিবে খোদা কত রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করেছেন, এর সঠিক সংখ্যার কোন সহীহ বর্ণনা নেই। হাফিজুল হাদিস ইমাম সুবুকিসহ সকল মুহাদ্দিসীনগণ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। অর্ধান্ধ ব্যক্তিবর্গ কিছু দেখে আবার অনেক কিছুই দেখতে পারে না।
হেদায়ার গ্রন্থাকারের অভিমত
_____________
📌 শায়খুল ইসলাম বুরহানউদ্দিন আলী ইবনে আবু বকর আলাইহির রহমত الهداية ‘আল হিদায়া’ নামক কিতাবের
_____________
📌 শায়খুল ইসলাম বুরহানউদ্দিন আলী ইবনে আবু বকর আলাইহির রহমত الهداية ‘আল হিদায়া’ নামক কিতাবের
يستحب أن يجتمع الناس في شهر رمضان بعد العشاء فيصلي بهم إمامهم خمس ترويحات كل ترويحة بتسليمتين ويجلس بين كل ترويحتين مقدار ترويحة ثم يوتر بهم " ذكر لفظ الاستحباب والأصح أنها سنة
ভাবার্থ: মুস্তাহাব এই যে, মুসল্লিয়ানে কেরাম রমযান মাসে এশার পরে একত্র হবে এবং ইমাম সাহেব তাদেরকে নিয়ে পাঁচ তারবিহা (অর্থাৎ চার চার রাকআত সালাত) পড়বেন। প্রতিটি তারবিহা (চার রাকাত) দুই সালামে হবে। এবং প্রতিটি তারবিহার পরে এক তারবিহা পরিমাণ বসবে। এরপর ইমাম সাহেব তাদেরকে নিয়ে বিতির পড়বেন। সহীহ-শুদ্ধ অভিমত হলো জামায়াতের সাথে তারাবীহ নামায আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া’
হেদায়া কিতাবের উপরোক্ত দলিলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো- তারাবিহ নামায ২০ বিশ রাকআত।
ভাবার্থ: মুস্তাহাব এই যে, মুসল্লিয়ানে কেরাম রমযান মাসে এশার পরে একত্র হবে এবং ইমাম সাহেব তাদেরকে নিয়ে পাঁচ তারবিহা (অর্থাৎ চার চার রাকআত সালাত) পড়বেন। প্রতিটি তারবিহা (চার রাকাত) দুই সালামে হবে। এবং প্রতিটি তারবিহার পরে এক তারবিহা পরিমাণ বসবে। এরপর ইমাম সাহেব তাদেরকে নিয়ে বিতির পড়বেন। সহীহ-শুদ্ধ অভিমত হলো জামায়াতের সাথে তারাবীহ নামায আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া’
হেদায়া কিতাবের উপরোক্ত দলিলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো- তারাবিহ নামায ২০ বিশ রাকআত।
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনীর অভিমত
____________
📌 সহীহ বুখারীশরীফের ভাষ্যকার ইমাম আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী আলাইহির রহমত ওফাত ৮৫৫ হিজরি তদীয়
عمدة القارى شرح صحيح البخارى
‘উমদাতুল ক্বারী শরহে সহীহীল বুখারী’ নামক কিতাবের ষষ্ট জিলদের ১২৭ পৃষ্ঠায় তারাবীহ অধ্যায়ে, তারাবীহ সংক্রান্ত হাদিসসমূহ পর্যালোচনা করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে উল্লেখ করেন-
____________
📌 সহীহ বুখারীশরীফের ভাষ্যকার ইমাম আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী আলাইহির রহমত ওফাত ৮৫৫ হিজরি তদীয়
عمدة القارى شرح صحيح البخارى
‘উমদাতুল ক্বারী শরহে সহীহীল বুখারী’ নামক কিতাবের ষষ্ট জিলদের ১২৭ পৃষ্ঠায় তারাবীহ অধ্যায়ে, তারাবীহ সংক্রান্ত হাদিসসমূহ পর্যালোচনা করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে উল্লেখ করেন-
قَالَ الْأَعْمَش: كَانَ يُصَلِّي عشْرين رَكْعَة ويوتر بِثَلَاث) .........
وَقَالَ ابْن عبد الْبر: وَهُوَ قَول جُمْهُور الْعلمَاء، وَبِه قَالَ الْكُوفِيُّونَ وَالشَّافِعِيّ وَأكْثر الْفُقَهَاء، وَهُوَ الصَّحِيح عَن أبي بن كَعْب من غير خلاف من الصَّحَابَة.
ভাবার্থ: আ’মাশ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায ও তিন রাকআত বিতির আদায় করতেন। ... এবং ইবনে আব্দুল বর বলেন- এ হলো জমহুর উলামাগণের অভিমত। এ অভিমতের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন, কুফার আলেমগণ, শাফেয়ী মাযহাবলম্বী আলেমগণ এবং অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরামগণ বা ইসলামী আইন বিশারদগণ। (আল্লামা আইনী বলেন) ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও তিন রাকআত বিতির নামায হলো হযরত উবাই ইবনে কা’ব থেকে বর্ণিত সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং সাহাবায়ে কেরামগণের মধ্যে কোন এখতেলাফ বা মতানৈক্য ছাড়াই ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও তিন রাকাত বিতির প্রমাণিত।
আশ শায়খ ইমাম আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী আলাইহির রহমত (ওফাত ৮৫৫ হিজরি) তদীয় البناية فى شرح الهداية ‘আল বেনায়া শরহে হেদায়া’ নামক কিতাবের দ্বিতীয় জিলদের ২৬০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
وَقَالَ ابْن عبد الْبر: وَهُوَ قَول جُمْهُور الْعلمَاء، وَبِه قَالَ الْكُوفِيُّونَ وَالشَّافِعِيّ وَأكْثر الْفُقَهَاء، وَهُوَ الصَّحِيح عَن أبي بن كَعْب من غير خلاف من الصَّحَابَة.
ভাবার্থ: আ’মাশ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায ও তিন রাকআত বিতির আদায় করতেন। ... এবং ইবনে আব্দুল বর বলেন- এ হলো জমহুর উলামাগণের অভিমত। এ অভিমতের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন, কুফার আলেমগণ, শাফেয়ী মাযহাবলম্বী আলেমগণ এবং অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরামগণ বা ইসলামী আইন বিশারদগণ। (আল্লামা আইনী বলেন) ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও তিন রাকআত বিতির নামায হলো হযরত উবাই ইবনে কা’ব থেকে বর্ণিত সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং সাহাবায়ে কেরামগণের মধ্যে কোন এখতেলাফ বা মতানৈক্য ছাড়াই ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও তিন রাকাত বিতির প্রমাণিত।
আশ শায়খ ইমাম আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী আলাইহির রহমত (ওফাত ৮৫৫ হিজরি) তদীয় البناية فى شرح الهداية ‘আল বেনায়া শরহে হেদায়া’ নামক কিতাবের দ্বিতীয় জিলদের ২৬০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
واحتج الأصحاب والشافعية والحنابلة بمذهبهم بما رواه البيهقي بإسناد صحيح عن السائب بن يزيد الصحابي قال كانوا يقومون على عهد عمر - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - بعشرين ركعة، وعلى عهد عثمان وعلي - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - مثل. وفي " المغني " عن علي - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - أنه أمر رجلا أن يصلي بهم في رمضان بعشرين ركعة قال وهذا كالإجماع.
ভাবার্থ: শাফেয়ী মাযহাবলম্বী উলামায়ে কেরামগণ (তাদের মাযহাবের সিদ্ধান্ত ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ) দলিল উপস্থাপনা করলেন, হাফিজুল হাদিস ইমাম বায়হাকী সহীহ সনদে সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসখানা দ্বারা। সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবি বলেন- সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর ফারুক এর খেলাফতকালে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন। এভাবে হযরত উসমান, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুমার যামানায়ও সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন বলেও সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে। তিনি আরো বলেন- ইহা ইজমার অনুরূপ।
ভাবার্থ: শাফেয়ী মাযহাবলম্বী উলামায়ে কেরামগণ (তাদের মাযহাবের সিদ্ধান্ত ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ) দলিল উপস্থাপনা করলেন, হাফিজুল হাদিস ইমাম বায়হাকী সহীহ সনদে সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসখানা দ্বারা। সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবি বলেন- সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর ফারুক এর খেলাফতকালে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন। এভাবে হযরত উসমান, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুমার যামানায়ও সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন বলেও সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে। তিনি আরো বলেন- ইহা ইজমার অনুরূপ।
ইবনে কুদামার অভিমত
____________
📌 হাম্বলী মাযহাবের ফকিহ বা ইসলামী আইন বিশারদ ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে কুদামা মুকাদ্দাসী তদীয় ‘আল মুগনী’ নামক কিতাবের দ্বিতীয় জিলদের صلاة التراويح ‘সালাতুত তারাবিহ’ অধ্যায়ে ৩৯৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
____________
📌 হাম্বলী মাযহাবের ফকিহ বা ইসলামী আইন বিশারদ ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে কুদামা মুকাদ্দাসী তদীয় ‘আল মুগনী’ নামক কিতাবের দ্বিতীয় জিলদের صلاة التراويح ‘সালাতুত তারাবিহ’ অধ্যায়ে ৩৯৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
مَسْأَلَةٌ: قَالَ (وَقِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ عِشْرُونَ رَكْعَةً) . (يَعْنِي) (صَلَاةَ التَّرَاوِيحِ) وَهِيَ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ، الخ
ভাবার্থ: তারাবীহ নামায ২০ বিশ রাকআত এবং ইহা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
উক্ত কিতাবের ৩৯৬ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ রয়েছে-
ভাবার্থ: তারাবীহ নামায ২০ বিশ রাকআত এবং ইহা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
উক্ত কিতাবের ৩৯৬ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ রয়েছে-
وَلَنَا، أَنَّ عُمَرَ، - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - لَمَّا جَمَعَ النَّاسَ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَكَانَ يُصَلِّي لَهُمْ عِشْرِينَ رَكْعَةً، وَقَدْ رَوَى الْحَسَنُ أَنَّ عُمَرَ جَمَعَ النَّاسَ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، فَكَانَ يُصَلِّي لَهُمْ عِشْرِينَ لَيْلَةً... وَرَوَى مَالِكٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، قَالَ: كَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ فِي زَمَنِ عُمَرَ فِي رَمَضَانَ بِثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ رَكْعَةً. وَعَنْ عَلِيٍّ، أَنَّهُ أَمَرَ رَجُلًا يُصَلِّي بِهِمْ فِي رَمَضَانَ عِشْرِينَ رَكْعَةً. وَهَذَا كَالْإِجْمَاعِ
ভাবার্থ: (ইবনে কুদামা মুকাদ্দাসী বলেন) তারাবীহ নামায ২০ বিশ রাকআত আমাদের দলিল হলো- হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন উবাই ইবনে কা’ব এর নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরামগণকে একত্রিত করালেন, উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায পড়ালেন।
📌 হযরত হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন- হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু উবাই ইবনে কা’ব এর নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরামগণকে একত্রিত করালেন। অতঃপর উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করলেন।
অপরদিকে ইমাম মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু ইয়াজিদ ইবনে রোমান থেকে বর্ণনা করেন- হযরত ওমর ফারুক এর যামানায় সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায পড়তেন। (এ বর্ণনা মুরসাল রাবি যেহেতু ছেকা এবং সহীহ হাদিসের পরিপন্থী নয়, তাই এ মুরসাল হাদিস দলিলরূপে গণ্য এতে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না)
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি (হযরত আলী) সাহাবায়ে কেরামদের মধ্য থেকে একজন সাহাবীকে রমযান মাসে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায জামায়াতের সাথে আদায় করার নির্দেশ দিলেন। এ থেকে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায সকল সাহাবায়ে কেরামদের ঐকমত্যে ইজমার মধ্যে পরিগণিত হয়ে গেল।’
ভাবার্থ: (ইবনে কুদামা মুকাদ্দাসী বলেন) তারাবীহ নামায ২০ বিশ রাকআত আমাদের দলিল হলো- হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন উবাই ইবনে কা’ব এর নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরামগণকে একত্রিত করালেন, উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায পড়ালেন।
📌 হযরত হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন- হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু উবাই ইবনে কা’ব এর নেতৃত্বে সাহাবায়ে কেরামগণকে একত্রিত করালেন। অতঃপর উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করলেন।
অপরদিকে ইমাম মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু ইয়াজিদ ইবনে রোমান থেকে বর্ণনা করেন- হযরত ওমর ফারুক এর যামানায় সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায পড়তেন। (এ বর্ণনা মুরসাল রাবি যেহেতু ছেকা এবং সহীহ হাদিসের পরিপন্থী নয়, তাই এ মুরসাল হাদিস দলিলরূপে গণ্য এতে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না)
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি (হযরত আলী) সাহাবায়ে কেরামদের মধ্য থেকে একজন সাহাবীকে রমযান মাসে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায জামায়াতের সাথে আদায় করার নির্দেশ দিলেন। এ থেকে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায সকল সাহাবায়ে কেরামদের ঐকমত্যে ইজমার মধ্যে পরিগণিত হয়ে গেল।’
ইমাম তিরমিজির অভিমত
____________
📌 মুহাম্মদ ইবনে ঈসা ইবনে সাওরা ইবনে মুসা ইবনে যিহাক সালমী বুগী তিরমিজি (ইমাম তিরমিজি আলাইহি রহমত ২৭৯ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন) তিনি سنن الترمذى সুনানে তিরমিজি’ নামক কিতাবের তৃতীয় জিলদের ১০৩ পৃষ্ঠায় হাদিস নম্বর ৮০
دار الحديث القاهرة باب ما جاء فى قيام رمضان
কিয়ামে রমযান বা তারাবীহ নামাযের রাকআত সংখ্যার অধ্যায়ে উল্লেখ করেন-
____________
📌 মুহাম্মদ ইবনে ঈসা ইবনে সাওরা ইবনে মুসা ইবনে যিহাক সালমী বুগী তিরমিজি (ইমাম তিরমিজি আলাইহি রহমত ২৭৯ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন) তিনি سنن الترمذى সুনানে তিরমিজি’ নামক কিতাবের তৃতীয় জিলদের ১০৩ পৃষ্ঠায় হাদিস নম্বর ৮০
دار الحديث القاهرة باب ما جاء فى قيام رمضان
কিয়ামে রমযান বা তারাবীহ নামাযের রাকআত সংখ্যার অধ্যায়ে উল্লেখ করেন-
واختلف اهل العلم فى قيام رمضان
(রমযানশরীফে, তারাবীহ রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে মতানৈক্য করেছেন আহলে ইলিম বা ইলমে হাদিসের পারদর্শী ব্যক্তিগণ-
(রমযানশরীফে, তারাবীহ রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে মতানৈক্য করেছেন আহলে ইলিম বা ইলমে হাদিসের পারদর্শী ব্যক্তিগণ-
فَرَأَى بَعْضُهُمْ: أَنْ يُصَلِّيَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ رَكْعَةً مَعَ الوِتْرِ، وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ المَدِينَةِ، وَالعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَهُمْ بِالمَدِينَةِ،
(ইমাম তিরমিজি বলেন) বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যাক উলামায়ে কেরামদের অভিমত হলো, বিতিরসহ ৪১ একচল্লিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করার আমল এ অভিমত হলো মদীনাবাসীদের। (এ হলো হযরত ওমর ফারুক এর খেলাফতে অধিষ্টিত হওয়ার পূর্বের কথা) এরপর ইমাম তিরমিজি আরো উল্লেখ করেন-
(ইমাম তিরমিজি বলেন) বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যাক উলামায়ে কেরামদের অভিমত হলো, বিতিরসহ ৪১ একচল্লিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করার আমল এ অভিমত হলো মদীনাবাসীদের। (এ হলো হযরত ওমর ফারুক এর খেলাফতে অধিষ্টিত হওয়ার পূর্বের কথা) এরপর ইমাম তিরমিজি আরো উল্লেখ করেন-
وَأَكْثَرُ أَهْلِ العِلْمِ عَلَى مَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ، وَعَلِيٍّ، وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِشْرِينَ رَكْعَةً، وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ، وَابْنِ المُبَارَكِ، وَالشَّافِعِيِّ
অধিকাংশ আহলে ইলিম অর্থাৎ অভিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগণের অভিমত হলো- হযরত ওমর, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুম ও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম থেকে সহীহ সনদসূত্রে বর্ণিত রয়েছে, তারাবীহ নামায হচ্ছে ২০ বিশ রাকআত।
এ হলো হযরত ছাওরী, হযরত ইবনে মোবারক ও ইমাম শাফেয়ী আলাইহির রহমত সকল উলামাগণের অভিমত। (হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু খেলাফতের মসনদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরের কথা, হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নির্দেশে সাহাবায়ে কেরামগণের ঐকমত্যে জামায়াতের সাথে নিয়মিতভাবে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ প্রচলন হয়ে চলতে থাকে, তখনকার কথা)
উপরোক্ত দলিলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো, সিহাহ সিত্তাহ কিতাবের মধ্যে অন্যতম হাদিসের কিতাব سنن الترمذى সুনানে তিরমিজি’ এর মধ্যেও ২০ রাকআত তারাবীহ নামাযের উল্লেখ রয়েছে। এতদভিন্ন অন্যান্য হাদিসের কিতাবেও সহীহ সনদে এর ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে, যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
অধিকাংশ আহলে ইলিম অর্থাৎ অভিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগণের অভিমত হলো- হযরত ওমর, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুম ও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম থেকে সহীহ সনদসূত্রে বর্ণিত রয়েছে, তারাবীহ নামায হচ্ছে ২০ বিশ রাকআত।
এ হলো হযরত ছাওরী, হযরত ইবনে মোবারক ও ইমাম শাফেয়ী আলাইহির রহমত সকল উলামাগণের অভিমত। (হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু খেলাফতের মসনদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরের কথা, হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নির্দেশে সাহাবায়ে কেরামগণের ঐকমত্যে জামায়াতের সাথে নিয়মিতভাবে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ প্রচলন হয়ে চলতে থাকে, তখনকার কথা)
উপরোক্ত দলিলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো, সিহাহ সিত্তাহ কিতাবের মধ্যে অন্যতম হাদিসের কিতাব سنن الترمذى সুনানে তিরমিজি’ এর মধ্যেও ২০ রাকআত তারাবীহ নামাযের উল্লেখ রয়েছে। এতদভিন্ন অন্যান্য হাদিসের কিতাবেও সহীহ সনদে এর ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে, যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
আব্দুল হাই লাখনবী সাহেবের অভিমত
_______________
📌 আল্লামা আবুল হাসানাত আব্দুল হাই লাখনবী সাহেব (জন্ম ১২৬৪ হিজরি) ‘হাশিয়ায়ে শরহে বেকায়া উমদাতুর রেয়ায়া’ নামক কিতাবের প্রথম জিলদের ১৫৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
_______________
📌 আল্লামা আবুল হাসানাত আব্দুল হাই লাখনবী সাহেব (জন্ম ১২৬৪ হিজরি) ‘হাশিয়ায়ে শরহে বেকায়া উমদাতুর রেয়ায়া’ নামক কিতাবের প্রথম জিলদের ১৫৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
نَعَمْ ثَبَتَ اِهْتِمَامِ الصَّحَابَةِ عَلَى عِشْرِيْنَ فِى عَهْدِ عُمَرَ وَعُثْمَاِن وَعَلَى رِضْوَانِ اللهِ عَلَيْهِمْ اَجْمَعِيْنَ فَمِنْ بَعْدِهِمْ اَخْرَجَهُ مَاِلكٍ وَاِبْنِ سَعْدٍ وَالْبَيْهَقِى وغَيْرِهِمْ وَمَا واظبت عَلَيْهِ الْخُلَفَاءُ فِعْلاً اَوْ تَشْرِيْعًا اَيْضًا سُنَّةٌ لِحَدِيْثٍ عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِى وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْن اخرجه ابو داؤد وغيره-
ভাবার্থ: হযরত ওমর ফারুক, হযরত উসমানগণী জিননুরাইন ও হযরত আলী কাররামাহুল্লাহ ওয়াজহাহু রেদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন, এ তিন স্বর্ণযুগে সাহাবায়ে কেরামগণের ঐক্যমতে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায এর প্রচলন অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর সাহাবায়ে কেরাম হতে তাবেঈন ও তাবয়ে তাবেঈন হয়ে আজ পর্যন্ত এ পদ্ধতি অর্থাৎ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামাযের প্রচলন চলে আসছে। ইমাম মালেক, ইমাম সা’দ ও ইমাম বায়হাকীসহ মুহাদ্দিসীনগণ আল্লাহর হাবিবের ঐ হাদিসের প্রেক্ষাপটে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায সুন্নত হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। হাদিসখানা হলো হাবিবে খোদার নূরানী ফরমান-
ভাবার্থ: হযরত ওমর ফারুক, হযরত উসমানগণী জিননুরাইন ও হযরত আলী কাররামাহুল্লাহ ওয়াজহাহু রেদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন, এ তিন স্বর্ণযুগে সাহাবায়ে কেরামগণের ঐক্যমতে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায এর প্রচলন অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর সাহাবায়ে কেরাম হতে তাবেঈন ও তাবয়ে তাবেঈন হয়ে আজ পর্যন্ত এ পদ্ধতি অর্থাৎ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামাযের প্রচলন চলে আসছে। ইমাম মালেক, ইমাম সা’দ ও ইমাম বায়হাকীসহ মুহাদ্দিসীনগণ আল্লাহর হাবিবের ঐ হাদিসের প্রেক্ষাপটে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায সুন্নত হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। হাদিসখানা হলো হাবিবে খোদার নূরানী ফরমান-
عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِى وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْن
আমার সুন্নাত ও আমার খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নত তোমরা আঁকড়িয়ে ধর। (আবু দাউদশরীফ)
আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী সাহেব তদীয় مجموعه فتاوى ‘মজমুয়ায়ে ফাতাওয়া’ নামক কিতাবের তৃতীয় জিলদের ৫৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন-
আমার সুন্নাত ও আমার খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নত তোমরা আঁকড়িয়ে ধর। (আবু দাউদশরীফ)
আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী সাহেব তদীয় مجموعه فتاوى ‘মজমুয়ায়ে ফাতাওয়া’ নামক কিতাবের তৃতীয় জিলদের ৫৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন-
سوال- حنفیہ بست رکعت تراویح سواۓ وترمیخوانند ودر حدیث صحیح از عائشہ صدیقہ رضی اللہ عنہا وارشدہ ما كان يزيد فى رمضان ولا فى غيره على احدى عشرة ركعة پس سند بست رکعت چیست؟
ভাবার্থ: প্রশ্ন: হানাফী মাযহাব অনুযায়ী বিতির ছাড়া তারাবীহ নামায কত রাকআত?
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে সহীহ সনদ সূত্রে হাদিস বর্ণিত আছে-
ভাবার্থ: প্রশ্ন: হানাফী মাযহাব অনুযায়ী বিতির ছাড়া তারাবীহ নামায কত রাকআত?
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে সহীহ সনদ সূত্রে হাদিস বর্ণিত আছে-
مَا كَانَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা বলেন- হাবিবে খোদা রমযান ও রমযান ছাড়া অন্যান্য মাসে শুধুমাত্র ১১ এগারো রাকআত সালাত আদায় করতেন এর বেশি নয়।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা বলেন- হাবিবে খোদা রমযান ও রমযান ছাড়া অন্যান্য মাসে শুধুমাত্র ১১ এগারো রাকআত সালাত আদায় করতেন এর বেশি নয়।
جواب- روايت عائشۃ صدیقہ رضی اللہ عنہا محمول برنماز تہجدست کہ در رمضان وغیر رمضان یکسان بود وغالبا بعد وزیادہ رکعت مع الوتر میرسید ۔۔۔
ونماز تراویح رادر عرف آں وقت قیام رمضان میگفتند ودر صحاح ستہ بروایات صحیحہ مرفوعہ الی النبی صلی اللہ علیہ وسلم تعین عدد قیام رمضان مصرح نشدہ اینقدر ھست کہ قالت عائشة كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يجتهد فى رمضان بان يجتهد فى غيره رواه مسلم ...
وروى البيهقى فى سننه باسناد صحيح عن السائب بن يزيد قال كانوا يقومون على عهد عمر بن الخطاب رضى الله عنه فى شهر رمضان بعشرين ركعة-
জবাব-
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে ১১ এগারো রাকআত এর যে বর্ণনা রয়েছে, তা হলো তাহাজ্জুদের নামায। তাহাজ্জুদ নামায রমযান ও গয়র রমযান সব মাসেই একই ধরনের আদায় করতে হয় এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সম্ভবত: বিতির নামাযের সংখ্যা কম বেশি হতে পারে।
অপরদিকে ‘তারাবীহ নামায’ শরিয়তের পরিভাষায় ‘কিয়ামে রমযান’ বা শুধু রমযান মাসেই আদায় করতে হয়।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহার বর্ণনা দ্বারা পাওয়া যায় হাবিবে খোদা রমযান ও গয়র রমযান মাসে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করেছেন। (মুসলিম শরীফ)
তদুপরি হাফিজুল হাদিস ইমাম বায়হাকী ‘সুনানে কুবরা’ নামক কিতাবে সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী থেকে সহীহ সনদের বর্ণনার দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত, সাঈব ইবনে ইয়াজিদ বলেন- সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকালে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন।
এ হলো আব্দুল হাই লাখনভী সাহেবের দলিলভিত্তিক বক্তব্য।
ونماز تراویح رادر عرف آں وقت قیام رمضان میگفتند ودر صحاح ستہ بروایات صحیحہ مرفوعہ الی النبی صلی اللہ علیہ وسلم تعین عدد قیام رمضان مصرح نشدہ اینقدر ھست کہ قالت عائشة كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يجتهد فى رمضان بان يجتهد فى غيره رواه مسلم ...
وروى البيهقى فى سننه باسناد صحيح عن السائب بن يزيد قال كانوا يقومون على عهد عمر بن الخطاب رضى الله عنه فى شهر رمضان بعشرين ركعة-
জবাব-
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে ১১ এগারো রাকআত এর যে বর্ণনা রয়েছে, তা হলো তাহাজ্জুদের নামায। তাহাজ্জুদ নামায রমযান ও গয়র রমযান সব মাসেই একই ধরনের আদায় করতে হয় এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সম্ভবত: বিতির নামাযের সংখ্যা কম বেশি হতে পারে।
অপরদিকে ‘তারাবীহ নামায’ শরিয়তের পরিভাষায় ‘কিয়ামে রমযান’ বা শুধু রমযান মাসেই আদায় করতে হয়।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহার বর্ণনা দ্বারা পাওয়া যায় হাবিবে খোদা রমযান ও গয়র রমযান মাসে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করেছেন। (মুসলিম শরীফ)
তদুপরি হাফিজুল হাদিস ইমাম বায়হাকী ‘সুনানে কুবরা’ নামক কিতাবে সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী থেকে সহীহ সনদের বর্ণনার দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত, সাঈব ইবনে ইয়াজিদ বলেন- সাহাবায়ে কেরামগণ হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফতকালে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন।
এ হলো আব্দুল হাই লাখনভী সাহেবের দলিলভিত্তিক বক্তব্য।
আনোয়ার শাহ্ কাশ্মেরীর অভিমত
_________________
📌 আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী সাহেব ‘ফয়জুলবারি শরহে বুখারি’ তৃতীয় জিল্দ ১৮১ পৃষ্ঠায় كتاب الصوم ‘কিতাবুস সউম’ فضل من قام رمضان ‘ফাদ্বলু মান কামা রমযান’ কিয়ামে রমযান বা রমযানশরীফে তারাবীহ নামায আদায়ের ফজিলত অধ্যায়ে উল্লেখ করেন-
_________________
📌 আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী সাহেব ‘ফয়জুলবারি শরহে বুখারি’ তৃতীয় জিল্দ ১৮১ পৃষ্ঠায় كتاب الصوم ‘কিতাবুস সউম’ فضل من قام رمضان ‘ফাদ্বলু মান কামা রমযান’ কিয়ামে রমযান বা রমযানশরীফে তারাবীহ নামায আদায়ের ফজিলত অধ্যায়ে উল্লেখ করেন-
وثَبَتَ عن عَلِيٍّ أنه أمَّ بالكوفة في التراويح. وأمَّا عددُ ركعات التراويح، فقد جاء عن عمر على أنحاءٍ، واستقرَّ الأمر على العشرين مع ثلاث الوتر
ভাবার্থ: আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী বলেন- হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে প্রমাণিত আছে, তিনি (হযরত আলী) কুফা শহরে তারাবীহ নামাযের ইমামতি করেছেন এবং হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে তারাবীহ নামায এর রাকআত সংখ্যা সর্ব শেষে যা নির্ধারিত হয়েছিল, তা ছিল ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির নামায আদায় করেছেন।
অতএব ২০ রাকআত তারাবীহ ও ৩ রাকআত বিতির সুন্নতে সাহাবা প্রমাণিত হলো।’
উক্ত কিতাবের (ফয়জুল বারি শরহে বুখারী) তৃতীয় খ- ১৮১ পৃষ্ঠা দুইনম্বর পার্শ্বটীকা ‘হাশিয়ায়ে বদরুস সারী’ উল্লেখ রয়েছে-
ভাবার্থ: আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী বলেন- হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে প্রমাণিত আছে, তিনি (হযরত আলী) কুফা শহরে তারাবীহ নামাযের ইমামতি করেছেন এবং হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে তারাবীহ নামায এর রাকআত সংখ্যা সর্ব শেষে যা নির্ধারিত হয়েছিল, তা ছিল ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির নামায আদায় করেছেন।
অতএব ২০ রাকআত তারাবীহ ও ৩ রাকআত বিতির সুন্নতে সাহাবা প্রমাণিত হলো।’
উক্ত কিতাবের (ফয়জুল বারি শরহে বুখারী) তৃতীয় খ- ১৮১ পৃষ্ঠা দুইনম্বর পার্শ্বটীকা ‘হাশিয়ায়ে বদরুস সারী’ উল্লেখ রয়েছে-
قلتُ: قال الترمذيُّ: اختلف أهلُ الْعِلْمِ فِي قِيَامِ رَمْضَانَ، فَرَأى بَعْضُهُمْ أن يُصَلِّيَ إحدى وأربَعِيْنَ رَكْعَةً مَع الْوَتْرِ، وَهُو قَوْلُ أهْلِ الْمَدِيْنَةِ، وَأكْثَرُ أهْلِ الْعِلْمِ عَلى مَا رُوِي عَنْ عَلِيٍّ، وَعُمَرَ، وَغَيْرِهِمَا مِنْ أصْحَابِ النَّبِي - صلى الله عليه وسلم - عَشْرِيْنَ ركعةً، وَهَوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِي، وَاَبْنُ الْمُبَارَكِ، والشَّافِعي؛ وَقَالَ الشَّافِعِي: هكَذاَ أدْرَكْتُ بِبَلَدِنَا بِمَكَّةَ يُصَلُّونَ = عِشْرِيْنَ ركَعْةَ،ً وقَالَ أحْمَدُ: رَوَي فِي هَذَا ألْوَانٌ لَمْ تقضِ فِيْه بِشيءٍ. وَقَالَ إسْحَاقَ: بَلْ نَخْتَارُ إحْدَى وَّأرْبَعِيْنَ ركعةً عَلى مَا رُوِي عَنْ أبيِّ بِنْ كعبٍ. اهـ.
وتبيَّن من هذا ما كان عليه العملُ في الحرمين الشريفين، وما كان مذهبُ السلف الصالحين. فَليُصَل المدَّعُون بالعمل بالحديث ثمانيةً أو دونها، فإن أكثرَ الصحابة لم يُصَلَّوا إلَّا عشرين ركعة. فهم العُمدَةُ، وبهم القُدوَةُ- الخ
ভাবার্থ আমি (হাশিয়ায়ে বদরুস সারী) বলছি, ইমাম তিরমিজি আলাইহির রহমত বর্ণনা করেন- কিয়ামে রমযান বা তারাবীহ নামাযের সংখ্যা নিয়ে মুহাদ্দিসগণের মধ্যে এখতেলাফ বা মতানৈক্য রয়েছে। কিছু সংখ্যক এর অভিমত হলো, বিতিরসহ তারাবীহ নামায একচল্লিশ রাকআত, এ হলো মদিনাবাসীদের অভিমত।
অপরদিকে হযরত আলী, হযরত ওমরসহ অধিকাংশ সাহাবায়ে কেরামগণের মতামত ও আমল হলো ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ। সুফিয়ান সওরি, ইবনে মোবারক ও ইমাম শাফেয়ী আলাইহির রহমত এ অভিমতকে সমর্থন করেছেন।
ইমাম শাফেয়ী বলেন- আমাদের শহর মক্বা মোকাররমায় ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতে আমি দেখেছি।
ইমাম ইসহাক বলেন- উবাই ইবনে কা’ব এর বর্ণনা মতে তিনি বলেন- আমরা একচল্লিশ রাকআত তারাবীহ গ্রহণ করেছি।
মোদ্দাকথা হলো, অধিকাংশ সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ আদায় করে আসছেন। এটা হলো সর্বোত্তম পন্থা। সর্বশেষে সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ এর উপর ঐক্যমত পোষণ করেছেন।
وتبيَّن من هذا ما كان عليه العملُ في الحرمين الشريفين، وما كان مذهبُ السلف الصالحين. فَليُصَل المدَّعُون بالعمل بالحديث ثمانيةً أو دونها، فإن أكثرَ الصحابة لم يُصَلَّوا إلَّا عشرين ركعة. فهم العُمدَةُ، وبهم القُدوَةُ- الخ
ভাবার্থ আমি (হাশিয়ায়ে বদরুস সারী) বলছি, ইমাম তিরমিজি আলাইহির রহমত বর্ণনা করেন- কিয়ামে রমযান বা তারাবীহ নামাযের সংখ্যা নিয়ে মুহাদ্দিসগণের মধ্যে এখতেলাফ বা মতানৈক্য রয়েছে। কিছু সংখ্যক এর অভিমত হলো, বিতিরসহ তারাবীহ নামায একচল্লিশ রাকআত, এ হলো মদিনাবাসীদের অভিমত।
অপরদিকে হযরত আলী, হযরত ওমরসহ অধিকাংশ সাহাবায়ে কেরামগণের মতামত ও আমল হলো ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ। সুফিয়ান সওরি, ইবনে মোবারক ও ইমাম শাফেয়ী আলাইহির রহমত এ অভিমতকে সমর্থন করেছেন।
ইমাম শাফেয়ী বলেন- আমাদের শহর মক্বা মোকাররমায় ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতে আমি দেখেছি।
ইমাম ইসহাক বলেন- উবাই ইবনে কা’ব এর বর্ণনা মতে তিনি বলেন- আমরা একচল্লিশ রাকআত তারাবীহ গ্রহণ করেছি।
মোদ্দাকথা হলো, অধিকাংশ সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ আদায় করে আসছেন। এটা হলো সর্বোত্তম পন্থা। সর্বশেষে সাহাবায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ এর উপর ঐক্যমত পোষণ করেছেন।
আ'লা হযরত ঈমাম আহমদ রেজা খাঁন এর অভিমত
______________
📌 চতুর্দশ শতব্দীর মুজাদ্দিদ ইমামে আহলে সুন্নত ইমাম আহমদ রেজাখাঁন বেরেলী আলাইহির রহমত তদীয় فتاوى الرضوية ‘ফাতাওয়ায়ে রেজভীয়া’ নামক কিতাবের সপ্তম জিলদের ৪৫৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
______________
📌 চতুর্দশ শতব্দীর মুজাদ্দিদ ইমামে আহলে সুন্নত ইমাম আহমদ রেজাখাঁন বেরেলী আলাইহির রহমত তদীয় فتاوى الرضوية ‘ফাতাওয়ায়ে রেজভীয়া’ নামক কিতাবের সপ্তম জিলদের ৪৫৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
تراویح سنت مؤکدہ است ونزد محققین ترک سنت مؤکدہ نیز آتم شود خاصہ چوں ترک را عادت گیر وعددش نزد جمھور علماۓ امت بست رکعت ست- ودر روایتے از امام مالک سی وشش رکعت-
فى الدر المختار التراويح سنة مؤكدة لمواظبه الخلفاء الراشدين وهى عشرون ركعة
باز سنت امیر المؤمنین عمر فاروق رضی اللہ تعالی عنہ عین سنت حضور پر نور سید عالم صلی اللہ تعالی علیہ وسلم ست- سید عالم صلی اللہ تعالی علیہ وسلم ما راحکم باقتداۓ ابو بکر وعمر فرمود رضی اللہ تعالی عنہما تاکید تام باتباع سنت خلفاۓ راشدین نمود رضی اللہ تعالی عنہم-
احمد وابوداؤد والترمذى وابن ماجه عن العرباض بن سارية رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين المهديين عضوا عليها بالنواجذ الخ-
ভাবার্থ: তারাবীহ নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদা (অবশ্য পালনীয় সুন্নত) মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামদের অভিমত হলো- সুন্নতে মুয়াক্কাদা ত্যাগকারী গোনাহগার হবে। বিশেষ করে যাদের তারাবীহ নামায ত্যাগ করা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। (তারাতো গোনাহগার হবেই)
তারাবীহ নামাযের রাকআত সংখ্যা জমহুর উলামায়ে কেরামদের অভিমত হলো ২০ বিশ রাকআত। তবে ইমাম মালিক আলাইহির রহমত এর এক বর্ণনাতে রয়েছে তারাবীহ নামায ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত। দুররে মুখতার গ্রন্থে রয়েছে, খোলাফায়ে রাশেদীন সদা সর্বদা ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করেছেন। বস্তুত: হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক প্রচলিত সুন্নত, হুজুর পুরনুর সায়্যিদে আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রকৃত সুন্নত হিসেবে পরিগণিত। কেননা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হযরত আবু বকর সিদ্দিক ও হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর অনুকরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর খোলাফায়ে রাশেদীনের অনুসরন সুন্নতে রাসূলের মধ্যে পরিপূর্ণ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
ইমাম আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ হযরত ইরবাদ ইবনে ছারিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন যে, নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-
فى الدر المختار التراويح سنة مؤكدة لمواظبه الخلفاء الراشدين وهى عشرون ركعة
باز سنت امیر المؤمنین عمر فاروق رضی اللہ تعالی عنہ عین سنت حضور پر نور سید عالم صلی اللہ تعالی علیہ وسلم ست- سید عالم صلی اللہ تعالی علیہ وسلم ما راحکم باقتداۓ ابو بکر وعمر فرمود رضی اللہ تعالی عنہما تاکید تام باتباع سنت خلفاۓ راشدین نمود رضی اللہ تعالی عنہم-
احمد وابوداؤد والترمذى وابن ماجه عن العرباض بن سارية رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين المهديين عضوا عليها بالنواجذ الخ-
ভাবার্থ: তারাবীহ নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদা (অবশ্য পালনীয় সুন্নত) মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামদের অভিমত হলো- সুন্নতে মুয়াক্কাদা ত্যাগকারী গোনাহগার হবে। বিশেষ করে যাদের তারাবীহ নামায ত্যাগ করা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। (তারাতো গোনাহগার হবেই)
তারাবীহ নামাযের রাকআত সংখ্যা জমহুর উলামায়ে কেরামদের অভিমত হলো ২০ বিশ রাকআত। তবে ইমাম মালিক আলাইহির রহমত এর এক বর্ণনাতে রয়েছে তারাবীহ নামায ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত। দুররে মুখতার গ্রন্থে রয়েছে, খোলাফায়ে রাশেদীন সদা সর্বদা ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করেছেন। বস্তুত: হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক প্রচলিত সুন্নত, হুজুর পুরনুর সায়্যিদে আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রকৃত সুন্নত হিসেবে পরিগণিত। কেননা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হযরত আবু বকর সিদ্দিক ও হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর অনুকরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আর খোলাফায়ে রাশেদীনের অনুসরন সুন্নতে রাসূলের মধ্যে পরিপূর্ণ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
ইমাম আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ হযরত ইরবাদ ইবনে ছারিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন যে, নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-
فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ، تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ
অর্থাৎ ‘তোমাদের উপর আমার সুন্নত ও খোলাফায়ে রাশেদীন এর সুন্নাতের উপর আমল করা আবশ্যক। সুতরাং আমার সুন্নতের সাথে সাথে খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাতকেও আঁকড়িয়ে ধর।’
অর্থাৎ ‘তোমাদের উপর আমার সুন্নত ও খোলাফায়ে রাশেদীন এর সুন্নাতের উপর আমল করা আবশ্যক। সুতরাং আমার সুন্নতের সাথে সাথে খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাতকেও আঁকড়িয়ে ধর।’
ইবনে তাঈমিয়ার অভিমত
________________
📌 আলবানী সাহেবের শিরোতাজ লা মাযহাবীগণের অগ্রনায়ক ইবনে তাইমিয়া হাররানী (মৃত ৭২৮ হিজরি) তদীয় مجموع الفتاوى ‘মাজমুউল ফাতাওয়া’ চৌদ্দ ১৪ নম্বর খ- ৫৬ পৃষ্ঠা তারাবীহ রাকআত সংখ্যার ফয়সলা দিতে গিয়ে উল্লেখ করেন-
________________
📌 আলবানী সাহেবের শিরোতাজ লা মাযহাবীগণের অগ্রনায়ক ইবনে তাইমিয়া হাররানী (মৃত ৭২৮ হিজরি) তদীয় مجموع الفتاوى ‘মাজমুউল ফাতাওয়া’ চৌদ্দ ১৪ নম্বর খ- ৫৬ পৃষ্ঠা তারাবীহ রাকআত সংখ্যার ফয়সলা দিতে গিয়ে উল্লেখ করেন-
فَإِنَّهُ قَدْ ثَبَتَ أَنَّ أبي بْنَ كَعْبٍ كَانَ يَقُومُ بِالنَّاسِ عِشْرِينَ رَكْعَةً فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَيُوتِرُ بِثَلَاثِ . فَرَأَى كَثِيرٌ مِنْ الْعُلَمَاءِ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ السُّنَّةُ ؛ لِأَنَّهُ أَقَامَهُ بَيْن الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَلَمْ يُنْكِرْهُ مُنْكِرٌ
লা-মাযহাবীদের অগ্রনায়ক ইবনে তাইমিয়া বলেন- হাদিসশরীফ আলোচনার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো- নিঃসন্দেহে রমযান শরীফের রাত্রিতে উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির আদায় করতেন। (অতঃপর বলেন) অনেক বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করাকে সুন্নত (সুন্নতে সাহাবা) বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কেননা ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করেছেন, মুহাজির ও আনসারগণ। তারা নিয়মিতভাবে আদায় করে আসছেন জামায়াতের সাথে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ। তাঁদের এ আমলকে কোন منكر ‘মুনকির’ বা কোন অস্বীকারকারী ব্যক্তিগণ অস্বীকার করেননি।
লা-মাযহাবীদের অগ্রনায়ক ইবনে তাইমিয়া বলেন- হাদিসশরীফ আলোচনার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো- নিঃসন্দেহে রমযান শরীফের রাত্রিতে উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির আদায় করতেন। (অতঃপর বলেন) অনেক বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগণ ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করাকে সুন্নত (সুন্নতে সাহাবা) বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কেননা ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করেছেন, মুহাজির ও আনসারগণ। তারা নিয়মিতভাবে আদায় করে আসছেন জামায়াতের সাথে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ। তাঁদের এ আমলকে কোন منكر ‘মুনকির’ বা কোন অস্বীকারকারী ব্যক্তিগণ অস্বীকার করেননি।
ইবনে তাইমিয়া উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ করেন-
وَاسْتَحَبَّ آخَرُونَ : تِسْعَةً وَثَلَاثِينَ رَكْعَةً ؛ بِنَاءً عَلَى أَنَّهُ عَمَلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ الْقَدِيمِ
ভাবার্থ: অন্যান্যদের মধ্যে কিছুসংখ্যক লোকের বক্তব্য হলো ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করা মুস্তাহাব। তাদের দলিল হলো পুরাতন মদিনাবাসীদের আমল ছিল ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করা।
উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ রয়েছে-
ভাবার্থ: অন্যান্যদের মধ্যে কিছুসংখ্যক লোকের বক্তব্য হলো ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করা মুস্তাহাব। তাদের দলিল হলো পুরাতন মদিনাবাসীদের আমল ছিল ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করা।
উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ রয়েছে-
وَقَالَ طَائِفَةٌ : قَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلَا غَيْرِهِ عَلَى ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً
ভাবার্থ: একদল লোকের বক্তব্য হলো, হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নিঃসন্দেহে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান ও গয়র রমযান কোন মাসেই ১৩ তেরো রাকআত এর বেশি রাতের নামায পড়তেন না।’
এরপর তিনি (ইবনে তাইমিয়া) বলেন-
ভাবার্থ: একদল লোকের বক্তব্য হলো, হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নিঃসন্দেহে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান ও গয়র রমযান কোন মাসেই ১৩ তেরো রাকআত এর বেশি রাতের নামায পড়তেন না।’
এরপর তিনি (ইবনে তাইমিয়া) বলেন-
والصواب ان ذلك جميعه حسن
অর্থাৎ ২০ বিশ রাকআত, ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত ও ১৩ তেরো রাকআত সবকয়টি বর্ণনা হাসান পর্যায়ভুক্ত।
উপরোক্ত ইবনে তাইমিয়ার আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল- ২০ বিশ রাকআত সুন্নত। ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত মুস্তাহাব। এবং ১৩ তেরো রাকআত তারাবীহ আল্লাহর রাসূল আদায় করেছেন, হযরত আয়েশা কর্তৃক সহীহ হাদিসের বর্ণনাতে পাওয়া যায়। যেহেতু উপরোক্ত তিনটি বর্ণনাই ‘হাসান’ তা হলে সবকয়টি হাদিসের তাতবীক বা সমন্বয় করা প্রয়োজন।
এ বর্ণনাগুলীকে এভাবে তাতবীক দেয়া যায়, আল্লাহর রাসূল কোন সময় ১৩ তেরো রাকআত আবার কোন সময় ১১ এগারো রাকআত আবার কোন সময় ১০ দশ রাকআত ও বিতির ১ এক রাকআত। কোন সময় দুই দুই রাকআত করে ফজর পর্যন্ত রাকআত নির্দিষ্ট না করেও নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর রাসূল কত রাকআত তারাবীহ আদায় করেছেন এর নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নির্ণয় করা দুষ্কর। যেমন হাফিজুল হাদিস ইমাম সুবুকিসহ অনেক মুহাদ্দিসগণ অভিমত ব্যক্ত করছেন।
হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফতের শেষপ্রান্ত থেকে সকল সাহাবায়ে কেরামগণের ঐকমত্যে তাঁরই নির্দেশে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ চালু হয়ে সর্বশেষ ফয়সালাতে উপনীত হয়েছেন ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির।
আলবানী সাহেব একটি সহীহ হাদিস তার চোখে পড়ে আবার অন্য সহীহ হাদিস ইচ্ছে করেই দেখেন না। অপরদিকে তিনি যার অনুকরণ করে চলছেন, তার ফয়সলাও তিনি মানতে রাজি হন না, কারণ কি? নিজের মনগড়া অভিমত প্রচার করে মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ করতে চাচ্ছেন।
ইবনে তাইমিয়া ২০ রাকআত তারাবীহ সুন্নত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এজন্য আলবানী সাহেব দিশেহারা হয়েছেন।
অর্থাৎ ২০ বিশ রাকআত, ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত ও ১৩ তেরো রাকআত সবকয়টি বর্ণনা হাসান পর্যায়ভুক্ত।
উপরোক্ত ইবনে তাইমিয়ার আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল- ২০ বিশ রাকআত সুন্নত। ৩৬ ছয়ত্রিশ রাকআত মুস্তাহাব। এবং ১৩ তেরো রাকআত তারাবীহ আল্লাহর রাসূল আদায় করেছেন, হযরত আয়েশা কর্তৃক সহীহ হাদিসের বর্ণনাতে পাওয়া যায়। যেহেতু উপরোক্ত তিনটি বর্ণনাই ‘হাসান’ তা হলে সবকয়টি হাদিসের তাতবীক বা সমন্বয় করা প্রয়োজন।
এ বর্ণনাগুলীকে এভাবে তাতবীক দেয়া যায়, আল্লাহর রাসূল কোন সময় ১৩ তেরো রাকআত আবার কোন সময় ১১ এগারো রাকআত আবার কোন সময় ১০ দশ রাকআত ও বিতির ১ এক রাকআত। কোন সময় দুই দুই রাকআত করে ফজর পর্যন্ত রাকআত নির্দিষ্ট না করেও নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর রাসূল কত রাকআত তারাবীহ আদায় করেছেন এর নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নির্ণয় করা দুষ্কর। যেমন হাফিজুল হাদিস ইমাম সুবুকিসহ অনেক মুহাদ্দিসগণ অভিমত ব্যক্ত করছেন।
হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফতের শেষপ্রান্ত থেকে সকল সাহাবায়ে কেরামগণের ঐকমত্যে তাঁরই নির্দেশে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ চালু হয়ে সর্বশেষ ফয়সালাতে উপনীত হয়েছেন ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ ও ৩ তিন রাকআত বিতির।
আলবানী সাহেব একটি সহীহ হাদিস তার চোখে পড়ে আবার অন্য সহীহ হাদিস ইচ্ছে করেই দেখেন না। অপরদিকে তিনি যার অনুকরণ করে চলছেন, তার ফয়সলাও তিনি মানতে রাজি হন না, কারণ কি? নিজের মনগড়া অভিমত প্রচার করে মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ করতে চাচ্ছেন।
ইবনে তাইমিয়া ২০ রাকআত তারাবীহ সুন্নত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এজন্য আলবানী সাহেব দিশেহারা হয়েছেন।
২০ রাকাআত তারাবিহ্ সাহাবায়ে ক্বিরামসহ পূর্ববর্তী আহলে ইলমদের ইজমা তথা সকল উলামায়ে ক্বিরামের একই রায়ে প্রমাণিত
_________________
২০ রাকআত তারাবীহ নামাযের উপর সাহাবায়ে কেরামগণের اجماع ইজমা, اتفاق ইত্তেফাক ও প্রমাণিত হয়েছে।
📌 মুসলিম জগতে হাদিসশাস্ত্রের উজ্জল নক্ষত্র আল্লামা ইমাম নববী আলাইহির রহমত (ওফাত ৬৭৬ হিজরি) তদীয় المجموع شرح المهذب ‘আল মাজমু শরহে মুহাজ্জব’ নামক কিতাবে পঞ্চম জিলদের ৪৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-
_________________
২০ রাকআত তারাবীহ নামাযের উপর সাহাবায়ে কেরামগণের اجماع ইজমা, اتفاق ইত্তেফাক ও প্রমাণিত হয়েছে।
📌 মুসলিম জগতে হাদিসশাস্ত্রের উজ্জল নক্ষত্র আল্লামা ইমাম নববী আলাইহির রহমত (ওফাত ৬৭৬ হিজরি) তদীয় المجموع شرح المهذب ‘আল মাজমু শরহে মুহাজ্জব’ নামক কিতাবে পঞ্চম জিলদের ৪৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-
وَالصَّحِيْحُ قَوْلُ الْعَامَّةِ لِمَا رُوِىَ اَنَّ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ جَمَعَ اَصْحَابَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَىْ شَهْرِ رَمْضَانَ عَلَى اُبَىْ بِنَ كَعْبٍ فَصَلَّى بِهِمْ فِىْ كُلِّ لَيْلَةٍ عِشْرِيْنَ رَكْعْةً وَلَمْ يَنْكُرْ اَحَدٌ عَلَيْهِ فَيَكُوْنُ اِجْمَاعًا مِنْهُمْ عَلِى ذَلِكَ-
ভাবার্থ: সহীহ শুদ্ধ সনদে বর্ণিত হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু উবায় ইবনে কা’ব এর নেতৃত্বে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবায়ে কেরামগণকে একত্র করলেন। উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে রমযানশরীফের প্রতিটি রাত্রে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করলেন। সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে কেউই ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামাযের উপর কোন প্রকারের অস্বীকৃতি প্রকাশ করেননি। সুতরাং ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করার উপর সাহাবায়ে কেরামগণের اجماع ইজমা বা ঐকমত্য প্রমাণিত হয়ে গেল।
২০ বিশ রাকআত ইজমায়ে সাহাবা দ্বারা প্রমাণিত।
📌 একাদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হানাফী মাযহাবের শ্রেষ্ঠ ফকীহ ইমাম আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী আলাইহির রহমত مرقاة شرح مشكوة ‘মিরকাত শরহে মিশকাত’ নামক কিতাবের তৃতীয় জিলদ ৩৪৬ পৃষ্ঠা, হাদিস নম্বর ১৩০৩ উল্লেখ করেন-
ভাবার্থ: সহীহ শুদ্ধ সনদে বর্ণিত হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু উবায় ইবনে কা’ব এর নেতৃত্বে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবায়ে কেরামগণকে একত্র করলেন। উবাই ইবনে কা’ব সাহাবায়ে কেরামগণকে নিয়ে রমযানশরীফের প্রতিটি রাত্রে ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করলেন। সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে কেউই ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামাযের উপর কোন প্রকারের অস্বীকৃতি প্রকাশ করেননি। সুতরাং ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করার উপর সাহাবায়ে কেরামগণের اجماع ইজমা বা ঐকমত্য প্রমাণিত হয়ে গেল।
২০ বিশ রাকআত ইজমায়ে সাহাবা দ্বারা প্রমাণিত।
📌 একাদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হানাফী মাযহাবের শ্রেষ্ঠ ফকীহ ইমাম আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী আলাইহির রহমত مرقاة شرح مشكوة ‘মিরকাত শরহে মিশকাত’ নামক কিতাবের তৃতীয় জিলদ ৩৪৬ পৃষ্ঠা, হাদিস নম্বর ১৩০৩ উল্লেখ করেন-
لكن اجمع الصحابة على ان الراوى عشرون ركعة-
ভাবার্থ: হাদিসসমূহ পর্যালোচনা করে সর্বশেষ সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামাযের উপর সকল সাহাবায়ে কেরামগণের ঐকমত্য বা اجماع ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
📌 ইমামে আযাল শামসুল আয়েম্মা আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে আবী সহম আস সুুরুখসী আলাইহির রহমত তদীয়
كتاب المبسوط لشمس الدين السرخسى
‘কিতাবুল মাবসুত’ নামক কিতাবের প্রথম জিলদের ১৫৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
ভাবার্থ: হাদিসসমূহ পর্যালোচনা করে সর্বশেষ সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন ২০ বিশ রাকআত তারাবীহ নামাযের উপর সকল সাহাবায়ে কেরামগণের ঐকমত্য বা اجماع ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
📌 ইমামে আযাল শামসুল আয়েম্মা আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে আবী সহম আস সুুরুখসী আলাইহির রহমত তদীয়
كتاب المبسوط لشمس الدين السرخسى
‘কিতাবুল মাবসুত’ নামক কিতাবের প্রথম জিলদের ১৫৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
وفى اتفاق الصحابة رضوان الله عليهم على تقدير التراويح بعشرين ركعة-
ভাবার্থ: তারাবীহ নামায যে বিশ রাকআত এর উপর সাহাবায়ে কেরাম রেদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম اتفاق ইত্তেফাক বা ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
ভাবার্থ: তারাবীহ নামায যে বিশ রাকআত এর উপর সাহাবায়ে কেরাম রেদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম اتفاق ইত্তেফাক বা ঐকমত্য পোষণ করেছেন।