📌মুহাম্মদ সাজেদুল হক
বাড়ি# ২, রােড# ৩/এ, সেক্টর# ৫, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।
🖋উত্তর ঃ ফিক্বহ শাস্ত্রে জমিকে ৩ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। ১. উশরী, ২. খারাজী ও ৩. উশরীও নয় আবার খারাজীও নয়।
যে ভূমি মুসলমানগণ অমুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়সূত্রে লাভ করেছে এবং মুসলমান রাষ্ট্র প্রধান তা মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন তাকে উশ্রী জমি বলা হয়। এ রূপ কোন স্থানের অধিবাসীগণ বিনাযুদ্ধে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করে তবে তাদের জমিগুলােও উশরি জমিতে পরিণত হয়। কিন্তু অমুসলিমের জমি যদি কোন যুদ্ধের ফলে লব্ধ না হয়ে থাকে, বরং বিনা যুদ্ধে সন্ধিসূত্রে লাভ হয়ে থাকে এবং ওই জমি অমুসলিমের দখলেই থাকতে দেয়া হয় তবে তা উশরি জমিতে পরিণত হয় না। বরং খারাজী জমি হিসেবে গণ্য। পরবর্তীতে এ জমি কোন মুসলমান ক্রয় করলেও তা খারাজী জমির অন্তর্ভূক্ত হবে। আর মুসলমানরা দেশ জয় করার পর যে জমি কিয়ামত পর্যন্ত নিজের জন্য স্থায়ী করে নিল অথবা ভূমির মালিক মৃত্যুর পর কোন ওয়ারিশ না থাকায় বায়তুল মালের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলাে -এ প্রকার ভূমি উশরিও নয় খারাজীও নয়। উশরি জমির ক্ষেত্রে ওই জমির উৎপন্ন শস্য বা ফসলের উপর ‘উশর’ ফরয হয় আর খারাজী জমির উৎপন্ন শস্য বা ফসলের উপর ‘উশর ওয়াজিব নয় বরং খারাজী জমির সরকার কর্তৃক ভূমি কর আদায় করা রাষ্ট্রীয় কর্তব্য। উশরি জমিতে বৃষ্টির পানি দ্বারা ফসল উৎপন্ন হলে তাতে উৎপন্ন শস্যের উপর এক দশমাংশ ‘উশর’ দেয়া ওয়াজিব। আর যে সব উশরি জমিতে নদী-নালা, কূপ ইত্যাদি হতে পানি সিঞ্চন করতে হয় এমন জমির উৎপন্ন ফসলের বিশভাগের একভাগ উৎপাদিত শস্যাদি থেকে গরীব-মিসকীনকে দিতে হয়। বর্তমান আমাদের বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের ভূমিগুলাে উশরি না খারাজী তা নির্ধারণ করতে গিয়ে ফিক্বহবিদগণের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে বিধায়, আমাদের দেশীয় জমির ‘উশর’ বা উৎপন্ন শস্যের দশভাগের একভাগ ‘উশর আদায় করে দেয়াই অধিক নিরাপদ। এ ব্যাপারে ইমাম আ'লা হযরত শাহ আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি কৃত: ‘ফাতওয়া-ই রজভিয়া’তে বিস্তারিত আলােচনা করেছেন।
[ফাতওয়া-ই রজভিয়া ও হেদায়া ইত্যাদি। এস এম আবদুল্লাহ শিবলী ২৬৬/২, পশ্চিম আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭।]
বাড়ি# ২, রােড# ৩/এ, সেক্টর# ৫, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।
🖋উত্তর ঃ ফিক্বহ শাস্ত্রে জমিকে ৩ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। ১. উশরী, ২. খারাজী ও ৩. উশরীও নয় আবার খারাজীও নয়।
যে ভূমি মুসলমানগণ অমুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়সূত্রে লাভ করেছে এবং মুসলমান রাষ্ট্র প্রধান তা মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন তাকে উশ্রী জমি বলা হয়। এ রূপ কোন স্থানের অধিবাসীগণ বিনাযুদ্ধে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করে তবে তাদের জমিগুলােও উশরি জমিতে পরিণত হয়। কিন্তু অমুসলিমের জমি যদি কোন যুদ্ধের ফলে লব্ধ না হয়ে থাকে, বরং বিনা যুদ্ধে সন্ধিসূত্রে লাভ হয়ে থাকে এবং ওই জমি অমুসলিমের দখলেই থাকতে দেয়া হয় তবে তা উশরি জমিতে পরিণত হয় না। বরং খারাজী জমি হিসেবে গণ্য। পরবর্তীতে এ জমি কোন মুসলমান ক্রয় করলেও তা খারাজী জমির অন্তর্ভূক্ত হবে। আর মুসলমানরা দেশ জয় করার পর যে জমি কিয়ামত পর্যন্ত নিজের জন্য স্থায়ী করে নিল অথবা ভূমির মালিক মৃত্যুর পর কোন ওয়ারিশ না থাকায় বায়তুল মালের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলাে -এ প্রকার ভূমি উশরিও নয় খারাজীও নয়। উশরি জমির ক্ষেত্রে ওই জমির উৎপন্ন শস্য বা ফসলের উপর ‘উশর’ ফরয হয় আর খারাজী জমির উৎপন্ন শস্য বা ফসলের উপর ‘উশর ওয়াজিব নয় বরং খারাজী জমির সরকার কর্তৃক ভূমি কর আদায় করা রাষ্ট্রীয় কর্তব্য। উশরি জমিতে বৃষ্টির পানি দ্বারা ফসল উৎপন্ন হলে তাতে উৎপন্ন শস্যের উপর এক দশমাংশ ‘উশর’ দেয়া ওয়াজিব। আর যে সব উশরি জমিতে নদী-নালা, কূপ ইত্যাদি হতে পানি সিঞ্চন করতে হয় এমন জমির উৎপন্ন ফসলের বিশভাগের একভাগ উৎপাদিত শস্যাদি থেকে গরীব-মিসকীনকে দিতে হয়। বর্তমান আমাদের বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের ভূমিগুলাে উশরি না খারাজী তা নির্ধারণ করতে গিয়ে ফিক্বহবিদগণের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে বিধায়, আমাদের দেশীয় জমির ‘উশর’ বা উৎপন্ন শস্যের দশভাগের একভাগ ‘উশর আদায় করে দেয়াই অধিক নিরাপদ। এ ব্যাপারে ইমাম আ'লা হযরত শাহ আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি কৃত: ‘ফাতওয়া-ই রজভিয়া’তে বিস্তারিত আলােচনা করেছেন।
[ফাতওয়া-ই রজভিয়া ও হেদায়া ইত্যাদি। এস এম আবদুল্লাহ শিবলী ২৬৬/২, পশ্চিম আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭।]