সফর
১) মুসাফির অবস্থায় রোযা রাখা কষ্টকর না হলে রোযা রাখা বা কাযা করার মধ্যে যেটা সহজ সেটা করবে। রোযা রাখতে চাইলে রাখবে অন্যথা কাযা করবে। (বুখারি-১৯৪৩, মুসলিম-১১২১)
২) সফরের হালতে রোযা রাখা শুরু করলে তা আর ভাঙ্গা জায়েয নয়। কেউ ভেঙ্গে ফেললে গুনাহগার হবে। তবে কাফফারা আসবে না। শুধু কাযাই যথেষ্ট। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ৩/৪০৩; রদ্দুল মুহতার: ২/৪৩১)
৩) সফরে যদি কষ্ট হয় তাহলে রোযা না রাখা যায়েয আছে বরং না রাখা উত্তম। আর সফরে কষ্ট না হলে রোযা রাখাই হল মুস্তাহাব। তবে রোযা রেখে ভাঙ্গা ঠিক নয়। কেউ যদি ভেঙ্গে ফেলে তাহলে কাফ্ফারা আসবে কি না এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। যদিও গ্রহণযোগ্য মত হল যে, এই অবস্থায় কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় না। (আহসানুল ফাতাওয়া ৪:৪৪)