৮ রাক‘আত তারাবীহ দাবীকারী রাফিউল ইয়াদাইনীদের দাবীকৃত দলিল সমুহের খন্ডন।
রাফিউল ইয়াদাইনীদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দলীলঃ
২/ হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত- হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. রমযানে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর কাছে এসে বললেন,
“গতরাতে আমাকে ঘরের মহিলারা এসে বলল, আমরা তো কোরআন পড়তে পারিনা। তাই আমরা তোমার পিছনে নামায পড়ব। আমি তাদের নিয়ে ৮ রাক‘আত ও বিতির নামায পড়লাম” রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুই বললেন না।
৩/ হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে রমযানে ৮ রাক‘আত ও বিতির পড়েছেন। পরের রাতে আমরা মসজিদে সমবেত হলাম এবং আশা করলাম হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে আমাদের নিকট তাশরীফ আনবেন। কিন্তু সকাল পর্যন্ত আমরা মসজিদে (অপেক্ষমান) রইলাম। (তিনি আর বের হলেন না।)
দলীলদ্বয়ের উত্তরঃ
উল্লেখিত হাদীসদ্বয় অত্যন্ত যয়ীফ (দুর্বল)। কারণ, উক্ত হাদীসদ্বয়ে রয়েছে ঈসা বিন জারিয়া নামক রাবী। তিনি খুব দুর্বল রাবী। তার দুর্বলতার ব্যাপারে মুহাদ্দিছীনে কিরামের মন্তব্য নিম্নরূপঃ
ক/ তাহযিবুত তাহযিব ৪ খ- ৪৪৮ নং পৃষ্ঠাতে আছে,
হাফেযে হাদীছ ইবনে মঈন রহ. তার সম্পর্কে বলেছেন- ﻟﻲ ﺱ ﺑﺬﺍﻙ অর্থাৎ তার হাদীছ গ্রহণযোগ্য নয়। উক্ত কিতাবে তিনি আরো বলেছেন ﻋﻨﺪﻩ ﻣﻨﺎﻛﻴﺮ অর্থাৎ তার নিকট অনেক আপত্তিকর হাদীছ আছে।
খ/ তাহযিবুত তাহযিব আরো আছে,
ইমাম আবু দাউদ রহ. বলেন, তিনি ﻣﻨﻜﺮ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ অর্থাৎ তিনি আপত্তিকর হাদীছ বর্ণনাকারী।
গ/ উক্ত তাহযিবুত তাহযিব কিতাবে ইমাম ইবনে আদীব বলেছেন ঃ ﺍﺣﺎﺩﻳﺚ ﻩ ﻏﻴﺮ ﻣﺤﻔﻮﻇﺔ অর্থাৎ তার হাদীছ মুহাদ্দিছীনে কিরাম সংরক্ষণ করেননি।
ঘ/ তাহযিবুল কামাল ১৪/৫৩৩ তে ইমাম ইবনুল জাওযী রহ. তাকে ‘যয়ীফ’ তথা দুর্বল রাবী বলেছেন।
ঙ/ মিযানুল ই’তিদাল ১/৩১১নং পৃষ্ঠাতে ইমাম নাসাঈ রহ. তাকে ﻣﻨﻜﺮ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ অর্থাৎ আপত্তিকর হাদীছ বর্ণনাকারী বলেছেন। ইমাম নাসাঈ রহ. এর অপর বর্ণনায় রয়েছে তিনি ﻣﺘﺮﻭﻙ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ অর্থাৎ তার হাদীছ মুহাদ্দিছীনে কিরাম গ্রহণ করেননি।
যে রাবীর ব্যাপারে বড় বড় মুহাদ্দিছীনে কিরামের এত আপত্তিকর অভিযোগ রয়েছে, তার বর্ণিত হাদীছ অত্যন্ত দুর্বল এবং মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অথচ রাফিউল ইয়াদাইনীরা ‘যয়ীফ’ দুর্বল হাদীছের নাম শুনলে তাদের গায়ে জ্বর এসে যায়। বরং তারা যয়ীফ হাদীসকে হাদীছ বলেও স্বীকার করেনা।
কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, বড় বড় মুহাদ্দিছীনে কিরামের দৃষ্টিতে উল্লেখিত দুইটি যয়ীফ হাদীসকে নিজেদের স্বপক্ষে দুনিয়ার সামনে দলীল হিসেবে পেশ করতে তারা লজ্জাবোধ করেনা।
পাঠকবৃন্দের বিবেকের সামনে তার বিবেচনার দায়িত্ব রইল।
রাফিউল ইয়াদাইনীদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দলীলঃ
২/ হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত- হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. রমযানে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর কাছে এসে বললেন,
“গতরাতে আমাকে ঘরের মহিলারা এসে বলল, আমরা তো কোরআন পড়তে পারিনা। তাই আমরা তোমার পিছনে নামায পড়ব। আমি তাদের নিয়ে ৮ রাক‘আত ও বিতির নামায পড়লাম” রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুই বললেন না।
৩/ হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে রমযানে ৮ রাক‘আত ও বিতির পড়েছেন। পরের রাতে আমরা মসজিদে সমবেত হলাম এবং আশা করলাম হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে আমাদের নিকট তাশরীফ আনবেন। কিন্তু সকাল পর্যন্ত আমরা মসজিদে (অপেক্ষমান) রইলাম। (তিনি আর বের হলেন না।)
দলীলদ্বয়ের উত্তরঃ
উল্লেখিত হাদীসদ্বয় অত্যন্ত যয়ীফ (দুর্বল)। কারণ, উক্ত হাদীসদ্বয়ে রয়েছে ঈসা বিন জারিয়া নামক রাবী। তিনি খুব দুর্বল রাবী। তার দুর্বলতার ব্যাপারে মুহাদ্দিছীনে কিরামের মন্তব্য নিম্নরূপঃ
ক/ তাহযিবুত তাহযিব ৪ খ- ৪৪৮ নং পৃষ্ঠাতে আছে,
হাফেযে হাদীছ ইবনে মঈন রহ. তার সম্পর্কে বলেছেন- ﻟﻲ ﺱ ﺑﺬﺍﻙ অর্থাৎ তার হাদীছ গ্রহণযোগ্য নয়। উক্ত কিতাবে তিনি আরো বলেছেন ﻋﻨﺪﻩ ﻣﻨﺎﻛﻴﺮ অর্থাৎ তার নিকট অনেক আপত্তিকর হাদীছ আছে।
খ/ তাহযিবুত তাহযিব আরো আছে,
ইমাম আবু দাউদ রহ. বলেন, তিনি ﻣﻨﻜﺮ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ অর্থাৎ তিনি আপত্তিকর হাদীছ বর্ণনাকারী।
গ/ উক্ত তাহযিবুত তাহযিব কিতাবে ইমাম ইবনে আদীব বলেছেন ঃ ﺍﺣﺎﺩﻳﺚ ﻩ ﻏﻴﺮ ﻣﺤﻔﻮﻇﺔ অর্থাৎ তার হাদীছ মুহাদ্দিছীনে কিরাম সংরক্ষণ করেননি।
ঘ/ তাহযিবুল কামাল ১৪/৫৩৩ তে ইমাম ইবনুল জাওযী রহ. তাকে ‘যয়ীফ’ তথা দুর্বল রাবী বলেছেন।
ঙ/ মিযানুল ই’তিদাল ১/৩১১নং পৃষ্ঠাতে ইমাম নাসাঈ রহ. তাকে ﻣﻨﻜﺮ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ অর্থাৎ আপত্তিকর হাদীছ বর্ণনাকারী বলেছেন। ইমাম নাসাঈ রহ. এর অপর বর্ণনায় রয়েছে তিনি ﻣﺘﺮﻭﻙ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ অর্থাৎ তার হাদীছ মুহাদ্দিছীনে কিরাম গ্রহণ করেননি।
যে রাবীর ব্যাপারে বড় বড় মুহাদ্দিছীনে কিরামের এত আপত্তিকর অভিযোগ রয়েছে, তার বর্ণিত হাদীছ অত্যন্ত দুর্বল এবং মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অথচ রাফিউল ইয়াদাইনীরা ‘যয়ীফ’ দুর্বল হাদীছের নাম শুনলে তাদের গায়ে জ্বর এসে যায়। বরং তারা যয়ীফ হাদীসকে হাদীছ বলেও স্বীকার করেনা।
কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, বড় বড় মুহাদ্দিছীনে কিরামের দৃষ্টিতে উল্লেখিত দুইটি যয়ীফ হাদীসকে নিজেদের স্বপক্ষে দুনিয়ার সামনে দলীল হিসেবে পেশ করতে তারা লজ্জাবোধ করেনা।
পাঠকবৃন্দের বিবেকের সামনে তার বিবেচনার দায়িত্ব রইল।