যাকাত কাকে দিবেন?
(রমাদান অ্যাপ থেকে সংগৃহীত)
যাকাত আদায়ের শর্তঃ
পবিত্র কুরআনের সূরা আত-তাওবায় যাকাত বন্টনে আটটি খাত আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে -
اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلْفُقَرَآءِ وَ الْمَسٰكِیْنِ وَ الْعٰمِلِیْنَ عَلَیْهَا وَ الْمُؤَلَّفَةِ قُلُوْبُهُمْ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الْغٰرِمِیْنَ وَ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ وَ ابْنِ السَّبِیْلِ ؕ فَرِیْضَةً مِّنَ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیْمٌ حَكِیْمٌ۝۶۰
যাকাত তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এ আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। -সূরা তাওবা : ৬০
এই খাতগুলো সরাসরি কুরআন দ্বারা নির্দ্দিষ্ট, এবং যেহেতু তা আল্লাহ'র নির্দেশ, তাই এর বাইরে যাকাত বণ্টন করলে যাকাত ইসলামী শরিয়তসম্মত হয় না।
১)ফকির (যার কিছুই নেই)[১৪]
২)মিসকীন (যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই) [১৪]
৩)যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী (যার অন্য জীবিকা নেই) [১৪]
৪)[অমুসলিমদের] মন জয় করার জন্য[১৫]
৫)ক্রীতদাস (মুক্তির উদ্দেশ্যে)
৬)ধনী সম্পদশালী ব্যক্তি যার সম্পদের তুলনায় ঋণ বেশী
৭)[স্বদেশে ধনী হলেও বিদেশে] আল্লাহর পথে জেহাদে রত ব্যক্তি
৮)মুসাফির (যিনি ভ্রমণকালে অভাবে পতিত)
হাদিসমতে, এগুলো ফরয সাদকাহের খাত, এবং নফল সাদকাহ এই আট খাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর পরিসর আরো প্রশস্ত।[১৬]
উল্লেখিত খাতসমূহে যাকাত বণ্টন করতে হবে সঠিক পন্থায়। অনেকে যাকাতের অর্থে শাড়ি ক্রয় করে তা বন্টন করে থাকেন। এভাবেও যাকাত আদায় হয়ে গেলেও এভাবে আসলে প্রকৃতপক্ষে যাকাত গ্রহণকারীর তেমন উপকার হয় না। তাই যাকাত বন্টনের উত্তম পন্থা হলো: যাকাত যাদেরকে প্রদান করা যায়, তাদের একজনকেই বা একটি পরিবারকেই যাকাতের সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে স্বাবলম্বী করে দেয়া।
(গুগলে প্লেতে যান,
সার্চ করুন ” রমাদান Sunni pedia” আর ডাউনলোড করুন রমাদান অ্যাপটি। জানাবেন আপনার ভালো লাগা না লাগা।)

Top