বমি সংক্রান্ত মাসায়েল
১) অনিচ্ছাকৃত বমি করলে রোযা ভাঙ্গে না। (আবু দাউদ-২৩৮০)
২) যে ইচ্ছাকৃত বমি করল সে রোজা কাযা করবে। (তিরমিজী: ৭২০, আবু দাউদ:২৩৮০)
৩) রোযা অবস্থায় যদি নিজে নিজে কয়েকবার বমি এসে যায়। (চাই বালতি ভরে হোক)- এর কারণে রোযা ভাঙ্গে না।
(দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯২)
৪) যদি রোযার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় (জেনে বুঝে) বমি করলো, আর যদি তা মুখ ভর্তি করে আসে, (মুখ ভর্তির সংজ্ঞা সামনে আসছে), তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
(দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯২)
৫) ইচ্ছাকৃতভাবে মুখভর্তি বমি হওয়ার ক্ষেত্রে ঐ সময় রোযা ভেঙ্গে যাবে যখন বমির সাথে খানা অথবা পানি বা হলুদ ধরনের তিক্ত ঝাঁঝালো পানি অথবা রক্ত আসে।
৬) যদি বমিতে শুধু কফ বের হয়, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না।
(দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯৪)
৭) ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলো; কিন্তু সামান্য বমি আসলো, মুখ ভর্তি হয়ে আসেনি, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না।(দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯৩)
৮) মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।(আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)
৯) মুখভর্তি অপেক্ষা কম বমি হলে মুখ থেকে ফিরে গেলো। কিংবা নিজেই ফিরিয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায়ও রোযা ভাঙ্গবে না। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯৩)
১০) বিনা ইচ্ছায় মুখভর্তি বমি হয়ে গেলো রোযা ভাঙ্গবে না। অবশ্য, যদি তা থেকে একটা বুটের সমানও গিলে ফেলা হয়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। আর এক বুটের পরিমাণের চেয়ে কম হলে রোযা ভাঙ্গবে না।
(দুররে মুখতার, খন্ড-২য়, পৃ-৩৯২)
১১) মুখভর্তি বমির অর্থ হচ্ছে- সেটা অনায়াসে চলে আসে, যা চেপে রাখা যায় না। (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৪)