(১)তাহযিরুন্নাস কিতাবের দেওবন্দের নাটের গুরু মিঃ কাসেম নানুতবি লেখেন-
النبی اولی بالمومنین من انفسھم کو بعد لحاظ صلح من انفسھم کے دیکھے تو یہ بات ثابت ہوتی ہے کہ رسول اللہ ﷺ کو اپنی امت کے ساتھ وہ قرب حاصل ہے کہ ان کی جانوں کو بھی ان کے ساتھ خاصل نہیں کیوں کہ اولی بمعنی اقرب ہوا-
অনুবাদ:-নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিশ্বাসী লোকদের কাছে তাদের প্রাণের চেয়ে নিকটত]এর ﻣِﻦْ ﺍَﻧْﻔُﺴِﻬِﻢْ অংশটুকুর শব্দ বিন্যাস ও ব্যবহৃত অন্বিত অব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য করলে এ কথাটি প্রমাণিত হয় যে, উম্মতের সাথে রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এমন নৈকট্যের সম্পর্ক আছে যে,তাদের প্রাণের সাথেও সেরূপ নৈকট্য নেই।কেননা উক্ত আয়াতে ব্যবহৃত ﺍَﻭْﻟَﻰ শব্দটির অর্থ হচ্ছে নিকটতর।[তাহযিরুন নাস,পৃষ্টা নং- ১৬,পৃষ্টা নিচে দেওয়া হল]
মন্তব্য:-নানুতবির আকিদা হলো,নবী মুমিনদের নিকটে অথ্যাৎ হাজির।।
(২)আমীরুল ওহাবি সাইদ আহমদ এজিদির মালফুজ সিরাতে মুস্তাকীম যা লিপিবদ্ধ করেন,মি:ঈসমাইল দেহলোভি,সেটার হিদায়েত ইশকের বর্ণনায় আগুন ও কয়লার দৃষ্টান্ত দিয়ে লেখেন-
اس طرح جب اس طالب کے نفس کامل کور حمانی کشش اور جزب کی موجیں اور احدتث کے دریاوں کی گہری تہ میہ کیھنچ لےجاتی ہیں تو انا الحق اور لیس فی جنبی سوی اللہ کا آوازہ اس سے صادر ہونے لگتاہے اور یہ حدیث قدسی کنت سمعہ الذی یسمع بہ وبصرہ الذی یبصربہ ویدہ التی یبطشر-
অনুবাদ:-যখন খোদা অন্বেষী সাধকের পূর্ণতাপ্রাপ্ত আত্মাসত্ত্বাকে রহমানী আকর্ষণ ও ভাবাবেশের তরঙ্গমালা আহাদিয়াত এর সমুদ্র সমূহের গভীরে টেনে নিয়ে যায় তখন আনাল হক ও আমার জুবানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু নেই প্রভৃতি বাক্য সে সাধকের মুখ থেকে নির্গত হতে থাকে। সাধকের এ অবস্থার কথাই বর্ণিত হয়েছে হাদীছে কুদসীতে যেখানে বলা হয়েছে-
ﻛُﻨْﺖُ ﺳَﻤْﻌَﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻳَﺴْﻤَﻊُ ﺑِﻪ ﻭَﺑَﺼَﺮَﻩُ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻳَﺒْﺼُﺮُ ﺑِﻪ
আমি সে প্রিয় বান্দার কান হয়ে যাই, যদ্দারা তিনি শুনেন, তার চোখ হয়ে যাই, যদ্দারা তিনি দেখেন।[সিরাতে মুস্তাকিম, পৃষ্টা নং- ২৫,পৃষ্টা নিচে দেওয়া হল]
মন্তব্যঃ- এ ইবারতে একথা স্পষ্টই স্বীকৃত হয়েছে যে, মানুষ যখনিই ফানাফিল্লাহ এর স্তরে উপনীত হয় তখন সে খোদার শক্তিতেই দেখে, শুনে, ধরে ও কথা বলে। অর্থাৎ জগতের প্রত্যেক কিছুই দেখে, দূরের ও নিকটের যাবতীয় কিছু স্পর্শ করে। এটিই হচ্ছে হাযির-নাযির এর অর্থ। যখন সাধারণ মানুষ ফানাফিল্লাহ এর স্তরে গিয়ে মর্যাদার এরূপ আসনে অধিষ্ঠিত হয়, তাহলে জীন ও মানব জাতির নই,যিনি নবীদের নবী হুজুর আলাইহিস সালাত ওয়াসাল্লাম যার ফনাফিল্লাহের স্তরে অন্য কেউ উপনীত হতে পারে না, সে রসূলে পাককি হাজির-নাজির নই!
(৩) রশীদ আহমদ সাহেব গাঙ্গুহী লিখেছেনঃ-
ﻣﺮﯾﺪ ﮐﻮ ﯾﻘﯿﻦ ﮐﮯ ﺳﺎﺗﮫ ﺟﺎﻧﻨﺎ ﭼﺎﮨﯿﺌﮯ ﮐﮧ ﺷﯿﺦ ﮐﯽ ﺭﻭﺡ ﺍﯾﮏ ﺟﮕﮧ ﻣﻘﯿّﺪ ﻭ ﻣﺤﺪﻭﺩ ﻧﮩﯿﮟ ﮨﮯ ﻣﺮﯾﺪ ﺟﮩﺎﮞ ﮐﮩﯿﮟ ﺑﮭﯽ ﮨﻮ ﺷﯿﺦ ﮐﮯ ﺟﺴﻢ ﺳﮯ ﺩﻭﺭ ﮨﮯ ﺷﯿﺦ ﮐﯽ ﺭﻭﺡ ﺳﮯ ﺩﻭﺭ ﻧﮩﯿﮟ ﮨﮯ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔آٹے گی تو شیخ کو اپنے قلب میہ حاضر مان کر بزن حال سوال کر۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔حق تعالے اس کو ملںم بناد ۔ ‏( ﺍِﻣﺪﺍﺩُ ﺍﻟﺴّﻠﻮﮎ ﺻﻔﺤﮧ ﻧﻤﺒﺮ 67 ﻣﺆﻟﻒ ﻗﻄﺐ ﺍﻟﻌﺎﻟﻢ ﺩﯾﻮﺑﻨﺪ ﺭﺷﯿﺪ ﺍﺣﻤﺪ ﮔﻨﮕﻮﮨﯽ ﻣﻄﺒﻮﻋﮧ ﺩﺍﺭﺍﻟﮑﺘﺎﺏ ﺩﯾﻮﺑﻨﺪ ‏) ، ‏( ﺍِﻣﺪﺍﺩُ ﺍﻟﺴّﻠﻮﮎ ﺻﻔﺤﮧ ﻧﻤﺒﺮ 25 ، 26 ﻣﺆﻟﻒ ﻗﻄﺐ ﺍﻟﻌﺎﻟﻢ ﺩﯾﻮﺑﻨﺪ ﺭﺷﯿﺪ ﺍﺣﻤﺪ ﮔﻨﮕﻮﮨﯽ ﻣﻄﺒﻮﻋﮧ ﻣﺪﯾﻨﮧ ﭘﺒﻠﺸﻨﮓ ﮐﻤﭙﻨﯽ ﺍﯾﻢ ﺍﮮ ﺟﻨﺎﺡ ﺭﻭﮈ ﮐﺮﺍﭼﯽ ‏)
অনুবাদ:-মুরীদের এও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে পীরের রূহ মোবারক এক জায়গায় আবদ্ধ নয়। মুরীদ দূরে বা নিকটে যেখানে হোক না কেন,এমনকি পীরের পবিত্র শরীর মোবারক থেকে দূরে হলেও পীরের রূহানিয়ত কিন্তু দূরে নয়। যখন এ ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেলে তখন পীরকে সর্বক্ষণ স্মরণে রাখতে হবে যাতে তার সাথে আন্তরিক সম্পর্ক প্রকট হয়ে উঠে এবং মুরীদ এ উপকারিতা লাভে ধন্য হতে থাকে। মুরীদ যে অবস্থার সম্মুখীন হয় সে অবস্থায় পীরের মুখাপেক্ষী থাকে। পীরকে আপন অন্তরে হাযির করে স্বীয় অবস্থার মাধ্যমে পীরের নিকট লক্ষ্য বস্তুর প্রার্থী হতে হবে। আল্লাহর হুকুমে পীরের রূহ মোবারক পার্থিব বিষয়টি মুরীদের অন্তরে অবশ্যই ইলকা করবেন। কিন্তু এর জন্য শর্ত হচ্ছে পীরের সাথে পূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। পীরের সহিত সম্পর্কের কারণেই অন্তর বাক্যময় উঠে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ উদঘাটিত হয়। আল্লাহ তাকে ইলহাম প্রাপ্তির যোগ্যতা সম্পন্ন করে।[ইমদাদুস সুলুক,পৃষ্টা নং- ৬৭,পৃষ্টা নিচে দেওয়া হল]
মন্তব্যঃ- এ ইবারতে নিম্ন লিখিত কথা কয়টি স্পষ্টরূপে পাচ্ছেঃ-
১) মুরীদের কাছে পীরের হাযির-নাযির হওয়া।
২) পীরের ধ্যানে মুরীদের রত থাকা।
৩) পীরের হাজত পূরণের ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়া
৪) খোদাকে বাদ দিয়ে মুরীদের প্রার্থিত বিষয়ে পীরের কাছে প্রার্থী হওয়া।
৫) মুরীদের অন্তরে প্রর্থিত বিষয়ে পীরের সুস্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি করা। ও
৬) পীর মুরীদের দিল জারী করে দেওয়া।
পীরের মধ্যে যখন এসব শক্তি নিহিত রয়েছে, তখন মানবজাতি ও ফিরিশতাদের মুর্শিদদেরও যিনি মুর্শিদ, তাঁর মধ্যে এসব গুনাবলী স্বীকার করা শিরক হয় কি করে? উল্লেখিত ইবারতটুকু ভিন্নমতাবলম্বীদের সম্পূর্ণ মতাদর্শের মূলে কুঠারাঘাত করেছে। আল্লাহর শুকরিয়া যে সম্পূর্ণ তকবীয়াতুল ঈমান এখানেই খতম হয়ে গেল।
(৪)মি: আশরাফ আলী তানবা সাহেব লিখেছেনন-
ابو یزید سے پوچھاگیا کے زمین کی نسبت آپ نے فرمایا کہ یہ کوںی کمال کی چیزنہیں، دیکھو ابلیس مشرق سے مغرب تک ایک لخط میں قطع کرجاتاہے
অনুবাদ:-অতি অল্প সময়ে পৃথিবী পরিভ্রমণ সম্পর্কে আবু ইয়াযিদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেছেন এটি কোন পূর্ণতা জ্ঞাপক বৈশিষ্ট্য নয়। দেখুন ইবলীস পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত নিমেষেই অতিক্রম করে।[হিফযুল ঈমান,পৃষ্টা নং- ১২,পৃষ্টা নিচে দেওয়া হল]
মন্তব্যঃ- এ ইবাদতে এ কথাটুকুই স্পষ্টরূপে স্বীকার করা হয়েছে যে,কোন কোন সময় পূর্ব হতে পশ্চিম প্রান্তে পৌছে যাওয়া শুধুমাত্র আল্লাহওয়ালাদের জন্য সম্ভব পর নয় বরং কাফির ও শয়তানদের পক্ষে ও এরূপ দুরূহ কাজ সম্ভবপর এবং হতেই আছে। হাযির-নাযির শব্দদ্বয় দ্বারা এ কথাটুকুই বোঝানো হয়।
অতচ তকবীয়াতুল ঈমান এ দৃষ্টিকোণ থেকে তা শিরক বটে।
(৫)হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি (রহ)লেখেন-
البتہ وقف قیام کے اعتقاد تولد کانہ چاہنے۔ اگر اہتمام تشریف آوری کا کیا جاںے مضاںقے نہیے کیونکہ علم خلق مقید بزمان ومکان ہے۔لیکن عالم امر دونوں سے پاک ہے۔پس قدم رنجہ فرمانا ذات بابرکات کا بعید نہں۔
অনুবাদ:-মীলাদ শরীফে কিয়াম করার সময় রসূলে পাক(দরুদপড়ুন) এখন ভুমিষ্ট হচ্ছেন এমন বিশ্বাস না রাখা উচিত।। আর যদি মাহফিলে তাশরীফ আনেন এমন বিশ্বাস রাখে,তাহলে অসুবিধা নাই।কারণ এ নশ্বর জগতে কাল ও স্হানের সাথে সম্পৃক্ত।। আর পরকাল স্হান-কালের সম্পক থেকে মুক্ত।তাই নবী করিম(দরুদপড়ুন)মাহফিলে তাশরীফ আনয়ন করা ও উপস্হিত হওয়া অসম্ভব নই।[শামায়েলে এমদাদিয়া,পৃষ্টা নং-১০৩]
[বি,দ্র:-উক্ত গ্রন্হটি তানবি কৃত সত্যায়িত করা হয়াছিল]
মন্তব্যঃ- রসূলে পাক(দরুদপড়ুন) মাহফিলে তাশরীফ আনেন এমন আকিদা রাখাতে কোন অসুবিধা নাই
(৬)নবাব সিদ্দিক হাসান খাঁ ভূপালী ওহাবী রচিত মিসকুল খেতাম গ্রন্থে লেখেন-
التحیات میں السلام علیک سے خطاب اس لںے ہے کہ حضور علیہ السلام عالم کے ذرہ ذرہ میں موجود ہیں۔لہذا نمازی کی زات میں موجود حاضر ہیں۔
অনুবাদ:-তাশাহুদে আসসালামু আলাইকা বলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ জন্যই সম্বোধন করা হয় যে,তিনি জগতের কনায় কনায় বিদ্যমান। নামাযীর সত্ত্বার মাঝে হাযির ও বিরাজমান।
মন্তব্যঃ- উপরোল্লিখিত ইবারতসমূহ থেকে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাযির-নাযির হওয়ার বিষয়টি সুচারুরূপে প্রতিপন্ন হল।কেননা ফেরাশতা পীর-বুযুর্গ হাজির-নাজির হতে পারলে রসূলে পাক হতে পারবেন না কেন??
♣♣যারা রসূলে পাককে হাজির-নাজির বললে ফতোয়াবাজি করে,তারা আগে তাদের মৌং দেরকে ফতোয়া দিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করুক।। তারপর সুন্নিদের ব্যপারে কথা আসবে।। তারা কি পারবে??
♣াএবার তাদের ২টা ঘটনা পেশ করছি-
১)দেওবন্দ মাদ্রাসার অন্যতম মুহতামিম ক্বারী তৈয়ব বর্ননা করে—
اس دور ان میں ایک دن علی الصبح بعد نماز فجر مولانا رفيع الدین۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔ابھی ابھی مولانا نانوتوی۔۔ عنصری کے ساتھ میرے پاس تشریف لاے تھے۔ایک دم پسینہ پسینہ ہو گیا۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔
اس کے بعد اس قصے میہ کچھ نہ ہولوں گا۔
অনুবাদ:- যে সময় ক্বারী রফিউদ্দিন সাহেব মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন, তখন দারুল উলুমের কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মওলবী মাহমুদুল হাসান এই কোন্দলে জড়িত হয়ে পরেন। এবং কোন্দল বিস্তার লাভ করে।
এমনি এক সময়, একদিন ভোরে ফজরের নামাজের পর মাওলানা রফী উদ্দীন সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেবকে দারুল উলুমে নিজ কামরায় ডাকলেন। মাওলানা উপস্থিত হলেন এবং বন্ধ কামরার দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলেন। তখন তীব্র শীতের মৌসুম ছিলো।
মাওলানা রফীউদ্দিন সাহেব বললেন, প্রথমে আমার এ তুলার তৌষকটা দেখুন। মাওলানা মাহমুদুল হাসান তোষকটা দেখলেন। যেটা আদ্র এবং খুব ভিজা ছিলো। রফিউদ্দীন সাহেব বললেন, ব্যাপার হচ্ছে কিছুক্ষণ আগে মাওলানা কাশেম নানুতুবী স্বশরীরে আমার কাছে তাশরীফ এনে ছিলেন। ( অথচ কাশেম নানতুবী অনেক আগেই মারা গিয়েছিলো ) যার ফলে আমি একেবারে ঘেমে গেছি এবং আমার তোষক ভিজে গেছে। তিনি এটা বলে গেছেন যে , মাহমুদুল হাসানকে বলে দিও, সে যেন ঝগড়ায় জড়িত হয়ে না পরে। অতএব আমি আপনাকে এটা বলার জন্য ডেকেছি। অতপর, মাহমুদুল হাসান বললেন, হুজুর আমি আপনার হাতে তাওবা করতেছি এরপর এ ব্যাপারে কিছুই বলবো না।[ আরওয়াহে সলাসা পৃষ্টা নং-১৯৩ ও ১৯৪। পৃষ্টা নিচে দেওয়া হল]
♣ব্যপারটা এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার ব্যাপারে মৌং আশরাফ আলী তানবি উক্ত কিতাবে একটি টিকা সংযুক্ত করে দিয়েছেন। ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন-
یہ واقعہ روح کا تمثل تھا اور۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔عتاصر میہ تصرف کر کے جسد غصری تیار کر لیاہو۔
অনুবাদ:-এ ঘটনা ছিলো রুহের আকৃতি ধারন। এটা দুই ধরনের হতে পারে, এক, এটা রুপক শরীর ছিলো কিন্তুু দেখতে ব্যহ্যিক শরীরের মত। দুই , রুহ স্বয়ং মূল পদার্থের উপর হস্তক্ষেপ করে বাহ্যিক শরীর গঠন করে নিয়েছে।[ আরওয়ায়ে ছালাছা।পৃষ্টা নং-১৯৪, পৃষ্টা নিচে দেওয়া হল]
মন্তব্যঃ- বাহ দেখলেনতো তানবির আকিদা।।
উপরের ঘটনা-থেকে যা প্রকাশ পাচ্ছে তা হল-
(১) ইলমে গায়েব- নানতুবীর বেলায় প্রমান করলো তার গায়েবের জ্ঞান ছিলো। কারন এ জ্ঞান না থাকলে আলমে বরযখ বা মৃত্যুর পরের জগৎ থেকে তিনি দেওবন্দের গন্ডোগলের খবর কেমনে জানলেন ??
(২) হাজির নাজির– নানুতবি হাজির নাজির হওয়ার ক্ষমতা ছিলো ,কারণ সে নাজিজের মাধ্যেমে দেখলো দেওবন্দে কোন্দল হয়েছে,তাই মৃত্যুর পরও দেওবন্দ মাদ্রাসায় হাজির হয়ে গিয়েছেন।
(৩) মৃত্যুর পর ক্ষমতা প্রয়োগের শক্তি — নানতুবী নিজ ক্ষমতা বলে দেওবন্দের কোন্দলের মিমাংসা করলেন।
৪)জিন্দা।নানুতবি মৃত্যুর পরও জিন্দা।। না হয়,দেখলো কেমনে, আসলো কেমনে?? মরা কি আসতে পারে?
৫)তানবি সাহেব এগুলো মেনে নিয়ে ঘটনাটা তার বইয়ে বর্ণনা করেছেন।।
#এই সব দেওবন্দিদের আকিদা নিজেদের পীরের বেলায়।। নবীর বেলায় হলে,শিরকের ফতোয়া।।
দেওবন্দিরা ফতোয়া হবে কি??
#বালাকুটিদের আকিদা:-
রুহুলঅানির তার একখানা বিজ্ঞাপন রদ ও কারামতে আহমদিয়ার মধ্যে, ইমাদ ফুলতলি তার সাইদ আহমদ এজিদির জীবনিতে লিখেছেন-
কলিকাতা শহরে একজন মহা অর্থশালী লোক ছিল,কিন্তুু সর্বদায় মদপানে রত থাকিত। সেই লোকটি এক দিবসে সাইদ আহমদের নিকট উপস্হিত হয়ে বলতে লাগিল,হুজুর, আমি মদ পান করিতে এরুপ অব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে,আমি উহা পান করা ব্যতিত বাচিয়া থাকিতে পারি না। আমি—- কিন্তুু মদ পান ত্যাগ করিতে পারাবো না। তিনি(সাইদ আহমদ)বলিলেন,আচ্ছা বাব তাহাই করিও,কিন্তুু আমার সাক্ষাতে করিও না।——— সে লোকটি বাড়িতে উপস্হিত হয়ে মদ পানের ইচ্ছা প্রবল হইলো।——– যখন সে ব্যক্তি পেয়ালাটা মুখের নিকট আনয়ন করিলো তখনই দেখিতে পাইল যে,সাইদ আহমদ দাতে আঙ্গুল ধরিয়া তাহার সম্মুখে দাড়াইয়া রহিয়াছেন।[এখানে একটু লক্ষ করুন,প্রথমে গাইবের মাধ্যেমে জানলো লোকটি মদ পান করতে যাচ্ছে,এর পর দেখতেছে(নাযীর)এখন পান করিবে,তখনে সাইদ আহমদ এজিদি হঠাৎ সামনে হাজির।।এটা প্রথম বার] তৎক্ষণাৎ সে ব্যক্তি পেয়ালাটি নিক্ষেপ করিয়া তওবা তওবা করিয়া দাড়িয়ে গেলেন তাৎপরে সাইদ আহমদকে সেখানে দেখিতে পাইলোনা। ইহাতে সে বুঝিল যে,তাহার ভান্তি হয়েছে। সাইদ আহমদ এখানে কিরুপে আসিবেন? ২য় বার———– পান করার ইচ্ছা করিল।এমনি পূর্বের ন্যায় এবারও সাইদ আহমদকে দন্ডায়মান দেখিয়া [ এখানে একটু লক্ষ করুন,২য়বারও গাইবের মাধ্যেমে জানলো লোকটি মদ পান করতে যাচ্ছে,এর পর দেখতেছে(নাযীর)এখন পান করিবে,তখনে সাইদ আহমদ এজিদি হঠাৎ সামনে হাজির,এটা ২য় বার] পেয়ালাটা ফেলিয়া দিল————-। তৎপরে সে ব্যক্তিটি একটি কামরায় প্রবেশ করিয়া দরজা বন্ধ করিয়া মদের পিয়ালা মুখের নিকট লইয়া যাওয়া মাত্রই সাইদ আহমদকে সম্মুখে দেখিয়া[ এখানে একটু লক্ষ করুন,৩য়বারও গাইবের মাধ্যেমে জানলো লোকটি মদ পান করতে যাচ্ছে,এর পর দেখতেছে(নাযীর)এখন পান করিবে,তখনে সাইদ আহমদ এজিদি হঠাৎ সামনে হাজির] , ৩য় বার] তৎক্ষণাৎ পিয়ালাটি ফেলিয়া দিল।। ———– অবশেষে নিরুপায় হইয়া পায়খানার মধ্যে মদ পান করার ইচ্ছা করা মাত্র উক্ত হযরত(সাইদ আহমদ এজিদি)কে সম্মুখে দন্ডায়মান দেখিয়া[ এখানে একটু লক্ষ করুন,৪থবারও গাইবের মাধ্যেমে জানলো লোকটি মদ পান করতে যাচ্ছে,এর পর দেখতেছে(নাযীর)এখন পান করিবে,তখনে সাইদ আহমদ এজিদি হঠাৎ সামনে হাজির, ৪র্থ বার] মদ পান——[কারামতে আহমদি পৃষ্টা নং- ৩৬ ও ৩৭।সাইদ আহমদ এজিদির জীবনি,পৃষ্টা নং-৫৬,৫৭।উভয়ের পৃষ্টা নিচে দেওয়া হল]
মন্তব্যঃ- রাসূলে পাককে হাজির জানলে মরদুদ। আর নিজেদের আমীরুল ওহাবিকে বড় শায়খ বানানোর জন্য চারবার সপ্নে নয় বরং বাস্তবে হাজির প্রমান করেলেন।
উপরে বালাকুটিদের বিবারণ থেকে যা প্রমাণ হয়-
১)আমীরুল ওহাবি সাইদ আহমদ এজিদি ইলমে গাইবের অধিকারি।।কারণ গাইবের মাধ্যেমে আমীরুল ওহাবি সাইদ আহমদ এজিদি জানলো লোকটি মদ পান করতে যাচ্ছে।। অথ্যাৎ আমীরুল ওহাবি ইলমে গাইবের অধিকারি।। যদি তা না হয় তাহলে কেমন করে জানলো ব্যক্তিটি মদ পান যাচ্ছে?? গাইবের মাধ্যেমে জানলো বলেতো হাজির হল!!
২)আমীরুল ওহাবি নাজের।।কারণ ব্যক্তিটি মদ এখন পান করিবে দেখে সাথে সাথে হাজির হলো।। না হয় হাজের হতে আগপিছ হতো।
৩)আমীরুল ওহাবি হাজিরও।। সাইদ আহমদ এজিদি হঠাৎ ব্যক্তিটির সামনে হাজির।।এমনকি ঘরের দরজা বন্ধ করার পরও গাইবের মাধ্যেমে জেনে,নাজেরের মাধ্যেমে দেখে হাজির হয়ে গেল।। এমনকি টয়লেটেও হাজির।।। লাও ঠেলা।।
বালাকুটিরা ফতোয়া হবে কি?
♣হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি(রহ) লেখেন-
رہایہ اعتقاد کہ مجلس مولد میں حضور پر نورﷺ رونق افروز ہوتے ہیں اسی اعتقاد کو کفر وشرک کہنا حد سے بڑھنا کیوں کہ یہ امر ممکن عقلا ونقلا۔بلکہ بعض مقامات پر اس کا وقوع بھی وبوتاہے۔
অনুবাদ:-এ আকিদা বিশ্বাস রাখা-মিলাদ মাহফিলে হুযুর পুরনুর(দরুদপড়ুন) উপস্হিত হন,এটা কুফর ও শিরক নই।।বরং এমন (শিরক ও কুফর)বলা সীমা লঙ্গন ছাড়া কিছুই না।। কেননা এ বিষয়টি যুক্তিভিত্তিক ও শরীয়তের দলিলের আলোকে সম্ভব।।এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবে তা ঘটেও থাকে।[কুল্লীয়াতে এমদাদিয়া,পৃষ্টা নং-১০৩]
মন্তব্যঃ- রসূলে পাক মিলাদ মাহফিলে হাজির হয়, এমন আকিদা শিরক ও কুফর নই। বরং হাজির হওয়ার প্রমাণ রয়েছে।।
##সর্বশেষ দেওবন্দের গুরুর ফতোয়াটা পড়ুন।
রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি বলেন-
ﻓﺨﺮ ﺩﻭ ﻋﺎﻟﻢ ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﮐﻮ ﻣﻮﻟﻮﺩ ﻣﯿﮧ ﺧﺎﺿﺮ ﺟﺎﻧﻨﺎ ﺑﮭﯽ ﻏﯿﺮ ﺛﺎﺑﺖ ﮬﮯ ﺍﮔﺮ ﺑﺎﻋﻼﻡ ﺍﻟﻠﮧ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﺟﺎﻧﺘﺎﮬﮯ ﺗﻮ ﺷﺮﮎ ﻧﮭﯿﮧ ﻭﺭﻧﮧ ﺷﺮﮎ ﮨﮯ۔
অনুবাদ:-সরকারে দোআলম আলাইহিস সালামকে মওলুদ শরীফে হাযির জানির বিষয়টি প্রতিষ্টিতত নয় বটে,তবে খোদা প্রদত্ত শক্তির বদৌলতে তাকে হাযির জ্ঞানন করলে শিরক নয়,অন্যথা হলে শিরক।[ফতোয়ায়ে রশিদিয়া,পৃষ্টা নং-১৬৬,পৃষ্টা নিচে দেওয়া হল,বারাহিনা কাতেয়া,পৃষ্টা নং-২৩]
মন্তব্যঃ- রসূলে পাককে আল্লাহর দেওয়া ক্ষমতা বলে হাযির-নাযির জানলে শিরক নই।। দেওবন্দিরা আবার পড়ুন।।
Top