সমুদ্রের ফেনার সমতুল্য গোনাহ মার্জনার আমল
➖➖➖➖➖➖
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণঃ
"লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদ, ওয়া হুয়া 'আলা কুল্লি শাই-ইন ক্বাদীর।"
"আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই; তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই; তিনই সবকিছু উপর ক্ষমতাবান।"
এই দুআ দিনে ১০০ বার পাঠ করে সে দশজন গোলাম আযাদ করার সাওয়াব পাবে, তার আমল নামায় ১০০ নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তার থেকে ১০০ গোনাহ মুছে দেওয়া হবে। আর তা ঐ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান (তার কুমন্ত্রণা) থেকে তার জন্য রক্ষাকবচ হয়ে যাবে। সেদিন সে যা করেছে তার চেয়ে উত্তম পুণ্য সম্পাদনকারী কেউ হবে না। কিন্তু কেউ তার বেশী আমল করলে তার কথা ভিন্ন। আর যে ব্যক্তি দিনে ১০০' বার سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ [সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী, অর্থাৎ, আমি আল্লাহর সপ্রশংসা পবিত্রতা বর্ণনা করছি] পাঠ করবে, তার যাবতীয় গোনাহ মোচন করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমতুল্য হয়।
[বুখারি ৬৪০৩) (মুসলিম ৪৮/১০ হাঃ ২৬৯১, আহমাদ ৮০১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৬০, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ]
অগণিত গুনাহ মাফ ও সাওয়াব লাভের সহজ আমলঃ
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه وآله وسلم ইরশাদ করেন-
مَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ فِى يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ حُطَّتْ خَطَايَاهُ وَلَوْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ
"যে ব্যক্তি سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ( সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি) (এই তাসবীহ) দিনে একশ বার পাঠ করবে তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশি পরিমাণ হয়।"
[মুসলিম শরীফ,(বৈরুত:দারুল জিয়াল)খ.৮,পৃ.৬৯, হা.নং- ৭০১৮.
বুখারী শরীফ,(দারু তুকিন নাজাহ,১ম সংস্করণ,১৪২২ হি) খ.৮,পৃ.৮৬, হা. নং- ৬৪০৫.]।
তবে অনেকের মতে এর দ্বারা সগীরা গুনাহ উদ্দেশ্য।
মুসলিম শরীফের অপর বর্ণনায় এসেছে,,,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ قَالَ: حِينَ يُصْبِحُ وَحِينَ يُمْسِي: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، مِائَةَ مَرَّةٍ، لَمْ يَأْتِ أَحَدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ، إِلَّا أَحَدٌ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ أَوْ زَادَ عَلَيْهِ
"হযরত আবু হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ ফরমান, যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় ১০০বার করে "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি" বলে,কিয়ামতের দিন তাঁর মত উত্তম আমল নিয়ে কেউ আসবে না। তবে তিনি ব্যতীত যিনি ওই ব্যক্তির সমান অথবা এর চেয়ে বেশি পরিমানে (সকাল ও সন্ধ্যায় সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি তসবীহটি) বলে।"
❝ সায়্যিদুল ইস্তিগফার ❞ এর ফযীলতঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❐ হযরত সায়্যিদুনা শাদ্দাদ বিন আউস رَضِىَ اللٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত; প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী, হুযুর পূরনূর ﷺ ইরশাদ করেছেনঃ " এটি সায়্যিদুল ইস্তিগফারঃ
اَللٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لاَ اِلٰهَ اِلاَّ اَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَاَنَا عَبْدُكَ وَاَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ اَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَاَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ فَاِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلاَّ اَنْتَ-
"যে ব্যক্তি এটাকে ঈমান ও বিশ্বাস সহকারে দিনের বেলা পাঠ করলো, অতঃপর সেই দিনের সন্ধ্যার পূর্বে তার যদি ইন্তেকাল হয়ে যায়, তবে সে জান্নাতি। আর যে ব্যক্তি এটাকে রাতের বেলা ঈমান ও বিশ্বাস সহকারে পাঠ করলো, অতঃপর সকাল হওয়ার পূর্বে তার যদি ইন্তেকাল হয়ে যায়, তবে সে জান্নাতি।"
(তথ্যসূত্রঃ সহীহ বুখারী,চতুর্থ খন্ড,পৃষ্ঠা নং-১৯০,হাদিস নং-৬৩০৬)
❝ সায়্যিদুল ইস্তিগফার ❞ এর ফযীলতঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❐ হযরত সায়্যিদুনা শাদ্দাদ বিন আউস رَضِىَ اللٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত; প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী, হুযুর পূরনূর ﷺ ইরশাদ করেছেনঃ " এটি সায়্যিদুল ইস্তিগফারঃ
اَللٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لاَ اِلٰهَ اِلاَّ اَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَاَنَا عَبْدُكَ وَاَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ اَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَاَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ فَاِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلاَّ اَنْتَ-
"যে ব্যক্তি এটাকে ঈমান ও বিশ্বাস সহকারে দিনের বেলা পাঠ করলো, অতঃপর সেই দিনের সন্ধ্যার পূর্বে তার যদি ইন্তেকাল হয়ে যায়, তবে সে জান্নাতি। আর যে ব্যক্তি এটাকে রাতের বেলা ঈমান ও বিশ্বাস সহকারে পাঠ করলো, অতঃপর সকাল হওয়ার পূর্বে তার যদি ইন্তেকাল হয়ে যায়, তবে সে জান্নাতি।"
(তথ্যসূত্রঃ সহীহ বুখারী,চতুর্থ খন্ড,পৃষ্ঠা নং-১৯০,হাদিস নং-৬৩০৬)
মহান আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তৌফিক্ব দান করুক। আমীন।