"মে তো মালিক হী কাহুংগা
কি ও মালিক কে হাবীব
ইয়া'নী মাহবুব ওর মুহীব মে
নেহী মেরা তেরা"।আলা হযরত (রহ)
কোরআন বলেقَالَ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ أَيُّكُمْ يَأْتِينِي بِعَرْشِهَا قَبْلَ أَن يَأْتُونِي مُسْلِمِينَ
অর্থাৎ: "সোলায়মান (আঃ) মুসলমানদের বলেন,কে আছো যে বিলকিসের সিংহাসন এখানে পোছে দেবে"।
সোলায়মান (আঃ) নবী হয়ে উম্মতের কাছে চাইলেন? আল্লাহ কি উনাকে দিতেন না?এই চাওয়া দ্বারা তিনি শির্ক করলেন নাতো?
কোন বেকুবও এমন প্রশ্ন উত্থাপন করার সাহস করে কি?
তাহলে কি আমরা উম্মত হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে চাইতে পারবোনা?আর যদি চাওয়া শির্ক হয় তবে সোলায়মান আঃ এর বিষয়ে কি বলবেন?
দেখুন, আবে হালায় মিজানুর রহমান আযহারীর এক ভিডিওতে আমাদের রাসূল (দ) থেকে চাওয়া কেও শিরক বললো।সে কি শির্ক এর সংজ্ঞা জানেনা? নাকি ইলাহ শব্দের ভুল ব্যাখ্যা করে বসে আছে।আসুন আলোচনায় আসি।
বোখারী শরীফ এ রাসূল (দ) বলেন:
و أنى أعطيت بمفاتيح خزائن الأرض
অর্থাৎ: এবং নিশ্চয়ই আমাকে যমীনের ধন-ভান্ভার সমূহের চাবি দেওয়া হয়েছে।
এখন হুজুর (দ) কি ধন-ভান্ভার আত্মীয় স্বজন নিয়ে ভোগ করেন?কোন মোমেন এমন কথা বলার হিম্মত রাখেনা। সুতরাং আকা(দ) সর্বোদা উম্মতদের দান করে থাকেন।দাতা করতে পারলে গ্রহীতা চাইতে পারবেনা কেন।
আচ্ছা,উজীর যখন প্রজাদের খাদ্য বিতরণ করেন তখন প্রজারা কি বাদশাহ কে ভুলে যায়? নাকি উজীর কেই বাদশাহ মনে করে? তাহলে মিজান সাব কিভাবে শির্কের গন্ধ পেল। আল্লাহর এ মালিকানায় রাসূল (দ) ই বাদশাহ আর আউলিয়া কেরাম উজীর।
এখন কিছু শুকনো মোল্লা বলবে, যখন হায়াত ছিলো!?
উত্তর:-
أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : الأنبياء أحياء في قبورهم يصلون
رواه البزار (256)، وحسنه الألباني في السلسلة الصحيحة " (621)
অর্থাৎ:"নবীগন(আঃ) কবরে জীবিত এবং নামাজ পড়েন"।সুনান বায্যার (২৫৬) আলবানী হাদীস কে হাছান বলেছে।কেউ ঘাবড়াবেন না। আমাদের কাছে সহীহ সনদও আছে।একটি বিষয় লক্ষ্য করুন। দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদের সব চেয়ে কল্যাণ কর বিষয় কোনটি ? অবশ্যই অবশ্যই গুনাহ মাফ হওয়া।
আসুন একটা হাদীস দেখি
تعرض علي أعمالكم فما وجدت من خير حمدت الله عليه، وما وجدت شر استغفرت لكم
অর্থাৎ: তোমাদের আমল আমার কাছে পৌঁছে। যখন ভাল পাই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি।আর খারাপ দেখলে তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।(সুনান বায্যার)
কোরআনুল হাকিম বলে:-
ْ ﻭَﺳَﻴَﺮَﻯ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻤَﻠَﻜُﻢْ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ ,
“অতঃপর তোমাদের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করবেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল,( ﷺ )” [৯:৯৪]।
সুতরাং, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য এবং কিছু চাওয়া যাবে। তবে, আল্লাহর সহীত কাউকে সমকক্ষ করা ব্যাতীত।আর হুজুরে আকরাম (দ) এর কাছে চাওয়া সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত।