♥বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম♥

ইসরা বা পবিত্র মি'রাজের ঘটনা (৬২১ খৃঃ/ ২৭ রজব/ ১১ নববী / বয়স ৫১ বছর):-

سُبْحَٰنَ ٱلَّذِىٓ أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِۦ لَيْلًا مِّنَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ إِلَى ٱلْمَسْجِدِ ٱلْأَقْصَا ٱلَّذِى بَٰرَكْنَا حَوْلَهُۥ لِنُرِيَهُۥ مِنْ ءَايَٰتِنَآ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْبَصِيرُ

অর্থঃ পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল। 
(সূরা বনি ইসরাঈলঃ ১)

ইসরা অর্থ রাতারে ভ্রমণ, আর মিরাজ অর্থ আরোহণের সিঁড়ি। ইসরা বা মি'রাজ নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্মান ও বিস্ময়কর ঘটনা, যাতে মহান আল্লাহ তাঁর হাবীবকে মক্কার মসজিদে হারাম হতে মসজিদে আকসা পর্যন্ত এবং তথা হতে উর্ধ্ব জগত পর্যন্ত সশরীরে নিজের কুদরতের নিদর্শনাদি দেখবার জন্য ভ্রমন করিয়ে ছিলেন। এ বিস্ময়কর ঘটনাটি পবিত্র কোরআনের দু'টি সূরা তথা সূরা বনি ঈসরাইল ও সূরা আন-নজম উল্লেখ রয়েছে এবং বহু সংখ্যক (হাদীস দ্বারা) সাহাবীর মাধ্যমে প্রিয় নবজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মোবারক বাণী বর্ণিত হয়েছে।

এ ভ্রমণটি রাতের এক অংশে ঘটেছিল বলে 'ইসরা' বলা হয়। আর এ ঘটানাগুলো বর্ণনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 'আমাকে উর্ধ্ব জগতে নিয়ে যাওয়া হয়' বাক্য ব্যবহার করেছেন বলে 'মি'রাজ ' বলা হয়। পারিভাষিক পার্থক্য প্রকাশের জন্য কোন কোন আলেম এ ঘটনার যে অংশটুকু সূরা বনি ইসরাঈলে সুস্পষ্ট রূপে উল্লেখ রয়েছে তাকে 'ইসরা' আর যে অংশটুকু সূরা নজম এবং সহীহ হাদীসসমূহে রয়েছে তাকে 'মি'রাজ' নামে অবিহিত করেছেন। মূলতঃ উভয় নামে একই ঘটানার প্রতি ইংগিত করা হয়েছে।

ঘটনার সময় কালঃ অধিকাংশ নির্ভর‍যোগ্য বর্ণনা মতে এ ঘটনাটি হিজরতের এক  বা দেড় বছর পূর্বে সংঘটিত হয়। আর মাস ও তারিখের ক্ষেত্রে তা রজব মাসের ২৭ তারিখ ছিল বলে প্রবল মত পাওয়া যায়। হাদীস ও জীবন চরিত গ্রন্থাবলীতে এ ঘটানার বিস্তারিত বিবরণ বিপুল সংখ্যক সাহাবী হতে বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত মুহাদ্দিস ফরকানী (রহঃ) বলেন মি'রাজের ঘটনাটি ৪৫ জন সাহাবায়ে কেরাম হতে নকল করা হয়েছে এবং তাদের নামও গণনা করা হয়েছে। (কাসাসুল কোরআন)

তম্মধ্যে হযরত আনাস বিন মালেক, মালেক বিন সাইআ, আবুযর গিফারী ও হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) প্রমুখ হতে সর্বাধিক বিস্তারিত বিবরণ বর্ণিত আছে। এতদ্ব্যতীত হযরত ওমর, হযরত আলী,  আবদুল্লাহ বিন মাসউদ, আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস, আবু সাঈদ খুদরী, হোযাইফা বিন ইয়ামান, হযরত মা- আয়েশা (রাঃ) ও কতিপয় সাহাবী (রাঃ) ও কতিপয় সাহাবী (রাঃ) উহার কোন কোন অংশ বর্ণনা করেছেন।
(চলবে)
Top