হাদীসের নামে জালিয়াতি বইয়ের ৩৬৬ পৃষ্ঠায় এবং প্রচলিত জাল হাদিস যা জুনায়েদ বাবু নগরী লিখেছেন তার বইয়ের ১১৭ পৃষ্ঠায় হযরত আবু বকর (রা.) রাসূল (দ.)'র নাম শুনে চুমু খাওয়ার হাদিসকে জাল প্রমাণ করার অনেক অপচেষ্টা চালিয়েছেন। বিভ্রান্তিকর আরেক পুস্তক প্রচলিত জাল হাদিস (যা মাওলানা মতিউর রহমান এর লিখিত) ১২২ পৃষ্ঠায় উক্ত হাদিসটিকে জাল বলে প্রমাণ করার অপ্রচেষ্টা করেছেন। এ হাদিসটিকে ড.আহমদ আলী তার 'বিদআত' পুস্তুকের প্রথম খন্ডেও জাল প্রমান করতে অনেক অপচেষ্টা করেছেন। এ হাদিসটির বিরােদ্ধে অপপ্রচারের জন্য বাংলা ভাষায় অনেক পুস্তক রচিত হয়েছে তাদের সকলের নাম উল্লেখ করার প্রয়ােজন মনে করি না।
আমি এ ব্যাপারে লিখার আগে দায়লামীর হযরত আবু বকর (রা)-এর হাদিস ছাড়াও অন্য হাদিস দ্বারা শুরু করতে চাই। কারণ ভ্রান্তবাদীদের দায়লামীর হাদিসের ব্যাপারে তাদের সকল মাথা ব্যথা এবং কীভাবে সেটাকে জাল বানানাে যায় তাদের চিন্তাধারা।
হাদীস ১
حدثنا عبد الله بن محمد بن جعفر، ثنا أبو بكر الدينوري المفسر، ثنا محمد بن ایوب العطار، ثنا عبد المنعم بن إدريس، عن أبيه، عن جده وهب قال: " كان في بني إسرائيل رجل عصي الله مائتي سنة ثم مات، فأخذوا برجليه فألقوه على مزبلة، فأوحى الله إلى موسى عليه السلام ان اخرج فصل عليه قال: يا رب، بنو إسرائيل شهدوا أنه عصاك مائتي سنة، فأوحى الله إليه: هكذا كان، إلا أنه كان كلما نشر التوراة ونظر إلى اسم محمد صلى الله عليه وسلم قبله ووضعه على عينيه، وصلى عليه، فشكرت ذلك له، وغفرت ذنوبه، وزوجته سبعين حوراء "
-“হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বাহ (রা) বলেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল অত্যন্ত পাপী, যে ২০০ বছর পর্যন্ত আল্লাহর নাফরমানী করেছে। যখন সে মৃত্যুবরণ করে মানুষেরা তাকে এমন স্থানে নিক্ষেপ করল, যেখানে আবর্জনা ফেলা হতাে। তখন হযরত মুসা (আঃ) এর প্রতি ওহী এলাে যে, লােকটিকে ওখান থেকে তুলে যেন তারা ভালভাবে জানাযার নামায পড়ে তাকে দাফন করা হয়। হযরত মুসা (আঃ) আরজ করলেন, হে আল্লাহ! বনী ইসরাঈল সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, লােকটি ২০০ বছর পর্যন্ত তােমার নাফরমানী করেছিল। ইরশাদ হলাে, হ্যা, তবে তার একটি ভাল অভ্যাস ছিল। যখন সে তাওরাত শরীফ তেলাওয়াত করতাে, যতবার আমার হাবীব হযরত মুহাম্মদ (দ) এর নাম মােবারক দেখতো তখন সেটা ততবার চুম্বন করে চোখের উপর রাখত এবং তার প্রতি দুরূদ পাঠ করত। এজন্য আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং সত্তর জন হুর স্ত্রী স্বরূপ তাকে দান করেছি।”
ক, ইমাম আবু নঈম : হুলিয়াতুল আউলিয়া ঃ ৩/১৪২ পৃ.খ, আল্লামা বুরহানুদ্দীন আলভী : সিরাতে হালবিয়্যাহ ১ম খন্ড পৃষ্ঠা-৮৩।
গ, আল্লামা শফী উকাড়ভী : জিকরে জামীল : ৫৪ পৃষ্ঠা।ঘ, জালালুদ্দীন সুয়ুতি ঃ খাসায়েসুল কোবরা :১/৩০,হাদিস : ৬৮, মাকতুত-তাওফিকহিয়্যাহ, বয়রুত।
ঙ. আল্লামা আবদুর রহমান ছাফুরী ঃ নুযহাতুল মালিস : ২/১৪২ পৃ.
চ, আল্লামা দিয়ার বকরী : আল খামীস ফি আহওয়ালে আনফাসে নাফীস : ১/২৮২ পূ.
খ, আল্লামা বুরহানুদ্দীন আলভী : সিরাতে হালবিয়্যাহ ১ম খন্ড পৃষ্ঠা-৮৩।
গ, আল্লামা শফী উকাড়ভী : জিকরে জামীল : ৫৪ পৃষ্ঠা।
ঘ, জালালুদ্দীন সুয়ুতি ঃ খাসায়েসুল কোবরা :১/৩০,হাদিস : ৬৮, মাকতুত-তাওফিকহিয়্যাহ, বয়রুত।
ঙ. আল্লামা আবদুর রহমান ছাফুরী ঃ নুযহাতুল মালিস : ২/১৪২ পৃ.
চ, আল্লামা দিয়ার বকরী : আল খামীস ফি আহওয়ালে আনফাসে নাফীস : ১/২৮২ পূ.
উক্ত হাদীসের ব্যাপারে কোনাে মুহাদ্দিস মন্তব্য করেননি। তাদের নীরবতা পালন দ্বারা বুঝা গেল হাদিসটি সহিহ বা বিশুদ্ধ কারণ তার ব্যাপারে কোন মুহাদ্দিসের বিরােধীতা পাওয়া যায়নি।হাদীস ২
এ ব্যাপারে হযরত আদম (আলাইহি স্সাল্লাম) এর আমলঃহাদীস ২
এ ব্যাপারে হযরত আদম (আলাইহি স্সাল্লাম) এর আমলঃ
বিখ্যাত মুফাসির আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (র) তার উল্লেখযােগ্য তাফ তাফসীরে রুহুল বায়ানে’ লিখেন,
وفي قصص الأنبياء وغيرها أن آدم عليه السلام اشتاق الى لقاء محمد صلی الله عليه وسلم حين كان في الجنة فاوحى الله تعالي اليه هو من صلبك ويظهر في اخر الزمان فسال لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان في الجنة فاوحى الله تعالي اليه فجعل الله النور المحمدي في إصبعه المسبحة من يده اليمنى فسبح ذلك النور فلذلك سميت تلك الإصبع مسبحة كما في الروض الفائق. او اظهر الله تعالی اعمال حبيبه في صفاء ظفری ابهامية مثل المراة فقبل آدم ظفری ابهاميه ومسح على عينيه فصار اصلا لذريته فلما أخبر جبرائيل النبي صلى الله عليه وسلم بهذه القصة قال عليه السلام (من سمع اسمي في الأذان فقبل ظفری ابهاميه ومسح على عينيه لم يعم ابدا
-“কাসাসুল আম্বিয়া কিতাবে বর্ণিত আছে যে, হযরত আদম (আঃ) জান্নাতে অবস্থানকালে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (দ)'র সাথে সাক্ষাতের জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অতঃপর আল্লাহ তা'য়ালা তার নিকট ওহী প্রেরণ করেন যে, হে আদম, তিনি তােমার পৃষ্ঠ হতে শেষ যামানায় প্রকাশ হবেন। তা শুনার পর তিনি জান্নাতে অবস্থানকালে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানালেন। বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা ওহী প্রেরণ করলেন যে, নূরে মুহাম্মদী (দ) তােমার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলীর মধ্যে স্থানান্তরিত করেছি, তখন সে অঙ্গ হতে তাসবীহ পাঠ আরম্ভ হলাে। এজন্যই এই আঙ্গুলকে তাসবীহ পাঠকারী আঙ্গুল বলা হয়। যেমন রওযাতুল ফায়েক' কিতাবেও বর্ণিত আছে, অথবা আরেক বর্ণনায় রয়েছে, আল্লাহ তায়ালা আপন হাবীব (দ) এর সৌন্দর্য প্রকাশ করলেন দুই বৃদ্ধাঙ্গুলীর উপর যেভাবে আয়নাতে দেখা যায়। তখন আদম (আঃ) দুই বৃদ্ধাঙ্গুলে চুম্বন করে স্বীয় চোখের উপর মালিশ করলেন। এটি দলীল হিসেবে প্রমাণিত হলাে যে, তাঁর সন্তানাদীর জন্য। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) এই ঘটনা হুযুর (দ) কে জানালেন। হুযুর (দ) বললেন, যেই ব্যক্তি আযানের মধ্যে আমার নাম মােবারক শুনে দুই বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করবে আর চোখে মালিশ করবে, সে কখনাে অন্ধ হবে না।”
ক.আল্লামা ইসমাঈল হাকীঃ তাফসীরে রুহুল বয়ান : ৭/২২৯; সূরা মায়েদা আয়াতঃ ৫৭ নং এর ব্যা"খ.আবদুর রহমান হাফুরী, নুযহাতুল মাযালিস,খ৭৪পৃ
খ.আবদুর রহমান হাফুরী, নুযহাতুল মাযালিস,খ৭৪পৃহাদীস ৩
হযরত খিযির (আঃ) কর্তৃক রাসূল (দ) এর নাম শুনে চুমু খাওয়ার আমল বর্ণিত ঃ
ما أورده ابو العباس احمد ابن أبي بكر الرداد اليماني المتصوف في كتابه "موجبات الرحمة وعزائم المغفرة" بسند فيه مجاهيل مع انقطاعه عن الخضر عليه السلام أنه من قال حين يسمع المؤذن يقول أشهد أن محمد رسول الله: مرحبا بحبيبي وقرة عيني محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم، ثم يقبل إبهاميه يجعلهما على عينيه لم يرمد ابدا، -
-“ইমাম আবু আব্বাস আহমদ বিন আবি বকর ইয়ামানী (স) তার লিখি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ এর মধ্যে হযরত খিযির (আঃ) থেকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে 'আশহাদু আন্না মুহাম্মদার রাসূলুল্লাহ' শুনার পর (মারহাবা বি হাবিবি ওয়া কুররাতাে আইনী মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ) বলবে অতঃপর স্বীয় বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয় চুম্বন করে চোখে লাগাবে, তাহলে তার চোখে কখনও ব্যর্থ হবে না এবং সে কোন দিন অন্ধ হবে না।”
ক. আল্লামা ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ১/৩৮৩ : হাদিস : ১০২১ খ, আল্লামা আলুনী : কাশফুল খাফা : ২২৭০ : হাদিস : ২২৯৬
গ. আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী : মওদুআতুল কবীর : ১০৮ পু গ. আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী ঃ জামাল হক। ২৪৬ প
খ, আল্লামা আলুনী : কাশফুল খাফা : ২২৭০ : হাদিস : ২২৯৬
গ. আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী : মওদুআতুল কবীর : ১০৮ পু
গ. আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী ঃ জামাল হক। ২৪৬ প
এখন আলােচ্য বিষয় হলাে হযরত আবু বকর (রা) হাদিস পর্যালােচনা এবং এ হাদিসের ব্যাপারে ইমাম মুহাদ্দিসগণের অভিমত আলােচনা করা।
হযরত আবু বকর (রা) এর আমল এবং সনদ তাত্ত্বিক বিশ্লেষন
حديث أبي بكر الصديق أنه لما سمع قول المؤذن أشهد أن محمد رسول الله
هذا، وقبل باطن الأنملتين السابتين ومسح عينيه، فقال صلى الله عليه وسلم: من فعل مثل مافعل خليلي فقد حلت عليه شفاعتي، " رواه الديلمي المسند ردوس
-“হযরত আবু বকর (রা) হতে বর্ণিত, তিনি মুয়াযিনকে ‘আশহাদু আ মুহাম্মাদার' রাসূলুল্লাহ বলতে শােনলেন, তখন তিনিও তা বললেন এবং বৃদ্ধাঙ্গুলী চুমু খেয়ে তা চোখে বুলিয়ে নিলেন। তা দেখে রাসূল (দঃ) ইরশাদ করেন : যে ব্যক্তি আমার বন্ধুর ন্যায় আমল করবে, তার জন্য আমার সুপারিশ বৈধ হয়ে গেল।”
ক, ইমাম আবদুর রহমান সাখাভী : মাকাসিদুল হাসান ঃ ৩৮৩ : হাদিস : ১০২১ খ, আল্লামা ইমাম আযলুনী : কাশফুল খাফাঃ ২২৫৯ : হাদিস : ২২৯৬
গ, আল্লামা মােল্লা আলী কারী । আসরারুল মার: ৩১২ পৃষ্ঠাঃ হাদিস : ৪৫৩গ, আল্লামা ইমাম তাহতাভী : মারাকিল ফালাহ ঃ ১৬ পৃ. : কিতাবুল আযান।
খ, আল্লামা ইমাম আযলুনী : কাশফুল খাফাঃ ২২৫৯ : হাদিস : ২২৯৬
গ, আল্লামা মােল্লা আলী কারী । আসরারুল মার: ৩১২ পৃষ্ঠাঃ হাদিস : ৪৫৩
গ, আল্লামা ইমাম তাহতাভী : মারাকিল ফালাহ ঃ ১৬ পৃ. : কিতাবুল আযান।
ঙ. আল্লামা শাওকানী : ফাওয়াহিদুল মওদুআত : ১/৩৯ পৃ. চ, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : তাফসীরে রুহুল বায়ান : ৭/২২৯ পু।
ছ, আল্লামা তাহের পাটনী : তাযকিরাতুল মওদুআত : ৩৪ পৃ জ, আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়তী : লাআলীল মাস আ : ১৬৮-১৭০ পৃ
ঝ, আল্লামা আব্দুল হাই লাখনৌভী : আসারুল মার আঃ ১৮২।
ঞ, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী : সিল..ঘঈফাহ : ১১০২ পূ, হাদিস : ৭৩
চ, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : তাফসীরে রুহুল বায়ান : ৭/২২৯ পু।
ছ, আল্লামা তাহের পাটনী : তাযকিরাতুল মওদুআত : ৩৪ পৃ
জ, আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়তী : লাআলীল মাস আ : ১৬৮-১৭০ পৃ
ঝ, আল্লামা আব্দুল হাই লাখনৌভী : আসারুল মার আঃ ১৮২।
ঞ, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী : সিল..ঘঈফাহ : ১১০২ পূ, হাদিস : ৭৩
উক্ত হাদিসটি সম্পর্কে গ্রহণযােগ্য মুহাদ্দিসগণের মতামত আমি তুলে।যারা হাদিসটি সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
১. ইমাম সাখাভীর অভিমত :
আল্লামা ইমাম সাখাভী (র) হযরত আবু বকর (রা) এর বর্ণিত হাদীস সংকলন করে বলেন, "لا يصح"এ হাদিসটি সহিহ নয়।”
* আল্লামা ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ১/৩৮৪ : হাদিস : ১০২১
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, দেখুন ইমাম সাখাভী (র) কী বললেন, আর প্রচলিত জাল হাদিস (মাওলানা মতিউর রহমান এর লিখিত) ১২২ পৃষ্ঠায় চরম মিথ্যা লিখেছেন যে, ইমাম সাখাভী (র) নাকি বলেছেন, “এটি প্রমাণিত নয়"। দেখুন ইমাম সাখাভীর নামে বাংলা ভাষায় কী ধরনের মিথ্যাচার করেছে। আর আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার বইয়ের ৩৬৬ পৃষ্ঠায় বাংলায় কিছু ইমামদের নাম দিয়ে হাদিসটিকে জাল বলে চালিয়ে দেবার অহেতুক অপচেষ্টা চালিয়েছেন।
আমি কিতাবের ভূমিকায় আলােচনা করেছি যে, হাদিসটি সহিহ নয় বললে, “হাসান হাদিস বুঝায়। এমনকি মােল্লা আলী ক্বারী (র) বলেন,
لا يصح لا ينافى الحسن
-“কোন মুহাদ্দিসের বক্তব্য হাদিসটি সহিহ নয়-তা দ্বারা হাদিসটি হাসান" হওয়াতে কোন অসুবিধা বা নিষেধ করে না।"
* আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী : আসারুল মারফুআ-২৩৬ পৃ
ইতিপূর্বে আমি ইমাম সাখাভীর বক্তব্যও পেশ করেছি।বুঝা গেল, হাদিসটি কমপক্ষে "হাসান" হাদিস যা দলীল হিসেবে দাড় করানাের গ্রহণযােগ্যতা রাখে।
সূত্র, প্রমানিত হাদীস কে জাল বানানোর স্বরুপ উন্মোচন
মুফতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর
হাদিসটি সহিহ নয়' বলতে কী বুঝায় এ' সম্পর্কে হাদীসের নীতিমালায় কিতাবের ভূমিকায় আমি বিস্তারিত আলােচনা করে এসেছি দেখে নেয়ার অনুরােধ রইল।