সর্বনাশা ভালোবাসা দিবস
-------------------------------------------------
কৃত: আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক
উপাধ্যক্ষ, কাদেরিয়া তৈয়বিয়া কামিল মাদ্রাসা, ঢাকা।

রাত পোহালেই ১৪ ফেব্রুয়ারী। জানেন তো কি বলতে চাই? আকাশে সুর্য উঠার আগেই আজ ফুলের দাম আকাশে উঠে যাবে। অনেকেই আজ রাত ‘বিশেষ বিশেষ জরুরী প্রাণালাপ’ শেষ করে রাত ২ টায় শুয়েও আবার ঠিক ‘সুবহে সাদিকের’ সময় উঠে যাবে। দরজা বন্ধ করে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে ‘দশবার’ দেখে নেবে নিজেকে। পুরো ‘বার্ণিশ’ করে নেবে নিজের চেহারাটাকে। নাস্তার প্লেট সামনে আসার আগেই ‘রমনা পার্ক’ অথবা ‘বোটানিকাল গার্ডেন’ কিংবা অন্য কোন রঙিন জায়গার ছবি ভেসে আসবে চোখের সামনে। ‘ফুল’ কিনতে আজ মোটেই ‘ভুল’ করা যাবে না। ‘আমি আর ও’ – দু’জন নিবিড়ভাবে আলাপ-সালাপ করার জন্য নির্জন একটা জায়গার ‘টেনশন’ নাস্তার পর পানি পান করার কথাই ভুলিয়ে দেবে বহুজনকে। চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কালো কভারের প্যাডের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ‘হলুদ রঙের বিল’টা আজ কারো কারো পকেট খালি করে দেবে। কন্ঠনালীর পিপাসা নয়- প্রচন্ড রোদেও আজ অনেকের চোখের পিপাসাই জাগবে বেশী। আজ বাবা-মায়ের পবিত্র ভালোবাসাকে ‘তালাক’ (!) দেবে কত অকৃতজ্ঞ সন্তান। আজকের প্রতিটা হাসিই অনাগত ভবিষ্যতে বড় বড় ‘বিল’ নিয়ে হাজির হবে, চির অন্ধকারের ভয়ংকর দুনিয়ায় নিয়ে যাবে কতজনকে।অনুগতদের দিয়ে হাজারো ঘৃনিত কাজ আদায় করে নিতে শয়তান আজ মহাব্যস্ত থাকবে। আল্লাহ! শয়তানী হরকত থেকে তুমি মুসলমানদের হেফাজত করো!
 
Top