এক শ্রেনীর ইসলাম বিদ্বেষীরা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তাবারুক নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। তারা ব্যঙ্গাত্মকভাবে সিন্নীখোর, বিরানীখোর ইত্যাদি অশালীন কথা বলে। এদর কথা শুনে মনে হয় এরা নিজেরাও না খেয়ে থাকে, অন্যকেতো খাবার খাওয়াই না। (অবশ্য কওমী ওহাবীরা অন্যরটা খেয়ে অভ্যস্থ, মানুষকে খাওয়ানোর কথা তারা স্বপ্নেও দেখে নাই)
মানুষকে খাদ্য খাওয়ানোর ফযীলত সম্পর্কে কুরআন শরীফ হাদীস শরীফে অনেক দলীল দেয়া আছে।
খাদ্য খাওয়ানো ব্যক্তি মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে ধন্য হবেন। মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللهِ لاَ نُرِيْدُ مِنْكُمْ جَزَاءً وَلاَ شُكُوْرًا
অর্থ‘: তারা বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি, তোমাদের নিকট এর কোন প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও কামনা করি না’ (সূরা দাহর ৭৬/৯)
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,
عن حضرت عبد الله بن سلام رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يايها الناس افشوا السلام واطعموا الطعام وصلوا الارحام وصلوا باليال والناس نيام تدخلوا الجنة بسلام
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হে লোক সকল! তোমরা সালামের প্রচলন কর, মানুষকে খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর এবং রাতের বেলায় মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামায পড় তাহলে শান্তির সাথে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।” (তিরমিযী ১৮৫৫, ইবনে মাযাহ্ ১৩৯৫, আদাবুল মুফাররাদ ৯৮১, আবদ ইবনে হুমাইদ ৩৫৫, দারিমী)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ’ ২৮ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফের মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নাম মুবারক স্মরণ করে উনার দেয়া চতুষ্পদ জন্তু যবেহ করো। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার করো এবং দুস্থ অভাবগ্রস্তকে আহার করাও।”
মানুষকে খাদ্য খাওয়ানো একটা ইবাদত। যারা এ বিষয়কে টিটকারী তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করে তারা কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ এহানতকারী। আর অন্য একটা বিষয় হচ্ছে এরা নিম্ন শ্রেনীর ফ্যামিলির লোক। এরা নিজেরাও খায় না। অন্যকে খাওয়ানোর কথা ভাবে না। কলিকাতার হিন্দুদের মত এদের অবস্থা। যারা বলে অর্ধেকটি দিলুম, পুরাটা খাবেন।