আপনারা কি জানেন দেওবন্দ মাদ্রসায় ৬০ বছর অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব কে পালন করেছে?সকলেই নাম শুনে থাকবেন তার নাম হচ্ছে ক্বারী তৈয়ব। দেওবন্দ মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেনীর মুহাদ্দিসদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তার বক্তব্য বা আলোচনা গুলো একত্রে উর্দূতে ১০ খন্ডে প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশে ইসলামী ফাউন্ডেশনও সেগুলো ‘খুতবাতে হাকীমুল ইসলাম’ নামে অনুবাদ করে।
সেই বইয়ের ১৩ পৃষ্ঠায় পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল ও জন্মবৃত্তান্ত বা তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ করার বিষয়ে সুন্দর কিছু কথা বলা হয়েছে। সেখানে লেখা আছে,
“রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা করা ইবাদতের মূল এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও নৈকট্য লাভের উপায়, সমস্ত কামালত ও বরকতের উৎস। তাই মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ম্পকে আলোচনা এক বিশেষ নিয়ামত,যা মুসলমানদের দান করা হয়েছে।” (খুতবাতে হাকীমুল ইসলাম ১৩ পৃষ্ঠা। প্রকাশনা: ইসলামী ফাউন্ডেশন)
উপরোক্ত দেওবন্দী আলেমের বক্তব্য আর বর্তমান সময়ের দেওবন্দ নামধারীদের বক্তব্য বিপরীত হয় কেন? বর্তমানে নিজেদের দেওবন্দ সিলসিলার দাবি করে কি করে অনেকে ঢালাও ভাবে পবিত্র মীলাদ মাহফিলের আলোচনাকে হারাম নাজায়িয বলে?