হাদিসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা সর্বপ্রথম নূর সৃষ্টি এ হাদীছ শরীফকে জাল বানাতে উঠে পরে লেগেছে বিদয়াতি বাতিল ফির্কা লোকেরা।
হাফিজুল হাদীছ ইমাম কাস্তালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব ‘আল মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া’ কিতাব সম্পর্কে  উল্লেখ আছে,
وهو: كتاب جليل القدر كثير النفع ليس له نظير في بابه
এটি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন কিতাব, অত্যন্ত উপকারী, এর কোন উপমা নেই। (শরহে যারকানী ৬ পৃষ্ঠা, কাশফুয যুনুন)
এ কিতাবের ব্যাখ্যা করেছেন মুহাদ্দিছ ও হাফিজে হাদীছ হযরত ইমাম যারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি প্রতি শব্দ ধরে ধরে ব্যাখ্যা করেছেন। 
◾ইমাম যারকানী (রহঃ) ‘শরহে মাওয়াহেব’ কিতাব যা দারু কুতুব আল ইলমিয়া থেকে প্রকাশিত এর ৮৯ পৃষ্ঠায় হাদীছ খানা উল্লেখ করেছেন।
◾বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ইমাম ইবনে হাজার হায়তামী (রহঃ) দারু কুতুব আল ইলমিয়া থেকে প্রকাশিত ‘আশরাফুল ওসাইল’ ৩৬ পৃষ্ঠা, দারুল মিনহাজ বৈরুত লেবানন থেকে প্রকাশিত ‘আল মিনায়ুল মাক্কীয়া ফি শারহীল হামজিয়া’ কিতাবের ৯৩ পৃষ্ঠা,
◾দারু ইহইয়া আত তুরাছ আল আরাবী বৈরুত লেবানন থেকে প্রকাশিত আল ফতোয়ায়ে হাদিছ্যিয়াহ কিতাবের ৮৫ পৃষ্ঠায় তা উল্লেখ করেছেন।
◾বিখ্যাত আলেম ও মুহাদ্দিছ হযরত আব্দুল কাদির ইবনে শায়েখ হুসাইনী ইয়ামেনী (রহঃ) (জন্ম: ৯৭৮, ওফাত ১০৩৮ হিজরী) দারুছ ছদর, বৈরুত লেবানন থেকে প্রকাশিত “আন নুরুস সাফির আন আখবারি কারনীল আশির” কিতাবে ২২ পৃষ্ঠায় হাদীছ খানা এনেছেন।
◾মুহাদ্দিস ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (রহঃ) উনার “আল মাওয়ারিদুর রাবী” কিতাবের ২২ পৃষ্ঠায়,
◾মুফতীয়ে বাগদাদ হযরত ইমাম আলুসী বাগদাদী (রহঃ) উনার তাফসীওে রুহুল মায়ানীতে ১৭ খন্ড ১০৫ পৃষ্ঠায়।
◾এ উপমহাদেশে বিখ্যাত আলেম হাফিজুল হাদীছ হযরত রুহুল আমীন বশিরহাটী (রহঃ) উনার “মীলাদে মুস্তফা” কিতাবের ৯ পৃষ্ঠায়,
◾বিখ্যাত আলেম উছূলে হাদীছে কিতাব ‘মিযানুল আখবারের’ মুছান্নিফ হযরত আমিমুল এহসান মুজাদ্দেদী (রহঃ) উনার ‘সিরাজুমমুনীরা’ কিতাবের ৪৬ পৃষ্ঠায়,
◾ইমাম আযলুনী (রহঃ) উনার “কাশফুল খফা” কিতাবে ১মন্ড ২৩৭ পৃষ্ঠার ৮২৬ নং হাদীছ
◾ সিরাতে হলবীয়া ১/৩০,
◾মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ,
◾হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫,
◾তারীখুল খমীস ১/২০,
◾দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ,
◾নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড,
◾নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ,
◾মজমুয়ায়ে ফতোয়া লখনবী ২/২৬০ সহ
অসংখ্য কিতাবে ইমাম আব্দুর রজ্জাক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুছান্নাফের বরাতে হাদীছ শরীফখানা দলীল হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
◾দেওবন্দীদের অন্যতম মুহাদ্দিছ আব্দুল হাই লখনবী তার “আসসারুল মারফুয়া” কিতাবে ৪২ পৃষ্ঠায় হাদীছটি বর্ণনা করেন এবং ৪৩ পৃষ্ঠায় বলেন,
قد ثبت من رواية عبد الرزاق أولية النور المحمدي خلفا وسبقته على المخلوقات سبقا
অর্থ: হযরত ইমাম আব্দুর রাজ্জাকের রেওয়ায়েত দ্বারা এটা প্রমাণ হয় নূরে মুহাম্মদী (ﷺ) অন্য সকল সৃষ্টির মধ্যে প্রথম সৃষ্টি। এবং উক্ত নূরে মুহাম্মদী (ﷺ) সমস্ত মাখলুকাতে উপর অগ্রগামি (আছারুল মারফুয়া ৪৩ পৃষ্ঠা)
◾দেওবন্দীদের মুহাদ্দিছকুলের শিরোমনী অনোয়ার শাহ কাশ্মীরি তার “আরফুশশাযী শরহে জামেউত তিরমিযী” কিতাবে সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টির হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেছেন,
قوله : ( أول ما خلق الله إلخ ) في بعض الروايات : أن أول المخلوقات نور النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، ذكره القسطلاني في المواهب بطريق الحاكم والترجيح لحديث النور على حديث الباب
“(মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেছেন) কোন কোন বর্ণনায় আছে, নিশ্চয়ই সৃষ্টির মধ্যে প্রথম হচ্ছেন নূরে মুহাম্মদী (ﷺ)। ইমাম কাস্তালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাওয়াহেব কিতাবে হাকেমের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি সেখানে সবগুলো বর্ণনার মধ্যে নূর মুবারকের হাদিছ শরীফকে প্রাধান্য দিয়েছেন।” (আরফুশশাযী শরহে জামেউত তিরমিযী ৩য় খন্ড ৩৪৪ পৃষ্ঠা;প্রকাশনা: দারু এহহিয়া আত তুরাস আল আরবী, বৈরুত, লেবানন)
◾৯ম হিজরী শতকের আরেকজন বিখ্যাত আলেম হযরত ইবনে আসখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৯৯১) তিনি বাহাজাতুল মাহফিল কিতাবের শরাহতে এ এই হাদীছ শরীফকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন,
يؤيد صحته عبد الرزلق في مسند بسند مستقيم من حديث جابر قال : قالت يا رسول الله اخبرني باول شيء خلقه الله قبل الاشياة. قال يا جابر ان الله
অর্থ: বিশুদ্ধ সমর্থিত ধারাবাহিক পরম্পরায় বর্ণিত সনদে ইমাম হযরত আব্দুর রাজ্জাক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুসনাদে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন,ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) আমাকে সংবাদ দিন কোন জিনিস সর্বপ্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে। হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু..... (বাহাজাতুল মাহাফিল ওয়া বুগিয়াতুল আমাছিল ১ম খন্ড ২২ পৃষ্ঠা; প্রকাশনা : দারু কুতুব আল ইলমিয়া, বৈরুত লেবানন)
◾ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কিতাবে লিখেন,
درحديث صحيح وارد شد كه اول ما خلق الله نوري
 অর্থ: "সহীহ হাদীছ শরীফে" বর্নিত হয়েছে যে,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।(মাদারেজুন নবুওয়াত ২য় খন্ড ২ পৃষ্ঠা)
◾বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ, সাইয়্যিদিনা আব্দুল গনী নাবেলসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীছ শরীফকে সরাসরি সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন,
قد خلق كل شيي من نوره صلي الله عليه و سلم كما ورد به الحديث الصحيح
 অর্থ: নিশ্চয়ই প্রত্যেক জিনিস হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেমন এ ব্যাপারে'সহীহ' হাদীছ শরীফ বর্নিত রয়েছে।” (হাদীক্বায়ে নদীয়া শরহে তরীকায়ে মুহম্মদীয়া- দ্বিতীয় অধ্যায় ৬০ তম অনুচ্ছেদ-২য় খন্ড ৩৭৫ পৃষ্ঠা) 
◾ইমামুল মুফাসসিরীন, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সর্বপ্রথম নূরে মুহাম্মদী (ﷺ) সৃষ্টির বিষয়ে ইজমার দাবী করে বলেন,
وقد اتفق أهل الظاهر والشهود على أن الله تعالى خلق جميع الأشياء من نور محمد ولم ينقص من نوره شيء
 অর্থ: এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সকল মাখলুকাত "নূরে মুহম্মদী" ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সৃষ্টি করেছেন। অথচ "নূরে মুহম্মদী" ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে কিঞ্চিত পরিমানও কমে নাই।" (তাফসীরে রুহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১৯৭-১৯৮ পৃষ্ঠা)
হাদিস আমলের ক্ষেত্রে ইমামগণের ইজমার গুরুত্বঃ
➖➖➖➖➖➖➖
এ বিষয়ে মুয়াত্তা ইমাম মালেক কিতাবের শরাহতে একটা উছূল বর্ণিত আছে,
لِلْحَدِيثِ وَالْعَمَلِ بِهِ وَعَلَى ذَلِكَ عَمَلُ الْأُمَّةِ وَالْحَدِيثُ إِذَا تَلَقَّتْهُ الْأُمَّةُ بِالْقَبُولِ وَالْعَمَلِ بِهِ لَمْ يَحْتَجْ إِلَى إسْنَادٍ صَحِيحٍ لِأَنَّ عَمَلَ الْأُمَّةِ بِهِ يَقْتَضِي الْعِلْمَ بِصِحَّتِهِ بِتَقْرِيرِ الشَّرْعِ وَتَصْحِيحِ إسْنَادِهِ لَا يَقْتَضِي ذَلِكَ فَكَانَ الْعَمَلُ بِهِ عَلَى هَذَا الْوَجْهِ أَقْوَى
অর্থ: আর পবিত্র হাদীছ শরীফ যখন তালাক্কী বিল কুবূল হবে (ইমাম-মুজতাহিদীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কাছে গ্রহণীয় হবে) এবং উক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা আমল করা হবে, তখন উক্ত হাদীছ শরীফ ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে সনদের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। কেননা উক্ত হাদীছ শরীফের ভিত্তিতে উম্মতের সার্বজনিনভাবে আমল করাটাই উক্ত হাদীছ শরীফকে শরীয়তের ভাষ্য অনুযায়ী ছহীহ প্রমাণ করে। হাদীছের সনদ এ ব্যাপারে ছহীহ হওয়া প্রয়োজন হয় না, কেননা হাদীছের দ্বারা আমল করাটা (সনদের মাধ্যমে সহীহ হওয়ার চেয়ে) অধিক শক্তিশালী হওয়ার কারণ। (আল মুনত্বকা শরহে মুয়াত্তা ২য় খন্ড ১৩৯ পৃষ্ঠা,২৩৭ নং হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যা,প্রকাশনা: দারু কুতুব আল ইলমিয়া)
হযরত উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যদি গ্রহণ করে নেন তবে তা ছহীহ বলে সাব্যস্ত হয়। এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিখ্যাত আলিমে দ্বীন হযরত খতীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কয়েকটি হাদীছ শরীফ উল্লেখ করেন যা সনদগতভাবে দুর্বল। কিন্তু সকল আলিম এই হাদীছ শরীফগুলো আমল করে আসছেন। আর তাই তিনি বলেন,
وان كانت هذها احاديث لا تثبت من جهة الاسناد، لكن لـما تلقتها الكافة عن الكافة غنوا بصحتها عندهم عن طلب الاسناد لـها، فكذلك حديث معاذ، لـما احتحوا به جـميعا غنوا عن طلب الاسناد له
অর্থ : “আমলের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে এগুলো ছহীহ হিসাবে অনুসরণ করে একথার প্রমাণ করেছেন যে, এগুলোর সনদ তালাশ করার প্রয়োজন নেই। অনুরূপভাবে হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হাদীছ শরীফ,যখন সকলেই এ হাদীছ শরীফ দ্বারা দলীল দিয়েছেন, তখন সকলের নিকট উক্ত হাদীছ শরীফের সনদের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পেয়েছে।”(আল ফক্বিহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ১/৪৭১, ই‘লামু মুওয়াক্কিঈন লি ইবনিল কাইয়্যিম ১/২০২)
বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ বিষয়ে পরিষ্কার বলেন,
يـحكم للحديث بالصحة اذا تلقاه الناس بالقبول وان لـم يكن له اسناد صحيح
 অর্থ : “কোন হাদীছ শরীফের ছহীহ সনদ না পাওয়া গেলেও যদি সকলের আমলের মাধ্যমে পবিত্র হাদীছ শরীফের বক্তব্য অনুসৃত হয় তাহলে সে হাদীছ শরীফখানা ছহীহ বলে গণ্যহবে।” (তাদরীবুর রাবী ১/৬৬)
হাফিজে হাদীছ, বুখারী শরীফের অন্যতম ব্যাখাকারক হযরত ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে বৈশিষ্ট্যের কারণে হাদীছ শরীফ গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয় তার মধ্যে একটি হলো কোন হাদীছ শরীফ এর বক্তব্য অনুযায়ী আমল করার ব্যাপারে সকল আলিম ঐক্যবদ্ধ হওয়া। তাহলে সে হাদীছ শরীফখানা গ্রহণযোগ্য ও তার বক্তব্য অনুযায়ী আমল করা আবশ্যক হয়ে পড়ে।”(তাউযীহুল আফকার ১/২৫৭, ছহীহ ইবনে খুযায়মা : হাদীছ শরীফ নং ১৬৪৩)
সুতরাং চট করেই কোন হাদীছ শরীফের সনদ পাওয়া না গেলে বা ছহীহ না মনে হলেই জাল বলে বর্জন করার সুযোগ নেই। কারণ উছূলে হাদীছ শরীফের নীতি অনুযায়ী, যে হাদীছ শরীফের উপর সকলে আমল করে আসছেন বা গ্রহণ করে নিয়েছেন তার বিরুদ্ধে এতদিন পরে এসে জাল, মুওজু ফতওয়া উদগীরণ করা জায়িয হবে না। কেউ এরকম করলে সেটা স্পষ্ট নফসানিয়াত ও বিদ্বেষ বৈ কিছু নয়।
আর পূর্ববর্তীতে কোন একটা বিষয়ে সমাধান থাকলে তার বিরোধিতা করা চলে না, উছূলে হাদীছের কিতাবে বর্ণিত আছে,
فمتى وجدنا في كلام أحد المتقدمين الحكم به كان معتمدا لما أعطاهم الله من الحفظ الغزير
 অর্থ: যখন কোন হাদীছ সর্ম্পকে পূর্ববর্তীদের ফয়সালা পাবো তখন তাদের কথার উপরই আস্থা রাখতে হবে। কেননা আল্লাহ পাক তাদের খাছ যোগ্যতা ও স্মরনশক্তি দান করেছিলেন।(ফতহুল মুগীছ ১/২৩৭, যফারুল আমানী ২৭০ পৃ)
আর এ কারনে হাফিযে হাদীছ হযরত ইবনুস সালাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পরবর্তী যুগের মানুষদের জন্য ছহীহ, দ্বয়ীফ নির্ণয় করা সঠিক মনে করতেন না। তিনি বর্ণনা করেন,
فقد تعذر في هذه الأعصار الاستقلال بإدراك الصحيح بمجرد اعتبار الأسانيد ، لأنه ما من إسناد من ذلك إلا وتجد من اعتمد في روايته على ما ذكر في كتابه عريا عما يشترط في الصحيح من الحفظ والإتقان فآل الأمر في معرفة الصحيح والحسن إلى الاعتماد على ما نص عليه أئمة الحديث
অর্থ : “শুধুমাত্র সনদের উপর নির্ভর করেই এই যুগে কোন হাদীছ শরীফকে ছহীহ হাদীছ শরীফ হিসাবে আখ্যা দেয়া অনেক কঠিন কাজ। কেননা এমন অনেক বর্ণনা পাওয়া যাবে যা বর্ণনাকারী সনদ বিহীনভাবে বর্ণনা করেছেন উনার হিফজ স্মরনশক্তির উপর ভিত্তি করে। অতএব সহীহ এবং হাসান হিসাবে চিহিৃত করার জন্য নির্ভর করতে হবে পূর্ববর্তী হাদীছশাস্ত্রের ইমামগনের মন্তব্য ও সিদ্ধান্তের উপর”(মুকাদ্দিমায়ে ইবনুস সালাহ ফি উলুমিল হাদীছ ১/১৭, শরহুল তাবছিরাহ ওয়া তাযকিরাহ ১/৪৩)
সূতরাং পূর্ববর্তী ইমামগন যে বিষয়ে স্পষ্ট ফায়সালা দিয়ে গেছেন এবং সে বিষয়ে কোন ইমামগন কোন আপত্তি করেন নাই। এক কথায় ইমামগণ সর্বপ্রথম সৃষ্টি নূরে মুহাম্মদী (ﷺ) এ বিষয়ে আক্বীদা পোষন করেছেন। 

Top