ব্রেকিং  নিউজ

রুশ প্রভাব ঠেকাতে পশ্চিমাদের কথায় ওয়াহাবিবাদের প্রচার: সৌদি প্রিন্স (দৈনিক সমকাল)
 প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০১৮  
পশ্চিমাদের অনুরোধেই সমাজতন্ত্র প্রতিহত করতে ওয়াহাবিবাদ প্রচার করেছে সৌদি আরব। অথচ সেই পশ্চিমারাই এখন ওয়াহাবিবাদকে সন্ত্রাসের আঁতুরঘর বলে অভিযোগ করছে। এ দাবি করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। গত ২২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেন।

সৌদি আরবের রক্ষণশীল মুসলিম সমাজব্যবস্থায় সংস্কার কর্মসূচিসহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচিত যুবরাজ মোহাম্মদ বলেন, গত শতকের সত্তরের দশকে স্নায়ুযুদ্ধের সময় পশ্চিমারাই ওয়াহাবিবাদ প্রচারে অর্থ ঢালতে সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছিল। তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলো যেন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বলয়ে চলে না যায়, সে জন্যই পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো সৌদি আরবকে ওই অনুরোধ করেছিল। সেই অনুরোধে বিভিন্ন দেশে মসজিদ-মাদ্রাসায় অর্থ ঢেলে ওয়াহাবি মতাদর্শের বিস্তারে কাজ করে সৌদি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক পরিসংখ্যানমতে, পরমতসহিষ্ণু সুন্নিদের উগ্র ওয়াহাবিবাদে দীক্ষিত করতে ১৯৭০ থেকে চার দশকে এক হাজার কোটিরও বেশি ডলার ব্যয় করেছে সৌদি আরব। এই অর্থের ২০ শতাংশ আল কায়দাসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে বলে ইউরোপের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছে। ২০১৩ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ওয়াহাবিবাদকে 'বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুরঘর' হিসেবে চিহ্নিত করে।

এ জন্য পশ্চিমাদেরই দায়ী করে যুবরাজ বলেন, ওয়াহাবিবাদের প্রচারে অর্থায়ন যেভাবে শুরু হয়েছিল, তা পরে আর সৌদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। তিনি বলেন, এখন সরকারের বদলে সৌদি আরবভিত্তিক বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ অর্থায়ন হচ্ছে। আর যে কাজটি শুরু হয়েছিল সৌদি আরব থেকে, তাতে এখন বিক্ষত হচ্ছে তারাও। আইএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু তাদেরও হতে হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্ব; নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েতের পতনের পর স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটে। স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী, যাদের অধিকাংশই ওয়াহাবি দর্শনে দীক্ষিত, যাদের সালাফিও বলা হয়।

মুসলিমদের প্রধান দুটি ধারার অন্যতম সুন্নিদের মধ্যে ওয়াহাবিবাদের গোড়াপত্তন অষ্টাদশ শতকে আরবের নজদ থেকে মোহাম্মদ ইবনে আবদ আল ওয়াহাবের মাধ্যমে। ওয়াহাব ছিলেন বারো শতকের ইবনে তায়মিয়াহ দ্বারা প্রভাবিত; যিনি মনে করতেন, রাষ্ট্র হবে ধর্মের অনুগামী। ইবনে তায়মিয়াহ ছিলেন মুক্ত মতচর্চার ঘোর বিরোধী।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপে সৌদি আরব গঠন করে মসনদে বসে সউদ পরিবার। তখন তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া হয় ওয়াহাবিদের। রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় ছড়াতে থাকে ওয়াহাবিদের উগ্র মতাদর্শ।


বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকার শিরোনামের স্ক্রীনশটঃ

 

1.
http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2018/03/30/619278

2.
https://www.prothomalo.com/international/article/1459766/
3.
https://www.samakal.com/todays-print-edition/tp-world/article/18036055
4.
https://bangla.bdnews24.com/world/article1477017.bdnews
5.
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/মুহাম্মদ_বিন_সালমান
6.
http://archive1.ittefaq.com.bd/print-edition/first-page/2018/03/30/267479.html
7.
http://www.newsbybd.net/newsdetail/detail/200/371145
8.
https://www.channelionline.com/ইসলামের-সঙ্গে-সৌদি-রাজবং/
9.
https://www.rt.com/news/422563-saudi-wahhabism-western-countries/
10.
https://www.dailysabah.com/mideast/2018/03/28/cold-war-era-wahhabism-used-as-tool-against-soviets-on-us-demand-saudi-crown-prince-salman-confesses
11.
https://www.geo.tv/latest/188599-saudi-arabia-spread-wahhabism-to-counter-soviet-influence-says-crown-prince

 
Top