অতঃপর   মুহাজিরে  মক্বী  (রহ।   )  নিজের  ব্যক্তিগত  আমল সম্বন্ধে লিখেন-

اس  مسئلہ میں  فقیر کا مشرب  یہ ہے کہ ہر  سال اپنے پیر و مرشد  کی روح  مبارک  کو  ایصال ثواب کرتا  ھوں-    اول قران خوانی   ہوتی   ہے    اور    کبہی      کبہی   اگروقت   میں   گنجائش ہوتومولود  پڑھا جاتاہے  پھر کھانا کھلایا جاتاہے  اور اس کا ثواب بخش دیا جاتاہے-

অর্থ:   এ  বিষয়ে   আমার    নীতি   হলো  যে,   আমি   প্রতি  বছর আমার   পীর   ও    মুর্শিদের   রূহ   মোবারকের     প্রতি   ঈসালে   সওয়াব করে থাকি। প্রথমে কোরআন  তিলওয়াত হয়  এবং  কোন কোন  সময় মিলাদ  শরীফও পড়া  হয়    এবং   সর্বশেষ উপস্থিত    সকলকে   খাবার    পরিবেশন   করা   হয়   এবং    এর সওয়াব  পীর  ও   মুর্শিদের   রূহের  প্রতি    বখ্শ  করে  দেওয়া হয়। (ফয়সালায়ে হাফ্ত মাসআলাহ)

হাজী    ইমদাদ     উল্লাহ   মুহাজিরে    মক্বী   (রহ।    )     এর    দীর্ঘ আলোচনা    থেকে    ইহাই    প্রমাণিত    হলো    যে    মৃত্যুবার্ষিকী  পালন করা, তারিখ নির্ধারণ  করে  ঈসালে সওয়াব মাহফিল করা জায়েয। এবং তিনি নিজেও প্রতি  বৎসর তাঁর  পীর  ও  মুর্শিদের      ঈসালে     সওয়াবের      জন্য       মৃত্যুবার্ষিকী     পালন করতেন।

এখন    হামিদী    সাহেবের    ফতোয়া    অনুযায়ী,    মৃত্যুবার্ষিকী  পালন  করা যদি  সাফ হারাম     ও  গোনাহের কাজ হয়  এবং  তারিখ  নির্ধারণ করে ঈসালে   সওয়াব যদি সম্পূর্ণ বেদআত হয়    তাহলে   আপনাদের   তরিকতের    পীর   ও   মুর্শিদ   হাজী ইমদাদ উল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু কি সারাজীবন সাফ হারাম ও সম্পূর্ণ বেদআত কাজ করে গেছেন? (নাউজুবিল্লাহ)

অতএব তারিখ নির্ধারণ করে ঈসালে সওয়াব করা এবং সে উপলে দোয়া দরূদ,  ওয়াজ-মাহফিল, দান-খয়রাত,  খতমে কোরআন, কবর জিয়ারত, মিলাদ- মাহফিল, শিরনী বিতরণ ইত্যাদি   জায়েয।     ইহাই   আহলে   সুন্নাত   ওয়াল   জামাতের অনুসৃত আমল।

উপসংহার

পরিশেষে     মহান       আল্লাহ     রাব্বুল       আলামীনের     দরবারে ফরিয়াদ হে আল্লাহ  আমার  এ ুদ্র  প্রচেষ্টাকে তোমার   প্রিয়  হাবিবের   শান     ও   মান    প্রচারের   ক্ষেত্রে    কবুল   কর    এবং বাতিল  ফির্কাদের  প্রতারণা  থেকে  সরলপ্রাণ  মুসলমানদের  ঈমান ও আমলকে হিফাজত কর। আমিন।



গ্রন্থপঞ্জি
====
১। কোরআনুল কারীম।
২। বোখারীশরীফ।
৩। তিরমিজীশরীফ।
৪। মুসনাদে আহমﷺ
৫। মিশকাতশরীফ।
৬। আস সিরাতুন নাবাবীয়াহ- ইবনে হিশাম।
৭। তাফসিরে  রুহুল বয়ান- আল্লামা    ইসমাঈল হাক্বী  (রহ। )।
৮।     তাফসিরে       রুহুল     মায়ানী-     সৈয়দ     মাহমুদ     আলুসী বাগদাদী (রহ। )।
৯।  তাফসিরে     জালালাইন-   ইমাম  সুয়ূতি  ও    ইমাম  মহল্লী (রহ। )।
১০।  আল খাসাইসুল  কোবরা- ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ূতি  (রহ। )।
১১। আল  হাবী  লিল ফতোয়া- ইমাম জালাল  উদ্দিন সুয়ূতি  (রহ। )।
১২। হুসনুল মাকসাদ ফি আমালীল মাওলিদ- ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ূতি (রহ। )।
১৩। বেদায়া ও নেহায়া- আল্লামা ইবনে কাছির (রহ। )।
১৪।      বাহারে   শরিয়ত-   মুফতি   মোহাম্মদ     আমজদ   আলী আজমী (রহ। )
১৫। জা-আল হক্ব- মুফতি আহমদ ইয়ার খান   নঈমী  (রহ। )।
১৬।  ফায়সালায়ে হাফ্ত মাসআলাহ-  হাজী ইমদাদ    উল্লাহ মক্বী (রহ। )।
১৭।     তাফসিরাতে    আসরারুল    কোরআন-     আল্লামা    শেখ আব্দুল করিম সিরাজনগরী।
১৮।      হাকিকতে     মিলাদ-     আল্লামা     শেখ     আব্দুল      করিম  সিরাজনগরী।
১৯।  আহলে  সুন্নাত বনাম  আহলে বিদআত- আল্লামা  শেখ  আব্দুল করিম সিরাজনগরী।
২০। নূর নবী- আল্লামা হাফিজ আব্দুল জলিল (রহ। )।
২১।     হায়াত   মউত   কবর   হাশর-    আল্লামা   আব্দুল   জলিল (রহ। )
২২। জগত গুরু মুহাম্মদ (ﷺ)- মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম।
২৩। সুন্নীবার্তা- ৫৬ নং সংখ্যা।
২৪। শরিয়তের দৃষ্টিতে ইসালে সওয়াব- আল্লামা তাহেরুল কাদেরী
২৫। তরিকায়ে  ফাতেহা- আল্লামা আবুল কালাম আহসানুল কাদেরী।
২৬।      বারোই      রবিউল        আউয়াল      কি       মিলাদুন্নবী,       না ওফাতুন্নবী?- আল্লামা আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান।

Top