হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত-

قال   رسول    الله   صلى   الله   عليه    وسلم   انك    لتصدق   لميتك بصدقة- فجيئ بها ملك من الملائكة فى اطباق من نور- فيقوم على  رأسه-  فينادى-  يا  صاحب   القبر   الغريب-اهلك  قد  اهدوا اليك هذه الهدية- فاقبلها (تذكرة للقرطبى)

অর্থ:  নবী   করিম  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লাম   এরশাদ   করেছেন-     তোমরা     অবশ্যই       তোমাদের     পরিবারস্থ     মৃত লোকদের জন্য কিছু সদকা বা দান  করবে। উক্ত সদকা বা দান একজন ফিরিস্তা নূরের পাত্রে   নিয়ে মৃত ব্যক্তির  মাথার কাছে  এসে   দাঁড়িয়ে  বলবে-  ‘হে   কবরের   প্রবাসী,  তোমার পরিবারস্থ লোক  তোমার    জন্য   এই হাদিয়া দান করেছেন-  তুমি তা কবুল কর। ’ (তাযকিরাহ)।

অন্য হাদিসে আছে-

قال  رسول  الله  صلى  الله  عليه   وسلم  من   قرأ  الاخلاص  احد عشر  مرة-     ثم  وهب  اجرها     للاموات    -اعطى  من  الاجر   بعدد الاموات-

অর্থ: রাসূল  করিম   সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-  যে  ব্যক্তি   এগারো-বার  সূরা  ইখলাস   পাঠ  করে মৃত      ব্যক্তির         নামে      সওয়াব      দান       করে      দেয়-        তার আমলনামায়ও সকল মুর্দেগানের সমান   সওয়াব লিখা হয়। (দুররে     মুখতার-      ‘বাবুদ      দাফন     ওয়াল     কিরআত     লিল মাইয়িত’ অধ্যায়)

ফতোয়ায়ে       শামীতে       উক্ত       অধ্যায়ে      দুররে      মুখতারের  এবারতের ব্যাখ্যায় সওয়াব রেসানীর পূর্ণ  পদ্ধতি  ও  দোয়া  মোনাজাত সম্পর্কে উল্লেখ আছে-

ويقرأ   من      القران    ما   تيسرله   من    الفاتحة     واول   البقرة   الى المفلحون واية الكرسى وامن الرسول وسورة يس وتبارك الذى وسورة التكاثر ولاخلاص اثنى  عشر  مرة او احدى عشر او سبعا  اوثلاثا ثم يقول اللهم اوصل ثواب ماقرءناه الى فلان او اليهم

অর্থাৎ    মুর্দারের     জন্য     কোরআন    থেকে    যা      কিছু    সম্ভব তিলাওয়াত   করবে।  যেমন-  সূরা   ফাতিহা,     সূরা  বাকারার  প্রথম পাঁচ আয়াত, শেষ তিন আয়াত, আয়াতুল কুরছি, সূরা ইয়াসিন,  সূরা   মুল্ক,   সূরা  তাকাসুর,  সূরা  ইখলাস  ১২  বার অথবা   ১১    বার  অথবা  ৭  বার  অথবা  ৩   বার   তিলাওয়াত করবে এবং এভাবে মোনাজত করবে ‘হে আল্লাহ! আমরা যা কিছু তিলাওয়াত করেছি- তুমি তার সওয়াব অমুককে অথবা অমুক অমুককে পৌঁছিয়ে দাও। ’ (শামী)

মন্তব্য:        ফতোয়ায়ে        শামীর        ইবারতে        বুঝা        যায়-শুধু  তিলাওয়াত করে মনে  মনে সওয়াব পৌঁছানোই যথেষ্ট নয়- বরং      সম্মিলিতভাবে      দোয়া      মোনাজাত      করার      উপরও  গুরুত্বারোপ করা   হয়েছে- ما   قراناه   বহুবচন  উল্লেখ করে। অতএব,   লোক সমাগম ও  অনুষ্ঠান পালনেরও গুরুত্বারোপ করা   হয়েছে   উক্ত   ফতোয়ায়।   এতে   সম্মিলিত   অনুষ্ঠানের  দলিল পাওয়া গেল। (হায়াত মউত কবর হাশর)।

Top